Tuesday, March 28, 2023

সৈন্ধব নুন স্বাস্থ্যসম্মত

 ডায়েটে সাধারণ নুনের বদলে সৈন্ধব লবণ ব্যবহার কেন বেশি স্বাস্থ্যকর?

১) এই নুনে জ়িঙ্ক, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ়ের মতো খনিজ উপদান অনেক বেশি মাত্রায় থাকে। এ সব খনিজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান। ফলে এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ব্যাকটিরিয়াজাত সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।
২) সাধারণ নুনের তুলনায় সৈন্ধব নুনে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে। শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বে়ড়ে যাওয়া মোটেই ভাল নয়, রোগব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই রোজের ডায়েটে এই নুন রাখা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
৩) হাড়ের ক্ষয় রোধ করার জন্য কী করবেন ভাবছেন? সৈন্ধব নুন খান। সৈন্ধব নুনে পুষ্টি উপাদান ও খনিজের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে হাড় মজবুত হয়।
৪) হজমের সমস্যায় ভুগতে হয় অনেককেই। সারা বছর গ্যাস অম্বলের ভোগান্তি এড়াতে ডায়েটে সৈন্ধব নুন রাখা শুরু করতে পারেন। এই নুন হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৫) এই নুন ডায়েটে রাখলে রোগ-ব্যাধি দূর হবে। পাশাপাশি, ত্বক ভাল রাখতেও এই নুনের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
-আনন্দবাজার

On Almonds

 According to the BBC, British scientists have selected 100 of the world's most nutritious foods after analyzing and studying 1,000 foods.

British scientists analyze and evaluate these more than 1,000 foods, and then rank them according to their scores.
The higher the score, the higher the nutritional value and the most beneficial to human health.
Almonds scored 97 points, topped the list of 1000 foods as the most nutritious food in the world.
The top 10 most nutritious foods ranked in order: almonds, cherimoya, ocean perch, flatfish, chia seeds, pumpkin seeds, swiss chard, pork fat, beet greens, snapper.
Almonds are extremely nutritious, 100 grams of almonds contain 25 grams of protein, 27 grams of fat, and 14 grams of carbohydrates.
In addition, almonds also contain vitamin B1, vitamin B2, vitamin E, vitamin B5, vitamin C, and minerals such as potassium, sodium, calcium, iron, manganese, zinc, copper, and phosphorus.
Most of the fats in almonds are unsaturated fatty acids, which can protect the health of cardiovascular and cerebrovascular.
Compared to milk, almonds contain 3 times more calcium and 4 times more potassium than milk.
Almonds are an excellent source of vitamin E, 100 grams of almonds contain about 25 mg of vitamin E.
Vitamin E is one of the natural antioxidants, which can scavenge harmful free radicals and delay the aging process of the human body.
It is said that the inhabitants of the Himalayas often eat almonds, and their average life expectancy is as high as 90 to 100 years.

Chicken Liver

 In some Asian countries, chicken liver is a high-end food and is much more expensive than chicken.

Chicken liver is rich in nutrients and has unique nourishing and health benefits.
Chicken liver is an excellent source of iron. 100 grams of chicken liver contains 12 mg of iron, which is one of the best iron supplements.
The vitamin A content in chicken liver far exceeds that of milk, eggs, meat, fish and other foods. 100 grams of chicken liver contains about 10.5 mg of vitamin A.
Regular supplementation of some vitamin A can enhance and protect vision, prevent eye diseases, and maintain normal visual function.
Chicken liver also contains vitamin B2, 100 grams of chicken liver contains about 1.2 mg of vitamin B2.
Regular supplementation of some vitamin B2 plays an important role in the normal metabolism of carbohydrates, fats and proteins, reducing the accumulation of fat, and avoiding hardening of blood vessels.
In addition, chicken liver is also rich in protein, calcium, phosphorus, iron, potassium, zinc, selenium and other nutrients that the body needs.

