Monday, April 29, 2019

দাড়িতে কি স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে?

আপনি যদি নতুন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজ করতে চান, তবে কোথা থেকে শুরু করবেন? এ জন্য কি কোনো জলাশয়ে অথবা দূরবর্তী দ্বীপে যাবেন? ভালো, তাহলে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানো যায় এমন দাড়ি হলে কেমন হয়? মাইকেল মোসলি এ ব্যাপারটি নিয়েই অনুসন্ধান করেছেন।
দাড়ির সমালোচনাকারীরা বলে থাকেন যে দাড়ি যে শুধু বিরক্তিকর একটি ব্যাপার তাই নয়, অস্বস্তিকর ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়স্থলও বটে। তা হলে দেখা যাক যে দাড়িতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে এমন কিছু কি রয়েছে?
দাড়িকে যারা ভয় পান তারা নিউ মেক্সিকোর গবেষণাটির কথা বলেন যেখানে দৈব চয়নে নির্ধারণ করা কিছু দাড়ির মধ্য পায়খানায় থাকা এন্টেরিক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে পেয়েছেন। একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে কিছু দাড়িতে টয়লেটের চেয়ে বেশি দুর্গন্ধ রয়েছে। কিন্তু এতে কি দাড়ির মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে সঠিকভাবে প্রতিফলন ঘটেছে? আমেরিকান একটি হাসপাতাল আগেরটার চেয়ে অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে এমন একটি গবেষণা করেছে।
হসপিটাল ইনফেকশন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দাড়িওয়ালা ও দাড়িহীন ৪০৮ জন হাসপাতাল কর্মচারীর মুখমণ্ডল পরীক্ষা করেন গবেষকেরা। এ গবেষণাটি করার তাদের যথেষ্ট কারণও ছিল। হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত সংক্রমণ পরে ‘রোগ ও মৃত্যুর’ একটি বড় কারণ। অনেক রোগী হাসপাতাল থেকে এমন কিছু রোগ পেয়ে থাকে হাসপাতালে প্রবেশের আগে তাদের দেহে ওই রোগগুলো ছিল না। হাসপাতাল পরিদর্শনে যাওয়া অথবা হাসপাতাল স্টাফদের হাতে, কোটে, টাইয়ের মধ্যে এমনকি যন্ত্রপাতিতে এসব জীবাণু থাকে।
কিন্তু দাড়ির কি অবস্থা? গবেষকেরা বিষ্মিত হয়েছেন যে দাড়িওয়ালা ব্যক্তির চেয়ে ক্লিন শেভ করা ব্যক্তির মুখমণ্ডল অস্বস্তিকর কিছু বহন করতে দেখে। ক্লিন শেভ করা ব্যক্তিরা তাদের গালে তিন গুণের চেয়ে বেশি Methicillin-resistant Staphylococcus aureus (এমআরএসএ) প্রজাতির জীবাণু বহন করেন। Methicillin-resistant Staphylococcus aureus বা এমআরএসএ হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত জীবাণু। তাহলে হচ্ছেটা কি? গবেষকেরা সুপারিশ করেছেন যে দাড়ি শেভ করা হলে ত্বকের খুবই ক্ষুদ্র (মাইক্রো) অংশ কেটে যায় এবং এই অংশটুকুতে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় ও বেড়ে উঠে।
গবেষকেরা দাড়ি নিয়ে একটি যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে দাড়ি ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ড. এ্যাডাম রবার্টসের কাছে গবেষকেরা দাড়ি শোষণযুক্ত যন্ত্রের সাহায্যে কিছু অংশ পাঠিয়েছিলেন। ড. এ্যাডাম দাড়ি থেকে প্রাপ্ত ত্বকের কেটে যাওয়া অংশের মাইক্রোবস থেকে ১০০’র বেশি ব্যাকটেরিয়া উতপাদন করেন। এর মধ্যে একটি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে যা আমাদের ইনটেস্টাইনে পাওয়া যায়। এ্যাডাম জানান যে ব্যাকটেরিয়াটি মল থেকে এসেছে মনে করার কোনো কারণ নেই। দাঁড়িতে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার প্রাপ্তি খুবই স্বাভাবিক এবং এতে উদ্বিগ্ন হওয়ারও কিছু নেই।
খুবই মজার ব্যাপার হলো দাড়িতে যে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে তা অন্য ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। ব্যাকটেরিয়াকে আমাদের শত্রু হিসেবে ধরা হলেও এগুলো সেরকম নয়। দাড়ির মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করে নিজেদের সংখ্যা কমিয়ে থাকে। এরা সেখানে খাদ্য, রিসোর্স ও স্পেসের (নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য জায়গা) জন্য লড়াই করে। এ্যাডাম বলেন, দাড়ির মধ্যে থাকা মাইক্রোবস টক্সিন উতপাদন করে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
এ্যাডাম দাড়ির ওই নমুনায় স্টেফাইলোকক্সাস এপিডারমিস-Staphylococcus epidermidis, a Gram-positive bacterium প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার ঘাতক খুঁজে পেয়েছেন। এ্যাডাম গবেষণাগারে ওষুধ প্রতিরোধী কিছু ই-কোলাইর বিরুদ্ধে পরীক্ষা করলে দেখতে পান দাড়ির এইসব স্টেফাইলোকক্কাস এপিডারমিস ই-কোলাইর প্রজাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।
উল্লেখ্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবানু প্রতি বছর বিশ্বে ৭ লাখ মানুষকে মেরে ফেলে। ২০৫০ সালে এটা এক কোটিতে উন্নীত হবে। যেখানে গত ৩০ বছরে বিশ্বে নতুন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের জন্য আবিস্কার হয়নি। এ্যাডাম দাড়ি থেকে প্রাপ্ত এসব মাইক্রোবসকে মাউথওয়াশ ও টুথপেস্টে যোগ করতে চান। এটা মুখের এসিড উতপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করবে।
সূত্রঃ বিবিসি

