Saturday, October 30, 2021

সতর্কতা হোক সর্বোচ্চ

 কোন মানুষকে কুকুর, গাধা, ছাগল বলে গালি দেওয়া যাবেনা!!

রাগান্বিত হলে বিভিন্ন পশু-পাখির নামে গালি দেওয়া মানুষের অভ্যাস। আবার কেউ কেউ বন্ধুদের মজা করে কুত্তা, গাধা ইত্যাদি বলে থাকে। এভাবে গালি দেওয়া মানবীয় মর্যাদার অবমাননা। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব (রহ.) ও ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.) বলেন, তুমি তোমার সঙ্গীকে বোলো না, ওহে গাধা, এই কুকুর, হে শূকর! তাহলে কিয়ামতে আল্লাহ তোমাকে বলবে, তুমি কি আমাকে দেখেছ যে আমি তাকে কুকুর বানিয়েছি, গাধা বানিয়েছি কিংবা শূকর বানিয়েছি! (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ : ২৮২-২৮৩/৫ )
কাউকে ‘হে কুকুর’ বলে সম্মোধন কিংবা ‘হে গাধা’ বলে সম্মোধন করা বৈধ নয়। কেননা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানবজাতির এই সম্মান ও মর্যাদা সর্বজনীন। প্রতিটি মানুষ সে বিশ্বাসী হোক বা অবিশ্বাসী, মৌলিক সম্মান ও অধিকারের ক্ষেত্রে সমান। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকেও ‘সাধারণ সম্মান সব মানুষের জন্য’ প্রমাণিত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানবজাতিকে সম্মানিত করেছি, তাকে কর্তৃত্ব দিয়েছি স্থলে ও জলে, তাদের দিয়েছি উত্তম জীবিকা এবং তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি আমার সৃষ্টিজগতের অনেকের ওপর।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭০)
রাসুল (সা.)-ও ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানুষকে সম্মান দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, ‘রাসুল (সা.)-এর পাশ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁকে বলা হলো, লাশটি একজন ইহুদির। রাসুল (সা.) বলেন, সে কি মানুষ নয়?’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯৬১)
মানুষের মতো মানব-ভ্রূণও ইসলামের দৃষ্টিতে সম্মানিত। ইসলাম শরিয়ত অনুমোদিত কারণ ছাড়া মানব-ভ্রূণ হত্যাকে নিষিদ্ধ করেছে। কেননা তা প্রকারান্তে মানব হত্যার শামিল এবং মানবসত্তার প্রতি অসম্মান। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা অভাব-অনটনের ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা কোরো না।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১৫১)
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ সাধারণভাবে ক্ষমাপ্রাপ্ত। ক্ষমা প্রদানের মাধ্যমে আল্লাহ মানবজাতিকে সম্মানিত করেছেন। তাই নিছক ধারণার বশে কাউকে অভিযুক্ত করা বা শাস্তি দেওয়া যাবে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাই ক্ষমাপ্রাপ্ত। কিন্তু অপরাধ প্রকাশকারীরা ছাড়া...।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৬৯)
শুধু পশুর নামে নয়, যেকোনো ব্যঙ্গাত্মক নামে কাউকে ডাকা নিষিদ্ধ। ইসলামী শরিয়ত এভাবে মানুষের নাম নিয়ে ব্যঙ্গ করাকে মারাত্মক গুনাহ ও গর্হিত কাজ বলে ঘোষণা করেছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘হে ঈমানদাররা, কোনো মুমিন সম্প্রদায় যেন অপর কোনো মুমিন সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে তারা উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং নারীরা যেন অন্য নারীদের উপহাস না করে। কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে তারা উপহাসকারিণীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে। আর তোমরা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ কোরো না এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি নিকৃষ্ট। আর যারা তাওবা করে না তারাই তো জালিম।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১১)
তাই আমাদের উচিত এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা।
-কালের কন্ঠ সূত্র

কচুর লতি

 Health benefits of arum Stolon

বাঙালির কাছে বহু দিন ধরেই কচুর লতি অতি পরিচিত একটি উপাদান। কিন্তু অনেকেরই কচুর লতি খেলে গলা চুলকায়। কিন্তু সেই সমস্যা বাদ দিলে কচুর লতির অনেক গুণ।
কচুর লতি কী কী উপকার করে?
• গরমকালে ঘাম হয়ে শরীর শুকিয়ে যায়। শীতকালে আবার জল কম খাওয়া হয়। তাতেও শরীর শুকিয়ে যায়। নিয়মিত কুচির লতির তরকারি খেলে শরীরে জল ধরা থাকে। শরীর শুকিয়ে যায় না।
• এতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন আর ভিটামিন বি রয়েছে। মস্তিষ্কের পুষ্টিতে এটি সাহায্য করে।
• কোলেস্টেরলের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত খেতে পারেন কচুর লতির তরকারি। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
• অনেকের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে আসে। রাতে চোখে ভাল দেখতে পান না অনেকেই। কচুর লতি নিয়মিত খেলে এই সমস্যাও কমে যায়।
এই গুণগুলি থাকলেও গলা চুলকানোর ভয়ে যাঁরা কচুর লতি এড়িয়ে চলেন, তাঁদের হাতেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার রাস্তা আছে। কচুর লতিতে থাকা অক্সালেটের কারণেই গলায় সমস্যা হয়। কচুর লতির তরকারিতে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে নিলে এই সমস্যা একেবারে কেটে যায়

জান্নাতে যেতে কী পরিমাণ আমল লাগবে?

 মুসলমান হয়ে ইবাদত করে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করলে জান্নাতবাসী হওয়া যাবে। এটি জান্নাতে যাওয়ার সহজ ও সাধারণ সূত্র। তবে যেকোনো আমল ইখলাসের সঙ্গে করা জান্নাত লাভের অপরিহার্য শর্ত।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তোমাদের শরীর ও অবয়বের দিকে তাকান না; বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে লক্ষ্য করেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৪)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমার ঈমানকে খাঁটি করো, অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট।’ (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৬৪৪৩)
আমল সব সময় জান্নাতে যাওয়ার মানদণ্ড নয়। অন্যের অধিকার হরণ করে অনেক ইবাদত করেও জান্নাতে যাওয়া যাবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা কি জানো, প্রকৃত নিঃস্ব বা হতদরিদ্র কে? তারা বলেন, আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ওই ব্যক্তি, যার কাছে কোনো অর্থকড়ি এবং কোনো আসবাব নেই। তিনি বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত নিঃস্ব ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন সালাত, সাওম ও জাকাত (নেকি) নিয়ে হাজির হবে। কিন্তু এর পাশাপাশি সে এ অবস্থায় আসবে যে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে, কারো সম্পদ (অবৈধভাবে) ভক্ষণ করেছে, কারো রক্তপাত করেছে এবং কাউকে মেরেছে। অতঃপর তাকে (অত্যাচারিত) তার নেকি দেওয়া হবে। পরিশেষে যদি তার নেকি অন্যদের দাবি পূরণ করার আগেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপ নিয়ে তার ওপর নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৮১০)
তবে বিশেষ কিছু কাজ গুরুত্বের সঙ্গে করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে। যেমন—মুখ ও গোপনাঙ্গের হেফাজত করা। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি উভয় ঠোঁটের মধ্যভাগ (জিহ্বা) ও দুই রানের মধ্যভাগ (লজ্জাস্থান) হেফাজতের দায়িত্ব গ্রহণ করে আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহণ করি।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৪)
ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ। কবুলকৃত হজের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করে, কোনো অশ্লীল কথা বলে না এবং পাপকাজে লিপ্ত হয় না, সে মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়ার দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে। আর কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়।’ (বুখারি, হাদিস: ১৫২১)
যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য জান্নাত। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা থাকবে ছায়ায় ও প্রস্রবণসমূহে এবং তাদের বাঞ্ছিত ফলমূলের মধ্যে। বলা হবে, তোমরা যা করতে তার বিনিময় তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার করো। এভাবেই আমি সত্কর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।’ (সুরা : মুরসালাত, আয়াত : ৪১-৪৪)
যারা দুনিয়ার জীবনে উদ্ধত হয় না, ফিতনা-ফ্যাসাদে লিপ্ত হয় না, তারাই জান্নাতে যাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা পরকালের সেই আবাস, যা আমি (আল্লাহ) নির্ধারণ করি তাদের জন্য, যারা এই পৃথিবীতে উদ্ধত হতে ও ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে চায় না। শুভ পরিণাম মুত্তাকিদের জন্য।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৮৩)
কুপ্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘পক্ষান্তরে যে তার রবের সামনে (কিয়ামতের দিন) উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, জান্নাতই হবে তার আবাস।’ (সুরা নাজিআত, আয়াত : ৪০-৪১)
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা ছোট আমলও কখনো জান্নাতে যাওয়ার কারণ হতে পারে। যেমন হাদিসে আছে, কুকুরকে পানি খাওয়ানোর বিনিময়েও মহান আল্লাহ এক ব্যভিচারী নারীকে জান্নাত দেবেন। আসলে কারো কারো জন্য জান্নাতে যাওয়া খুব সহজ হবে। কারো কারো জন্য তা হবে অনেক কঠিন। জান্নাতে যাওয়া কত সহজ—তার উদাহরণ হিসেবে একটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো—
আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে বসেছিলাম। এ সময় তিনি বলেন, এখন তোমাদের সামনে একজন জান্নাতি মানুষের আগমন ঘটবে। কিছুক্ষণ পর এক আনসারি ব্যক্তি উপস্থিত হলেন, যাঁর দাড়ি থেকে অজুর পানি টপকে পড়ছিল। পরের দিনও নবী (সা.) একই কথা বলেন। সেদিনও ওই আনসারি উপস্থিত হলেন, যিনি আগের দিন এসেছিলেন। তৃতীয় দিন নবী (সা.) বলেন, এখন তোমাদের সামনে এক জান্নাতি ব্যক্তি আসবে। কথা শেষে সেই আনসারি উপস্থিত হলেন এবং তাঁর অবস্থাও আগের দুই দিনের মতো ছিল। অর্থাৎ তাঁর দাড়ি দিয়ে পানি টপকাচ্ছিল আর তিনি নিজের জুতাজোড়া বাম হাতে ধরে রেখেছিলেন। আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) চলে যাওয়ার পর আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) ওই আনসারি সাহাবির পিছু নেন। তিন দিন ওই সাহাবির বাড়িতে অবস্থান নেন।
তিন দিন অতিক্রমের পর আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) তাঁর আমল খুব নগণ্য মনে করেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তাঁর আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, যে আমলের কারণে রাসুল (সা.) তাঁকে জান্নাতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি আমাকে ডেকে বলেন, আমল তা-ই, যা আপনি দেখেছেন। তবে আমি কখনো কোনো মুসলমানকে ধোঁকা দেওয়ার কথা চিন্তা করি না এবং আমি কোনো ব্যক্তির কোনো কল্যাণে হিংসা করি না, যা তাকে আল্লাহ দান করেছেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) এ কথা শুনে বলেন, এটাই সেই গুণ, যা আপনাকে সেই মর্যাদায় (জান্নাতি হওয়া) পৌঁছিয়েছে। আর এ গুণ অর্জন করার সামর্থ্য আমাদের নেই। [মুসনাদ আহমাদ : ২০/১২৪, হাদিস : ১২৬৯৭ (হাদিস সহিহ)]
মহান আল্লাহ আমাদের জান্নাতে যাওয়ার তাওফিক দান করুন।
মূল: মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
-কালের কন্ঠ

পটল

 কতটুক জানি?