মন্ত্রীর যোগ্যতা

 ঈদের আগের দিন খলিফা উমরের (রা) স্ত্রী নিজ স্বামীকে বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে, কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে’।

আরব জাহানের শাসক খলিফা উমর (রা) বললেন, ‘আমার তো নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই’।
পরে খলিফা উমর (রা) তার অর্থমন্ত্রী আবু উবাইদা (রা) কে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন।
সমগ্র মুসলিম জাহানের খলিফা যিনি, যিনি সেই সময় প্রায় অর্ধেক পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ ধরণের চিঠি পেয়ে আবু উবাইদার (রা) চোখে পানি এসে গেল। উম্মতে আমীন আবু উবাইদা (রা) বাহককে টাকা না দিয়ে চিঠির উত্তরে লিখলেন, ‘আমীরুল মুমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে।
১. আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না?
২. বেঁচে থাকলেও দেশের জনসাধারণ আপনাকে সেই মেয়াদ পর্যন্ত খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’
চিঠি পাঠ করে খলিফা উমর (রা) কোন প্রতি উত্তর তো করলেনই না, বরং এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাড়ি ভিজে গেলো। আর হাত তুলে আবু উবাইদার (রা) জন্য দোয়া করলেন- একজন যোগ্য অর্থমন্ত্রী নির্বাচিত করতে পেরেছেন এই ভেবে।
-অ্যাডপ্টেড

ঋণ ফেরত দিও। এটা জরুরী

 হজরত আবু হুরাইরাহ (রা.)-র বরাতে এই হাদিসটির বর্ণনা আছে। তিনি নবী (সা.)-এর কাছে নিচের ঘটনাটি শুনেছেন।

বনি ইসরাইলের এক লোক অন্য এক লোকের কাছে এক হাজার দিনার ঋণ চাইল। তখন সে (ঋণদাতা) বলল, কয়েকজন সাক্ষী আনো, আমি তাদের সাক্ষী রাখব।
সে বলল, সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
তখন (ঋণদাতা) বলল, তাহলে একজন জামিনদার উপস্থিত করো।
সে বলল, জামিনদার হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
ঋণদাতা বলল, তুমি সত্য বলেছ। এরপর নির্ধারিত সময়ে তাকে এক হাজার দিনার দিয়ে দিল।
তারপর ঋণগ্রহীতা সমুদ্রে সফর করল। সে তার কাজ শেষ করে সে যানবাহন খুঁজতে লাগল, যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণদাতার কাছে এসে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু সে কোনো বাহন পেল না।
তখন সে এক টুকরা কাঠ নিয়ে তা ছিদ্র করে ঋণদাতার নামে একটি চিঠি এবং এক হাজার দিনার তার মধ্যে ভরে ছিদ্র বন্ধ করে সমুদ্রতীরে এসে বলল, হে আল্লাহ! তুমি তো জানো আমি অমুকের কাছে এক হাজার দিনার ঋণ চাইলে সে আমার কাছে জামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহই জামিন হিসেবে যথেষ্ট। এতে সে রাজি হয়। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট, তাতে সে রাজি হয়ে যায়। আমি তার ঋণ (যথাসময়ে) পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আমি তোমার কাছে সোপর্দ করলাম। এই বলে সে কাঠের টুকরাটি সমুদ্রে ছুড়ে মারল। আর কাঠের টুকরাটি সমুদ্রে ডুবে গেল। লোকটি ফিরে গিয়ে নিজের শহরে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে লাগল।
এদিকে ঋণগ্রহীতা কোনো নৌযানে করে তার মাল নিয়ে আসে কিনা, সে আশায় ঋণদাতাটি গেল সমুদ্রতীরে। তার চোখ কাঠের টুকরাটির ওপর পড়ল, যার ভেতরে ছিল দিনার। সে কাঠের টুকরাটি তার পরিবারের জ্বালানি হিসেবে বাড়ি নিয়ে গেল। কাঠটি চেড়ার পর সে দিনার আর চিঠিটি পেয়ে গেল।
কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার দিনার নিয়ে এসে হাজির হলো। বলল, আল্লাহর কসম! আমি আপনার দিনার যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যানবাহনের খোঁজে ছিলাম। কিন্তু আমি এই যে এখন নৌযানে করে এলাম, তার আগে আর কোনো নৌযান পাইনি।
ঋণদাতা বলল, তুমি কি আমার কাছে কিছু পাঠিয়েছিলে?
ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই যে এর আগে আর কোনো নৌযান পাইনি।
সে বলল, তুমি কাঠের টুকরার ভেতরে যা পাঠিয়েছিলে, তা আল্লাহ তোমার পক্ষ থেকে আমাকে আদায় করিয়ে দিয়েছেন। তখন সে আনন্দচিত্তে এক হাজার দিনার নিয়ে ফিরে গেল।
(সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ২২৯১)
সূত্র: প্রথম আলো

