Monday, May 29, 2023

ভাড়া বাড়ীতেও নান্দনিকতার দরকার আছে বৈ কি?

 মানুষের অভিজ্ঞতা অর্জনের শেষ নেই

আমার দেশের বাইরে অবস্থানের সময় এক মজার ঘটনা ঘটেছিল। আমরা ১৯৯৩এর পুরো বছর সোনালী ব্যাংক ইষ্ট লন্ডন শাখার ৫ কোলিগ বিলাতের ১ নং চিকস্যান্ড স্ট্র্রিটের এক বাড়ীতে থাকতাম। আমাদের বাড়ীর কিছু দূরে এক চেক ভদ্র মহিলার বাসা ছিল। মহিলা এতোটাই পরিচ্ছন্ন যে বাড়ীর বাইরের দিকের দরজা জানালার কাঁচ নিত্যদিন ক্লিন করা তার চা ই, চাই।
একবার এক ভদ্রলোক এক ভদ্রমহিলার বাড়ীর পাশ দিয়ে যাবার সময় মন্তব্য করে বসলো, ‘তুমি দেখছি এ কাজ থেকে নিজেকে নিস্তার দাও না। আমি তো রোজই দেখি একই সময় তুমি তোমার বাড়ীর দরজা জানালার কাঁচ ক্লিন করো। তা এই ভাড়া বাড়ীতে থেকে এতোটা পরিশ্রম কেনো করো গো?”
ভদ্রমহিলা ভদ্রলোকের দিকে ঘুরে দাঁড়ালো।। না! কোন রাগের ভঙ্গীতে নয়। বরং খুবই শান্ত মেজাজে বল্লো, দেখো, এটা ভাড়া বাড়ী আমি নিজে তা ভালো করেই জানি। আর So long I’m here, I’m owner of this house and to maintain its neatness and cleanliness, is entirely my responsibility. After finishing the task when I look at my house, I feel proud that my house is so neat and clean than others house of this area. And I love aesthetic beauty! I hope that you got the point! And you know, cleanliness is next to godliness, the idea that people have a moral duty to keep themselves and their homes clean.
ভদ্রলোক বোধ করি বোবা হয়ে গেলো। এতো কথা শোনার জন্য সে প্রস্তুত ছিলনা। আর কোন কথা তার মুখ থেকে সরছিলনা।
আমি অল্প দূরে দাঁড়িয়ে মহিলার প্রশংসা করলাম। আর ভাবলাম ভদ্রলোক ভদ্রমহিলাকে একথাগুলো না বল্লেও পারতো।
ইত্যবসরে আমারও অনেক জানা হয়ে গেলো।
ঘটনাটা এখনো স্মৃতিতে ভাসে।
Source: Episodic Memory, 1993

মানুষের অন্তর সম্পর্কে কী বলা হয়েছে আল কুরআনে?

 কলব মানে অন্তর বা হৃদয় মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। কলব যদি ভালো হয়, তাহলে তা মানুষকে ভালো পথে পরিচালিত করে, আর যদি মন্দ হয় তাকে খারাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, নোমান ইবনে বশির (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘জেনে রাখো! দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত শরীরই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো কলব (হৃদয়)।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৯৪৯)

