Tuesday, November 26, 2019

মাটিতে বসে খাওয়ার শত উপকারিতা

গবেষণায় দেখা গেছে টেবিল-চেয়ারে বসে খাবার খেলে পেট ভরে ঠিকই, কিন্তু শরীরের কোনও মঙ্গল হয় না। বরং নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।অন্যদিকে মাটিতে বাবু হয়ে বসে খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে শরীরও রোগ মুক্ত হয়। বোল্ডস্কাই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী নিচে মাটি বসে খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হলো।
মাটিতে বসে খেলে একাধিক আসন করা হয়:- মাটিতে বসে খাওয়ার সময় আমরা নিজেদের অজান্তেই একাধিক আসন, যেমন- সুখাসন, সোয়াস্তিকাসন অথবা সিদ্ধাসন করে ফেলি। ফলে মাটিতে বসে খাওয়ার সময় পেট তো ভরেই সেই সঙ্গে শরীর ও মস্তিষ্ক, উভয়ই ভিতর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
শরীর শক্তপোক্ত হয়:- মাটিতে বসে খাওয়ার অভ্যাস করলে থাই, গোড়ালি এবং হাঁটুর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শিরদাঁড়া, পেশি, কাঁধ এবং বুকের ফ্লেক্সিবিলিটিও বাড়ে। ফলে সার্বিকভাবে শরীরে সচলতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি নানাবিধ রোগও দূরে থাকে।
হজম ক্ষমতার উন্নতি হয়:- বাবু হয়ে বসে খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি হয়। তাই যাদের বদ হজমের সমস্যা রয়েছে বা যারা প্রায়শই গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন তাদের ভুলেও টেবিল চেয়ারে বসে খাওয়া উচিত নয়। পরিবর্তে মাটিতে বসে পাত পেরে খাওয়া উচিত। আসলে বাবু হয়ে বসে খাওয়ার সময় আমরা কখনও আগে ঝুঁকে পরি, তো কখনও সোজা হয়ে বসি।
এমনটা বারে বারে করাতে হজম সহায়ক ডায়জেস্টিভ জুস’র ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে হজম প্রক্রিয়া খুব সুন্দরভাবে হতে থাকে। এখানেই শেষ নয়, মাটিতে বসে থাকার সময় আমাদের শিরদাঁড়ার নিচের অংশে চাপ পরে ফলে স্ট্রেস লেভেল কমে গিয়ে সারা শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
আয়ু বৃদ্ধি পায়:- মাটিতে বসে খেলে শরীরের সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে কোনও ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে বলা হয়েছিল যারা কোনও সাপোর্ট ছাড়া মাটিতে বসে থাকতে থাকতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পরতে পারেন,
তাদের শরীরে ফ্লেক্সিবিলিটি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি একাধিক অঙ্গের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটে, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আয়ু বৃদ্ধি পায়। আর যারা এমনটা করতে পারেন না, তাদের আয়ু অনেকাংশেই হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, এই গবেষণাটি ৫১-৮০ বছর বয়সীদের মধ্যে করা হয়েছিল।
ব্যথা কমে:- বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে মাটিতে বসে খাওয়ার সময় আমরা মূলত পদ্মাসনে বসে থাকি। এইভাবে বসার কারণে পিঠের, পেলভিসের এবং তল পেটের পেশীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে সারা শরীরের কর্মক্ষমতা এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে সব ধরনের যন্ত্রণা কমে যেতে সময় লাগে না।
ওজন কমে:- মাটিতে বসে খাওয়ার সময় আমাদের ভেগাস নার্ভের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে পেট ভরে গেলে খুব সহজেই ব্রেনের কাছে সে খবর পৌঁছে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। এমনটা যত হতে থাকে তত ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও কমে।প্রসঙ্গত, আমাদের পেট ভরেছে কিনা সেই খবর ব্রেনের কাছে পৌঁছালেই আমাদের খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। আর এই খবর মস্তিষ্ককে পাঠায় ভেগাস নার্ভ।
হার্টে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:- হাঁটু মুড়ে বসে থাকাকালীন শরীরের উপরের অংশে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে হার্টে কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে হ্রাস পায় কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।
সারা শরীরে রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটে:– আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিটি অঙ্গে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যাওয়াটা জরুরি। যত এমনটা হবে, তত রোগের প্রকোপ কমবে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে।আর যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে বাবু হয়ে বসে থাকাকালীন সারা শরীরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের চলাচল বেড়ে যায়।
স্ট্রেসের মাত্রা কমে:– শুনতে আজব লাগলেও একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাটিতে বসে থাকলে শরীর এবং মস্তিষ্কের অন্দরে বেশ কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়।ফলে মানসিক অবসাদ তো কমেই, সেই সঙ্গে স্ট্রেসর মাত্রাও কমতে শুরু করে।

(সৃষ্টিশীল)বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতুকের নাম ইন্টেলিজেন্স

বুদ্ধিবৃত্তিকে প্রায়শই মানব মনের যৌক্তিক দিক হিসেবে নির্দেশ করা হয়।
বুদ্ধি বা বুদ্ধিবৃত্তি (ইংরেজি: Intellect,ইন্টেলেক্ট) হল মনের একটি ক্ষমতা যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি কোন কিছুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য চিন্তা করতে পারে। এটা এমন একটি মানসিক ক্ষমতা তার দ্বারা কোন ব্যক্তি সঠিক বা আসল বিষয় সম্পর্কে একটি উপসংহারে বা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। মনোবিজ্ঞানে এই পরিভাষাটি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। অনুভব বা চলাচল করার ক্ষমতা এর সঙ্গে জড়িত নয় কিন্তু চিন্তা করার ক্ষমতা জড়িত। যুক্তি, দর্শন ও অঙ্কের মত বিষয়গুলো বুদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বুদ্ধি হল কোন কিছুকে সুনির্দিষ্টভাবে সনাক্ত করা, পারস্পারিক সম্পর্ক অনুসন্ধান, কোন কিছুকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার ক্ষমতা। কোন জিনিসের প্রকৃত স্বরূপ কি, তা খুঁজে বের করা হল সনাক্তকরণ; দুটি জিনিসের মধ্যে সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য নির্ণয়, তাদের সাদৃশ্যের ধরন, ইত্যাদি অনুসন্ধান হল পারস্পারিক সম্পর্ক নির্ণয়; আর পৃথকীকরণ হল কিভাবে দুটি জিনিস একে অপর থেকে আলাদা তা খুঁজে বের করা। বুদ্ধিতে অবশ্যই এই তিনটির মধ্যে অন্তত যে কোন একটি কাজ জড়িত থাকে।
https://bn.wikipedia.org/

চুপ

রাসুল(সা.)বলেন: আমার প্রভু আমাকে নয়টি নির্দেশ দিয়েছেন। সেগুলো হলো:
গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয় করতে, সন্তুষ্টি এবং অসন্তুষ্টি উভয় অবস্থাতে ন্যায় কথা বলতে, দারিদ্র ও প্রাচুর্য উভয় অবস্থাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে, যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তার সাথে সম্পর্ক জুড়তে, যে আমাকে বঞ্চিত করে, তাকে দান করতে, যে আমার প্রতি অবিচার করে, তাকে ক্ষমা করে দিতে, আমার নীরবতা যেনো চিন্তা গবেষণায় কাটে, আমার কথাবার্তা যেনো হয় উপদেশমূলক, আমার প্রতিটি দৃষ্টি যেনো হয় শিক্ষা গ্রহণকারী।
এ ছাড়া ও আমার প্রভু আমাকে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলো হলো: আমি যেনো ভালো কাজের আদেশ করি এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করি। (সহীহ বুখারী)
পৃথিবীতে নীরবতাই পারে মানব মনের বিস্ময়কর এক জানালা খুলে দিতে। আমরা এমন এক সময়ে বসবাস করছি যেখানে নীরবতা প্রায় বিলুপ্ত।
যে চুপ থাকিয়াছে, সে বাঁচিয়া গিয়াছে।
৬ সুফল
অনুভব করতে নীরবতা
চিন্তা করার সময় দেয় নীরবতা
নীরবতা কথপোকথনের শক্তিশালী হাতিয়ার
মস্তিস্কের বিন্যাসে নীরবতা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতিষেধক নীরবতা
বিষন্নতা থেকে মুক্তিতে নীরবতা
Source: http://bonikbarta
we-are-muslim/মহানবী-সা-এর-৩২৪-টি-মহামূল্যবান-বাণী