Sunday, March 12, 2023

নিজের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে অন্যকে বিচার করা -শিক্ষণীয়

 অনেকদিন আগের কথা। এক দম্পতি এক মফস্বল এলাকায় নতুন ভাড়া আসে। প্রথমদিন অত্যন্ত ক্লান্ত থাকায় দু'জনে কোনরকমে খেয়েদেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। পরেরদিন সকালে প্রাতরাশ খেতে খেতে বউটি সামনের জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে উল্টোদিকে একখানা বাড়ি রয়েছে। জানলাটা বন্ধই ছিল, কিন্তু কাঁচের হওয়ার দরুন বাইরেটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। বউটা ভাবছিল, আমাদের প্রতিবেশী কেমন হবে কে জানে!

ঠিক তখনই দেখে সামনের বাড়ি থেকে একজন মহিলা বেরিয়ে এসে একবালতি জামাকাপড় নিয়ে উঠোনের দড়িতে মেলছে। মনে হয় সবেমাত্র জামাকাপড়গুলো কেচেছে, শুকোতে দিচ্ছে। বউটা খেতে খেতে স্বামীকে বলে, "ইস, দেখেছো! একদম ভালো কাচতে পারে না। সবক'টা জামাকাপড় ময়লা। মনে হয় এদের কাচাকুচি করার সাবানটা ভালো নয়। তবে এটাও হতে পারে যে ওই মহিলাটা কুঁড়ে। যেভাবে পারে কেচে দিয়ে কাজ সেরেছে।" স্বামী কোনো প্রত্যুত্তর করে না। চুপচাপ খাবার খেয়ে যায়। এরকম প্রতিদিন হতে থাকে আর প্রতিদিনই বউটি সামনের বাড়ির মহিলার জামাকাপড় পরিষ্কার করার দক্ষতা নিয়ে স্বামীর কাছে নানারকম বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে।
ক'দিন পর প্রাতরাশ খেতে বসে বউটি অবাক হয়ে স্বামীকে বলে, "ওই দেখো! ওই বাড়ির বউটা আজকে কতো ভালো করে জামাকাপড় কেচেছে! ঝকঝক করছে একেবারে।"
তখন তার স্বামী মৃদু হেসে বলে, "আমি আজকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে আমাদের জানলার কাঁচটা ভালো করে পরিষ্কার করেছি।"

মহানবী (সা.) যে নারীকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন

 মুমিনদের জন্য পরকালে জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য এমন কিছু প্রস্তুত রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দেখেনি। কোনো কান শুনেনি। কোনো মানব তা কল্পনাও করেনি।’ অতঃপর আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, তোমরা চাইলে এই আয়াত পাঠ কোরো, ‘কেউ জানে না তাদের জন্য চক্ষুশীতলকারী কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে ...’ (সুরা : সাজদা, আয়াত : ১৭) (বুখারি, হাদিস : ৪৭৭৯)

আল্লাহর আনুগত্য নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। তাই মুমিন নারী বা পুরুষদের মধ্যে যারা ভালো কাজ করে তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম জীবনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘পুরুষ বা নারীর মধ্য থেকে কেউ ভালো কাজ করলে আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং আমি তাদেরকে তাদের কাজের সর্বোত্তম পুরস্কার দেব।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৭)
যে নারীর জন্য সুসংবাদ : মুমিন নারী ইসলামের ফরজ বিধানগুলো পালনের পাশাপাশি নিজের সতীত্ব রক্ষা করলে এবং স্বামীর আনুগত্য করলে তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে। আবদুর রহমান বিন আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, রমজানের রোজা রাখবে, নিজের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করবে এবং স্বামীর আনুগত্য করবে তাকে বলা হবে, তুমি জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ কোরো।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নম্বর : ১৬৬১)
উত্তম স্ত্রীর গুণাবলি : স্বামীর সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী সে, যার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে তোমাকে আনন্দিত করে, আদেশ করলে আনুগত্য করে, তুমি দূরে থাকলে তার নিজের ব্যাপারে এবং তোমার সম্পদের ব্যাপারে তোমার অধিকার রক্ষা করে।’ (মুসনাদে তয়ালিসি, হাদিস : ২৩২৫)
পুণ্যময় স্ত্রী সর্বোত্তম সঙ্গী : পৃথিবীতে একজন স্বামীর সবচেয়ে মূল্যবান ও দামি বস্তু একজন পুণ্যময়ী স্ত্রী। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পার্থিব জগৎটাই হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতের সর্বোত্তম সম্পদ (উপভোগের বস্তু) পুণ্যময়ী নারী।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৪৬৭)
আরেক বর্ণনায় এসেছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহভীতির পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পুণ্যময় স্ত্রী। স্বামী তাকে কোনো নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে; সে তার দিকে তাকালে (তার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা ও প্রফুল্লতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাজত করে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৮৫৭)