কোরআনে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় কলবের বা অন্তরের কথা বর্ণনা করেছেন। এগুলো দুই ভাগে বিভক্ত।
কিছু আয়াতে ভালো অন্তরের কথা বলা হয়েছে। আর কিছু আয়াতে মন্দ কলবের কথা বলা হয়েছে। নিম্নে আমরা উভয় প্রকার কলব নিয়ে আলোচনা করব। আর আমরা দেখে নেব আমাদের কলব কোন ধরনের বা কাদের অন্তর্ভুক্তঃ
বিনম্র অন্তর : যে অন্তর আল্লাহ তাআলার প্রতি পূর্ণরূপে অর্পিত। আল্লাহর বিধি-বিধানে পূর্ণরূপে বিশ্বাসী। আর সে অন্তর শয়তানের কুমন্ত্রণায় কর্ণপাত করে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যাদের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তারা যেন জেনে নেয় এটাই (অর্থাৎ এ কালামই) সত্য, যা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এসেছে অতঃপর তারা যেন তাতে ঈমান আনে এবং তাদের অন্তর তার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের জন্য সরল পথের হিদায়াতদাতা। ’ ( সুরা : হজ, আয়াত : ৫৪)
সুস্থ হৃদয় : যে অন্তর সব ধরনের খারাপি থেকে সুস্থ। সব ধরনের কুফর-শিরক ও বিদাত থেকে পবিত্র। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তবে যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে সুস্থ মন নিয়ে সে মুক্তি পাবে।’ (সুরা : শুআরা আয়াত : ৮৯)
আল্লাহমুখী হৃদয় : শয়নে-স্বপনে সংগোপনে, সর্বাবস্থায় যে হৃদয় আল্লাহর প্রতি অভিমুখী আল্লাহকে স্মরণ করে। কোনো গুনাহ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাওবা করে ফিরে আসে আনুগত্যের দিকে। আল্লাহ বলেন, ‘যে দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে তাঁকে না দেখেই এবং আল্লাহর দিকে বিনীত অন্তর নিয়ে উপস্থিত হয়।’ (সুরা : কাফ, আয়াত : ৩৩)
ভীতসন্ত্রস্ত অন্তর : যে হৃদয় আল্লাহর ভয়ে সর্বদা ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। অল্পস্বল্প যেসব আমল করা হয়, তার ব্যাপারে ভয় থাকে যে আল্লাহ কবুল করবেন কি না। আল্লাহ বলেন, ‘এবং যারা যেকোনো কাজই করে তা করার সময় তাদের অন্তর এই ভয়ে ভীত থাকে যে তাদের নিজ প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৬০)
মুত্তাকি অন্তর : যে হৃদয় আল্লাহর ভয়ে সর্বদা তাকওয়ার পথে চলে। আল্লাহ বলেন, ‘এসব বিষয় স্মরণ রেখো আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে এটা অন্তরস্থ তাকওয়া থেকেই অর্জিত হয়।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৩২)
প্রশান্ত হৃদয় : যে অন্তর একমাত্র আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে, প্রশান্তি অনুভব করে আর পুলকিত হয়। যখনই আল্লাহর জিকির করে তার হৃদয় শান্তি ও প্রশান্ত হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘এরা সেই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের অন্তর আল্লাহর জিকিরে প্রশান্তি লাভ করে। স্মরণ রেখো! শুধু আল্লাহর জিকিরেই প্রশান্তি লাভ হয়।’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ২৮)
হিদায়াতপ্রাপ্ত অন্তর : যে অন্তর আল্লাহর পথে পরিচালিত। নিশ্চিন্ত মনে সব কিছু আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দেয়। আল্লাহর সব কিছুতে সন্তুষ্ট থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘কোনো মুসিবত আল্লাহর হুকুম ছাড়া আসে না। যে কেউ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার অন্তরকে হিদায়াত দান করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞাত।’ (সুরা : তাগাবুন, আয়াত : ১১)