Sunday, April 14, 2019

৫টি সোনালী সময় যখন আসমানের দুয়ার খুলে দেওয়া হয়


আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তাঁর নিকট দোয়া প্রার্থনা করার তাগিদ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার নিকট কোনো কিছু চায় না, ওই ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ তাআলা রাগান্বিত হন।’ দৈনন্দিন জীবনে দোয়া কবুলের ৫টি সোনালী সময় রয়েছে। যে সময়গুলোতে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। হাদিসে বর্ণিত সময়গুলো তুলে ধরা হলোঃ
১. জোহরের আগ মুহূর্তেঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, সূর্য যখন মধ্যাকাশ থেকে পশ্চিমাকাশের দিকে হেলে পড়ে। অতঃপর জোহরের নামাজ পর্যন্ত তা আর বন্ধ করা হয় না। (সহিহ জামে)
২. আজানের সময়ঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন আজান দেয়া হয়, তখন আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং ওই সময় দোয়া কবুল করা হয়। (তারগিব)
৩. নামাজের জন্য অপেক্ষা করার সময়ঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা এই মর্মে সুসংবাদ গ্রহণ কর যে, তোমাদের রব আসমানের দরজাসমূহ খুলে দিয়েছেন এবং তোমাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করে বলছেন- ‘আমার বান্দাগণ আমার নির্দেশিত ফরজ আদায়ের পর পরবর্তী ওয়াক্তের ফরজ নামাজের জন্য অপেক্ষা করছে`। (ইবনে মাজাহ)
৪. রাতের শেষ সময়েঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রাতের শেষার্ধ শুরু হলে একজন ঘোষক ঘোষণা দিতে থাকেন- কোনো আবেদন পেশকারী আছে কি? তার আবেদন গ্রহণ করা হবে। কারো চাওয়া-পাওয়ার কিছু আছে কি? তার চাওয়া-পাওয়া কবুল করা হবে। আছে কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি? তাকে বিপদ থেকে মুক্ত করা হবে। ওই সময় পেশাদার ব্যভিচারীনী ব্যতীত কোনো মুসলিমের দোয়াই বিফলে যায় না।’ (তারগিব)
৫. তাসবিহ পাঠের সময়ঃ
আল্লাহু আকবার কাবিরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছিরা, ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও ওয়া আসিলা’ এই তাসবিহ পাঠের সময় আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়।
একদিন আমরা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে নামায পড়ছিলাম। ওই সময় লোকদের মধ্য থেকে একজন বলে ওঠলো- ‘আল্লাহু আকবার কাবিরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছিরা, ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও ওয়া আসিলা।’
অর্থাত আল্লাহ মহান, অতি মহান; আল্লাহ তাআলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা আমি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা বর্ণনা করছি।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ শেষ করে বললেন, এই কথাগুলো (তাসবিহ) কে বলেছে? উপস্থিত লোকদের মধ্যে একজন বলল- হে আল্লাহর রাসুল! আমি।
প্রিয় নবী বললেন, ‘এ দোয়ায় আমি খুব আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। এ বাক্যগুলোর জন্য আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এ কথা শোনার পর থেকে এ তাসবিহ-এর পাঠ আমি কখনো পরিহার করিনি। (মুসলিম, তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দোয়া কবুলের জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৫টি সোনালী সময়ে হাদিসের নির্দেশিত পন্থায় দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে দোয়া করার তাওফিক দান করুন।

