Monday, July 24, 2017

বৃষ্টিতে ভিজলে রোগমুক্তি

বৃষ্টি নাকি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। সত্যিই কি তাই? বৃষ্টিতে ভিজলে বাস্তবিকই কি হাজারো রোগ শরীরকে আক্রমণ করে? অথচ বিজ্ঞান এবং গবেষণা যা বলছে, তা শুনলে কিন্তু আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
শরীরের কথা ভেবে বৃষ্টিকে অপছন্দ করেন যারা, তারা জেনে নিন, অল্প-বিস্তর বৃষ্টিতে ভিজলে একেবারেই শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং মন ও মস্তিষ্ক একেবারে চাঙ্গা হয়ে যায়। কীভাবে এমনটা হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক। প্রসঙ্গত, একটানা ১০-১২ মিনিটের বেশি বৃষ্টিতে ভিজবেন না যেন, তাহলে কিন্তু শরীর বিদ্রোহ করলেও করতে পারে। আর বৃষ্টিতে ভেজার পর মনে করে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা লিকার চা অথবা গ্রিন টি খেয়ে নেবেন, তাহলেই দেখবেন শরীর খারাপ কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
১.
বৃষ্টির পানিতে কোনও ভেজাল থাকে না। তাই তো সেই পানি শরীরে লাগলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, বৃষ্টির পানি মাটিতে, নদী-নালায় মেশার পর নোংরা হয়ে যায়, তার আগে নয়! সেই কারণেই তো বিশ্বের অনেক দেশে বৃষ্টির পানি জমিয়ে রাখা হয়। পরে প্রয়োজন মতো তা পান করা হয়ে থাকে।
২.
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে বৃষ্টির সময় হাওয়া-বাতাস খুব বিশুদ্ধ হয়ে যায়। তাই তো ওই সময় শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করা প্রতিটি বায়ু আমাদের দেহের উপকারে লাগে। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির সময় পরিবেশে উপস্থিত টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাও খুব কমে যায়। ফলে এই সময় বাড়ির বাইরে থাকলে সব দিক থেকে শরীরের ভালই হয়। তবে যেমনটা অগেও অলোচনা করা হয়েছে যে ১০-১২ মিনিটের বেশি বৃষ্টিতে ভেজা চলবে না। এর বেশি হলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া আর কোনও ক্ষতি যদিও হয় না।
৩.
সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে বৃষ্টির পানি পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ করে খেলে শরীরের উপকার হয়। সেই সঙ্গে একাধিক রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, যে পাত্রে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করছেন সেই পাত্র যেন জীবাণুমুক্ত হয়, না হলে কিন্তু শরীরের ভাল হওয়ার পরিবর্তে খারাপই হবে বেশি।
৪.
বারিবর্ষণের সময় পরিবেশে উপস্থিত জলীয় বাষ্প ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল হয়। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির পর জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর জীবাণুর কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে এই সময় শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
৫.
বৃষ্টির পর কেমন মাটি থেকে সোঁদা গন্ধ বেরোয় দেখেছেন। এই গন্ধটাকে মন-প্রাণ দিয়ে শরীরে অন্দের নিয়ে যাবেন, দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। গবেষকরা এই গন্ধকে ‘পেট্রিকোর’ নামে ডেকে থাকেন। প্রসঙ্গত, বৃষ্টি পড়া মাত্র মটিতে উপস্থিত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া বিশেষ এক ধরনের কেমিক্যাল রিলিজ করে। যে কারণে এমন সোঁদা গন্ধ বেরোতে শুরু করে।
৬.
বেশ কিছু গবেষক মনে করেন বৃষ্টির পানি চরিত্রে অ্যালকেলাইন। অর্থাৎ এই পানি পান করলে শরীরের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এখানেই শেষ নয় অ্যালকালাইন রক্তের পি এইচ লেভেলকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে শরীরে অ্যাসিডির মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে একাধিক রোগের প্রকোপ হ্রাস পায়।
৭.
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বৃষ্টির পানি অ্যালাকালাইন হওয়ায় ক্যান্সারের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। যদিও এই যুক্তির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
৮.
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ চামচ বৃষ্টির পানি খেলে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস-অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।
৯.
অনেককে বলতে শুনেছি বৃষ্টিতে ভেজার পর শ্যাম্পু না করলে নাকি চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই ধারণা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। কারণ বাস্তবে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ হয়। ফলে এই পানি দিয়ে চুল ধুলে মাথার ত্বকে থাকা একাধিক ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা ধুয়ে যায়। ফলে চুলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি খুশকি সহ নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে।
১০.
কখনও লক্ষ্য করেছেন কিনা জানা নেই। তবে বৃষ্টিতে ভেজার পর আমাদের ত্বক আরও উজ্জ্বল এবং সুন্দর হয়ে যায়। কারণ সেই একই! বৃষ্টির পানি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই স্কিন তার হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরে পায়।
১১.
বেশ কিছু কেস স্টাডি করে দেখা গেছে তুমুল বৃষ্টিতে ৫ মিনিট ভিজলে স্ট্রেস লেভেল একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়।
সাবধানতা: গর্ভবতী মহিলারা ভুলেও বৃষ্টিতে ভিজবেন না যেন! এমনটা করা এই সময় শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল হবে না।
খেয়াল রাখবেন: বৃষ্টির পানি খাওয়ার আগে দেখে নেবেন যেখানে সেটি স্টোর করেছেন সেটি পরিষ্কার কিনা। না হলে কিন্তু কোনও উপকারই পাবেন না। উল্টো শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া থেকে 