জীবন্ত হৃদয় : সদা সজাগ ও সচল থাকে আল্লাহর নিদর্শনাবলি উপলব্ধি করে। কোরআনে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই এর ভেতর এমন ব্যক্তির জন্য উপদেশ রয়েছে, যার আছে অন্তর কিংবা যে মনোযোগ দিয়ে কর্ণপাত করে।’ (সুরা কাফ, আয়াত : ৩৭)
অসুস্থ হৃদয় : যে হৃদয়ে নানা সন্দেহের দানা বাসা বেঁধে আছে, পাপাচার আর প্রভৃতির অনুসরণে মরিয়া যে অন্তর তা অসুস্থ। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবীপত্নীরা, তোমরা সাধারণ নারীদের মতো নও, যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো। সুতরাং তোমরা কোমল কণ্ঠে কথা বোলো না—পাছে অন্তরে বেঁধে আছে এমন ব্যক্তি লালায়িত হয়ে পড়ে আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলো।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)
অন্ধ হৃদয় : যে হৃদয় ভালো-মন্দ নিরূপণ করতে পারে না। সব কিছু স্পষ্ট হলেও সে থাকে অন্ধের মতো। আল্লাহ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ হয় না; বরং অন্ধ হয় সেই হৃদয়, যা বক্ষদেশে বিরাজ করে। (সুরা : হজ, আয়াত : ৪৬)
উদাসীন হৃদয় : আল্লাহ তাআলার বিভিন্ন বিধানের ব্যাপারে উদাসীন। অন্যদিকে দুনিয়ার প্রতি সদা সজাগ। প্রবৃত্তির অনুসরণে মত্ত। কিন্তু সত্য গ্রহণে উদাসীন। আল্লাহ বলেন, ‘এমন কোনো ব্যক্তির কথা মানবে না, যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ থেকে গাফিল করে রেখেছি, যে নিজ খেয়াল-খুশির পেছনে পড়ে রয়েছে এবং যার কার্যকলাপ সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ২৮)
অহংকারী অন্তর : যার ভেতর অহংকারে পরিপূর্ণ। অহংকারের কারণে সে ভালো জিনিসের অনুসরণ করতে পারে না। এমনকি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য তার জন্য অহংকার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। নিজেকে প্রবল ক্ষমতাধর মনে করে। আল্লাহ বলেন, ‘এভাবেই আল্লাহ প্রত্যেক অহংকারী স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তির অন্তরে মহর মেরে দেন।’ (সুরা : গাফের, আয়াত : ৩৫)
কঠোর অন্তর : যে অন্তরে কোনো ধরনের দয়ার লেশমাত্র নেই। কারো দুঃখে তার অন্তর ব্যথিত হয় না। আল্লাহ বলেন, ‘আপনি যদি রূঢ় প্রকৃতির ও কঠোর হৃদয়ের হতেন তাহলে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে যেত।’ (সুরা : আলে-ইমরান, আয়াত : ১৫৯)
মহরকৃত অন্তর : যে অন্তরে মহর মেরে দেওয়া হয়েছে, সে হিদায়াতের কথা শুনে না। আর শুনলেও তার জীবন পরিবর্তন হয় না। আল্লাহ বলেন, ‘এবং তার কান ও অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন।’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ১৩)
বাঁকা অন্তর : যে হৃদয়ে কখনো ভালো জিনিস বা ভালো পথ দেখে না। সত্যটা সামনে এলেও সে বাঁকা পথে চলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আল্লাহ বলেন, ‘যাদের অন্তরে বক্রতা আছে তারা মুতাশাবিহ (ব্যাখ্যাসাপেক্ষ) আয়াতের পেছনে পড়ে থাকে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৭)
সন্দিহান অন্তর : যে অন্তরে সন্দেহের বাসা বেঁধে আছে। তার অন্তর সব সময় সন্দেহের মাঝে ঘুরপাক খেতে থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার কাছে (জিহাদ না করার) অনুমতি চায় তো তারা, যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং তাদের অন্তর সন্দেহে নিপতিত এবং তারা নিজেদের সন্দেহের ভেতর দোদুল্যমান।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪৫)
(আলুকা ও মাদরাসাতুল কোরআন অবলম্বনে)
সূত্র: জাওয়াদ তাহের

