Friday, December 12, 2025

এখন ঘরে ফেরাটা Most underestimated blessing!

 ফেরা!

নিজের কথাগুলোঃ
সুস্থ শরীরে কাজের জন্য বেরিয়ে যাওয়া আর কাজ থেকে নারী পুরুষের সুস্থ অবস্থায় ঘরে ফেরা পরিবারের সদস্যদের কাছে আনন্দের হওয়ার কথা ছিল। এখন ঘরে ফেরাটা Most underestimated blessing!
যে নারী বা পুরুষ আর বাড়ী ফিরলো না, চিরকালের জন্য হারিয়ে গেলো তার জন্য চোখের কোণে বরষা সাজিয়ে রেখে আর কি লাভ। অনেকে হয়তো খুশীই হয়। কিন্তু যে নারী বা পুরুষ উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলে গেলো তার মূল্যায়নটা কি?
ছোট সময় মা’কে দেখেছি ‘আসর সালাতের পরে বাড়ীর বাইরে এসে দাঁড়াতে। অনেকদিন। মা’কে প্রশ্ন করেছিলাম এমন করো কেনো? গাঁয়ে বেড়ে ওঠা আমার মা’র সরল উত্তর, “তোর বাবা এসময় আসে যে?” কেনো যেনো সে কথা শুনে আমার চোখে জল এসেছিল। বাড়ীর ৩শ গজ দূরে বাবার বাইসাইকলখানা দেখা গেলে মা চলে যেতো ভেতরে। বাবার গামছা, লুঙ্গি, খড়ম, বদনা ভরা জল সবই তৈরী। বাবা যেনো কোন ভাবেই কষ্ট না পায়- এর জন্য ছিল মায়ের অদম্য প্রয়াস। আমার বাবা-মায়ের রিলেশনশীপে কোন ভাটা আমি পড়তে দেখিনি। আমার কাছে এখনো উদাহরণ হয়ে আছে আমার বাবা মায়ের বন্ধুত্ব।
এখন আমরা বড় হয়ে সংসার পেতেছি, ফিকে হয়ে গেছে রিলেশনশীপ, স্বামী-স্ত্রী এখন বন্ধু নয়, যেনো আজীবন “অরি।”
অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না! কষ্টগুলো বাড়ে উত্তরের হিমেল হাওয়ার মতন।
কে দিতে পারবে আমার এ প্রশ্নের উত্তর? বন্ধুরা?


ব্রেস্টমিল্ক

 শুধুমাত্র খাওয়া ছাড়াও যে মায়ের বুকের দুধ কতভাবে ব্যবহার করা যায় তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন! ব্রেস্টমিল্কে রয়েছে–

