কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত!
Every soul will taste death
আল কুরআন ২৯:৫৭
“চিনিস আমারে?” বলে গত ১০০ বছর আগে যারা বাজার আর রাস্তা গরম করতো, তারা
আজ একাকী শুয়ে আছে কবরে। আজ তাদের সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মতও কেউ নেই। আসলেই
তাদের কেউ চেনে না আর। গোরস্থানের সারি সারি কবরের মাঝে তার কবর কোনটা? খুঁজে
বের করতে পারে না তার বংশধরেরাও। অথচ তাদের নাম শুনলে একসময় থরথর করে কাপতো মানুষ।
তাদের কবরের উপর দিয়েই আজ শিয়াল কুকুর হেঁটে যায়,
পেশাবও করে।
খাটের এক কোনে শুয়ে থাকা প্য্যরালাইজড লিকলিকে বৃদ্ধ
মানুষটিও একদিন কথায় কথায় “দেখে নেয়ার”
হুমকি দিতো। অথচ মরণ
বিছানায় আজ তাকেই দেখার কেউ নেই। সন্তানেরাও তার খোঁজ নেয় না।
মানুষ ভুলে যায় তার অতীত, ভুলে যায় ভবিষ্যত। এটাই
নিয়ম।
তারপরও মানুষের কতো ক্ষমতার দাপট?
মৃত্যুতে সব ধুয়ে মুছে বিলীন হয়ে যায়।
মৃত্যুর স্বাদ একদিন সবাইকে গ্রহণ করতে হবে এটা নির্ভুল ও তর্কাতীত সত্য!
(প্রাণের কথা ভেবো না৷ এ তো কখনো না কখনো চলে যাবেই৷ চিরকাল থাকার জন্য কেউই দুনিয়ায় আসেনি৷ কাজেই এ দুনিয়ায় কিভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে চলতে হবে এটা তোমাদের জন্য কোন চিন্তাযোগ্য বিষয় নয়৷ বরং আসল চিন্তাযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ঈমান কেমন করে বাঁচানো যাবে এবং আল্লাহর আনুগত্যের দাবী কিভাবে পূরণ করা যাবে৷ শেষ পর্যন্ত তোমাদের ফিরে আমার দিকে আসতে হবে৷ যদি দুনিয়ায় প্রাণ বাঁচাবার জন্য ঈমান হারিয়ে চলে আসো তাহলে এর ফল হবে ভিন্ন কিছু৷ আর ঈমান বাঁচাবার জন্য যদি প্রাণ হারিয়ে চলে আসো তাহলে এর পরিণাম হবে অন্য রকম৷ কাজেই আমার কাছে যখন ফিরে আসবে তখন কি নিয়ে ফিরে আসবে, কেবল একথাটিই চিন্তা করো৷ প্রাণের জন্য উতসর্গীত ঈমান, না ঈমানের জন্য উতসর্গীত প্রাণ নিয়ে?)
মৃত্যু নিয়ে রাফি সাহেবের একটা সুন্দর “গান” আছে।
গানের কথাগুলা যদি বুঝতে পারো তবে মৃত্যর স্বরূপ উন্মেচিত হবে তোমার কাছে।
No comments:
Post a Comment