আদা প্রসঙ্গে কুরআন ও হাদিসে যা বলা হয়েছে

 প্রাচীন কাল থেকেই মসলা ও ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছে আদা। মসলাজাতীয় ফসলের মধ্যে এটি অন্যতম। খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরিতে, আচার, ওষুধ ও সুগন্ধি তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হয়। যেসব মসলা প্রথম এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি করা হয়েছিল, তার মধ্যে আদা অন্যতম, যা মূলত বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌঁছেছিল।

প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরাও এটি ব্যবহার করত। এর ব্যবহার ছিল আরবদের মধ্যেও। পবিত্র কোরআনেও এই উদ্ভিদমূলের কথা আছে। জান্নাতিদের আপ্যায়নে ব্যবহৃত একটি বিশেষ পানির বর্ণনা দিতে গিয়ে আদার কথা উল্লেখ করা হয়।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের পান করানোর জন্য এমন পাত্র পরিবেশন করা হবে, যাতে আদার মিশ্রণ থাকবে। জান্নাতের এমন এক ঝরনা, যার নাম সালসাবিল।’ (সুরা : দাহর, আয়াত : ১৭-১৮)
যানজাবিল-এর প্রসিদ্ধ অর্থ শুকনা আদা। কাতাদা বলেন, যানজাবিল বা আদা মিশ্রিত হবে। (আত-তাফসিরুস সহিহ)
আরবরা পানীয়তে এর মিশ্রণ পছন্দ করত। তাই জান্নাতেও একে পছন্দ করা হয়েছে। মূলত জান্নাতের বস্তু ও দুনিয়ার বস্তু নামেই কেবল অভিন্ন। বৈশিষ্ট্যে উভয়ের মধ্যে অনেক ব্যবধান। তাই দুনিয়ার আদার আলোকে জান্নাতের আদাকে বোঝার উপায় নেই। (ফাতহুল কাদির)
তাফসিরে মাআরেফুল কোরআনে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, জান্নাতিদের কাফুরমিশ্রিত শরাব ছাড়াও এমন পানীয় পান করানো হবে, যাতে যানজাবিলের মিশ্রণ থাকবে। উত্তেজনা সৃষ্টি ও মুখের স্বাদ পরিবর্তনের জন্য পানীয়তে এটি মেশানোর নিয়ম আছে।
আমাদের দেশেও সম্ভবত এই নিয়ম প্রাচীন কাল থেকে ছিল। এ জন্যই হয়তো কেউ কোনো কাজ খুব গুরুত্বসহকারে বললে তাকে বলা হয়—আদাজল খেয়ে নেমেছে। এ কথার দ্বারা বোঝা যায় যে আদাজল শরীর ও মনকে চাঙ্গা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বহু যুগ ধরে বদহজম ঠেকাতে, খাবারকে সহজপাচ্য করে তোলার কাজে বা ঠাণ্ডা লাগার মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে আদার ব্যবহার হয়ে আসছে।
আদার ঔষধি গুণ বোঝানোর জন্যই অনেকে বলে ‘আদা সকল রোগের দাদা।’ কারণ আদায় রয়েছে পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই, সি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এজেন্ট ইত্যাদি। যে কারণে সব বয়সী মানুষ আদা খেতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা-মধুজল সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও আদার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
ভারতীয় উপমহাদেশ বা চীনদেশের প্রাচীন সভ্যতায় আদার নানা অনুপানের ভূরি ভূরি উদাহরণ ছড়িয়ে আছে। নবীজি (সা.)-এর একটি হাদিসেও হিন্দুস্তানের আদার বিবরণ আছে। মুসতাদরাকে হাকেম নামক একটি হাদিসের গ্রন্থে উল্লেখ আছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার হিন্দুস্তানের বাদশা নবীজি (সা.)-এর জন্য একটি কলসি উপহার পাঠান, যার মধ্যে কিছু আদা ছিল। তিনি সেগুলো সাহাবাদের টুকরা টুকরা করে খাওয়ান। সেখান থেকে আমাকেও এক টুকরা খাওয়ান। (মুসতাদরাকে হাকেম)
কিছু কিছু হাদিস বিশারদ এই হাদিসের সনদ দুর্বল বলেছেন। এই হাদিসের সনদ যদি দুর্বলও ধরে নেওয়া হয়, তার পরও এই হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে বহুকাল আগেও হিন্দুস্তানের আদা বা মসলার সুনাম আরবেও ছিল।
উল্লেখ্য, জান্নাতের শরাব দুনিয়ার শরাবের মতো ক্ষতিকর হবে না। তাতে মানুষ পাগলের মতো মাতলামো করবে না। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নেই তাতে দেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছু, আর তারা তাতে মাতালও হবে না।’ (সুরা : সাফফাত, আয়াত : ৪৭)
সূত্রঃ মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

প্রতারণা

 যে কারণে মানুষকে উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন না বিশ্বনবি