পটলের সঙ্গে তার বীজগুলিও খেয়ে নিও
Health benefits eating of pointed gourd seeds
বাঙালির রান্নাঘরে পটলের নিত্য যাতায়াত। পটল দিয়ে রাঁধাও যায় বহু ধরনের তরকারি। পটল রাঁধার সময়ে অনেকে তার বীজগুলি ফেলে দেন। কেউ কেউ পটলের বীজ সমেতই রান্না করেন। বিশেষ করে পটল ভাজার ক্ষেত্রে অনেকেই রেখে দেন বীজগুলি। কিন্তু এই পটলের বীজ শরীরের উপর ঠিক কেমন প্রভাব ফেলে?
পটলের বীজ খেলে কী হয়? জেনে নেওয়া যাক।
• পটল কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। সেই একই কাজ করে পটলের বীজও। তবে আরও একটু বেশি মাত্রায়। পটলের বীজ শরীরে গেলে কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
• পটল রান্নার সময়ে তার বীজগুলি ফেলে না দিয়ে, আরও একটি কারণে সেগুলি খাওয়া উচিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পটলের বীজের কয়েকটি উপাদান রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে জ্বর-সর্দি-কাশিও কমে।
• পটল হজমের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। বীজ সমেত পটল অল্প করে থেঁতো করে নিন। তার সঙ্গে ধনে পাতা মিশিয়ে নিন। এ বার এটি অল্প জলে ভিজিয়ে রাখুন। দিনের মাথায় তিন-চার বার এই পানীয় পান করুন। হজমের সমস্যা কমবে।
• পটলের বীজের কয়েকটি উপাদান রক্ত পরিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। শরীরের দূষিত পদার্থ বার করে দিতেও সাহায্য করে এটি।
• যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা যদি নিয়মিত বীজ সমেত পটল খান, তা হলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে, পটলের বীজের নানা রকম গুণ থাকলেও, এর আস্তরণটি রীতিমতো শক্তপোক্ত হয়। ফলে সেই আস্তরণটি ভাল করে হজম হয় না। খুব বিরল কিছু ক্ষেত্রে এর ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে। তবে তার জন্য এর গুণের কথা ভুলে গেলে চলবে না।
-আনন্দবাজার থেকে

কাঁঠালঃ শূন্য কোলেস্টেরলের ফল

 কাঁঠাল শুধু সাইজেই বড় নয়, এর পুষ্টিগুণও অনেক ৷ এটাকে অনেকভাবেই খাওয়া যেতে পারে ৷ কাঁঠালের আচার, পকোড়া যেমন হয়, তেমনি রান্নাতে সবজি বানানোর সময়েও দেওয়া যায় কাঁঠাল ৷ পাকা কাঁঠাল আবার ফল হিসেবেও খান অনেকে (Health benefits of Jackfruit) ৷

কাঁঠালের আরও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে ৷ কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং আরও অনেক কিছু ৷ এ ছাড়া এতে ফাইবারও রয়েছে ৷ ফলে অনেক রোগ থেকেই বাঁচায় এই ফল ৷ অনেক রোগের ক্ষেত্রেই ওষুধের মতো কাজ করে কাঁঠাল ৷
যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের পক্ষে মাছ-মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাঁদের জন্য কাঁঠালের বীজ খুবই উপকারি। কারণ এতে থাকা প্রোটিন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
কাঁঠালের বীজ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে সেটি নিয়মিত খেলে শরীরে গ্যাস-অম্বল এবং বদহজমের মতো সমস্যাগুলি থেকে চিরতরে পাবেন মুক্তি। এর পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কাঁঠালকে বলা হয় শূন্য কোলেস্টেরলের ফল, যা দেহের জন্য উপকারী। এছাড়াও কাঁঠাল ত্বকের জন্য ভালো। ত্বক উজ্জ্বল হয়। কাঁঠালে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় হাড়ের ক্ষয় ঠেকাতে পারে। এতে চর্বির পরিমাণ কম তাই বেশি খেলেও ওজন বাড়ে না।
কাঁঠালের বীজে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর করার পাশাপাশি চোখ সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যাকে দূরে রাখে।
যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের কাঁঠাল খাওয়ায় কিছুটা বিধিনিষেধ আছে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাদের কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো।
-নিউজ১৮

স্নান বা গোসল করা

 গোসল শব্দটি কোথা থেকে এলো?

উইকিপিডিয়া বলছে, 'গুসল' একটি আরবি শব্দ।
আপনি কি সকালে স্নান করার একেবারেই সময় পান না? দিনের শেষে বাড়ি ফিরে স্নান করাই আপনার অভ্যাস, নাকি সকালে স্নান না করে বাড়ি থেকে বেরনোর কথা ভাবতেই পারেন না?
আবার হয়তো যতোই সকালে স্নান করুন না কেন রাতে বাড়ি ফিরে ভালো করে স্নান না করলে আপনার ঘুমই আসে না। অভ্যাস অনুযায়ী আমরা একেক জন দিনের একেক সময় স্নান করতে পছন্দ করেন। জানেন কি সকালে, রাতে যে কোনও সময়ই স্নানের কিছু উপকারিতা রয়েছে? নিজের কাজ ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আপনি ঠিক করুন কখন স্নান করবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাস্থ্যের জন্য দিনের কোন সময় স্নান করা বেশি উপযুক্ত?
কোন সময় স্নান করা বেশি উপকারী
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্নান করার জন্য কোনও ধরাবাঁধা সময় নেই। নিজের পছন্দমতো যে কোনও সময়ই স্নান করা যেতে পারে। সে সকাল হোক বা বিকেল। সকালে বা রাতে স্নান করার মধ্যে বিশাল কোনও পার্থক্য নেই। দুটি স্নানেরই নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে। কাদের কোন সময় স্নান করা উচিত, তা জেনে নিন এখানে।
আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে ঘুম থেকে ওঠার পরই স্নান করে নেওয়া ভালো। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে রাতে ঘুমনোর সময় আমাদের ত্বকের ওপরের স্তরে অতিরিক্ত তেল জমা হয়। সকালে উঠে স্নান করে না নিলে অ্যাকনে এবং ওপেন পোরসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনার যদি সকালে সহজে চোখ থেকে ঘুম না ছাড়ে, তাহলে স্নান করে নেওয়া ভালো। কারণ ঘুম তাড়াতে এক কাপ কফির থেকেও উপযোগী ভালো করে স্নান করে নেওয়া। সকালে স্নান করলে মেটাবলিজম রেট বাড়ে এবং নিজেকে ফ্রেশ লাগে।
সকালে যাঁদের ওয়ার্ক আউট করার অভ্যেস, তাঁরা ব্যায়াম করার পরই স্নান করে নিন। না হলে ওয়ার্ক আউটের পরের ঘাম শরীরে বসে যাবে। এই ঘাম থেকে ব্যাকটিরিয়ার জন্ম নিতে পারে।
যদি ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে মনকে তরতাজা করার জন্য সকাল সকাল স্নান করে নেওয়া খুবই ভালো।
যদি আপনার ঘুমের সমস্যা থাকে, তাহলে রাতে ঘুমনোর আগে স্নান করা প্রয়োজন। ভালো করে স্নান করে ঘুমোতে গেলে ঘুম ভালো হয় বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।
আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে সকালে নয়, রাতে স্নান করুন। সারাদিনের পর কাজের পর বাড়ি ফিরে স্নান করলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে। সকালে স্নান করলে আপনার ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
আপনি যদি নিয়মিত বিছানার চাদর পরিষ্কার করতে না পারেন, তাহলে রাতে শোওয়ার আগে স্নান করে নিন। এতে আপনার বিছানা সহজে নোংরা হবে না।
আপনি যদি হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ডায়াগনস্টিক ল্যাবে কাজ করেন বা সারাদিন বাইরে ঘুরে কাজ করতে হয়, তাহলে রাতে বাড়ি ফিরে স্নান করে নিন। কারণ সারাদিনে বহু মানুষ এবং নানা ধরনের জীবাণুর মধ্যে কাটাতে হয় আপনাকে। তাই বাড়ি ফিরে ভালো করে স্নান করে নেওয়া আপনার জন্য খুবই গুরুত্পূর্ণ।
আপনার যদি বিকেলে ওয়ার্ক আউট করার অভ্যেস থাকে, তাহলে রাতে স্নান করে নিন। না হলে ওয়ার্ক আউটের ঘাম শরীরে বসে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। ব্যায়াম করে স্নান সেরে ঘুমোতে গেলে ঘুম ভালো হবে।
-এইসময়
কতদিন পরপর গোসল করা উচিত?
২০১৯ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল প্রকাশিত এক জার্নালে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দুই তৃতীয়াংশ নাগরিক প্রতিদিন গোসল করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ৮০ শতাংশ বাসিন্দা প্রতিদিন গোসল করেন, কিন্তু চীনের অর্ধেক জনগোষ্ঠী সপ্তাহে মাত্র দুইবার গোসল করেন।
কিন্তু মানুষ গোসল কেন করে?
এই প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তরে হয়ত বেশিরভাগ মানুষ বলবেন, এটি স্বাস্থ্যকর এবং আরামদায়ক বলে তারা বিশ্বাস করেন।
তবে সেই সঙ্গে শরীরের ময়লা, ও দুর্গন্ধ দূর করা, সবগুলো স্নায়ু একসঙ্গে সজাগ হয়ে ওঠাসহ নানা করণ এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, কেবল মানুষ নয়, পৃথিবীর প্রায় সকল প্রাণী গোসল করে।
ডার্মাটোলজিস্ট ডা. নাহিদ সুলতানা বলেছেন, গোসল সপ্তাহে কতদিন করতে হবে তার নির্দিষ্ট কোন হিসাব নেই।
এটি নির্ধারিত হতে হবে একজন মানুষের শারীরিক গঠন, বয়স, পরিবেশ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী।
ডা. সুলতানা বলেন, "স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর ত্বকে সাধারণত নির্দিষ্ট স্তরের তেল, ভালো ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য মাইক্রো-অরগার্নিজমের একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান থাকা জরুরী।
ভালো ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রোটিন উৎপাদনে সাহায্য করে।"
তিনি বলেছেন, "কিন্তু বেশি গোসল করলে সেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যে কারণে বেশিরভাগ মানুষের জন্যই সপ্তাহে কয়েকবার গোসল যথেষ্ট। সবচেয়ে ভালো হয় একদিন পর একদিন গোসল করতে পারলে।"
বেশি গরম পানিতে গোসল করলে, বেশি ক্ষারজাতীয় সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহারে শরীরে তেল ও ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আবার সংক্ষিপ্ত গোসল হতে পারে। সেক্ষেত্রে বগল এবং কুচকি পরিষ্কার করে অল্প পানিতে অল্প সময় গোসল যথেষ্ট হবে।
পানি ছাড়া কি গোসল করা যায়?
উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ যায়। কিন্তু সাধারণত গোসলের কথা ভাবলে জলে ভেজা কোন ছবিই চোখের সামনে ভেসে উঠবে।
কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে যেখানে আবহাওয়া ঠাণ্ডা, অথবা পানির সংকট আছে, সেখানে মানুষ যতটা সম্ভব কম পানি ব্যবহার করে গোসল করে।
কখনো কখনো পানি ছাড়া গোসলের নানা পদ্ধতির কথাও শোনা যায়।
যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা নভোচারীদের মধ্যে পানি ছাড়া গোসলের নানা পদ্ধতির কথা শোনা যায়।
-বিবিসি সূত্র