আলু মানেই শরীরের পক্ষে খারাপ, এই ধারণা একেবারে ভুল

 Health Benefits of Potato Juice

পাতলা মাছের ঝোল কিংবা কষা মাংস— রান্নায় আলু না থাকলে মন যেন ভরতে চায় না। ডায়াবিটিস, উচ্চরক্তচাপের সমস্যা নিয়ে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা আবার আলু পাতে নেন না। আলু খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল না মন্দ— তা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আলু মানেই শরীরের পক্ষে খারাপ, এই ধারণা একেবারে ভুল। সব কিছুর মতো আলুরও কিছু ভাল এবং মন্দ গুণ রয়েছে। আলু খেলে ডায়াবিটিসের মাত্রা বাড়া, ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়— এমন কিছু ধারণা প্রচলিত রয়েছে। তবে এগুলি ছাড়াও আলুর কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও রয়েছে। শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়াতেও আলু দারুণ উপকারী। তবে রান্নায় আলু না খেয়ে বরং কাঁচা আলুর রস খেতে পারেন। অনেক বেশি উপকার পাবেন।
১) আলুতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি, পটাশিয়াম, আয়রন এবং কপার। রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালশিয়ামও। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি সর্দি-কাশির সমস্যা কমায়। যে কোনও রকমের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। রোজ খালি পেটে এই রস খেলেই হল।
২) প্রদাহ কমানোর ক্ষমতাও রয়েছে আলুর রসে। ফলে হাড়ের ব্যথাও কমে। ব্যথার জায়গায় এক টুকরো আলু কেটে লাগালেও অনেক সময় আরাম মেলে।
৩) গ্যাস, অম্বলের সমস্যা নিয়ে ভোগেন না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। রোজের জীবনে গ্যাস, অম্বল, বুকজ্বালার সমস্যা লেগেই রয়েছে। তবে এমন সমস্যা হলে অনেকেই ভরসা রাখেন ওষুধের উপরে। তবে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন আলুর রসের উপর।
৪) ক্যানসারের আশঙ্কাও কমাতে পারে আলুর রস। এতে ‘গ্লাইকোক্যালয়েড’ নামে একটি উপাদান আছে। তাতে টিউমর নিয়ন্ত্রণ করার গুণ রয়েছে। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় আলুর এই গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছ।
anandabazar