Friday, July 21, 2017

Dreams and Aims

The Difference between
DREAM & AIM
Dream requires
soundless sleep to see
and
AIM requires

Sleepless effort to achieve…

Tuesday, July 18, 2017

শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছেন আপনি একটানা বসে কাজ করে

শুধুমাত্র অফিসের ডেস্কে বসেই অনেকটা সময় কাটান অনেকে। বাড়িতে ফিরেও ক্লান্তি লাগলে এবং টিভি দেখার কারণেও অনেকে একটানা বসে থাকেন। আপনি কি জানেন এতে আপনি নিজেই নিজের মারাত্মক ক্ষতি করছেন। সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে শারীরিক নানা সমস্যাই বলে দেবে স্থায়ীভাবে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে আপনার দেহের।
জেনে নিন একটানা বসে থেকে নিজের কী ক্ষতি করছেন আপনি।
১. অতিরিক্ত সময় একটানা বসে থাকার কারণে আপনার দেহের কোনো শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে না। এতে করে আপনার দেহের সঠিক কার্যকলাপ ব্যহত হচ্ছে। এর ফলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার দেহ বুড়িয়ে যাবে।
২. একটানা বসে থাকার ফলে দেহের নিচের অংশের স্বাভাবিক কার্যকলাপ একেবারেই ব্যহত হয়। সেইসাথে আমাদের পরিপাকতন্ত্রের ওপর পড়ে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব। স্বাভাবিক খাদ্যহজম প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয় এর ফলে হজমে সমস্যার কারণে দেহে নানা ধরণের সমস্যা হওয়া শুরু করে।
৩. মেরুদণ্ডের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে যখন আপনি অনেক বেশি সময় একটানা বসে থাকেন। মেরুদণ্ডের জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয় অনেক বেশি।
৪. একটানা বসে থাকার ফলে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও সমস্যা দেখা দেয়। যারা একটানা বসে কাজ করতে থাকেন তাদের নানা ধরণের মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যেমন, হ্যালুসিনেশন, চিন্তা ক্ষমতা লোপ পাওয়া, বুদ্ধি কমে যাওয়া ইত্যাদি।
৫. গবেষণায় দেখা যায় যারা একটানা বসে থাকেন এবং শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই করেন না তাদের দীর্ঘমেয়াদী হৃদপিণ্ডের সমস্যা, উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়বেটিস এবং ক্যান্সারের মতো রোগ বাসা বাঁধে দেহে।
৬. বাতের ব্যথা অন্যান্য জয়েন্টে ব্যথার মূল কারণ হচ্ছে একটানা বসে থাকা।
৭. একটানা বসে থাকার কারণে শারীরিক পরিশ্রম হয় না বলে মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে পেটের মেদ বেড়ে যায়।
৮. শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই হয় না বলে দেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৯. একটানা বসে কাজ করার ফলে সবচাইতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে আপনার কিডনি। একটানা বসে কাজ করার ফলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বিশেষ করে মহিলারা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন পুরুষদের চেয়ে প্রায় ৩০% বেশি।
-ইন্টারনেটের সহায়তা নেয়া

