কাজ করতে গেলে
কখনো কখনো হাত-পায়ে আঁচড় লাগে। কেটে গিয়ে তৈরি হয় ক্ষত। কাটা-ছেঁড়া নিরাময়ে প্রথম
পদক্ষেপ হলো অ্যান্টিসেপটিক লাগানো। কাটা-ছেঁড়ায় সমাধান পেতে জেনে রাখুন বেশ
কয়েকটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিকের নাম।
লেবু: লেবুতে রয়েছে জীবণুনাশক বৈশিষ্ট্য।
ব্যাকটেরিয়া নাশ করে বলে এটি ত্বকের জীবাণু নাশ করে। বাতাস জীবাণুমুক্ত করতে একটি
স্প্রে বোতলে একটি লেবুর রস মিশিয়ে ঘরে স্প্রে করে নিন। তাছাড়া পোকামাকড় কামড়ালে
সে ক্ষততে লেবুর রস লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
মধু: ক্ষত সারাতে মধুর জুড়ি নেই। প্রাকৃতিক
এ মধু অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। তবে ক্ষত নিরাময়ে কাঁচা মধু ব্যবহার
করতে হবে। কাটা-ছেঁড়া ব্যান্ডেজ করার পরে ওপর দিয়ে মধু বুলিয়ে নিতে হবে। গভীরভাবে
কেটে ক্ষত তৈরি হলে তাতে মধু দিয়ে ভরাট করে ব্যান্ডেজ করে নিতে হবে।
অ্যালোভেরা: দুর্ঘটনায় শরীরের কোনো স্থান
পুড়ে গেলে অ্যালোভেরা জেল লাগালে উপকার পাওয়া যায়। তেমনি কাটাস্থানে লাগালেও পাওয়া
যায় সুফল। হাত-পা কেটে গেলে কয়েক ঘণ্টা পরপর অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিলে দ্রুত
সেরে যায়।
ক্যালেন্ডুলা ফুল: ক্যালেন্ডুলা
ফুল কেবল সাজসজ্জাতেই সেরা নয়, এর রয়েছে ঔষধি গুণাগুণও। হাত কেটে গেলে
ক্যালেন্ডুলা ফুলবাটা লাগালে উপকার পাওয়া যায়। অভ্যন্তরীণ সংক্রামক রোধে
ক্যালেন্ডুলা চা খাওয়া যেতে পারে।
রসুন: রসুনে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া-বিরোধী
এলিসিন নামক একটি উপাদান— যা ক্ষত সুস্থ করে তোলে। তবে রসুন ঝাঁঝালো বলে ২০ থেকে
২৫ মিনিটের বেশি এটি ত্বকে রাখা যাবে না। দুই চা চামচ রসুনবাটা এক কাপ পানিতে
মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখুন। কাপড় বদলে বদলে কয়েকবার
করুন।
আলু: কটন বলে আলুর রস নিয়ে ক্ষতস্থানে
লাগান। সারা রাত রেখে সকালে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে আবার ড্রেসিং করুন।
গোলমরিচ: একটু ভয় ভয় লাগলেও সত্য যে, গোলমরিচ
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এটি ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া নাশ করে। ক্ষতস্থানে
গোলমরিচ গুঁড়া লাগানোর ১০ সেকেন্ডের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত আরোগ্যলাভে
এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো নেড়ে খেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment