Thursday, February 22, 2024

Never from Now

 1. Never neglect your health.

2. Never get married for sex.
3. Never quit your dreams.
4. Never spend more than you earn.
5. Never ignore your parents.
6. Never be pessimistic.
7. Never forget who helped you in tough times.
8. Never please people.
9. Never put work over family.
10. Never let anyone control your life.
11. Never spend a day without a to-do list.
12. Never repeat a mistake.
13. Never discuss your secrets with anyone.
14. Never spend money spontaneously.
15. Never hesitate to ask.
16. Never text anyone back to back.
17. Never idealize celebrities.
18. Never remain friends with your Ex.
19. Never have high-interest debt.
20. NEVER GIVE UP.
Source: Spark logy

শিমের বিচি

 শীতের অন্যতম অনুষঙ্গ শিমের বিচি। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ডাকে ‘খাইসসা’ নামে। এই অঞ্চলের মানুষের খুবই প্রিয় খাবার শিমের বিচি। নানা ধরনের মাছের সঙ্গে তো খায়ই, শুঁটকির সঙ্গেও তাদের খুবই প্রিয়।

যাঁরা এই দুর্মূল্যের বাজারে গরুর মাংস কিনতে পারেন না বলে আফসোস করেন; তাঁদের বলছি, ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে যে পরিমাণ অর্থাৎ ২২.৬ গ্রাম প্রোটিন আছে, একই পরিমাণ শিমের বিচিতে তা আছে ২৪.৯ গ্রাম। অথচ আমাদের দেশে অনেকে প্রোটিনের অভাবজনিত রোগে ভোগেন। যেমনঃ
● বাড়ন্ত বয়সে প্রোটিনের অভাবে দেহ সুগঠিত হয় না অর্থাৎ উচ্চতা কম হয়, দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
● দেহের ক্ষয়পূরণ হয় না।
● হাড়ের গঠন মজবুত হয় না। ফলে কর্মক্ষমতা কমে যায়।
● হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায় এবং দেহ দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রোটিনের অভাবে কোয়াশিয়রকর নামে একধরনের রোগ হয়। এ রোগে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। শরীরের ওজন কমে যায়, পানি জমে। হাত-পা শুকিয়ে যায়, পেট বড় হয়ে যায়। বাড়ন্ত ছেলেমেয়েদের স্মরণশক্তি কমে যায় এবং পড়াশোনা ও খেলাধুলায় আগ্রহ থাকে না। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক শিশু প্রোটিনের অভাবে ভুগছে। অনেক দামি খাবারে নয়, কম দামি খাবারেও অনেক পুষ্টি আছে, যা শিমের বিচির পুষ্টিগুণ দেখেই বোঝা যায়।
যাঁরা নিরামিষভোজী, মাছ বা মাংস, ডিম, দুধ ধর্মীয় কারণে খেতে চান না, তাঁদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে এই শিমের বিচি। ভেজিটেবল প্রোটিনে ভরা এই খাবার শরীরে প্রোটিনের দরকার এমন সব মাংসপেশিকে যথাযথ প্রোটিনের জোগান দেয়।
এ ছাড়া শিমের বিচিতে আছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে শক্ত করে। বয়স বাড়লে যে কেউ অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারে। নারীদের আক্রান্তের হার বেশি। এ ক্ষেত্রে শিমের বিচি খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
শিমের বিচিতে আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য ভীষণ উপকারী, দুধ বাড়ে। যাঁদের ওজন বেশি, তাঁদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
বর্তমানে ক্যানসারের প্রকোপ বিশ্বব্যাপী আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। আর শিমের বিচিতে আছে আট ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা প্রতিকার করতে না পারলেও ক্যানসার সেলের প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। হার্টের সুরক্ষায় বেশ কার্যকর এই শিম বিচি।
নিষেধ যাঁদের জন্য
● যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে।
● যাঁদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেশি।
● যাঁদের পিত্তথলিতে পাথর আছে।
ধার: হাসিনা আকতার লিপি কনসালট্যান্ট, ল্যাবএইড ও পার্কভিউ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড, চট্টগ্রাম

মহানবী (সা.) স্ত্রীর আবেগ-অনুভূতির প্রতি লক্ষ্য রাখতেন

 দাম্পত্য জীবনের অনুপম আদর্শ রেখে গেছেন আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ জন্য তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম হলো সে, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে উত্তম। তোমাদের এ সঙ্গী (অর্থাৎ আমি) যখন মারা যাবে, তার জন্য তোমরা দূ‘আ করবে। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৮৯৫)