👉 IgA, IgG, IgM অ্যান্টিবডি,
👉 ল্যাক্টোফেরিন, যা জীবাণু বৃদ্ধি কমায়
👉 লাইসোজাইম এনজাইম, যাব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে
👉 গ্রোথ ফ্যাক্টর, যা ত্বক ও টিস্যু দ্রুত মেরামত করে
👉 স্টেম সেল, যা দেহের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া বাড়ায়
👉 অলিগোস্যাকারাইডস, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করে।
খাওয়া ছাড়াও বুকের দুধ যেভাবে ব্যবহার করতে পারেন:
▪️প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে-
জন্মের প্রথম ৩ মাস শিশুর ত্বকে কোনো ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়। তখন এই বুকের দুধ টাই শিশুর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শিশুর গোসলের পানিতে ১/২ আউন্স ব্রেস্টমিল্ক মিশিয়ে নিলেই হয়ে গেল। তাছাড়া গোসলের পরও শিশুর ফেসে মাখিয়ে নেয়া যায়।
▪️স্কিন র্যাশ, ডায়াপার র্যাশ ও একজিমায় ব্যবহার-
ব্রেস্টমিল্কে থাকা ল্যাক্টোফেরিন, লাইসোজাইম এবং ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের প্রদাহ কমাতে কাজ করে। একটি ক্লিনিকাল স্টাডিতে দেখা গেছে, শিশুর একজিমায় ব্রেস্টমিল্ক ব্যবহারের ফলাফল ১% হাইড্রোকরটিসন ক্রিমের সমতুল্য হতে পারে।
অল্প দুধ নিয়ে সরাসরি শিশুর ত্বকে লাগিয়ে দিলেই উপকার পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
▪️মায়ের নিপল ক্র্যাক বা ব্যথা কমাতে-
বুকের দুধে থাকা ফ্যাট ও ইমিউন ফ্যাক্টর নিপল টিস্যুকে নরম করে এবং ইনফেকশন রোধ করে। ফিডিং শেষে কিছু দুধ নিপলে লাগালে দ্রুত সেরে ওঠে।
▪️নাভির গোড়া শুকাতে-
নবজাতকের নাভি শুকাতে বুকের দুধ অত্যন্ত কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, বুকের দুধ দিলে নাভির গোড়া গড়ে ১-২ দিন দ্রুত শুকায়।
▪️নবজাতকের চোখের ইনফেকশন বা স্টিকি আইস-
বুকের দুধে থাকে IgA অ্যান্টিবডি, যা ব্যাকটেরিয়া আটকে রাখে ও বৃদ্ধি রোধ করে। তাই সামান্য স্টিকি আইস বা চোখে পানি পড়লে পরিষ্কার হাত দিয়ে ১-২ ফোঁটা বুকের দুধ চোখে দিতে পারেন। গবেষণা বলছে, বুকের দুধ ব্যবহার করলে হালকা কনজাঙ্কটিভাইটিস দ্রুত সেরে যায়।
▪️নাক বন্ধ বা সর্দিতে ন্যাচারাল ন্যাসাল ড্রপ-
বুকের দুধ নাকে কয়েক ফোঁটা দিলে শ্লেষ্মা নরম করে এবং অ্যান্টিবডি ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এমন ধারণা চিকিৎসাবিজ্ঞানও সমর্থন করে।
▪️পোকামাকড়ের কামড় বা ছোট ঘা-
ব্রেস্টমিল্কে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ব্যথা কমাতে এবং ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করতে পারে। হালকা কামড় বা র্যাশে অনেক মা এটি সেফ ন্যাচারাল রেমেডি হিসেবে ব্যবহার করেন।
প্রথম কয়েক মাসে মায়ের দুধের ফ্লো বেশ থাকে। প্রচুর পরিমাণে মিল্ক এমনিতেই পড়ে নষ্ট হয়। এই ব্যবহারগুলো জানা থাকলে বেবিকে খাওয়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও এই ‘লিকুইড গোল্ড’ ব্যবহার করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।

লেখার সোর্সঃ
____________________
|| লিকুইড গোল্ড ||
রেজওয়ানা রাজ্জাক
সার্টিফাইড চাইল্ডবার্থ এডুকেটর এন্ড দৌলা

Thursday, December 11, 2025

Kidney-Cleansing Evening Soup

 Kidney-Cleansing Evening Soup

Bottle gourd + coriander + cumin + garlic + black pepper + pink salt.
Light, soothing, and perfect for gently cleansing your kidneys

ক্ষণকাল

 এদিন চলিয়া যাবে ক্ষণকাল পরে,

রবে মাত্র কর্মফল চিরদিন তরে
শেষ বেলায় এসে মনে হবেঃ
এক হাত জমির জন্য প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া ছিল ভুল।
রাত জেগে মিথ্যা স্বপ্ন বুনে কারো সঙ্গে চ্যাট করাটা ভুল ছিল।
কাউকে কষ্ট দিয়ে কঠিন কথা বলাটা ভুল ছিল।
দুর্বল কাউকে ভয় দেখিয়ে নিজের ক্ষমতা দেখানোও ভুল ছিল।
শেষ বেলায় মনে হবে,
ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র না হলেও জীবনে খুব বড় ক্ষতি হয়নি।
অনেক টাকা রোজগার করতে না পারলেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।
জীবনের শেষ সময়ে এসে, কষ্ট ছাড়া একটু স্বাভাবিক মৃত্যুই হবে শেষ চাওয়া।
শেষ বেলায় মনে হবে,
মানুষের দোয়াটাই ছিল সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, যেটা আমি অর্জন করতে পারিনি।
মানুষের মনে কষ্ট দেওয়াটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল।
শ্বাসকষ্টের মাঝে আটকে থাকা নিঃশ্বাসের কষ্টে শুধু মানুষের দোয়াটাই মনে হবে সবচেয়ে মূল্যবান।
অথচ এত কিছু ভেবে ও আমরা যৌবনকালে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।


ইমোশনাল স্ট্রেস ও পেইন

 Emotional stress often shows up as physical pain — from headaches to back pain.

