Monday, June 28, 2021

বিশ্বস্ততা চাষ করা যায় Confidence can be Cultivated

 ১. শুরুটা করা চাই

শুরু করার জন্য তোমাকে মহান কোন মানুষ হতে হবে না।
কিন্তু মহান হতে চাইলে তোমাকে শুরুটা করতেই হবে!

২. খেয়াল করেছো কি?
সবচেয়ে শক্ত গাছটা ঝড়ে ভেঙে পড়ে সহজেই।
কিন্তু বাঁশ, নল-খাগড়া এরা বাতাসের অনুকূলে বেঁকে যায়।
তাই আমি বলবো, “নমনীয় থাকো, সেটা খুবই মঙ্গলের।”

৩. পজিটিভ
দিনের শুরুটা কষ্টের মনে হলেও তুমি পজিটিভ থাকো। পজিটিভ হওয়া থেকে সরে এসো না। কারণ বদলের ১ম অংশটা খুবই বাজে আর শক্ত কাজ
২য় অংশটা এলোমেলো
আর শেষের অংশটা গর্জিয়াস।

৪. ব্যর্থতা
ব্যর্থতা মানুষের জীবনের যত স্বপ্ন নষ্ট করে দেয়
তার চেয়ে বেশী নষ্ট করে দেয় সন্দেহ।

৫. পতন
পড়ে যাওয়াটা একা দুর্ঘটনা বৈ নয়। কিন্তু পড়ে গিয়ে সেখানে বসে থাকাটা বোকামী।

৬. বেদনা-হলুদ-বৃন্ত কামনা আমার
শেফালির মত শুভ্র সুরভি-বিথার
বিকশি’ উঠিতে চাহে-

বেড়ার ওপারের সকল ঘাস কিন্তু সবুজ নয়
শুধু সে ঘাষগুলোই সবুজ যেগুলোতে তুমি জল সিঞ্চন করো, নিয়মিত জল দাও।

৭. তুমিও যদি চাও
আজ আমাকে ছেড়ে যেতে পারো।
আমি চাই যে একেলা হতে আরো

একাকীত্বটা এনজয় করতে পারা একটা সাধনা।

৮. শুরুর পর বদলে যাওয়া সম্ভব

শুরুর পর আর শুরুর জায়গাতে ফিরতে পারবেনা।
যেখানে থেমে আছো সেখান থেকে আবারো শুরু করতে পারবে-
আর এতেই শেষটা বদলে যাবে।

৯. ভেঙেছো দুয়ার

তুমি যদ্দুর এসেছো- আসতে পেরেছো
তার জন্য নিজেকে ধন্যবাদ দাও।
জেনে রেখো এটা সহজ কোন কাজ নয়!

১০. অভ্যাস ভয়ানক জিনিস
একে হঠাত স্বভাব থেকে তুলে ফেলা কঠিন

তোমার অভ্যাসগুলো সবচে খারাপ গুরু কিংবা সবচে ভালো চাকর হতে পারে যা তোমাকে তাড়িয়ে ফিরবে।

১১. ভাবনা হোক যথাযথ
জিমে যাও, জল খাও দেদার, ভিটামিন নাও, শরীরটাকে তাগড়া করো কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু তোমার হৃদয়ে আর মগজে যে সব ভালো ভালো জিনিস রয়েছে সেগুলোর চর্চা না থাকলে- তুমি চিরকাল আনহেলদি-unhealthy হয়েই বাঁচবে।

১২. দাও, নাও কম
হৃদয় আমার চায় যে দিতে, কেবল নিতে নয়,
বয়ে বয়ে বেড়ায় সে তার যা-কিছু সঞ্চয়।
হাতখানি ওই বাড়িয়ে আনো, দাও গো আমার হাতে--
ধরব তারে, ভরব তারে, রাখব তারে সাথে,
একলা পথের চলা আমার করব রমণীয় ॥
মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো ॥

১৩. চাঁদের অনুপস্থিতিতে রাতের আকাশের কালো বেনারসীতে জড়োয়া তারার কাজ দেখলে মনটা হারিয়ে যেতেই চাইবে, নিঃসীম শূন্যে মিলিয়ে যেতে চাইবে মনটা। ঠিক তখন যেনো মনে হয়- মানুষকে আমার আরো দেয়ার আছে।

১৪. স্ট্রাগল
কষ্টে আছো, কষ্ট করছো-তার মানে এই নয় যে তুমি ব্যর্থ
Just because you are struggling does not men you are failing.

