Tuesday, July 18, 2017

ভিটামিন-ডির প্রয়োজনীয়তা

বহু মানুষ ভিটামিন-ডির অভাবে ভুগছেন। একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষের এ সমস্যা আছে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ভিটামিন-ডির উস। সূর্য যখন প্রখর থাকে তখনই অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছায়। কাঁ, ঘন মেঘ, কাপড়চোপড়, ধোঁয়া ও সানস্ক্রিন এই রশ্মিকে বাধা দেয়। এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে নীচে লেখা কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার :
সময় : আলোয় বেরিয়ে যখন দেখবেন আপনার ছায়া আপনার তুলনায় ছোট, তখনই সেই আলোতে আপনার ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন-ডি তৈরি করতে পারবে।
কাঁ : অতিবেগুনি রশ্মি কাঁ  ভেদ করতে পারে না। তাই গাড়ি বা ঘরের ভেতর জানালা বন্ধ অবস্থায় রোদ এলেও লাভ নেই, পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি মিলবে না।
পোশাক ও সানস্ক্রিন : এগুলোও ত্বকে সরাসরি ভিটামিন-ডি লাগতে বাধা দেয়। তাই আপাদমস্তক ঢেকে বেরোলে চলবে না। অন্তত হাত-পা বা মুখের কিছু অংশ খোলা রাখুন। মাঝে মধ্যে সানস্ক্রিন ছাড়াই রোদে বেরোতে হবে।
বার্ধক্য : বয়স বাড়তে থাকলে ত্বকের ভিটামিন-ডি তৈরির মতা কমতে থাকে। আর বয়স্কদেরই কিন্তু হাড়ের সমস্যা বেশি। তাই বয়স হয়েছে বলেই সারা দিন বাড়ি বসে থাকা ঠিক নয়। নিয়মিত বেরোন এবং গায়ে রোদ লাগান।
বায়ুদূষণ ও আবহাওয়া : দূষিত বায়ু, ধোঁয়া ইত্যাদি অতিবেগুনি রশ্মিকে শুষে নেয় বা প্রতিফলিত করে। তাই দূষিত শহরে থাকলে মাঝে মাঝে একটু দূরের গ্রামে বা আউটিংয়ে যাওয়া উচিত।

No comments:

Post a Comment