মধুর প্রকারভেদেও রয়েছে বৈচিত্র আর উপকার

 মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন, এনজাইম, যা বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন ধরনের মধু শরীরের নানান অসুস্থতা সামাল দেয়।
শরীর ভাল রাখতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। থকথকে গাঢ় বাদামি রঙের এই মিষ্টি পদার্থটির গুণ অপরিসীম। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন, এনজাইম, যা বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও প্রতি দিন এক চামচ মধু খেলে ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি থেকে মিলবে দ্রুত মুক্তি। হজমের সমস্যা দূর করতে মধু খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। মধুর স্বাদ প্রাকৃতিক ভাবেই মিষ্টি। তাই মধুতে থাকা মিষ্টি উপাদান শরীরে শক্তি জোগায় ও শরীর কর্মক্ষম রাখে। শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। এক কথায়, মধু শরীর-বান্ধব একটি প্রাকৃতিক উপাদান। তবে গুণের পাশাপাশি মধুর রূপেও আছে বৈচিত্র। বিভিন্ন ধরনের মধু শরীরের নানান অসুস্থতা সামাল দেয়।
মধুর বিভিন্ন প্রকারভেদ ও তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
হজমের সমস্যা দূর করতে মধু খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
১) ইউক্যালিপটাস মধু
ইউক্যালিপটাস গাছের ফুল থেকে এই মধু তৈরি হয়। শরীরের বাইরে অথবা ভিতরে কোনও ক্ষত বা আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে ইউক্যালিপটাস মধু।
২) করঞ্জার মধু
করঞ্জা (করচ বা করঞ্জা (ইংরেজি: Milletia pinnata; বৈজ্ঞানিক নাম: Pongammia pinnata) Liguminosae গোত্রের অন্তর্ভুক্ত, মাঝারি আকারের, বহুবর্ষজীবী, দ্রুত-বর্ধনশীল, ঘন ডালপালা সমৃদ্ধ চিরসবুজ উদ্ভিদ। দেখতে অনেকটা বট গাছের মতো।) করঞ্জা ফুল থেকে তৈরি হওয়া এই মধু ঠান্ডা লাগা বা ভাইরাসজনিত কোনও সংক্রমণ থেকে নিমেষে মুক্তি দেয়।
৩) রেপসিড মধু
রেপসিড Brassicaceae বা সরিষা পরিবারের একটি উজ্জ্বল-হলুদ ফুলের সদস্য, প্রধানত এর তেল-সমৃদ্ধ বীজের জন্য চাষ করা হয়।
এই তৈলবীজ ফুল থেকে তৈরি হওয়া এই মধু হাড়ের কোনও সমস্যায় এবং পেশি মজবুত রাখতে রেপসিড মধু বেশ কার্যকরী।
৪) লিচি মধু
লিচু গাছের ফুল থেকে মূলত তৈরি হয় এই মধু। এই ধরনের মধু হজমের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।
৫) সানফ্লাওয়ার মধু
সূর্যমুখী ফুল থেকে তৈরি হয় ‘সানফ্লাওয়ার মধু’। ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা, সাধারণ সর্দি-কাশি নিরাময়ে দারুণ কাজ করে এই মধু।
৬) মাল্টিফ্লোরাল মধু
বিভিন্ন ফুলের পরাগ থেকে তৈরি হয় ‘মাল্টিফ্লোরাল মধু’। এই প্রকার মধু অনিদ্রার সমস্যা দূর করে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে এই মধু।
-আ.বা সূত্র

নও মুসলিম স্টিফেন লেকা

 স্টিফেন হকিংকে সবাই চেনে। কিন্তু স্টিফেন মুহাম্মদ লেকার নাম কতজন জানে? স্টিফেন লেকা রোমানিয়ার বাকু (ভ্যাসিলে আলেকজান্ডারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক। এই নওমুসলিম ১৫০ দেশে ঘুরে ঘুরে ইসলাম প্রচার করেছেন। ৪০ দেশে হেঁটে ২৯ হাজার কিলোমিটার সফর করেছেন। রোমানিয়ার একটি কট্টর খ্রিস্টান পরিবারে তাঁর জন্ম। ইসলাম গ্রহণ করার ‘অপরাধে’ পিতা বাড়ি থেকে বের করে দেন। মা কথা বলা বন্ধ করে দেন। কিন্তু মুহাম্মদ লেকা সাহস হারাননি। ধারাবাহিকভাবে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেছেন। তাঁর অব্যাহত প্রচেষ্টায় প্রথমে মা, এরপর ভাই, একে একে পরিবারের সবাই ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এরপর এলাকার লোকদের কাছে ইসলামের সত্য বাণী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আস্তে আস্তে পুরো দেশ, পরবর্তী সময়ে পুরো বিশ্বে ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে পদব্রজে সফর করেছেন। তাঁর একটিই মিশন, ইসলাম প্রচার। বার্ধক্যের কারণে এখন হেঁটে বেশি সফর করতে পারেন না। এ জন্য বিশেষ পদ্ধতির শক্তিশালী গাড়ি বানিয়েছেন। গাড়িটি সমতল, জঙ্গল ও পাহাড়ি, সব ধরনের রাস্তায় চলতে সক্ষম। পুরো গাড়িতে আল্লাহর পরিচয়সংবলিত বিভিন্ন বাণী অঙ্কন করে অবশিষ্ট দেশ সফর করার ইচ্ছা তাঁর। ২৭ বছর ধরে তিনি দাওয়াতের কাজ করছেন।

