Wednesday, April 27, 2022

ওজন কমে কাঁচা লঙ্কায়

ওজন কমানো ছড়াও এই সব্জির আরো সারপ্রাইজিং গুণগুলো জেনে নাও!!

Is green chili is effective for weight loss?

Green chilies come with zero calories
Green chilies also exert a number of beneficial effects on the cardiovascular system
green chilies although hot to taste, has been shown to lower body temperature by stimulating the cooling center of the hypothalamus in the brain
Capsaicin in green chilies has a stimulating effect on the mucus membranes of the nose and sinuses. Capsaicin stimulates blood flow through the membranes and causes mucus secretion to become thinner. This action makes it beneficial in combating the common cold or sinus infections.
Green chilies are great for healthy eyes, skin and immune system
Capsaicin in green chilies helps in combating the common cold or sinus infections.
When eaten, green chilies release endorphins that boosts the mood, and reduces pain
Green chilies are proven to balance blood sugar levels
Green chilies are a natural source of iron
Green chilies are rich in Vitamin K that help decrease your risk of osteoporosis and of bleeding dangerously when you are cut out or injured.
ঝাল খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। কাঁচা লঙ্কার রয়েছে অনেক গুণ। কিন্তু ওজন কমাতে সাহায্য করে কি?
ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নিয়মিত শরীরচর্চা, পরিমিত খাওয়াদাওয়া… ওজন কমানোর ঝক্কি অনেক। এ দিকে শরীর সুস্থ রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প কিছু নেই। রোগা হওয়ার এই দীর্ঘ পর্বে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, লঙ্কা খেয়েই কমিয়ে ফেলতে পারেন ওজন। দ্রুত মেদ ঝরাতে বেশি ক্ষণ জিমে কাটানোর চেয়ে কাঁচা লঙ্কা খেয়ে ওজন কমানো অনেক বেশি সহজ উপায়।
ওজন কমাতে কী ভাবে সাহায্য করে কাঁচা লঙ্কা?
কাঁচা লঙ্কায় রয়েছে ১১ শতাংশ ভিটামিন, ৩ শতাংশ আয়রন এবং অনেকটা ভিটামিন সি। এ ছাড়াও কাঁচা লঙ্কায় রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা লঙ্কা কোলেস্টেরল বর্জিত। বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা লঙ্কা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
কাঁচা লঙ্কায় রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামে এক প্রকার যৌগ। শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে ক্যাপসাইসিন দারুণ কার্যকরী। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পুড়িয়ে দিতে সক্ষম এই যৌগ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি কাঁচা লঙ্কা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও হ্রাস করে কাঁচা লঙ্কা। স্থূলতার সমস্যা থাকলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বাড়ে। কাঁচা লঙ্কা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
-সূত্র: আনন্দবাজার

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা

 কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ার প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন।

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার কারণে মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়। আর কী কারণ থাকতে পারে?
আজকাল অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছন। কোষ্ঠকাঠিন্য গ্যাস, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তির মতো অন্যান্য শারীরিক সমস্যারও জন্ম দেয়। সাধারণত ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপো থাইরয়েড রোগীদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি দেখা যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার কারণে মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ার প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। খাদ্যাভ্যাসে বদল আনাও জরুরি।
ফাইবার জাতীয় খাবার না খেলে
ফল, সব্জি, বাদাম, মুসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকের রোজের খাদ্যতালিকাতেও এই ধরনের খাবার সব সময় থাকে না। শরীরের একটি উপকারী উপাদান হল ফাইবার। শরীরে ফাইবারের পরিমাণ হ্রাস পেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতি দিন প্রায় ৩৮ গ্রাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
পরিমাণমত জল না খেলে
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে জল খাওয়ার পরিমাণও বাড়াতে হবে। সারা দিনে কত পরিমাণ জল খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে হজমশক্তি। শরীরে জলের পরিমাণ কম থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৩-৪ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন।
মরসুমি ফল না খেলে
শরীরে জলের অভাব ঘটলেই তখন নানা শারীরিক সমস্যার শুরু হয়। জল খাওয়ার পাশাপাশি, জল জাতীয় ফল খাওয়াও সমান ভাবে জরুরি। ফলে রয়েছে ভিটামিন,ক্যালশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়ামের মতো বিভিন্ন উপকারী পুষ্টিগুণ। শরীরের অন্যান্য সমস্যা দূর করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও দূরে রাখে ফল। তাই পরিমাণমত ফল খাওয়া জরুরি।
আনন্দবাজার সূত্র

শাইনিঙ পাথ

 যে অন্যের দোষ দেয় তার এখনো অনেক পথ হাঁটতে হবে গন্তব্যে যেতে।

যে নিজেকে দোষ দেয় সে গন্তব্যের মাঝামঝি এসেছে।
যে কারোর দোষ ধরেনা, সে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
-চৈনিক কথন

কলা খাওয়ার উপকারিতাগুলো

কলা শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি ফল। তবে রোজ খেলে কোনও সুফল পাওয়া যায় কি?

