পায়ের উচ্চতা : আপনি যখন চেয়ারে বসে বই পড়বেন, তখন সঠিকভাবে দেহের রক্ত চলাচলের সুবিধার্থে পা যেন আরামদায়ক অবস্থায় থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এ ক্ষেত্রে মেঝের সমান্তরালেই থাকা উচিত পায়ের উচ্চতা। অর্থাৎ এমন চেয়ারে বসতে হবে, যা মেঝের সমান্তরাল। আর সেই চেয়ারের কোনো অংশ যেন উঁচু বা নিচু হয়ে আপনার পায়ের অসুবিধা সৃষ্টি না করে।
পায়ের পাতা : বসে বই পড়ার সময় পায়ের পাতা অসমান স্থানে রাখা যাবে না। এটি এমন স্থানে রাখুন, যেন আপনার কোনো অসুবিধা না হয়। এ ক্ষেত্রে সামান্য উঁচু কোনো স্থানে রাখা যেতে পারে।
পিঠের আরাম : বসে পড়ার সময় আপনার পিঠ যেন আরামদায়ক অবস্থায় থাকে, তা নিশ্চিত করুন। এ ক্ষেত্রে পিঠে হেলান দেওয়ার জন্য ভালো একটি সাপোর্ট প্রয়োজন। সঠিকভাবে হেলান দিতে না পারলে পিঠ ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার সামনের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়লে মেরুদণ্ডের ওপর চাপ পড়ে।
সোজা বসুন : মানুষের
মেরুদণ্ডের পক্ষে বাঁক আরামদায়ক নয়। এ জন্য মেরুদণ্ড যতটা সম্ভব সোজা রাখা উচিত। এ কারণে সোজা চেয়ারে বসাই সবচেয়ে ভালো। সামান্য গদি থাকলেও ক্ষতি নেই।
চোখের সামনে বই রাখুন : আপনার চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিকভাবে যেখানে যায়, সেখানেই পড়ার বইটি রাখুন। এতে চোখের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে না। ফলে দেহের অন্যান্য অংশের জন্যও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে উঠবে বই পড়া।
বিরতি : দীর্ঘক্ষণ
একটানা পড়লে কিছু সমস্যা হতে পারে। এটি যেমন শরীরের কোনো অংশের ব্যথার কারণ হতে পারে, তেমনি একঘেয়েও লাগতে পারে।
পর্যাপ্ত আলো : অন্ধকারে
বই পড়লে তাতে চোখের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে চোখের সমস্যা ও মাথাব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পড়ার টেবিলে পর্যাপ্ত আলো থাকা দরকার।
No comments:
Post a Comment