ইসলামে প্রতারণা বা ধোঁকা হারাম। হারাম কাজের গোনাহ অনেক বড়। যাকে কবিরা গোনাহ বলা হয়। প্রতারণা করলে শুধু গোনাহ হয় এমনটি নয়, বরং সে ব্যক্তিকে উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন না বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
বর্তমান সময়ে জীবন চলার প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষ কম-বেশি ধোঁকা বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য এমন কোনো ক্ষেত্র বাদ নেই, যেখানে ধোকা বা প্রতারণা চলে না।
ধোঁকা বা প্রতারণা সময়ের সবচেয়ে বড় মহামারি। এ থেকে উত্তরণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি কথাই যথেষ্ট। তিনি বলেছেন- ‘যে প্রতারণা করে বা ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য হবে না।’
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি খাদ্যশস্যের স্তূপ অতিক্রম করে যাওয়ার সময় তাতে হাত ঢুকিয়ে (স্তূপের) ভেতরে ভেজা অনুভব করলেন। তখন তিনি স্তূপের মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন, হে স্তূপের মালিক! এটি এমন কেন?
উত্তরে স্তূপের মালিক বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! বৃষ্টির কারণে এরূপ হয়েছে।
এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
‘তুমি ভেজা শস্য উপরে রাখলে না কেন? তাহলে তো ক্রেতাগণ (যারা এ শস্য কিনে নেবে)- এর (প্রকৃত) অবস্থা দেখতে পেত। অর্থাৎ প্রতারিত হতো না। যে প্রতারণা করে বা ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত)
মুমিন মুসলমানের জন্য কত বড় বিপদের কথা!
ব্যক্তি ছোট কিংবা বড় হোক, ধোঁকা বা প্রতারণার সঙ্গে যে ব্যক্তি জড়িয়ে পড়বে, সে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না। নাউজুবিল্লাহ।
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতারণামূলক যে কোনো কাজ করতেই নিষেধ করেছেন। হাদিসে উল্লেখিত ঘটনাই এর জলন্ত প্রমাণ।
তাছাড়া ধোঁকা বা প্রতারণায় রয়েছে অনেক ক্ষতি। আর তাহলো-
>> প্রতারণা মানুষকে জাহান্নামের পথে ঠেলে দেয়, নিক্ষেপ করে তার ভয়াবহ ও স্থায়ী আগুনে।
>> ধোকা বা প্রতারণা ব্যক্তির আত্মিক নিচুতা ও মানসিক কলংকের পরিচায় বহন করে। সুতরাং চরম নিচু মানসিকতার লোকই কেবল তা করে থাকে এবং স্থায়ী ধ্বংসে পতিত হয়।
>> ধোঁকা বা প্রতারণামূলক কাজ বান্দাকে আল্লাহ ও মানুষ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
>> ধোঁকা বা প্রতারণা বান্দার দোয়া কবুলের পথে প্রতিবন্ধক।
>> ধোঁকা বা প্রতারণায় বান্দার হায়াত এবং সম্পদের বরকত নষ্ট করে দেয়।
>> ধোঁকা বা প্রতারণায় মানুষের ঈমান দুর্বল হয়ে যায়।
যেখানে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতারক ব্যক্তিকে তার উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। একজন মুমিন বান্দার জন্য এর চেয়ে বড় ক্ষতিকর বিষয় আর কী হতে পারে?
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রতারণামূলক কিংবা ধোঁকা সম্পর্কিত যে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Thursday, May 4, 2023

Bromelain বেনিফিট

 এটা পাবো আনারসে

Bromelain is promoted as a dietary supplement for reducing pain and swelling, especially of the nose and sinuses, gums, and other body parts after surgery or injury. It is also promoted for osteoarthritis, cancer, digestive problems, and muscle soreness. Topical bromelain is promoted for burns.

Bromelain is found in the fruit, skin and sweet juice of the pineapple plant and has been used for centuries by the indigenous people of Central and South America as a natural treatment for a number of ailments. You can get papain and bromelain by eating raw papaya and pineapple, respectively.

Bromelain is a Proteolytic enzyme. Trypsin and Chymotrypsin are also proteolytic enzyme derived from animal sources.

Bromelain should not be used by people who are allergic to pineapple or to other substances that may elicit an allergic reaction in those allergic to pineapple.

Ref. 

Google

Self-study



জ্বরের সময় কি কি ফল খেতে পারি আমরা?

 Which fruits are better in fever?