ভিটামিন-ডির প্রয়োজনীয়তা

বহু মানুষ ভিটামিন-ডির অভাবে ভুগছেন। একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষের এ সমস্যা আছে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ভিটামিন-ডির উস। সূর্য যখন প্রখর থাকে তখনই অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছায়। কাঁ, ঘন মেঘ, কাপড়চোপড়, ধোঁয়া ও সানস্ক্রিন এই রশ্মিকে বাধা দেয়। এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে নীচে লেখা কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার :
সময় : আলোয় বেরিয়ে যখন দেখবেন আপনার ছায়া আপনার তুলনায় ছোট, তখনই সেই আলোতে আপনার ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন-ডি তৈরি করতে পারবে।
কাঁ : অতিবেগুনি রশ্মি কাঁ  ভেদ করতে পারে না। তাই গাড়ি বা ঘরের ভেতর জানালা বন্ধ অবস্থায় রোদ এলেও লাভ নেই, পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি মিলবে না।
পোশাক ও সানস্ক্রিন : এগুলোও ত্বকে সরাসরি ভিটামিন-ডি লাগতে বাধা দেয়। তাই আপাদমস্তক ঢেকে বেরোলে চলবে না। অন্তত হাত-পা বা মুখের কিছু অংশ খোলা রাখুন। মাঝে মধ্যে সানস্ক্রিন ছাড়াই রোদে বেরোতে হবে।
বার্ধক্য : বয়স বাড়তে থাকলে ত্বকের ভিটামিন-ডি তৈরির মতা কমতে থাকে। আর বয়স্কদেরই কিন্তু হাড়ের সমস্যা বেশি। তাই বয়স হয়েছে বলেই সারা দিন বাড়ি বসে থাকা ঠিক নয়। নিয়মিত বেরোন এবং গায়ে রোদ লাগান।
বায়ুদূষণ ও আবহাওয়া : দূষিত বায়ু, ধোঁয়া ইত্যাদি অতিবেগুনি রশ্মিকে শুষে নেয় বা প্রতিফলিত করে। তাই দূষিত শহরে থাকলে মাঝে মাঝে একটু দূরের গ্রামে বা আউটিংয়ে যাওয়া উচিত।