প্রিয় নবীজি (সা.) তাঁর স্ত্রীদের ছোট ছোট বিষয়ও ভালোভাবে পরখ করতেন। যেগুলো আমাদের কল্পনায় আসে না, সেসব বিষয় তিনি বাস্তবায়ন করে আমাদের জন্য নজির রেখে গেছেন। কোন জিনিস স্ত্রীদের পছন্দ আর কোন জিনিস অপছন্দ, কোন জিনিসে স্ত্রী সন্তুষ্ট হতেন, আর কিসে অসন্তুষ্ট হতেন, সেসব বিষয়ে তিনি খুব ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতেন। আমাদের প্রিয় নবীর দাম্পত্য জীবনের চেয়ে সুন্দর আদর্শ পৃথিবীতে আর কেউ দেখাতে পারবে না। প্রিয় নবী (সা.) নিজ স্ত্রীর আবেগের মূল্যায়ন করতেন।
একদিন প্রিয় নবী (সা.) আয়েশা (রা.)-কে বলেন, তুমি কখন আমার প্রতি সন্তুষ্ট থাকো আর কখন অসন্তুষ্ট থাকো তা আমি ভালো করে জানি। বর্ণনাটি সহিহ বুখারিতে এসেছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেন, আমি জানি কখন তুমি আমার প্রতি খুশি থাকো এবং কখন রাগান্বিত হও। আমি বললাম, কী করে আপনি তা বুঝতে সক্ষম হন? তিনি বলেন, তুমি সন্তুষ্ট থাকলে বলো না! মুহাম্মদ (সা.)-এর রবের কসম! কিন্তু তুমি আমার প্রতি নারাজ বা রাগান্বিত থাকলে বলো না! ইবরাহিম (আ.)-এর রবের কসম! শুনে আমি বললাম, আপনি ঠিকই বলেছেন। আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসুল! সে ক্ষেত্রে শুধু আপনার নাম উচ্চারণ করা থেকেই বিরত থাকি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫২২৮)
নবীজি (সা.)-এর এত ব্যস্ততা, এত দায়িত্ব থাকার পরও স্ত্রীদের অধিকার, তাদের ছোট ছোট আবেগ-অনুভূতি কী পরিমাণ সযত্নে লক্ষ্য করতেন, তা এই হাদিস থেকে অনুমেয়। আর আয়েশা (রা.)-এর এমন আচরণের কারণে বা এভাবে রাসুলের নাম না নেওয়ার কারণে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিন্দুমাত্র বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেননি। যিনি দোজাহানের সর্দার, যাঁকে সব কিছুর নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর এমন আচরণ—এভাবে তিনি বিষয়টি ভাবেননি। অথচ তিনি কোনো সাধারণ মানুষ ছিলেন না। এর পরও তিনি তাঁর স্ত্রীদের ভালো-মন্দের প্রতি পূর্ণভাবেই লক্ষ রাখতেন। অথচ আমরা একটু সামান্য ব্যস্ততা কিংবা কোনো অজুহাতে স্ত্রীদের বড় বড় অধিকার হরণ করে থাকি, তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। অথচ আমার নবীজি বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শ আদৌ এ রকম নয়।
স্ত্রীকে সান্ত্বনা
আনাস (রা.) বলেন, সাফিয়্যা (রা.)-এর কানে পৌঁছে যে হাফসা (রা.) তাঁকে ইহুদির মেয়ে বলে ঠাট্টা করেছেন। তাই তিনি কাঁদছিলেন। তাঁর ক্রন্দনরত অবস্থায় নবী (সা.) তাঁর ঘরে প্রবেশ করেন। তিনি বলেন, কী কারণে তুমি কাঁদছ? তিনি বলেন, হাফসা আমাকে ইহুদির মেয়ে বলে তিরস্কার করেছেন। নবী (সা.) বলেন, অবশ্যই তুমি একজন নবীর কন্যা, তোমার চাচা অবশ্যই একজন নবী এবং তুমি একজন নবীর সহধর্মিণী। অতএব কিভাবে হাফসা তোমার ওপরে অহংকার করতে পারে? তারপর তিনি বলেন, হে হাফসা! আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৮৯৪)
- সূত্র: জাওয়াদ তাহের

অপমান ছাড়াও মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায়

হঠাৎ এক‌দিন রাস্তায় এক বৃ‌দ্ধের সা‌থে এক যুব‌কের দেখা। যুবক একটু আগ বা‌ড়ি‌য়ে গি‌য়ে স‌ম্বোধন ক‌রে বৃদ্ধ‌কে জিজ্ঞাসা কর‌লেন, স্যার আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন ? উত্ত‌রে বৃদ্ধ লোক‌ বল‌লেন না ! আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। অতপর বৃদ্ধ লোক জান‌তে চাই‌লেন তুমি কে?