When you have a fever, your body is fighting off an infection, and it needs the right nutrients to help it do its job. One of the best ways to support your immune system during a fever is to eat fresh fruits that are high in vitamins and antioxidants. Here are some types of fruits that are better when you have a fever:

1. Citrus Fruits টক ফল

Citrus fruits like oranges, lemons, and grapefruits are high in vitamin C, which is an essential nutrient for a strong immune system. Vitamin C helps the body produce white blood cells, which fight off infection. Additionally, citrus fruits are high in water content, which can help keep you hydrated during a fever.

2. Pineapple আনারস

Pineapple is a tropical fruit that is rich in bromelain, an enzyme that has anti-inflammatory properties. When you have a fever, your body may produce inflammation as it fights off infection, and pineapple can help reduce this inflammation. Pineapple also contains vitamin C and other antioxidants that support the immune system.

3. Bananas কলা

Bananas are a great source of potassium, which is an essential mineral that helps regulate fluid balance in the body. When you have a fever, your body may lose fluids through sweating, and eating bananas can help replenish these lost fluids. Bananas are also easy to digest, which can be beneficial when you are feeling unwell.

4. Berries জাম

Berries like strawberries, blueberries, raspberries, and blackberries are high in antioxidants, which can help support the immune system during a fever. Berries are also low in sugar and high in fiber, which can help regulate blood sugar levels and promote healthy digestion.

5. Apples আপেল

Apples are a good source of vitamin C and other antioxidants, which can help support the immune system during a fever. Additionally, apples contain soluble fiber, which can help regulate blood sugar levels and promote healthy digestion.

6. Watermelon তরমুজ

Watermelon is a fruit that is high in water content, making it a great choice when you have a fever and need to stay hydrated. It also contains vitamins A and C, as well as potassium and magnesium, which can help support the immune system.

7. Kiwi কিউয়ি

Kiwi is a fruit that is high in vitamin C and antioxidants, which can help support the immune system. It also contains fiber, which can promote healthy digestion. Additionally, kiwi is a low-sugar fruit, making it a good choice for those who need to regulate their blood sugar levels.

In conclusion, eating fresh fruits that are high in vitamins and antioxidants can help support your immune system during a fever. Citrus fruits, pineapple, bananas, berries, apples, watermelon, and kiwi are all great choices to help you stay hydrated and nourished while your body fights off an infection. Remember to stay hydrated by drinking plenty of fluids, and talk to your healthcare provider if you have any concerns about your symptoms or overall health.

References:

1. https://www.quora.com/profile/Weights-Loss-Diet

2. Self-study

‘কথা বলাটা যদি রুপা, ‘চুপ থাকাটা স্বর্ণ

 ১. চুপ থাকা পরিশ্রমহীন ইবাদত


২. মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার সাথেই রয়েছে।’ (সূরা কাফ, আয়াত-১৮)

৩. অনিয়ন্ত্রিত লাগামহীন কথাবার্তা ঝগড়াঝাটির কারণ।

৪. যে চুপ থাকে সে নাজাত পায়।’ (তিরমিজি)

৫. যে নিরাপদ থাকতে চায়, তার চুপ থাকাটা আবশ্যক।’ (মুসনাদে আবি ইয়ালা)

৬. যে ব্যক্তি আল্লাহ শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।’ (বুখারি-৬০১৮, মুসলিম-১৮২)

৭. যে আল্লাহ আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান এনেছে, সে যেন উত্তম কথা বলে না হয় চুপ থাকে।’ (সহিহ বুখারি মুসলিম)

৮. অহেতুক অনর্থক কথাবার্তার মাধ্যমে মানুষ শুধু নিজের ক্ষতি সাধন করে না; বরং অন্যের ক্ষতিও করে, অন্যকেও কষ্ট দেয়। এগুলো পাপের কারণ।

৯. দুনিয়া আখিরাতের প্রভূত কল্যাণের কথা ভেবে ইসলাম মানুষকে চুপ থাকার প্রতি উৎসাহিত করেছে। তা ছাড়া সব মানুষ অহেতুক অনর্থক কথাবার্তা শুনতে পছন্দ করে না। এসবের মধ্যে মিথ্যাচার, গিবত, সন্দেহ অযাচিত পরনিন্দা থাকে। এর সবই কবিরা গুনাহ।