Thursday, July 13, 2017

যে ১৩টি কাজ করেন না মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষরা



আপনার মানসিক শক্তি প্রায়ই আপনি কী করেন তার মধ্য দিয়ে নয় বরং আপনি কী করেন না তার মধ্য দিয়েই প্রকাশিত হয় মানসিক শক্তি অর্জনের তিনটি দিক রয়েছে- নিজের চিন্তা, আচরণ এবং আবেগকে নিয়ন্ত্রণ
এই ১৩টি কাজ মানসিকভাবে শক্তিশালী  মানুষরা করেন না
. নিজের জন্য দুঃখবোধ করে সময়ের অপচয় করেন না
এটা আত্মবিনাশী। এতে জীবনটাকে পুরোপুরি উপভোগ করা সম্ভব হয় না। সময়ের অপচয় হয়। নেতিবাচক আবেগ সৃষ্টি করে এবং সম্পর্কে সমস্যা তৈরি করে।
থেকে মুক্তির চাবিকাঠি হলো, দুনিয়ার ভালো দিকগুলো খোঁজা। এতে আপনি নিজের যা কিছু আছে তার মূল্যায়ন করতে শিখবেন। এর লক্ষ্যটি হলো নিজের দুর্দশার জন্য দুঃখবোধকে কৃতজ্ঞতা বোধের দ্বারা বিতাড়িত করা।
. নিজের হাল ছেড়ে দেন না
লোকে সাধারণত তখনই নিজের হাল ছেড়ে দেন যখন তারা শারীরিক আবেগগতভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন। সুতরাং আপনার নিজেকেই নিজের জন্য উঠে দাঁড়াতে হবে এবং নিজের জন্য একটা সীমা টেনে দিতে হবে। যদি আপনার তৎপরতাগুলোর নিয়ন্ত্রণ থাকে অন্য কারো হাতে তাহলে তারাই আপনার সাফল্য-ব্যর্থতাও নির্ধারণ করে দেবে।
. তারা পরিবর্তনে লজ্জা পান না
পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পাঁচটি ধাপ আছে। প্রাক-চিন্তা, চিন্তা, প্রস্তুতি, তৎপরতা এবং তা বজায় রাখা প্রতিটি ধাপই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তন অনেক সময় আতঙ্কের কারণ হতে পারে। কিন্তু পরিবর্তনের অনাগ্রহের ফলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। যতই দেরি করবেন ততই তা কঠিন হয়ে পড়বে। এবং অন্যরা আপনাকে ছাড়িয়ে যাবে।
. নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না এমন কোনো বিষয়ে তারা মনোযোগ দেন না
সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকলে খুবই নিরাপদ বোধ হয়। কিন্তু আমরা চাইলেই সব সময় যেকোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব এমনটা ভাবা সমস্যাই বটে। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীলতার লক্ষণ।
এর চেয়ে বরং নিজের উদ্বেগ সামলানোয় মনোযোগ দিন এবং নিজের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করাই ভালো। এতে সুখ বাড়বে, মানসিক চাপ কমবে, সম্পর্কে উন্নতি হবে, নতুন সুযোগ তৈরি হবে এবং বেশি সাফল্য অর্জিত হবে।
. তারা সকলকেই খুশি করতে চান না
আমরা প্রায়ই অন্যরা আমাদের ব্যাপারে কী ভাবেন তার ওপর ভিত্তি করেই নিজেদের মূল্যায়ন করে থাকি। যা মূলত মানসিক দুর্বলতারই লক্ষণ। কিন্তু অনবরত অন্যদেরকে খুশি করার মধ্যে চারটি দিক রয়েছে। এটা সময়ের অপচয়। যারা অন্যের মতামতকে বেশি গুরুত্ব দেন তাদেরকে সহজেই নষ্ট করা যায়। অন্যের জন্য রাগ বা হতাশ বোধ করাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু আপনি সকলকে খুশি করতে পারবেন না।
অন্যকে খুশি করার মানসিকতা ত্যাগ করতে পারলে আপনি মানসিকভাবে আরো শক্তিশালী এবং আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী হবেন।
. তারা হিসেব-নিকেশ করে ঝুঁকি নিতে ভয় পান না
লোকে সাধারণত জ্ঞানের অভাবে ঝুঁকি নিতে ভয় পান। ঝুঁকির পরিমাণ পরিমাপ করার জ্ঞানের অভাবেই লোকের ভয় বেড়ে যায়। কোনো বিষয়ের ঝুঁকি বিশ্লেষণে নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করুন :
- এই ঝুঁকির সম্ভাব্য ক্ষতি কী?
- সম্ভাব্য উপকারিতা কী?
- নিজের লক্ষ্য অর্জনে এটা কীভাবে আমাকে সহায়তা করবে?
- এর বিকল্পগুলো কী?
- ভালো হলে তা কতটা ভালো ফল বয়ে আনতে পারে?
- সবচেয়ে বাজে পরিণতি কী হতে পারে, এবং কীভাবে তা মোকাবিলা করা যায়?
- খারাপ হলে তা কতটা খারাপ ফল হতে পারে?
- আগামী পাঁচ বছরে এই সিদ্ধান্ত কী ফল বয়ে আনতে পারে?
. তারা অতীতে বাস করেন না
অতীতে যা ঘটে গেছে তা কখনোই বদলানো সম্ভব নয়। অতীতে বাস করাটাও আত্মবিনাশী। যা আপনাকে বর্তমানকে উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত করবে এবং ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা করায় বাধা দেবে। এতে কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না এবং আপনি বিষণ্নতায় আক্রান্ত হবেন।
. একই ভুল বারবার করেন না
মানসিকভাবে শক্তিশালী লোকেরা নিজেদের ভুলগুলোর দায় গ্রহণ করেন। আর ভবিষ্যতে সে ধরনের ভুল এড়িয়ে চলার জন্য একটি সুচিন্তিত, লিখিত পরিকল্পনা তৈরি করেন।
. অন্যদের সাফল্য দেখে ক্ষুব্ধ হন না
অন্যদের সাফল্য দেখে ক্ষুব্ধ হলে তা আপনার সাফল্যের জন্য সহায়ক না হয়ে বরং নিজের লক্ষ্যগুলো অর্জনে আপনার মনোযোগ নষ্ট করবে।
এমনকি আপনি যদি সফলও হন তাতেও আপনি সুখী হতে পারবেন না। যদি আপনি সব সময় অন্যদের নিয়ে মাথা ঘামান। এতে এমনকি আপনি নিজের সম্ভাবনাটুকুও দেখতে পাবেন না। নিজের মূল্যবোধ এবং সম্পর্কগুলোও হারাবেন।
১০. প্রথমবার ব্যর্থ হলেই হাল ছেড়ে দেন না
সাফল্য এত সহজেই ধরা দেয় না। আর ব্যর্থতা অতিক্রম করেই আপনাকে সব সময় সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ব্যর্থতাকে অগ্রহণযোগ্য ভাবা এবং ব্যর্থ হলেই নিজেকে অযোগ্য ভাবাটা মানসিক দুর্বলতার লক্ষণ। এমনকি একবার ব্যর্থ হওয়ার পুনরায় ফিরে দাঁড়ালে আপনি বরং আরো শক্তিশালী হবেন।
১১. তারা একাকী থাকতে ভয় পান না
নিজের চিন্তা নিয়ে একাকী পড়ে থাকলে আপনার কোনো শক্তিশালী অভিজ্ঞতা হতে পারে এবং লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হতে পারে। মানসিকভাবে শক্তিশালী  হতে হলে প্রতিদিনের ব্যস্ততার বাইরেও নিজের জন্য একাকী সময় বের করে নিতে হবে এবং উন্নতিতে মনোযোগ দিতে হবে।
একাকিত্বের উপকারিতাগুলো হলো :
- অফিসে একাকিত্ব উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।
- এটা আপনার সহানুভূতি বাড়াবে।
- একাকিত্ব সৃজনশীলতা উস্কে দেয়।
- মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।
- এর মাধ্যমে মানসিক শক্তি পুনরুদ্ধার হয়।