Friday, November 1, 2019

আল কুরআন ও আমাদের মূল্যবোধগুলো

আল কুরআন ও আমাদের মূল্যবোধগুলো
১. পৃথিবীতে অনাচার সৃষ্টি না করা (লা তুফসিদু ফিল আরদ)।
২. আল্লাহ তায়ালারই ইবাদত করা, অন্য কারো নয়; আল্লাহ তায়ালার কাছেই সাহায্য চাওয়া (ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাইন)।
৩. সবরের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চাওয়া।
৪. রাগ হজম করা।
৫. মানুষকে ক্ষমা করে দেয়া।
৬. ভালো অবস্থা ও মন্দ অবস্থায় সাধ্যমতো দান করা।
৭. ফকির-মিসকিনদের সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করা।
৮. কয়েদিদের সাহায্য করা (সূরা ইনসান)।
৯. ইনসাফ প্রতিষ্ঠা।
১০. ইহসান বা ভালো আচরণের প্রচলন।
১১. নিকটাত্মীয়দের সাধ্যমতো দান করা।
১২. অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকা।
১৩. কাজকর্মে বাড়াবাড়ি না করা।
১৪. ভালো কাজের আদেশ দেয়া।
১৫. মন্দ কাজ দূর করার জন্য চেষ্টা করা।
১৬. বিজয় হলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা বা শুকর আদায় করা এবং গর্ব না করা (সূরা নাসর)।
১৭. অতিরিক্ত ধনসম্পদের দিকে না ছোটা।
১৮. সত্য সাক্ষ্য দেয়া।
১৯. মিথ্যা সাক্ষ্য না দেয়া।
২০. নেক কাজ করা (আমলে সালেহ)।
২১. হকের বা ন্যায়ের ব্যাপারে একে অন্যের সহযোগিতা করা।
২২. সবর করার ব্যাপারে একে অপরের সহযোগিতা করা।
২৩. শয়তানের ওয়াসওয়াসা (উসকানি) থেকে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। ২৪. সব খারাপ কাজ থেকে (কুল্লু শাররিন) আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা।
২৫. ভালো কাজের ক্ষেত্রে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা।
২৬. মন্দ কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতা না করা।
২৭. গিবত (পেছনে অন্যের মন্দ বলার) অভ্যাস পরিত্যাগ করা।
২৮. কোনো জাতির সবাইকে নিন্দা না করা (সূরা হুজুরাত)।
২৯. ইসলামবিরোধীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা।
৩০. মন্দ নামে কাউকে না ডাকা (সূরা হুজুরাত)।
৩১. এতিমদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করা।
৩২. সাহায্যকারী প্রার্থীদেরকে সাহায্য করা।
৩৩. আল্লাহর পথে ব্যয় করা (ফি-সাবিলিল্লাহ)।
৩৪. স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ সালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি।
৩৫. স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার করা (আশেরুহুন্না বিল মারুফ)।
৩৬. নিজে দোষ করে অন্যের ওপর চাপানো হারাম।
৩৭. চুক্তি রক্ষা করা।
৩৮. ওয়াদা রক্ষা করা।
৩৯. আমানতের খিয়ানত না করা, অর্থাত আমানত রক্ষা করা।
৪০. যৌনক্ষেত্রে পবিত্রতা অনুসরণ করা।
৪১. বিবাহের বাইরে অবৈধ সম্পর্ক না রাখা।
৪২. বিপদে পড়লে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলা।
৪৩. ঋণের চুক্তি লিখে রাখা।
৪৪. ঋণের চুক্তিতে সাক্ষী রাখা।
৪৫. পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করা।
৪৬. পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা (রাব্বিরহামহুমা কামা রাব্বাইয়ানী সাগিরা)। ৪৭. সম্বলহীন পথিককে সাহায্য করা।
৪৮. অপব্যয় না করা।
৪৯. কৃপণতা না করা।
৫০. নরহত্যা বা খুন না করা।
৫১. এতিমদের সম্পদ আত্মসাত না করা।
৫২. মাপ এবং ওজন সঠিকভাবে করা, কাউকে না ঠকানো।
৫৩. যে বিষয়ে জ্ঞান নেই, তার পেছনে না ছোটা।
৫৪. বেহুদা বা অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে দূরে থাকা।
৫৫. জাকাত দেয়া।
৫৬. নামাজের পূর্ণ হেফাজত করা।
এ্মূই ল্যবোধগুলো অনুসরণ করা হলে মুসলিম জাতির অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং সমাজে নৈতিকতা ফিরে আসবে। এই নৈতিক মূল্যবোধগুলোর ব্যাপক প্রচার হওয়া দরকার। এতে কেবল মুসলিম জাতি উপকৃত হবে না, অন্য জাতির লোকেরাও উপকৃত হবে।
সহায়তা: শাহ্ আব্দুল হান্নান, সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার