কাঁঠাল শুধু সাইজেই বড় নয়, এর পুষ্টিগুণও অনেক ৷ এটাকে অনেকভাবেই খাওয়া যেতে পারে ৷ কাঁঠালের আচার, পকোড়া যেমন হয়, তেমনি রান্নাতে সবজি বানানোর সময়েও দেওয়া যায় কাঁঠাল ৷ পাকা কাঁঠাল আবার ফল হিসেবেও খান অনেকে (Health benefits of Jackfruit) ৷
কাঁঠালের আরও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে ৷ কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং আরও অনেক কিছু ৷ এ ছাড়া এতে ফাইবারও রয়েছে ৷ ফলে অনেক রোগ থেকেই বাঁচায় এই ফল ৷ অনেক রোগের ক্ষেত্রেই ওষুধের মতো কাজ করে কাঁঠাল ৷
যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের পক্ষে মাছ-মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাঁদের জন্য কাঁঠালের বীজ খুবই উপকারি। কারণ এতে থাকা প্রোটিন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
কাঁঠালের বীজ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে সেটি নিয়মিত খেলে শরীরে গ্যাস-অম্বল এবং বদহজমের মতো সমস্যাগুলি থেকে চিরতরে পাবেন মুক্তি। এর পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কাঁঠালকে বলা হয় শূন্য কোলেস্টেরলের ফল, যা দেহের জন্য উপকারী। এছাড়াও কাঁঠাল ত্বকের জন্য ভালো। ত্বক উজ্জ্বল হয়। কাঁঠালে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় হাড়ের ক্ষয় ঠেকাতে পারে। এতে চর্বির পরিমাণ কম তাই বেশি খেলেও ওজন বাড়ে না।
কাঁঠালের বীজে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর করার পাশাপাশি চোখ সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যাকে দূরে রাখে।
যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের কাঁঠাল খাওয়ায় কিছুটা বিধিনিষেধ আছে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাদের কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো।
-নিউজ১৮
No comments:
Post a Comment