রাসূল সা: প্রদত্ত প্রথম জুমার খুতবা

 রাসূলুল্লাহ সা: প্রথম জুমার খুতবা প্রদান করেন মসজিদুল কুবায়। হিজরতের প্রাক্কালে মক্কা থেকে মদিনায় আসার সময় কুবায় সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এই চার দিন অবস্থান করেন। কুবার অধিবাসীদের জন্য তাদের মসজিদ নির্মাণ করেন।

জুমার দিন তিনি কুবা থেকে বের হন। বনি সালেম বিন আওফ গোত্রের কাছে আসতেই জুমার নামাজের সময় হয়ে গেল। সেখানকার উপত্যকায় অবস্থিত মসজিদেই তিনি জুমার নামাজ পড়লেন। এটি ছিল মসজিদে নববী নির্মাণ করার আগের জুমা আদায় এবং খুতবা প্রদান। ইতিহাসে এটাই প্রথম জুমার খুতবা হিসেবে পরিচিত।
প্রথম খুতবা : বিখ্যাত সিরাত গবেষক ইবনে ইসহাক বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: সর্বপ্রথম যে খুতবাটি দিয়েছিলেন তা আমার কাছে আবু সালাম বিন আবদুর রাহমানের সূত্রে পৌঁছেছে। তিনি মুসলমানদের সামনে দাঁড়িয়ে সর্বপ্রথম আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর গুণাগুণ বর্ণনা করে বললেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের মুক্তির জন্য আমল করো। আল্লাহর শপথ! তোমরা তখন অবশ্যই (পরকালের উদ্দেশে আমল করার গুরুত্ব সম্পর্কে) জানতে পারবে যখন তোমাদের কেউ (শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার আওয়াজ শুনে) বেহুঁশ হয়ে যাবে। সে তার ছাগলের পালকে রাখালবিহীন অবস্থায় ছেড়ে চলে যাবে। অতঃপর তার প্রভু তার সাথে কথা বলবেন, তার মাঝে ও তার প্রভুর মাঝে কোনো দোভাষী থাকবে না (সরাসরি কথা হবে) এবং তার মাঝে ও তার প্রভুর মাঝে কোনো পর্দা থাকবে না।’ আল্লাহ বলবেন, তোমার কাছে কি আমার রাসূল এসে আমার হুকুম-আহকাম পৌঁছে দেয়নি? আমি তোমাকে দুনিয়ার সম্পদ দিয়েছিলাম এবং তোমার ওপর অনুগ্রহ করেছিলাম। সুতরাং তুমি নিজের জন্য কী প্রেরণ করেছ?’ তখন সে ডান দিকে তাকাবে, বাম দিকে তাকাবে। কিন্তু সে কিছুই দেখতে পাবে না। অতঃপর সামনে তাকাবে। কিন্তু সে জাহান্নাম ছাড়া কিছুই দেখতে পাবে না।
সুতরাং যে ব্যক্তি এক টুকরা খেজুর দান করার বিনিময়ে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার সামর্থ্য রাখে সে যেন জাহান্নাম থেকে নিজেকে আত্মরক্ষা করে। আর যে ব্যক্তি তারও ক্ষমতা না রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলার মাধ্যমে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। কেননা, এর বিনিময়েও নেকির সংখ্যা ১ থেকে ১০ গুণ আর ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
দ্বিতীয় খুতবা : ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমি তাঁর প্রশংসা করছি, তাঁর কাছেই সাহায্য চাই, আমরা আমাদের নফসের অকল্যাণ থেকে এবং খারাপ আমল থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। তিনি যাকে হিদায়াত করেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন কেউ তাকে সঠিক পথ দেখাতে পারে না। আমি এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সঠিক কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। নিশ্চয়ই সর্বোত্তম কথা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব। নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তি সফল হবে, যার অন্তরকে আল্লাহ তায়ালা কুরআনের মাধ্যমে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছেন এবং কুফরিতে লিপ্ত হওয়ার পর তাকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। সুতরাং মানুষের কথাগুলো বাদ দিয়ে সে আল্লাহর কালামকে বেছে নিয়েছে। কেননা আল্লাহর কথাই হচ্ছে সর্বোত্তম কথা ও তাঁর বাণীই হচ্ছে সর্বোচ্চ বাণী। আল্লাহ যা ভালোবাসেন তোমরা তাই ভালোবাস এবং তোমাদের অন্তরসমূহকে আল্লাহর ভালোবাসা দিয়ে ভরে দাও। আল্লাহর কালামকে পাঠ করতে এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে তোমরা ক্লান্তিবোধ করো না। তোমাদের অন্তর যেন কুরআন থেকে (কুরআন ছেড়ে দিয়ে) পাষাণ না হয়ে যায়। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সব সৃষ্টি থেকে উত্তমটিই বাছাই করেন এবং তা নিজের জন্য নির্বাচন করেন।
আল্লাহ তাঁর বান্দাদের আমলসমূহ থেকে কুরআন তিলাওয়াতকে সর্বোত্তম আমল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বান্দাদের আমল থেকে তা পছন্দ করেছেন। তা সর্বোত্তম বাণী বলে ঘোষণা করেছেন এবং তার মাঝে মানুষের জন্য সব হালাল ও হারাম বিষয় বর্ণনা করেছেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো। তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরিক করো না এবং তাঁকে যথাযথভাবে ভয় করো। তোমরা মুখ দিয়ে যেসব কথা উচ্চারণ করে থাকো, তা থেকে সর্বোত্তম কথার মাধ্যমে আল্লাহর সত্যতার ঘোষণা প্রদান করো।
আল্লাহর রহমতের মাধ্যমে পরস্পর ভালোবাসার বন্ধন রচনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গকারীকে মোটেই পছন্দ করেন না। (জাদুল মাআদ থেকে সংগৃহীত)
- নয়া দিগন্ত সূত্র
Atowar Khan