তারপর যুবক‌ বল‌লো যে আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম। ও আচ্ছা! ব‌লে সেই বৃদ্ধ লোক‌ যুব‌কের কা‌ছে কুশলা‌দি জানার পর জিজ্ঞাসা কর‌লেন এখন তু‌মি কি কর‌ছো? যুবক‌ অত‌্যন্ত বিন‌য়ের সা‌থে উত্ত‌রে বল‌লো আমি একজন শিক্ষক। বর্তমা‌নে শিক্ষকতা কর‌ছি।
সা‌বেক ছা‌ত্রের মুখ থে‌কে এই কথা শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষ‌ক অত‌্যন্ত খু‌শি হ‌য়ে বললেন "আহা, কতই না ভালো, আমার মতো হ‌য়ে‌ছো তাহ‌লে?"
হ্যাঁ ঠিক! আসলে আমি আপনার মত একজন শিক্ষক হতে পে‌রে‌ছি ব‌লে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে কর‌ছি। তখন সেই যুবক এর পিছ‌নের কারণ বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে বল‌লো আপনি আমাকে আপনার মতো হতে অনুপ্রাণিত হ‌তে উদ্ধুদ্ধ করেছেন।
বৃদ্ধ শিক্ষক কিছুটা কৌতূহল দৃ‌ষ্টি নি‌য়ে যুবকের কা‌ছে শিক্ষক হবার পিছ‌নের কারণ জান‌তে জান‌তে চাই‌লে, সেই যুবক‌ তার শিক্ষক হ‌য়ে উঠার গল্প বল‌তে গি‌য়ে
বৃদ্ধ শিক্ষক‌কে ষ্মরণ ক‌রে দি‌লো স্কু‌লে ঘ‌টে যাওয়া সেই ঘটনা। সে দি‌নের ঘটনা বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে যুবক‌ তখন বৃদ্ধ শিক্ষ‌ককে উ‌দ্দেশ‌্য ক‌রে বল‌লো;
ম‌নে আছে স্যার,
একদিন আমার এক সহপা‌ঠি বন্ধু ‌যে আপনারও ছাত্র ছিল, সে একটি নতুন ঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘা‌ড়ি‌টি এতটাই সুন্দর ছিল যে আমি লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঘ‌ড়ি‌টি আমার চাই। অতঃপর আমি তার প‌কেট থে‌কে ঘ‌ড়িটা চুরি করি।
কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং অবিলম্বে আমাদের স্যার অর্থাৎ আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার এই অ‌ভি‌যোগ শু‌নে আপনি ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন, ‘আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে। যে চুরি করেছো, দয়া করে ঘা‌ড়ি‌টি ফিরিয়ে দাও।
হ্যাঁ, আপনার বার্তা শু‌নেও আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দেইনি কারণ এ‌টি আমার কা‌ছে খুব লোভনীয় ছিল। তারপর দরজা বন্ধ করে আপনি সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে দাঁড়ি‌য়ে ক্লাসরু‌মের ফ্লো‌রের ম‌ধ্যে একটি গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে বললেন। এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ কর‌তে নি‌র্দেশ দি‌লেন। এরপর ঘড়ি না পাওয়া পর্যন্ত আপনি এক এক করে আমাদের সবার পকেট খুঁজ‌তে লাগ‌লেন।
আমরা সবাই আপনার নির্দেশ মতো দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম।
আপনি এক এক ক‌রে পকেট চেক ক‌রে একটা সময় আপনি যখন আমার পকেটে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন তখন ভ‌য়ে আমার সমস্ত শরীর কাঁপ‌ছিল। কিন্তুু সেই মুহূ‌র্তে ঘা‌ড়ি‌টি আমার প‌কে‌টে পাবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং শেষ ছাত্র পর্যন্ত সবার প‌কেট চেক কর‌ছি‌লেন। সব‌শে‌ষে আপ‌নি সবাই‌কে বললেন ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে। এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো। ঘ‌ড়ি‌টি পাবার পর আমার সেই বন্ধু‌টি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌কিন্তু আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ।
সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সে কাজের জন্য আপনি আমাকে তিরস্কারও করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপ‌নি আমাকে স্কু‌লের কো‌নো কামরায় নিয়ে যাননি। সেই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন। অথচ আপ‌নি খুবই বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে, কৌশল অবলম্বন ক‌রে চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন এবং আমার মর্যাদা চিরতরে রক্ষা করলেন।
সে ঘটনার পর আমি অ‌নেক‌দিন অনু‌শোচনায় ভোগে‌ছি। ক্লা‌সে ঘ‌টে যাওয়া ঘটনার রেশ সে দিন চ‌লে গে‌লেও এর প্রভাব র‌য়ে যায় আমার ম‌নের ম‌ধ্যে। বি‌বে‌কের যু‌দ্ধে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই সব অ‌নৈ‌তিক কাজ আর কখ‌নো করব না। একজন ভা‌লো মানুষ হ‌বো। একজন শিক্ষক হ‌বো। স‌ত্যিকার অ‌র্থে মানুষ গড়ার কা‌রিগর হ‌বো। আপনার কাছ থে‌কে সে দিন আমি স্পষ্টভাবে বার্তা পেয়েছিলাম প্রকৃতপ‌ক্ষে কি ধর‌ণের একজন শিক্ষা‌বি‌দ হওয়া উ‌চিত। অপমান ছাড়াও মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায় সে‌টি আপনার কাছ থে‌কে শি‌খে‌ছি। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে শিক্ষ‌কের মর্যাদায় আসীন ক‌রে‌ছে।
সা‌বেক ছা‌ত্রের কথাগু‌লো শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষক বল‌লেন হ্যাঁ, সেই ঘটনা আমার ম‌নে আছে। চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি আমি সবার পকেটে খুঁজেছিলাম। কিন্তু আমি তোমাকে মনে রাখিনি, কারণ সে সময় আমার চোখও বন্ধ ছিল।


ঘন ঘন মন খারাপ হলে

 ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, ‘ডোন্ট সোয়েট দ্য স্মল স্টাফ।’ বাংলা যার অর্থ, ‘ছোট জিনিসে ঘামলে চলবে না।’ অনেকের ক্ষেত্রে এ বাক্য মেনে চলা হয়তো কঠিন। তবে সনদধারী মার্কিন বিয়ে ও পরিবার–সংক্রান্ত থেরাপিস্ট নিকোল এম রেইনস বলেন, ‘মাঝেমধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মন খারাপ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। গত কয়েক বছরের অনিশ্চয়তা ও দুঃখ–কষ্টের প্রভাব হিসেবে আমাদের মনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, ফলে ছোটখাটো কারণে মন খারাপ হয়।’