১৫. নেগেটিভ জার্নি ফর লাইফটাইম
নেগেটিভ থাকলে সারা জীবনব্যাপী তোমার জার্নিটা ডিফিকাল্ট হয়ে উঠবে। তুমি কি দেখেছো কেউ কাঁটাযুক্ত ডালে বসতে পারে? নেগেটিভটা ঠিক কাঁটাযুক্ত একটি ডাল।
Being negative makes a journey more difficult. You may given a cactus, but you don’t have to sit on it.

Source: বিভিন্ন + নিজ ঘিলু

Wednesday, June 2, 2021

চোখের জল নিয়ে চোখ খুলে যাওয়ার মতো কথাগুলো

 

. চোখের জল কেউ বলে অশ্রু কেউ বলে নয়ন বারি যে যাই বলুক এর ইংরেজী নামটা টিয়ার-Tear. এর লাতিন সংষ্করণ ল্যাকরাইমা/ল্যাক্রিমা-lacrima. ল্যাকরাইমা/ল্যাক্রিমা মানে হলো চোখের জল চোখের জল তৈরী হয় ল্যাকরাইমাল গ্ল্যান্ড/ ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ড lacrimal gland থেকে যার অবস্থান দু চোখের ভ্রুর ঠিক নীচেই

. মানুষের চোখ থেকে ধরনের চোখের জল বের হয়

. বেজাল টিয়ার Basal tear মৌলিক চোখের জল

. রিফ্লেক্স টিয়ার Reflex tear প্রতিবর্তি চোখের জল

. ইমৌশনাল টিয়ার Emotional tear আবেগিক চোখের জল

. বেজাল টিয়ার Basal tear মৌলিক চোখের জল আমাদের চোখ জোড়াকে মসৃন বা পিছলে রাখে

রিফ্লেক্স টিয়ার Reflex tear প্রতিবর্তি চোখের জল বের হয় চোখ কোন কিছুর সংস্পর্শে এলে যেমন, ধোঁয়া, বালু, ধুলো।

ইমৌশনাল টিয়ার Emotional tear আবেগিক চোখের জল বের হয় আমরা যখন কষ্টে থাকি বা অত্যানন্দে থাকি

. সব ধরনের চোখের জলে আছে জল, নুন, তেল, অ্যান্টিবডি আর এনজাইম কিন্তু সব চোখের জলে আছে ভিন্ন ভিন্ন রাসায়নিক অনু বা chemical molecules. উদাহরন দেয়া যেতে পারে- ইমৌশনাল টিয়ার Emotional tear আবেগিক চোখের জলে আছে প্রোটিন থেকে তৈরী কিছু হরমোন যার মধ্যে লিউসিন-এনকেফালিন-এর নাম করা যায় যা প্রাকৃতিক ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে যখন মানুষ মানসিকভাবে অবসাদে বা অস্বস্তিতে থাকে – Body under stress.

. পিয়াঁজ কাটতে গেল কান্না পায় এটা বোধ করি কাউকেই বুঝিয়ে বলার দরকার নেই কারণ পিয়াঁজ থেকে যে রাসায়নিক বের হয় তার নাম ল্যাকরিম্যাটরী ফ্যাক্টর সিন্থেজ-Lachrymatory factor synthase. এই ল্যাকরিম্যাটরী ফ্যাক্টর সিন্থেজ থেকে যদি রেহাই পেতে চান তা হলে পিয়াঁজ স্লাইস করার আগে ফ্রিজে রাখুন অর কাটার সময় অবশ্যই ধারালো ছুরি ব্যবহার করবেন এতে কাজ হবে ভোঁতা অস্ত্রে কাজ হবে না

. চার্ল্স ডারউইন তার বই The Expression of the emotions in man and Animals বলেছেন কষ্টের বা দুঃখের সময় মানুষেরা বা বানর জাতীয় প্রাণীরা চোখের জল ঝরালে অনেকটা স্বস্তিতে থাকে 

. শিশুরা বেশীই কাঁদে এরা তাদের বয়স - মাস না হলে চোখের জল ফেলতে পারে না কারণ এর আগে ওদের চোখের জল আল্লাহ তৈরী করেন না। মেয়েরা অনেক বেশী কাঁদে-চুন থেকে পা খসলেই পুরুষেরা অতোটা আবেগিক নয় যে তার ভ্যা ভ্যা করে কাঁদবে

. এর আগে শতাব্দীব্যাপী ধারনা ছিল যে চোখের জল তৈরী হয় হৃদয়ে ওল্ড টেষ্টামেন্টে বলা আছে হৃদপিন্ডের কোন অংশ দুর্বল হয়ে গেলে সেখান থেকে চোখে জল চলে আসে মধ্য যুগে চোখের জল ফেলাকে বলা হতো পুরুষোচিত গুনসম্পন্ন-manly. অ্যাংলো-স্যাক্সন কবিতায় Beowulfকে যখন ড্রাগন মেরে ফেলে তখন তার সহযোদ্ধারা শান্তনা পাবার জন্য কেঁদেকেটে অস্থির হয়েছিল তাদের প্রভুর আত্মার শান্তির কারণে জানা গেছে যে কিং আর্থারও কাঁদতে পারতেন হবু চন্দ্র রাজার মতো তিনি কান্না ভোলেননি।

. কান্না কখনো কখনো ভাল হতে পারে সমীক্ষা জানিয়েছে যে কান্না পেলে শরীরে অক্সিটোসিন-Oxytocin এন্ডোরফিন-Endorphin নামের ২টি রাসায়নিকের নিঃসরণ ঘটে এতে মানুষের মন শান্ত হয়

. merriam-webster অভিধানে ১৯১২সালে টিয়ারজার্কার-tearjerker শব্দটির ডেব্যু হয়েছে এর মানে হলো কোন নভেল, নাটক সিনেমা দেখে কান্না করা (সূত্রঃ Entertainment weekly, Hollywood, Reader’s Digest May 2021)

১০. চোখের ভেতরের - (excess tear produced by the lacrimal gland) ও নাকের রাস্তার মধ্যে যোগ আছে। চোখের অতিরিক্ত জল উপচে পড়ে নাকের ফুটো দিয়ে বেরিয়ে আসে বলেই কান্নার সময় বার বার নাক ঝাড়তে হয়।

১১. 1993র-কেমিক্যাল ওয়েপন্স কনভেনশন অনুসারে Tear Gas বা কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এর আগেই ১৯৮০র ইরাক যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে কাঁদানে গ্যাস ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

১২. আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই বেজাল টিয়ার বা মৌলিক চোখের জল তৈরী কমতে থাকে। এর কারণে আমাদের চোখ শুকনো হয়ে যেতে থাকে। মেয়েদের বেলায় গর্ভধারন করলে বা তাদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে বেজাল টিয়ার বা মৌলিক চোখের জল তৈরী কমতে থাকে। এ অবস্থা নিরসনে এখন কৃত্রিম আই ড্রপ পাওয়া যাচ্ছে যাকে Lubricating OTC Eye Drop বলা হয়। এ ছাড়া চোখে গরম স্যাঁক -Hot Compress দিলেও চোখের জল ঝরানো যায়।

১৩. কম আলোতে পড়লে চোখের ক্ষতি হয় কি?

সব মা বাবার এই একই প্রশ্ন তাদের ছেলে মেয়েদের কাছে। কিন্তু বিজ্ঞান বলে যে কম আলোতে পড়লে চোখের ক্ষতি হয় এমন কোন প্রমাণ নেই। Reading in poor light makes people blink less which can lead to the eyes becoming dry again adding to belief that they have been damaged. কম আলোতে পড়লে চোখের পাতা পড়ার হার কম হয় আর তাতে চোখ শুকনো বোধ হয় যা স্বাভাবিক আলোতে পড়লে হয় না। কম আলোতে পড়লে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে কিন্তু চোখের স্থায়ী কোন ক্ষতি হয় না।

আবার বেশী বা উপযুক্ত আলোতে পড়লেই যে চোখের জ্যোতি বাড়বে  বা চোখ ঠিক থাকবে, এমন কোন প্রমাণ নেই। While good light will improve your ability to see clearly, it’s not essential to protecting eye health.

সূত্র: রিডার্স ডাইজেষ্ট, হেনরী গ্রে’জ অ্যানাটমী, সায়েন্টিফিক আমেরিকান এবং সুস্নাতক ক্লাশে নিজ পাঠ