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে রোজ একটি করে কলা খাওয়া জরুরি।
সকালের জলখাবারে তাড়াহুড়োয় অনেকেই দুধ আর কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে কলা খেয়ে থাকেন। চটজলদি আবার স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী পুষ্টিগুণ। মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার সমৃদ্ধ কলা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এ ছাড়াও কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। একটি মাঝারি মাপের কলা থেকে শরীরে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রবেশ করে। পটাশিয়াম হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে রোজ একটি করে কলা খাওয়া জরুরি।
কলা মিষ্টি বলে ডায়াবিটিস রোগীরা কলা এড়িয়ে চলেন। কিন্তু কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ খুবই কম। তাই ডায়াবিটিস আক্রান্ত রোগীরা নিশ্চিন্তে কলা খেতে পারেন।
শরীরে শক্তি জোগাতে কলার জুড়ি মেলা ভার। গরমে রোদ থেকে ফিরে অনেক সময় খুব দুর্বল লাগে। তখন চাঙ্গা হতে একটি কলা খেয়ে নিতে পারেন। ওজন কমে গেলেও চিকিৎসকরা অনেক সময় কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ কলা হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। কলায় থাকে পেকটিন নামক ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন যাঁরা, তাঁরা রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন একটি করে কলা।
কলায় রয়েছে ক্যারোটিনয়ডের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ দূর করতে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দারুণ কাজ করে। প্রতি দিন একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাসে শরীরের অনেক সমস্যা দূর হয়।
সূত্রঃ আনন্দবাজার

আমানতের খিয়ানত

 আমানতের খিয়ানত না করার মধ্যে অন্যতম বিষয় হলো, অন্যের কোনো গোপন কথা কারো কাছে আমানত রাখলে, তা প্রকাশ করে খিয়ানত না করা। তবে, গোপন বিষয়টি প্রকাশের মাঝে যদি ওই ব্যক্তির ইহ ও পরকালীন সফলতা থাকে, তাহলে তার কল্যাণ কামনায় তা প্রকাশ করা ও তাকে সদুপদেশ দেয়া। রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘একজন মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক হলো- একজন পরামর্শ চাইলে অপরজন পরামর্শ দেবে এবং তার মঙ্গল কামনা করবে’ (আল আদাবুল মুফরাদ-৯২৫)।

বর্ণিত আছে, হজরত আলী রা:-এর খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পর একদা রাতের বেলা বাতির আলোতে রাষ্ট্রীয় কাজ করছিলেন। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি বিশেষ প্রয়োজনে তার কাছে এলেন। আলী রা: বাতি নিভিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাব দিলেন, এতক্ষণ আমি সরকারি কাজ করছিলাম। তাই সরকারি তেল ব্যবহার করেছি। এখন তো ব্যক্তিগত কাজ করছি। সরকারি বাতি ব্যবহার করা আমানতের খিয়ানত হবে।
আমানতের খিয়ানত করা কবিরা গুনাহ ও মুনাফিকের আলামত, আর আমানত রক্ষা করা ঈমানদারের আলামত। হাদিসে এসেছে রাসূল সা: বলেছেন, ‘যার মধ্যে আমানতদারি নেই তার ঈমান নেই, আর যে অঙ্গীকার রক্ষা করে না, তার দ্বীন নেই’ (সুনানে বায়হাকি, শুয়াবুল ঈমান, মিশকাত)।
হাদিসে মুনাফিকির পরিচয় এভাবে তুলে ধরা হয়েছে, হজরত আবদুুল্লাহ বিন আমর রা: বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে সে সুস্পষ্ট মুনাফিক। আর যার মধ্যে এ স্বভাবগুলোর কোনো একটি থাকে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকির একটি স্বভাব থেকে যায়। আর তা হলো, তার কাছে কেউ কোনো আমানত রাখলে তার খিয়ানত করে। সে কথা বললে মিথ্যা বলে। ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং ঝগড়া করলে গালমন্দ করে। (বুখারি, মুসলিম, আহমাদ)

ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া কখন?

 ‘তোমার সাথে চারটি জিনিস থাকলে পৃথিবীর সব হারিয়ে ফেললেও তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না’-

১. আমানতের হিফাজত;
২. সত্যবাদিতা;
৩. উত্তম চরিত্র ও
৪. পবিত্র রিজিক
-মহানবী সা: (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম-৭৯৮৯)।