সবারই একটা সময় আসে, যখন মন খুব খারাপ থাকে, আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু এই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়া ঘন ঘন হচ্ছে কি না, তা খেয়াল করা প্রয়োজন। আরেক মার্কিন বিয়ে ও পরিবার–সংক্রান্ত থেরাপিস্ট বেকি স্টুমফিগ বলেন, ‘যদি দেখেন যে আপনি খুব সহজেই ছোটখাটো বিষয়ে মন খারাপ করছেন, তাহলে বুঝে নিন, আপনার মধ্যে কোনো অন্তর্নিহিত মানসিক চাপ আছে।’
মানসিক সহ্যশক্তির এই স্বল্পতার পেছনে কয়েকটি কারণ আছে বলে মনে করেন স্টুমফিগ। কারণগুলো হলো সম্পর্কের টানাপোড়েন, আর্থিক অসচ্ছলতা, খাদ্যের অনিশ্চয়তা, অতীতের কোনো মানসিক আঘাত, বেদনা, হতাশা, বিষণ্নতা, ঘুমের সমস্যা, সঙ্গহীনতা ইত্যাদি। স্টুমফিগ বলেন, কোনো চাহিদা ঠিকমতো পূরণ না হওয়ার ঘটনা এ মানসিক যন্ত্রণার অন্যতম কারণ হতে পারে।
এখন এই ছোটখাটো বিষয়ে ঘন ঘন মন খারাপ হলে কী করবেন? জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—
আপনার সঙ্গে কী ঘটছে, তা খেয়াল রাখুন
আপনার সঙ্গে আদতে কী কী ঘটছে, তা জানতে কৌতূহলী হন। কখনো কখনো খারাপ কিছু ঘটার ভয় থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আপনার ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতির মাত্রা, কত সময় পর পর তা অনুভূত হয় এবং ব্যাপ্তি—এসব বিষয় খেয়াল রাখুন। আপনার মনে যদি পুরোনো কোনো স্মৃতি প্রায়ই জেগে ওঠে, তাহলে বুঝে নেবেন ছোটখাটো বিষয়ে মন খারাপ হওয়ার পেছনে এর হাত আছে। অর্থাৎ আপনার সঙ্গে কী ঘটছে, তা নির্ণয় করে আপনি এর পেছনের কারণটি জানতে পারবেন। বর্তমানে যা ঘটছে, তা আদতে বড় কোনো সমস্যা নয়, হঠাৎ মন খারাপ হওয়ার পেছনে আছে কোনো বিশেষ কারণ।
নিজেকে সময় দিন
যখন সামান্য কারণে মন খারাপ হতে শুরু করবে, তখন শুরুতেই প্রতিক্রিয়াটা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া তা যেন না ঘটে সে জন্যও কিছু করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, তখন একটা বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। হতাশাজনক পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে এসে কিছুটা শান্ত, নির্জন জায়গায় গিয়ে আগে নিজেকে ঠান্ডা করুন। এর উদ্দেশ্য হলো, এসব পরিস্থিতিতে আপনার প্রতিক্রিয়া যেন খুব খারাপ কিছুর দিকে না গড়ায়।
নিজেকে শান্ত করার উপায় অবলম্বন করুন
ছোটখাটো বিষয়ে মন খারাপ হওয়া যদি নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে নিজেকে শান্ত করার কিছু উপায় অবম্বন করতে হবে। মেডিটেশন ও গভীর শ্বাস নেওয়ার মতো ব্যায়ামের চর্চা করলে স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয়। আমরা কী শুনছি, খাচ্ছি, স্বাদ নিচ্ছি এ রকম স্নায়বিক ঘটনাবলি অতীত বা ভবিষ্যতের নানা ঘটনা নিয়ে চিন্তা করার সময় কমিয়ে দিয়ে আমাদের যন্ত্রণা দূর করতে পারে। যোগব্যায়াম, ছবি আঁকা বা বাগান করার মতো এ রকম অনেক কিছু আছে, যেসবের চর্চা করতে পারেন। সুগন্ধির ঘ্রাণ নেওয়াও হতে পারে ভালো সমাধান।
প্রিয় মানুষদের কাছে থাকুন
ভেতরের আবেগ যখন খারাপভাবে বের হয়ে আসতে চায়, তখন অন্যের সাহায্য খোঁজা একটা ভালো উপায় হতে পারে। আপনার ভেতরে কী অনুভূত হচ্ছে, তা একজন বন্ধুর কাছে বলতে পারেন। আবেগ যদি খুব প্রভাবশালী হয় এবং তা যদি আপনার আচরণকে পরিবর্তন করে ফেলে, তাহলে প্রিয় মানুষের কাছাকাছি থাকুন। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কথা বললে এ সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। মোট কথা, এ ধরনের সমস্যার অন্যতম কারণ যোগাযোগের ঘাটতি এবং নিজের আবেগ অনুভূতিকে প্রকাশ করতে পারার অক্ষমতা। তাই ছোটখাটো বিষয়ে মন খারাপ করার সমস্যা এড়াতে যতটা সম্ভব প্রিয় মানুষদের সঙ্গে থাকুন।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
অনেক সময় এ ধরনের আচরণের পেছনে কয়েক ধরনের কারণ থাকে। যেমন অতীতের কোনো অমীমাংসিত মানসিক ট্রমা, বিষণ্নতা, উদ্বেগ আপনার মানসিক অবস্থা পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। বিশেষজ্ঞ আপনাকে বলতে পারবেন, ঠিক কী কারণে আপনি ছোটখাটো বিষয়ে সহজেই মন খারাপ করে ফেলেন। অনেক সময় মনে হতে পারে, আপনার মধ্যে তেমন মারাত্মক কোনো মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ইস্যু নেই। তবুও একজন থেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হাফিংটন পোস্ট

চোখের হিফাজত কেন জরুরী?

 চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন

يَعْلَمُ خَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ

সূরা মুমিন আয়াত ১৯


চোখের নিষিদ্ধ ব্যবহার ইহকালীন ও পরকালীন ক্ষতির কারণ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, চোখের জিনা হলো দেখা, জিহ্বার জিনা হলো কথা বলা আর কুপ্রবৃত্তি কামনা ও লালসা সৃষ্টি করে এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য অথবা মিথ্যা প্রমাণ করে। (বুখারি, হাদিস : ৬২৪৩)

‘কথা বলাকে জিনা বলার কারণ এই যে দুটিই প্রকৃত জিনার ভূমিকা—জিনার মূল কাজের পূর্ববর্তী স্তর। কেননা দৃষ্টি হচ্ছে মনের গোপন জগতের উদ্বোধক। জিহ্বা হচ্ছে বাণীবাহক। আর যৌনাঙ্গ হচ্ছে বাস্তবায়নের হাতিয়ার—সত্য প্রমাণকারী।’ (মাআলিমুস সুনান : ৩/২২৩)
এ জন্যই কুরআন ও হাদিসে দৃষ্টি নত করে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একদা নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো : পরস্ত্রীর প্রতি আকস্মিক দৃষ্টি পড়া সম্পর্কে আপনার কী বিধান? তিনি বলেন, তোমার চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। (আবু দাউদ, হাদিস : ২১৪৮)
দৃষ্টি হেফাজতের ফলে মহা বিজয়
চোখের সঠিক ব্যবহারের সুফল মেলে দুনিয়াতেই। আবু উবায়দা ইবনে জাররাহ (রা.) একবার সাহাবিদের নিয়ে অমুসলিমদের দুর্গে হামলা করলেন। দুর্গ অবরোধ করে রাখলেন। অবরোধ দীর্ঘ হয়ে গেল। বিজয় হচ্ছিল না। যখন অমুসলিমরা দেখল, মুসলমানরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে দুর্গ অবরোধ করে রেখেছে তখন তারা একটি ষড়যন্ত্র করল যে, আমরা মুসলমানদের বলব—আমরা দুর্গের দরজা তোমাদের জন্য খুলে দিচ্ছি। তোমরা শহরে প্রবেশ করো। ষড়যন্ত্র হলো, শহরের দরজা যেদিক দিয়ে খুলছিল, সেদিকে লম্বা বাজার ছিল, যার দুই পাশে দোকান ছিল। সেই বাজার শাহি মহলে গিয়ে শেষ হয়েছিল।
তারা বাজারের দুই পাশে সুন্দরী নারীদের সাজিয়ে প্রতিটি দোকানে একজন একজন বসিয়ে দিল। তাদের বলে দিল, যদি মুজাহিদরা তোমাদের সঙ্গে কোনো কিছু করতে চায় তাহলে তোমরা অস্বীকৃতি জানাবে না। যেহেতু তাঁরা কয়েক মাস ধরে নিজ বাড়ি থেকে দূরে। ভেতরে প্রবেশের পর হঠাৎ যখন সুদর্শন এবং সুসজ্জিত নারী দেখবে, তখন তাঁরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে, তাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে। আর আমরা পেছন দিক থেকে আক্রমণ করব।
তাঁদের যখন এ প্রস্তাব দেওয়া হলো, তখন আবু উদায়বা ইবনে জাররাহ (রা.) ভাবলেন, এতক্ষণ পর্যন্ত এ লোকগুলো মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত ছিল। দরজা খুলছিল না। এখন হঠাৎ কী হলো যে তারা দরজা খোলার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল এবং সৈন্যদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে দিল! এতে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে।
সুতরাং তিনি সৈন্যবাহিনীকে একত্র করে বয়ান দিলেন। বললেন, মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা। তারা হাতিয়ার নামিয়ে ফেলেছে। আমাদের প্রবেশের জন্য আহবান জানাচ্ছে। আপনারা অবশ্যই প্রবেশ করবেন। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে কুরআনে কারিমের একটি আয়াত তিলাওয়াত করছি। আপনারা এ আয়াত পড়তে পড়তে এবং এর ওপর আমল করতে করতে প্রবেশ করবেন। সে সময় তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন, ‘কুল লিল-মুমিনা ইয়াগুদ্দু মিন আবছারিহিম ওয়া ইয়াহফাজু ফুজুরাহুম, জালিকা আজকা লাহুম’ অর্থাৎ মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩০)
সুতরাং তাঁরা দুর্গে এভাবে প্রবেশ করলেন যে তাঁদের দৃষ্টি ছিল নিচু। তাঁরা পুরো বাজার অতিক্রম করলেন। শাহি মহল পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন। কেউ ডানে-বাঁয়ে চোখ উঠিয়ে দেখলেন না যে কী ফিতনা ওই দোকানগুলোতে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। শুধু তাঁদের এ দৃশ্য দেখে অগণিত শহরবাসী মুসলমান হয়ে গেলেন, সুবহানাল্লাহ! (ইসলাহি খুতুবাত : ১৫/৯৮)
সূত্র: মুফতি মুহাম্মাদ ইসমাঈল

PICA পিকা

 posterior cerebellar artery syndrome

an eating disorder
The term pica originates in the Latin word for magpie, Pīca, a bird famed for its unusual eating behaviors and believed to eat almost anything.