১২. তারা মনে করেন না যে দুনিয়াটা তাদের কাছে ঋণী
নিজের ব্যর্থতা বা স্বল্প সাফল্যের কারণে রাগান্বিত হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু সত্যটা হলো আপনাতেই কোনো সাফল্য ধরা দেয় না। তা অর্জন করতে হয়।
আন্যরা আপনার চেয়ে বেশি সফল হলে এমনটা ভাববেন না যে আপনার সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে। জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি হলো, নিজের প্রচেষ্টাগুলোতে মনোযোগ নিবদ্ধ করা, সমালোচনা গ্রহণ করা, নিজের ভুলগুলো স্বীকার করা। আর কখনোই অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করবেন না; এতে শুধু আপনার হতাশাই বাড়বে।
১৩. তারা তাৎক্ষণিক ফল আশা করেন না
আপনি যদি নিজের সম্ভাবনার চুঁড়ায় পৌঁছাতে চান তাহলে বাস্তবোচিত প্রত্যাশা করুন। আর মনে রাখবেন সাফল্য রাতারাতি ধরা দেয় না।
মানসিকভাবে দুর্বল লোকরা প্রায়ই অধৈর্য হয়ে পড়েন। তারা প্রায়ই নিজেদের সক্ষমতা সম্পর্কে অতিমূল্যায়ন করে বসেন। এবং কোনো টেকসই পরিবর্তন ঘটতে যে দীর্ঘ সময় লাগে তা বুঝতে পারেন না। ফলে তারা তাৎক্ষণিক ফল লাভের আশা করেন।
সুতরাং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনে বিরামহীনভাবে কাজ করে যেতে হবে। পথ চলতে গিয়ে ব্যর্থতা আসবেই। কিন্তু চূড়ান্তভাবে সাফল্য অর্জন করতে চাইলে ব্যর্থতায় ভেঙে পড়লে চলবে না।
সূত্র : হাফিংটন পোস্ট