ভালো কথা ও কাজ অন্যায়কে মুছে দেয়

 আল্লাহ তাআলা মানুষের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলাকে এমন ভাবে ভয় কর; যেভাবে তাকে ভয় করার উচিত (ভয় করার মতো ভয় কর) এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ কর না। (সুরা আলে-ইমরান: আয়াত ১০২)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে মানবতার সার্বিক কল্যাণে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। পাশাপাশি অন্যায় কাজ পরিত্যাগ করে কল্যাণের কাজে ব্রতী হওয়ারও নির্দেশ প্রদান করেছেন।
হজরত আবু যর জুনদুব ইবনে জুনাদাহ এবং হজরত আবু আবদুর রহমান মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহুমা তাঁরা উভয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহকে ভয় কর যেখানেই থাক না কেন। অন্যায় কাজ হয়ে গেলে পরক্ষণেই ভাল কাজ কর। তবে ভাল কাজ অন্যায়কে মুছে দিবে আর মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার কর।’ -(মুসনাদে আহমদ ও তিরমিজি)
হাদিসের শিক্ষা
>> মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন, আল্লাহ তাআলাকে ভয় করার মতো ভয় করা;
>> আল্লাহ তাআলার ভয় মানুষকে দুনিয়া ও পরকালে সম্মানিত করে তোলে;
>> ছোট হোক আর বড় হোকে কোনো ভাবেই অন্যায় কাজ করা যাবে না;
>> মাত্রাতিরিক্ত অন্যায়ের কারণেই দুনিয়াতে মানুষ বড় বড় বিপদের মুখোমুখি হয়।
>> কোনোভাবে অন্যায় কাজ হয়ে গেলে, সঙ্গে সঙ্গে ভাল কাজ করা;
>> প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণা অনুযায়ী ভাল কাজ অন্যায় তথা গোনাহকে মুছে দিবে। –সূত্র: অনেক

দীর্ঘসূত্রীতা

 কাজটা শুরু করলে তা শেষ করো-

যে কাজ আমরা শুরু করি-তা অনেক সময় শেষ করিনা। এটা নিঃসন্দেহে দীর্ঘসূত্রীতারই একটা অংশ। যে কাজটি আমরা শেষ করিনা তা ২টি জায়গায় জমা থাকে। ১. কাজের টেবিলে ২. যে কাজটি করছে তার মাথায়। যে কাজটি মাথায় তার স্থান করে নেয় সেটা ব্যক্তির শক্তি খরচ করাতে থাকে আর শংকিত করাতে থাকে চেতনাকে। তাছাড়া জমে থাকা কাজটি যতদিন জমা থাকবে ততদিন ধরেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত শক্তি শুষে নিতে থাকবেই। তাই আমাদের পারফেকশনিষ্ট(perfectionist) হওয়ার দরকার নেই দরকার হলো কমপ্লিশনিষ্ট(completionist)হওয়ার। এটা হলে আমরা কেউই প্রোক্রাশনিনেটর(Procrastinator) বা দীর্ঘসূত্রী হবো না।
তাই বাঙ্গালী চরিত্র সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের উক্তি যেখানে তিনি বলেছেন-
"আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না, আড়ম্বর করি, কাজ করি না, যাহা অনুষ্ঠান করি তাহা বিশ্বাস করি না, যাহা বিশ্বাস করি তাহা পালন করি না, ভুরি পরিমাণ বাক্য রচনা করিতে পারি, তিল পরিমাণ আত্মত্যাগ করিতে পারি না, আমরা অহংকার দেখাইয়া পরিতৃপ্ত থাকি, যোগ্যতা লাভের চেষ্টা করি না, সকল কাজেই পরের প্রত্যাশা করি, অথচ পরের ত্রুটি লইয়া আকাশ বিদীর্ণ করিতে থাকি, পরের অনুকরণে আমাদের গর্ব, পরের অনুগ্রহে আমাদের সম্মান, পরের চক্ষে ধুলি নিক্ষেপ করিয়া আমাদের পলিটিক্স এবং নিজের বাক চাতুর্যে নিজের প্রতি ভক্তিবিহবল হইয়া ওঠাই আমাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য।”

কুরআন, ফিরে এসো তার দিকে, হবে লাভবান!!

 এই মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে রয়েছে মানুষে পূর্ববর্তীদের ইতিহাস, পরবর্তীদের সংবাদ এবং মানুষের মাঝে সব ধরনের সিদ্ধান্তের বিধান, সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী, আল-কুরআন কোনো অহেতুক বিষয় নয়।

যে ব্যক্তি অহঙ্কারবশত আল-কুরআনকে ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তায়ালা তার দাম্ভিকতাকে চূর্ণ করে দেন, আর যে ব্যক্তি আল-কুরআনকে বাদ দিয়ে সঠিক পথ খুঁজে, আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করে দেন। আল-কুরআন ছেড়ে দিয়ে যে সম্মান অন্বেষণ করে আল্লাহ তাকে অপদস্ত করেন। আর যে আল-কুরআনের দ্বারস্থ না হয়ে সাহায্য ও বিজয় কামনা করে সে আল্লাহ তায়ালার রোষানলে পতিত হয়।
আল-কুরআন হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার মজবুত রজ্জু, এটিই হচ্ছে সহজ ও সঠিক পথের দিশারি। আল-কুরআনের অনুসারী হলে কেউ বিপথগামী ও পথভ্রষ্ট হবে না। আলেমরা কুরআন থেকে কখনোই তৃপ্ত হন না। অর্থাত আল-কুরআন যতই তারা তিলাওয়াত করেন ততই তাদের কাছে ভালো লাগে। আল-কুরআনের রহস্য ও নিগূঢ় তত্ত্বের কোনো শেষ নেই।
যে আল-কুরআনের কথা বলে সে তো সত্যই বলে, আর যিনি কুরআন মোতাবেক ফায়সালা করেন তিনি তো ইনসাফ করেন, আর যে আল-কুরআন অনুযায়ী আমল করে সে তো সওয়াব ও প্রতিদান লাভ করে, যে আল-কুরআনের দিকে আহ্বান করে সে অবশ্যই সরল ও হেদায়েতের পথে আহ্বান করে। যারা আল-কুরআন পাঠ করে ও সেই অনুযায়ী চলে তাদের দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা নিয়েছেন যে, তারা দুনিয়াতে পথভ্রষ্ট হবে না এবং পরকালেও বিপদগ্রস্ত হবে না।
ইবনে আব্বাস রা:-এর বর্ণনায় এসেছে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব মহাগ্রন্থ আল-কুরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, ইহকাল ও পরকালে সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মুসলিম শরিফের হাদিস, রাসূল সা: বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন, ‘আমি তোমাদের কাছে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি যা তোমরা আঁকড়ে ধরলে কখনোই পদচ্যুত হবে না, আর তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব মহাগ্রন্থ আল-কুরআন।
মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নাজিল করে আল্লাহ তার বান্দাদের অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানব জাতি! তোমাদের কাছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এমন বিষয় সমাগত হয়েছে যা হচ্ছে নসিহত এবং অন্তরের সব রোগের আরোগ্যকারী, আর মুমিনদের জন্য কুরআন পথ-প্রদর্শক ও রহমত। হে নবী, আপনি বলে দিন, আল্লাহর এই দান ও রহমতের প্রতি সবারই আনন্দিত হওয়া উচিত; আল-কুরআন (পার্থিব সম্পদ) থেকে বহুগুণে উত্তম যা তারা সঞ্চয় করছে’ (সূরা ইউনুস, আয়াত : ৫৭-৫৮)।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ‘আপনার ওপর যে কিতাব অবতীর্ণ করেছি, তা মুসলিমদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ’ (সূরা নাহল, আয়াত-৮৯)।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ‘হে আহলে কিতাব! তোমাদের কাছে রাসূল এসেছে, যে তোমাদেরকে স্পষ্টভাবে (আল্লাহর হুকুম) বলে দিচ্ছেন, যাতে তোমরা বলতে না পারো যে, তোমাদের কাছে কোনো সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেনি। (এখন তো) তোমাদের কাছে সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী এসে গেছে, আর আল্লাহ সব বস্তুর ওপর পূর্ণ ক্ষমতাবান’ (সূরা মায়িদা, আয়াত-১৯)।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ‘হে লোক সকল! তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে প্রত্যক্ষ প্রমাণ এসেছে এবং তোমাদের প্রতি সমুজ্জ্বল জ্যোতি অবতীর্ণ করেছি। অতঃপর যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং তাঁকে সুদৃঢ়রূপে ধারণ করেছে, ফলত তিনি তাদেরকে স্বীয় করুণা ও কল্যাণের দিকে প্রবিষ্ট করাবেন এবং স্বীয় সরল পথ প্রদর্শন করবেন’ (সূরা নিসা, আয়াত : ১৭৪-১৭৫)।
তিনি আরো বলেন, ‘এই কুরআন সর্বশ্রেষ্ঠ পথনির্দেশ করে এবং সতকর্মপরায়ণ বিশ্বাসীদের সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার। আর যারা পরকাল বিশ্বাস করে না তাদের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি মর্মন্তুদ শাস্তি’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ৯-১০)। উপরোক্ত বিষয়ে আরো অনেক আয়াত রয়েছে যারা আল-কুরআন জেনে-বুঝে মনোযোগের সাথে তিলাওয়াত করে ও সে অনুযায়ী আমল করে তাদের এগুলো জানা রয়েছে। সালফে সালেহিনদের পদ্ধতি ছিল এমন- তারা কুরআনের আয়াত শিখলে তার অর্থ অনুধাবন ও আমল না করে সামনের দিকে অগ্রসর হতেন না। তারা ইলম ও আমল একত্রে শিখেছেন। যেমনটি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, কাজেই তারা কুরআনের আদেশ ও নিষেধ সংক্রান্ত জ্ঞানার্জন করেছেন এবং সে অনুযায়ী আমল করতে বিনা দ্বিধায় অগ্রগামী হয়েছেন।
আজ আমরা এমন এক জামানায় বাস করছি যেখানে নানাবিধ ফিতনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, বিপদ ও দুর্যোগের ঢেউ একের পর এক আছড়ে পড়ছে, প্রবৃত্তির লালসা তীব্রতর হচ্ছে, অস্পষ্ট ও সন্দেহজনক বিষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিভিন্ন জটিলতা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, অন্যায় ও বিদআতের দিকে আহ্বানকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমতাবস্থায় এগুলো থেকে মুক্তি পেতে সত্যের ওপর সুদৃঢ় অবিচল থাকতে হবে।
মানসিক প্রশান্তি ও তৃপ্তি অর্জন করতে হলে, বাস্তবিক প্রতিদান ও পুরস্কার লাভ এবং শাস্তি থেকে নিরাপত্তা পেতে হলে, সঠিক আকিদার ওপর থাকতে হলে এবং সুনাম ও সুন্দর কর্ম চালিয়ে যেতে হলে, রাজা-প্রজা, জাতি-গোত্র, যুবক-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, আলেম-সাধারণ সব মুসলিমকে যথাযথভাবে পূর্ণ আবেগ ও আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর কিতাব মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের তিলাওয়াত উপলব্ধি করা, তাঁর শিক্ষা দেয়া-নেয়া ও আমল করা এবং সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে আল-কুরআন পথেই ফিরে আসতে হবে।
সূত্র: নয়া দিগন্ত

Monday, October 11, 2021

Palindrome- স্মৃতির জাবর কেটে কেটে শেখা

 স্মৃতির জাবর কেটে কেটে শেখা -Palindrome

জানি কিন্তু জানি না।
আমি Palindrome নিয়ে ২৭.০৯.২০২১এ একটি প্রশ্ন করেছিলাম বন্ধুদের বেশ ক’দিন আগে। একমাত্র আশরাফ ভাই লিখেছিলেন, “অনেক অজানার মধ্যে ওরাও আছে।” আর কেউই জবাব দেন নি।
সোনালী ব্যাংক অসবোর্ন স্ট্রিট লন্ডন, ইউ.কে শাখায় পোষ্টিঙয়ের সুবাদে সেখানকার বাংলাদেশী মানুষদের সাথে নিবিড় সখ্যতা গড়ে উঠেছিল সেই ১৯৯২-৯৪এ। এরকম একজন বন্ধু আমার প্রিয় মুহিব উল্যাহ ভাই। তার প্রতিষ্ঠানের নাম “জম জম” ইন্টারন্যাশনাল। ব্রিক লেন মসজিদের লাগোয়া এই সুপরিচিত বিজিনেস সেন্টার। এখনো তার খোঁজখবর পাই। একদিন এক মজার ঘটনা ঘটে “জম জম” ইন্টারন্যাশনালে।
মুহিব উল্যাহ ভাই বল্লেন, আপনাকে বলতেই হবে যে “ব্যস্ত” কথাটার আরবী কি। পরক্ষণই তিনি বল্লেন যে আমি জানি আপনি এটা জানেন আর আপনি এটা জানেন না। দুটোই। কেমন দোটানায় পড়লাম। আমার [নেশার লাটিম ঝিম ধরা] দেখে খানিকক্ষণ চুপ থাকার পর মুহিব উল্যাহ ভাই বল্লেন, “ব্যস্ত” শব্দটির আরবী হলো, “মশগুল।” আমি বল্লাম আমি তো এটা জানি। উনি বল্লেন, আমি তো সেটা আগেই বলেছিলাম যে আপনি এটা জানেন। ২ জনই হাসলাম খানিকক্ষণ।
যা হোক মূল প্রসংগে আসি।
আমরা বাঙলায় অনেক বাক্য বা শব্দ ব্যবহার করি যা ডান দিক থেকে পড়লে যা হয় ঠিক বাম থেকে ডাইনে পড়লেও তেমনিই হয়- কোন বদল নেই। যেমন-“কটক” বা “রমা কান্ত কামার”বা “কথক”-ইত্যাদি। এ শব্দ বা বাক্যের নাম কি? কেউ জানেন? না জানলে আমি বলে দিচ্ছি।
এ ধরনের বাক্য বা শব্দের নাম হলো Palindrome.
গুগল বাবাজি বলছেন, “যে শব্দ কবিতা প্রভৃতি উলটা করিয়া পড়িলেও একই থাকে।”
প্যালিনড্রোম হল এমন কিছু বিশেষ শব্দ আর সংখ্যা যার আরম্ভ বা শেষ দু’দিক থেকেই পড়লে শব্দের উচ্চারণ আর অর্থের কোন বদল হয় না; বা সংখ্যার মান একই থাকে। মূল গ্রীক শব্দ প্যালিনড্রোমাস থেকে ইংরেজি প্যালিনড্রোম শব্দটি এসেছে।
A palindrome is a word, number, phrase, or other sequence of characters which reads the same backward as forward, such as madam or racecar.
Greek roots-palin অর্থ 'again' আর drome বা dromous অর্থ 'way, direction'
Henry Peacham নামের ভদ্রলোক ১৬৩৮ সালে ইংরেজী ভাষায় palindrome প্রবর্তন করেন।
উদাহরণ দিচ্ছি:
A nut for a jar of tuna.
রমাকান্ত কামার
কটক
কথক
Al lets Della call Ed “Stella.”
Borrow or rob?
Was it a car or a cat I saw?
Madam, in Eden, I’m Adam.
Murder for a jar of red rum.
Do geese see God?
Radar
Rotator
11/11/11 11:11
02/02/2020
NEVER OD OR EVEN
Step on no pets
The longest palindrome in use today is said to be the 19-letter Finnish word ”saippuakivikauppias”, which means soapstone vendor.
আপনাদের কারো হাস্যরসের উদ্রেক হলে জানাবেন আর বিরক্তি জাগলেও।
আমি মনে করছি আমার বড় নাতনী কানাডা প্রবাসী “চারু ভাই”- আমার পোষ্টটি পছন্দ করবে।
সূত্র:
রিডার্স ডাইজেস্ট সেপ্টেম্বর ২০২১
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা
গুগল
Merriam-Webster ডিকশনারী