Pica was first used as a term for a perverted craving for substances unfit to be used as food by Ambrose Paré (1509-1590). Pica is the medieval Latin name for the bird called the magpie, who, it is claimed, has a penchant for eating almost anything. When we say a child is suffering from pica, we are really calling him a magpie.1 Furthermore the French form of pica is pie. The word piebald, which is often used in relation to Waardenburg's syndrome, is compounded from pie, a magpie, and bald, from the Welsh word meaning a white streak on the forehead.2 Since the magpie is also black and white, the word piebald to describe the forelock of white hair surrounded by the patient's normal darker colored hair is based on solid etymologic evidence.

হঠাত চক, মাটি কিংবা কাগজ খাওয়ার ইচ্ছা কি আদৌ কোনও রোগের ইঙ্গিত দেয়?
চক, মাটি, ধুলো, পেনসিলের শিস, চুল, সাবান, কাগজের মতো কিছু জিনিস, যা মানুষের খাবার হিসাবে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়, তেমন জিনিস খাওয়ার প্রবণতাও একটি রোগ।
‘স্কিতজ়োফ্রেনিয়া’ বা ‘ওসিডি’ থাকলেও এমন সব জিনিস খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
এমনিতে আপাত ভাবে কোনও রোগ নেই। দেখলে বোঝাও যায় না যে সুস্থ অবস্থায় কোনও মানুষ খাবার নয়, এমন কোনও জিনিস খেতে পারেন। চিকিতসকদের মতে, এই রোগ বেশি দেখা যায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে। কী হয় তাতে? মাটি, চক, ছেঁড়া কাগজ— খাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই রকম সমস্যা দেখা দিলে সাধারণ রক্তে আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখতে পরামর্শ দেন চিকিতসকরা। চিকিতসা পরিভাষায় এই রোগকে বলা হয় ‘পিকা’।
‘পিকা’ কী?
চক, মাটি, ধুলো, পেনসিলের শিস, চুল, সাবান, কাগজের মতো কিছু জিনিস, যা মানুষের খাবার হিসাবে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়, তেমন খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করাই ‘পিকা’-র লক্ষণ।
এমন রোগ কেন হয়?
চিকিতসকদের মতে, এই রোগের জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। তবে আয়রন ছাড়াও জ়িঙ্ক বা অন্যান্য খনিজের ঘাটতি থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে। কারও মানসিক সমস্যা বা ‘স্কিতজ়োফ্রেনিয়া’ বা ‘ওসিডি’ থাকলেও এমন সব জিনিস খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
‘পিকা’-র মতো রোগ দীর্ঘ দিন ধরে থাকলে তা পেটের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে।
এই রোগের চিকিতসা কী?
‘পিকা’-র সমস্যা যেহেতু মানসিক, তাই তা সারানোর নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। তবে কারও যদি মাটি, চক, ধুলো, সাবানের মতো কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিতসকের পরামর্শ নিতে হবে। ‘পিকা’-র মতো রোগ দীর্ঘ দিন ধরে থাকলে তা পেটের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। ওষুধের পরিবর্তে আয়রন এবং জ়িঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
-anandabazar

Saturday, February 3, 2024

ভেজানো কাঠ বাদাম

 আগের রাতে কাঠবাদাম ভেজাতে ভুলে গিয়েছেন। ঘুম থেকে উঠে সে কথা মনে পড়তেই চট করে একটি পাত্রে কল থেকে জল নিয়ে একমুঠো বাদাম ভিজিয়ে দিলেন। কারণ, এই বাদাম বেশ শক্ত। শুকনো বাদাম খেতে দাঁতেরও খুব কষ্ট হয়। তা ছাড়়া পুষ্টিবিদ, স্বাস্থ্য সচেতন থেকে নেটপ্রভাবী— সকলেই তো কাঠবাদাম ভিজিয়েই খেতে বলেন। তবে কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে বাদাম শুধু ভেজালেই হবে না। সকালে ভেজানো বাদাম আধ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়। কিন্তু তার পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে চাইলে আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।

বাদাম ভিজিয়ে রাখতে হয় কেন?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বাদামের মধ্যে যে ধরনের উৎসেচক রয়েছে সেগুলি সক্রিয় করতে ভিজিয়ে রাখা জরুরি। বাদামের খোসায় রয়েছে ফ্যাটিক অ্যাসিড, সেই অ্যাসিডকে ভাঙতে সাহায্য করে ওই উৎসেচকগুলি। আয়রন, জ়িঙ্ক, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজগুলি শোষণে সহায়তা করে। তা ছা়ড়া যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাদাম ভেজানোর সঠিক পদ্ধতি কী?
দোকান থেকে কিনে আনা বাদাম, প্রথমে ভাল করে জলে ধুয়ে নিতে হবে। এ বার ছোট একটি পাত্রে ফিল্টারের জল নিন। তার মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন বাদাম। পাত্রের মুখে ঢাকা দিতে ভুলবেন না। অনেকেই বাদামের খোসা খেতে পছন্দ করেন না। তবে ভেজানোর আগে বাদামের খোসা ছাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
কত ক্ষণ ধরে বাদাম ভিজিয়ে রাখা উচিত?
কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে চাইলে অবশ্যই তা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক সময় ধরে বাদাম ভিজিয়ে রাখলে তবেই উপকার, নচেৎ নয়! অন্তত ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখতে হবে।
কতগুলি বাদামের সঙ্গে ঠিক কতটা জল দিতে হবে?
হবে কাঠবাদামগুলি যেন জলের মধ্যে সম্পূর্ণ ডুবে থাকে। বাদামের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ রুখতে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
anandabazar
May be an image of food