Tuesday, July 11, 2017

সোনালী ১১টি বাক্য



1. ভারী বৃষ্টি আমাদের জীবনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আমাদের মনে করিয়ে দেয়। কখনো হালকা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করবেন না, কেবল একটি ভাল ছাতা জন্য প্রার্থনা
করবেন। এটাই অ্যটিচ্যুড।
2. বন্যা যখন আসে, মাছ পিঁপড়া খায় এবং বন্যা যখন চলে যায় তখন পিঁপড়া মাছ খায়। এটা কেবলই সময়ের ব্যবধান। অপেক্ষা করো। আল্লাহ সকলকেই সমান সুযোগ দেন।.
3. সাফল্যের জন্য কোন চলন্ত সিঁড়ি নেই। আছে কেবল পদক্ষেপ ।
4. সাবান তৈরির জন্য তেলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তেল পরিষ্কার  করবার জন্য প্রয়োজন সাবানের।
এটাই অদৃষ্টের পরিহাস।
5. জীবনে সঠিক মানুষটিকে খুঁজে পেয়েছেন এটাই সব কিছু নয়; তার সাথে সঠিক রিলেশন তৈরী করতে পেরেছেন কি না, এটাই সবকিছু।
6. শুরুতেই আমরা কতটুকু যত্ন করলাম সেটাই সব নয়, সবটা সেই যে আমরা শেষ  অব্দি কতটা যত্নবান।
7. প্রত্যেক সমস্যার (N + 1) সমাধান আছে:
এখানে N হল সমাধানগুলোর সংখ্যা যা আপনি চেষ্টা করেছেন এবং 1 হল আপনি যতোটা চেষ্টা করেন নি।
8. যখন আপনি সমস্যায় পড়েন তখন মনে করবেননা যে এটাই শেষ। এটা জীবনের একটি মাত্র বাঁক। এরকম বাঁক আরও আসবে।
9. আল্লাহ দেন দেন এবং ক্ষমা করেন; আর মানুষ পেতেই থাকে, পেতেই থাকে এবং পাওয়ার পর ভুলে যায়।
10. মানুষের মধ্যে মাত্র দুই শ্রেণীই সুখী; পাগল এবং শিশু। একটি লক্ষ্য অর্জন করতে পাগল হয়ে যান। লক্ষ্যে পৌছে গেলে পাগলের মত ভোগ করুন জীবনটাকে।
11. অন্যদের অনুভূতি নিয়ে কখনও খেলা করবেন না; আপনি হয়তো তার ওপর বিজয়ী হতে পারবেন কিন্তু সারা জীবনের জন্য ওই ব্যক্তিটিকে হারাবেন।