Saturday, April 13, 2019

আহার, রাতে শোবার আগে

আহার বিহার দুটোই নিদ্রার উপর বেশ প্রভাব ফেলে। রাতে শোবার আগে সঠিক খাদ্য খেলে সুনিদ্রা হয়, আবার যেসব খাদ্য খেলে নিদ্রার ব্যাঘাত হয় তাও জানা ভালো।

ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন, দুধ, দুধজাত দ্রব্য উষ্ণ দুধ পানে স্বপ্নরাজ্যে যাবার পথ সুগম হয় জানি আমরা। কেন, জানি? দুধ ও দুধজাত দ্রব্যে রয়েছে প্রচুর ট্রিপটোফ্যান, একটি নিদ্রাকর্ষক বস্তু। পোলট্রি, মধু, কলা ইত্যাদিতে আছে এই এমিনো এসিড ট্রিপটোফ্যান।
শ্বেতসার খাদ্য খাবেন যদি দুধ নাও খেতে পারেন। শ্বেতসার খাদ্যে খেলে এতে বাড়ে রক্তে ট্রিপটোফ্যান মান। এক বাটি মুড়ি/খই ও দুধ বা দধি ও ক্রাকার্স বা রুটি ও পনির সোবার আগে খেলে তোফা ঘুম হয়।

রাতে শোবার আগে সামান্য নাস্তা প্রশ্রয় দেয়া যায় যাদের নিঘুর্ম রাত কাটে। রাতে সামান্য খাবার, ঘুমাবার আগে পেটে দিলে ঘুম হবে। তবে একে ভুরি ভোজের সমতুল্য করা ঠিক হবে না। সামান্য নাস্তা। বেশি খেলে বরং বদ হজম, পেটভার হয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
ফাস্টফুড, বার্গার, ভাজা, ফ্রেঞ্চফ্রাই খাওয়া যাবেনা। চর্বিসমৃদ্ধ খাবার বাদ দিলে ভালো। যত কম খাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খান তারা যে শুধু মোটা হন তাই নয় তাদের নিদ্রাচক্রও ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায়।
ক্যাফিন থেকে সাবধান। অবাক হবার কিছু নেই। বিকেলে বা সন্ধ্যায় এক কাপ চা বা কফি পান করলে রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। মাঝারি মান ক্যাফিনেও ঘুমের সমস্যা হয়। কেবল চা, কফি কেন? চকোলেট, কোলাতেও আছে ক্যাফিন। ওষুধেও থাকতে পারে ক্যাফিন। ব্যথা নাশক ওষুধ, ওজন কমানোর ওষুধ, মুত্রবর্ধক ওষুধ, ঠান্ডা-সর্দির ওষুধে থাকতে পারে ক্যাফিন। চেক করে নেয়া ভালো। রাতে মদপান করা অনুচিত। ঘুমের খুব সমস্যা হয়। এমনিতেই মদপান খুব খারাপ স্বাস্থ্যের জন্য। ধূমপান আরো খারাপ। অবশ্য বর্জনীয়। এটি বড় রকমের বদভ্যাস।
ঝাল-মশলা খম খাওয়া ভালো। রাতে ভরপেট খাওয়া খুব খারাপ। আর তেল-ঝাল-মসলা সমৃদ্ধ খাবার আরও খারাপ স্বাস্থ্যের জন্য। অস্বস্তিও হতে পারে। ঘুমের সময় পাকতন্ত্র ধীর হয়ে যায় তাই ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার খেলে বুক জ্বলা হতে পারে। ভরপেট খাবার খেতে হলে ঘুমাবার ৪/৫ ঘন্টা আগে খাবার শেষ করা উচিত।
ঘুমাবার আগে প্রোটিন খাবার খেতে হয় কম করে
ওজন কমানোর ডায়েটকে বা অ্যাকশান ডায়েটকে রাতে অনুসরণ নয়। দিবাকালীন চলায় প্রোটিন আহার বড় প্রয়োজনীয় হলেও রাতে ঘুমের আগে খাওয়া উচিত নয়। প্রোটিন সমৃন্ধ খাবার হজম বড় কঠিন। রাতে তাই শোবার আগে প্রোটিন খাবার না খেয়ে একগ্লাস গরম দুধ বড় ভালো।
রাত ৮টার পর পানি পান নয়। সারাদিন প্রচুর পানি পান করুন। থাকুন সজল। শরীরের জন্যও ভালো। কিন্তু শোবার বেশ আগে থেকে আর পানি পান ভালো নয়। কেননা যেতে হবে টয়লেটে বারবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে।
ধূমপান অবশ্যই শিথিল করেনা মন ও শরীর। ঘুমের বড্ড ব্যাঘাত ঘটায়  ধূমপান। তাই ঘুমাবার আগে কখনই ধূমপান করা উচিত নয়।
Courtesy: ল্যাবরেটরী সার্ভিসেস, বারডেম, ঢাকা 