বেদানার খোসা বা ডালিমের খোসা

 পুষ্টিগুণে ভরপুর বেদানা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বেদানাকে বলা হয় রক্ত বৃদ্ধির যন্ত্র। এর শস্য, বীজ এবং রস সবই তাদের স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পরিচিত। এটি রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার উন্নতি করতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু আমরা যখন বেদানার বীজের কথা বলছি, আপনি কি বেদানার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে শুনেছেন? জানলে অবাক হবেন, কিন্তু বেদানার মতো এর খোসাও স্বাস্থ্যের জন্য গুণের ভাণ্ডার।

বেদানার খোসায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করা থেকে শুরু করে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই খোসাগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির একটি পাওয়ার হাউস যেখানে আমরা সবাই এই খোসাগুলিকে আবর্জনা ভেবে ফেলে দেয়। যাইহোক, বেদানার খোসাও আয়ুর্বেদিক ওষুধে অনেক স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যের সুবিধার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই পরেরবার আপনি আপনার রান্নাঘরের বিনে বেদানার খোসা ফেলে দেওয়ার কথা ভাবুন, দুবার।
বেদানার খোসার আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা
বেদানার খোসা, এর ফলের মতো, বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর যৌগ সমৃদ্ধ যা স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ অবনি কৌল একটি ইংরেজি সংবাদপত্রকে বেদানার খোসার কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন: "শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস (শরীরের জন্য ক্ষতিকারক ফ্রি Radical এবং তাদের সাথে লড়াই করে এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির মধ্যে ভারসাম্যহীনতা) সর্বদা ক্ষতিকারক।
এর যত্ন না নিলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের জন্ম দিতে পারে। বেদানার খোসায় পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এই উপাদানগুলি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলগুলিকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমায়।
ফোলা প্রতিরোধ করে
বেদানার খোসায় পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি প্রদাহ-বিরোধী প্রভাবে অবদান রাখতে পারে, সম্ভাব্য দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সাথে সম্পর্কিত অবস্থার সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ
বেদানার খোসা হার্টের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তারা রক্তচাপ কমাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং সামগ্রিক হৃদরোগের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
ত্বক সুস্থ রাখুন
বেদানার খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি অতিবেগুনী (UV) রশ্মির কারণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং কোলাজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে ত্বকের স্বাস্থ্যে অবদান রাখতে পারে। কিছু ত্বকের যত্ন পণ্য এই কারণে বেদানা নির্যাস অন্তর্ভুক্ত.
হজমশক্তি বাড়ায়
বেদানার খোসায় রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, যা হজমের জন্য উপকারী। ফাইবার অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়।
কীভাবে বেদানার খোসা ব্যবহার করবেন?
বেদানার খোসা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে উপকার পেতে। এখানে আমরা আপনাকে বেদানার খোসার গুঁড়া বানানোর একটি সহজ উপায় বলছি।
1. বেদানা থেকে বীজ সরানোর পরে, এর খোসা আলাদা করুন।
2. খোসাগুলিকে এমন একটি জানালার কাছে রাখুন যেখানে সরাসরি সূর্যালোক কমপক্ষে 2 থেকে 3 দিন বা সম্পূর্ণ শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত।
3. শুকনো খোসা একটি ব্লেন্ডার বা ফুড প্রসেসরে রাখুন এবং সূক্ষ্ম গুঁড়ো না হওয়া পর্যন্ত পিষে নিন।
4. পাউডারটিকে একটি বায়ুরোধী পাত্রে ঘরের তাপমাত্রায় রাখুন এবং তারপরে এই পাউডারটি যে কোনও রস, ঝাঁকানো বা স্মুদিতে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
May be an image of fruit

পাপ থেকে বাঁচো

 মানুষ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নানারকম পাপকর্মে জড়িত হয়ে যায়। এমন বহু পাপ আছে একটু সর্তক থাকলে এড়িয়ে চলা যায়। যেমন-