তিনি বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহে বিপুলসংখ্যক মানুষ আমার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। দাওয়াতের কাজে উদ্বুদ্ধ করতে আমি আরব দেশেও গিয়েছি। সৌদি আরব, ওমান, কাতার, আমিরাতে সফর করেছি। শিগগিরই অন্যান্য মুসলিম দেশে যাব। স্টিফেন মুহাম্মদ লেকার দাওয়াত পদ্ধতি হৃদয়গ্রাহী ও আকর্ষণীয়। এই পথে তিনি নিজের স্বর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন। ঘরবাড়ি বিক্রি করে অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছেন, তিন মাস শিক্ষকতা করবেন। এই তিন মাসের বেতন নিয়ে পরবর্তী তিন মাস সফর করবেন! এভাবেই রুটিন করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, খ্রিস্টানদের দাওয়াত দেওয়ার জন্য অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। সুরা মারয়ামই যথেষ্ট! অধিকাংশ খ্রিস্টান জানেই না, পবিত্র কোরআনে সুরা মারয়াম নামে সুরা আছে! এই সুরায় তাদের কথা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ আছে। ইউরোপের গ্রাম-গঞ্জে খ্রিস্টানদের সামনে সুরা মারয়ামের তরজমা শোনালে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখন গাড়িতে সফর করি। আল্লাহ আমাকে হিদায়াত দান করেছেন। মুসলমান হওয়ার তাওফিক দিয়েছেন। এখন আমার ওপর আবশ্যক, ইসলামবঞ্চিতদের নিকট ইসলামের মহা নিয়ামত পৌঁছে দেওয়া। রোমানিয়ায় এক হাজার মানুষকে কলেমা পাঠ কারানোর সময় বলেছিলাম, মেহনতের কিছু কিছু ফল হাতে আসা শুরু করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, নিজ শহরেই এখন মুসলমানদের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে! পুরো দেশে এর পরিমাণ অর্ধ মিলিয়ন! স্টিফেন মুহাম্মদ লেকার ইসলাম গ্রহণের ঘটনাও চিত্তাকর্ষক। তিনি বলেন, স্ত্রীসহ তুরস্কে সফরে গিয়েছিলাম। একদিন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সফরে রাত হয়ে যায়। একজন বৃদ্ধ অত্যন্ত সুন্দরভাবে সালাম নিবেদন করেন। এর আগেও অসংখ্যবার মুসলমানদের সালাম পেয়েছি। কিন্তু এই বৃদ্ধের সালামের ভেতর ভিন্ন কিছু ছিল। চেহারা থেকে নুর ঝরছিল। তাঁর কাছে আমরা রাত কাটানোর জন্য হোটেলের সন্ধান করলাম। তিনি জানালেন, এখানে বহুদূর পর্যন্ত কোনো হোটেল পাবেন না। আপনারা মেহমান মানুষ। আমার বাড়িতে রাত কাটিয়ে সকালে চলে যাবেন। আমি খুশি হব। তিনি বারবার আবেদন করতে লাগলেন। কিন্তু আমার অন্তর সায় দিচ্ছিল না। বিদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের একজন অচেনা মানুষের ওপর কিভাবে ভরসা করা যায়! কিন্তু বৃদ্ধের উজ্জ্বল চেহারার প্রভাবে আমরা মেহমান হয়ে গেলাম! তিনি খুব খুশি হলেন। তাঁর বাড়িটি পুরনো ও কাঁচা। চারদিকে দরিদ্রতার ছাপ থাকলেও প্রশান্তময় পরিবেশ ছিল। তাঁর স্ত্রী-সন্তানও আমাদের অভ্যর্থনা জানালেন। তিনি সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে উন্নত আপ্যায়নের ব্যবস্থা করলেন। ক্লান্ত থাকায় আমরা দ্রুত ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে জাগ্রত হয়ে বাড়ির কাউকে পেলাম না। আমরা ঘাবড়ে গেলাম। দ্রুত বাইরে বের হয়ে দেখা দৃশ্য আমাদের খুব অবাক করল। দেখি, বাড়ির সবাই একটি গাছের নিচে ঘুমিয়ে রয়েছেন! বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলাম, বাইরে ঘুমিয়েছেন কেন? তাঁর উত্তর শুনে আমার চোখে অশ্রু গড়াতে লাগল। আপনি মেহমান, দূর থেকে এসেছেন। আরামের প্রয়োজন। আমার মাত্র একটি ঘর। এ জন্য বাইরে ঘুমিয়েছি। আপনারা কষ্ট পান, ইসলাম ধর্ম আমাদের এটা শেখায়নি!
একটি কুয়েতি চ্যানেলে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় স্টিফেন লেকা বলেন, এটাই আমাদের ইসলামের শিক্ষা-শক্তি। এই ঘটনায় ভীষণ প্রভাবিত হই। আমার জীবন পরিবর্তন করে দেয়।
সূত্র : অ্যাবাউট ইসলাম, ইউটিউব, আল-আনবা ও আন-নাহার
kalerkantho