Thursday, April 11, 2019

নেগেটিভ অ্যাটিচুডের মানুষদের বৈশিষ্ট্য


HOW TO RECOGNIZE NEGATIVE ATTITUDES
Not a team player- দলীয়ভাবে কাজ করতে অনাগ্রহ
Does the minimum- সবচেয়ে কম কাজ করে
Disrespectful- ব্যক্তিগত আচরণ ভালো নয়
Insubordinate- বাধ্যগত নয়
Always negative- সব সময় নেতিবাচক
Unhappy- অসুখী
Pessimistic- হতাশায় ভোগে
Unpleasant- অপ্রীতিকর
Offers no solutions- কোন সমাধান চায় না
Surly (bad tempered) বদ মেজাজী 
Tardy- পিছিয়ে পড়ার ভেতরে থাকে 
Gossipy-গল্পগুজবে সময় কাটানো
Clock Watcher- সব সময় ঘড়ির প্রতি খেয়াল রাখে 
Prima donna-সবাই তার দৃষ্টি আকর্ষন করুক তা চায়
Defensive-সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকে, অঅমার যেন কিছু না হয় এরকম ভাব নিয়ে থাকা
Argumentative- ঝগড়াটে

নেগেটিভ অ্যাটিচুডে কী ফল হয়?
Consequences
Erosion of team spirit-দলীয়ভাবে কাজ করার ক্ষমতা চলে যায়(ক্ষয়িষ্ণু)
Morale suffers; feelings get hurt-আস্থা হারিয়ে যায়, অনুভুতিহীন হয়ে যায়
Poor quality service, reputation suffers-কাজের মান কমে যায়, সম্মান ব্যহত হয়
Frustration on the part of others because they have to pick up the slack-অন্যকে ভালো হতে দেখলে, ভালো থাকতে দেখলে হতাশা চলে আসে
The virus spreads-ভালোগুণগুলো হারিয়ে যায়
Communication suffers- যোগাযোগের সংকট তৈরী হয়
Productivity suffers- উতপাদনমূখী কাজ কমে যায়
Management has to crack down because of perceived dissatisfaction,
paranoia ensues- ব্যবস্থাপণায় ধ্বস নামে, মনে অতৃপ্তি থাকে ও ভয় জাগে


Thursday, April 4, 2019

মানষিক চাপ, ঘুম, সূর্যের আলো এবং আমাদের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা

মানষিক চাপ বা স্ট্রেস ভাল নয়। মানষিক চাপ আমদের ইমিউন সিস্টেমকে চাপে রাখে। ফলে আমার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপণা যায় কমে। এরকম হলে আমরা সহজেই ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের লক্ষ্যবস্তুকে পরিণত হবো।
অল্প ঘুম বা ঘুমহীনতাও আমদের ইমিউন সিস্টেমকে চাপে রাখে। আমাদের শরীরের যে সব কোষ কিলার সেল বা শত্রুর বিরুদ্ধে হন্তারক কোষ হিসেবে কাজ করে অনিদ্রা বা ঘুমহীনতা বা কম ঘুম হলে সেই হন্তারক কোষগুলোর সংখ্যা কমে যায়। একারণে আমাদের ইমিউন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আল কুরআনে বলা হয়েছে, “ঘুম হলো প্রশান্তিকারক।” সূরা আন নাবা দ্রষ্টব্য।   
সূর্যের আলোর মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে আমাদের শরীরের ওপর। সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি তৈরী করে। সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে আমাদের শরীর সেরোটোনিন নামের এক রাষায়নিক তৈরী করে। এর আরেক নাম “ফিলগুড কেমিক্যাল” বা “হ্যাপী কেমিক্যাল।” এর সেরোটোনিন আমাদের মানষিক চাপ কমিয়ে দেয়। আবার সূর্যের  আলোর আল্ট্রাভায়োলেট রে বা রশ্মি আমাদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের শরীরকে সহজেই ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের লক্ষ্যবস্তুকে পরিণত করে। তাই সূর্যের আলোতে আমাদের কম থাকাও ভালো নয় আবার বেশী থাকাও ভালো নয়। পরিমিত পরিমাণ হলেই ভালো।
তাই আমরা মানসিক চাপে না থাকি, পরিমিত পরিমাণ ঘুমাই ও দৈনিক পরিমিত সময় সূর্যের আলোতে থাকি।