Listen to your body; it’s always trying to tell you something
সোর্সঃYour health care


Monday, December 1, 2025

কাল্পনিক গল্প যদি কারো কাজে লাগে বা মনে ধরে

 তালাক হয়ে যাওয়ার পর স্বামী কোর্ট থেকে বেরিয়ে অটোতে বসলো, আর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রৌনকও সেই একই অটোতে এসে বসে পড়ল।

উদাস স্বামী দশ বছর একসঙ্গে থাকা স্ত্রী রৌনকের দিকে এক কাতর দৃষ্টিতে তাকাল।
রৌনক নিভে আসা হাসি দিয়ে বলল —
"বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত শেষ পথটা তোমার সাথেই যেতে চাই।"
স্বামী বলল — "ঠিক আছে!"
রাস্তায় যেতে যেতে স্বামী বলল —
"Alimony (ভরণপোষণ) এর টাকা দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে দিয়ে দেবো।
বাড়িটাও বেচে দেবো। তোমার জন্যই তো বানিয়েছিলাম।
তুমি যদি জীবনেই না থাকো, তবে সেই বাড়ি দিয়ে কি করব আমি?"
রৌনক তাড়াহুড়ো করে বলল —
"বাড়ি কখনোই বেচো না।
আমাকে টাকা দেয়া লাগবে না।
প্রাইভেট চাকরি করছি, আমার আর মুন্নের খরচ হয়ে যায়।"
হঠাৎ অটোওয়ালা ব্রেক কষলো, রৌনকের মুখ সামনে থাকা রেলিংয়ে ধাক্কা লাগার উপক্রম,
তখনই স্বামী হঠাৎ তার হাত ধরে তাকে বাঁচিয়ে দিল।
স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে রৌনক অশ্রুভরা কণ্ঠে বলল —
"আমরা আলাদা হয়ে গেছি, তবে তোমার যত্ন নেওয়ার অভ্যাসটা তো যায়নি!"
সে কিছু বলল না।
কিন্তু রৌনক কেঁদে ফেলল।
কাঁদতে কাঁদতে বলল —
"একটা কথা জিজ্ঞেস করি?"
স্বামী চোখ তুলে বলল —
"কি?"
রৌনক ধীরে ধীরে বলল —
"দুই বছর হয়ে গেল আমরা আলাদা থাকছি...
আমার কথা তোমার কখনো মনে পড়ত?"
স্বামী বলল —
"এখন বলেই বা কি লাভ?
এখন তো সব শেষ হয়ে গেছে না?
তালাক হয়ে গেছে।"
রৌনক বলল —
"এই দুই বছরে একবারও সেই ঘুমটা আর পাইনি...
যে ঘুম তোমার হাতকে বালিশ বানিয়ে হতো..."
কথা শেষ করে সে ফুপিয়ে কেঁদে উঠল।
এসময় বাসস্ট্যান্ড চলে এসেছে।
দু’জন অটো থেকে নেমে দাঁড়াতেই স্বামী তার হাত ধরে ফেলল।
অনেকদিন পর স্বামীর স্পর্শ কব্জিতে অনুভব করে রৌনক আবেগে ভেসে গেল।
স্বামী বলল —
"চলো, নিজের বাড়িতে চলে যাই।"
এটা শুনেই রৌনক বলল —
"তালাকের কাগজগুলো তাহলে?"
স্বামী শান্ত গলায় বলল —
"ছিঁড়ে ফেলব।"
এটা শুনেই রৌনক হাউমাউ করে কেঁদে স্বামীর গলায় মাথা রাখল...
পেছনে আরেকটা অটোতে আসা স্বামী-স্ত্রীর আত্মীয়রা সবকিছু দেখে চুপচাপ কোনো কথা না বলে বাসে উঠে চলে গেল...
~নিজের সম্পর্ককে কখনোই আত্নীয়দেয় হাতে ছেড়ে দিও না,
নিজে সিদ্ধান্ত নিজেই নাও, নিজেদের মধ্যে কথা বলো,
ভুল হলে তা স্বীকার করো।