জান্নাতে যাওয়ার জন্য কুরআনের কিছু ইঙ্গিত

 মৃত্যুর পর সবাই বেহেশতে যাওয়ার প্রত্যাশা করেন। দুনিয়াতে বেঁচে থাকা অবস্থায় যেসব কাজ করলে শেষ বিচারের দিনে বেহেশত প্রত্যাশা করা যায়, তার কিছু ইঙ্গিত কোরআনে দেওয়া হয়েছে।

কোরআনে বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই সফলকাম হয়েছে বিশ্বাসীরা। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়–নম্র, যারা অসার ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকে, যারা জাকাতদানে সক্রিয় এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের স্ত্রী বা ডান হাতের তাঁবের দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না। অবশ্য কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালঙ্ঘন করবে। আর যারা আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, আর যারা নিজদের নামাজে যত্নবান, তারাই হবে অধিকারী। অধিকারী হবে ফিরদাউসের যেখানে ওরা চিরকাল থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন আয়াত: ১–১১)
নামাজের সব নিয়ম ঠিকমতো আদায় করতে হবে। মন দিয়ে নামাজ পড়তে হবে। রুকু-সিজদা থেকে শুরু করে নামাজে কোনো তাড়াহুড়ো করা যাবে না।
অনর্থক বিষয়, যেমন কুতসা ও প্রতারণা দুনিয়া ও আখিরাতের সব জায়গায় অকল্যাণ বয়ে আনে। এ ধরনের কাজ মানুষকে আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে এবং মৃত্যুর বাস্তবতা ভুলিয়ে দেয়। তাই এসব কার্যকলাপ বর্জন করতে হবে।
সব সমর্থ মুসলমানের জন্য জাকাত ফরজ হয়েছে। সে বিষয়ে হিসাব রাখতে হবে এবং যথাযথ নিয়মে জাকাত দিতে হবে।
অবশ্যই সফলকাম হয়েছে বিশ্বাসীরা। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়–নম্র, যারা অসার ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকে, যারা জাকাতদানে সক্রিয় এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের স্ত্রী বা ডান হাতের তাঁবের দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না।
যৌন বাসনাকে সংযত রাখতে হবে। তবে নিজেদের স্ত্রীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। এদের ছাড়া অন্য কাউকে কামনা করলে সীমা লঙ্ঘন করা হবে।
সম্পদের আমানতের পাশাপাশি মানুষের কথার আমানত রক্ষা করে চলতে হবে। নিজের ওপরে ন্যস্ত অন্যের কর্তব্য পালন এবং গোপন কথা ও সম্পদের আমানতের হেফাজত করা কর্তব্য। কাউকে কথা দিলে তাও রক্ষা করা উচিত।
নামাজের ওয়াক্ত হলে নামাজে নিয়মিত হাজির হতে হবে। নিয়ম–কানুন মেনে নামাজ পড়তে হবে।
-Kalerkantha

জেনে নেই সিরিয়াস কথাগুলো

 মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ জ্ঞান করা

আবু হুরাইরা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করো না, (ক্রয় করার ভান করে) মূল্য বৃদ্ধি করে ধোঁকা দিও না। একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে না। একে অপরকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন (অবজ্ঞা প্রকাশ) করবে না। তোমাদের একজনের সাওদা করা শেষ না হলে ওই বস্তুর সাওদা বা কেনা-বেচার প্রস্তাব করবে না। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা পরস্পর ভাই-ভাই হয়ে যাও। মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার ওপর অত্যাচার করবে না, অসম্মান করবে না, তুচ্ছ ভাববে না। ‘ধর্মভীরুতা এখানে’-এটা বলার সময় তিনি স্বীয় বক্ষস্থলের প্রতি তিনবার ইঙ্গিত করেছিলেন। কোনো মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ জ্ঞান করাটা মন্দ ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট (অর্থাত এরূপ তুচ্ছ জ্ঞান প্রদর্শন দ্বারা পাপকাজ হওয়া সুনিশ্চিত)। এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে খুন করা, তার মাল গ্রাস করা ও সম্মানে আঘাত দেয়া হারাম।
-বুখারি : ৫১৪৪, মুসলিম : ২৫৬৩, তিরমিজি : ১১৩৪, নাসায়ি : ৩২৩৯, আবু দাউদ : ৩৪৩৮