পরনিন্দা, পরচর্চা, গীবত কোরোনা
কেউ আপনার সামনে পরনিন্দা, পরচর্চা, গীবত করছে- আপনি বুঝতে পারছেন এটা গীবত। সে চাইছে আপনিও তাতে অংশ নিন। তাল মিলান। দু-চারটা দুর্নাম যোগ করে দিন। আপনি তখন চুপ থাকুন। প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে দিন অথবা কেটে পড়ুন এখান থেকে।
গীবতের চেয়ে ভয়াবহ গুনাহ আর কী হতে পারে। আল্লাহতায়ালা বলেন, আর তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান কর না এবং একে অপরের অসাক্ষাতে নিন্দা কর না। তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে, যে তার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে চাইবে? প্রকৃতপক্ষে তোমরা তো এটাকে ঘৃণ্যই মনে কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তওবা গ্রহণকারী পরম দায়ালু। (সুরা হুজুরাত-১২)।
কথা কম বলো
মানুষ সবচেয়ে বেশি পাপ করে মুখ দিয়ে। কম কথা বলার চর্চা করুন। যতটুকু প্রয়োজনীয় ততটুকু কথা বলুন। বেশি কথা বললে ভুল হতে পারে। মুখ ফসকে খারাপ শব্দ বের হয়ে যেতে পারে। আল্লাহ বলেন, মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তার জন্য তৎপর প্রহরী তার কাছেই আছে। (সুরা: কাফ, আয়াত: ১৮)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন কোনো বান্দাকে দুনিয়াবিমুখ ও স্বল্পভাষী দেখবে তখন তার সঙ্গে উঠাবসা করো। কেননা সে হেকমতপ্রাপ্ত।
অনর্থক কাজ পরিহার করো
যে কাজে কোনো সুফল নেই তা পরিহার করা উত্তম। প্রাত্যহিক রুটিন এমন হোক। যেখানে সব কাজের কম-বেশি সার্থকতা থাকবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো অর্থহীন কথা বা কাজ ত্যাগ করা। (তিরমিজি, হাদিস: ২৩১৮)।
হিংসা করোনা
হিংসার পরিণাম ভয়াবহ। তাই হিংসা বর্জন করুন। পবিত্র কোরআনে সুরা ফালাকের ৫নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, আর আমি আশ্রয় চাই হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, সন্দেহ নেই, হিংসা নেক আমলগুলোর নুর ও আলোকে নিভিয়ে দেয়’- (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০৬)। এছাড়াও হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) হতে বর্ণিত নবী (সা.) বলেছেন, তোমরা পরস্পরে বিদ্বেষ করো না, হিংসা করো না, ষড়যন্ত্র করো না ও সম্পর্ক ছিন্ন করো না। বরং তোমরা আল্লাহর বান্দা হয়ে যাও, পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও’- (বুখারি: ৬০৭৬, মুসলিম: ২৫৫৯, জামে তিরমিজি: ১৯৩৫)।
পরিবেশ পরিবর্তন করো
মানুষ অভ্যাসের দাস; যা দেখে সে তাই করে। মানুষের ওপর পরিবেশের প্রভাব পড়ে। যেমন কেউ মসজিদে গেলে ইবাদতের আগ্রহ বাড়ে। বাজারে গেলে আড্ডা দেয়। কবরস্থানে গেলে মৃত্যুর কথা স্মরণ করে। তাই সব সময় ভালো পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। তাহলে সহজেই বেঁচে যাবেন বহু রকমের গুনাহ থেকে।
@sabur1955

বেশি কথা না বলার উপায়

 ১. শ্রোতা হিসেবে আপনার অবস্থান থাকুক।

২. নিজের মনোভাব এবং ভাষা সচেতনভাবে নিয়ন্ত্রণ করুন।
৩. প্রয়োজনীয় বিষয়েই কথা বলুন এবং বিষয়ভিত্তিক থাকুন।
৪. কোন বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছেন তা স্পষ্ট করুন, এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয় এড়িয়ে চলুন।
সংযত ও প্রাসঙ্গিকভাবে মন্তব্য করুন।
৫. চিন্তা করার এবং বোঝার জন্য কিছু সময় সম্পূর্ণ মৌন থাকুন।
৬. মানসিকভাবে আত্মসংযমের অনুশীলন করুন যাতে অপ্রয়োজনীয় কথা বলার প্রবণতা কমে।
৭. ব্যক্তিগত দিনপঞ্জি রাখুন, আবেগগুলি লিখে রাখুন।
৮. অনলাইনে বা সমাজ মাধমে অনাবশ্যক মন্তব্য করা এবং সবাইকে অভিজ্ঞতা শেয়ার করা সীমিত করুন।
Ref: 1. Start Living
2. Hasan-Ali-338
3. Self study

All reactions:

সালাম ইসলামের কল্যাণকর সংস্কৃতি

 প্রথম সালামদাতা অহংকার থেকে মুক্ত।

সালাম দেওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্কতা জরুরি
সালাম ইসলামী সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মহানবী (সা.) মুসলিম সমাজে সালামের প্রসার ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সালাম বিনিময়ের ক্ষেত্রে কিছু ভুল পরিলক্ষিত হয়, যা সালামের মাহাত্ম্য নষ্ট করে।
সালাম বিনিময়ে যে ভুল হয় তা হলো—
১. সালাম পাওয়ার অপেক্ষা করা : বহু মানুষের ধারণা, ছোটরা ও অধস্তনরা সালাম দেবে এবং তারা উত্তর দেবে। তাই তারা অন্যের সালামের অপেক্ষা করে। ইসলামের শিক্ষা হলো বড়রাও ছোটদের সালাম দেবে; যেকোনো বয়সের মানুষ আগে সালাম দিয়ে মর্যাদা লাভের চেষ্টা করবে।
২. সালাম শুনেও জবাব না দেওয়া : কখনো কখনো অপছন্দের মানুষ সালাম দিলে ব্যক্তি তার উত্তর প্রদান করে না। অথচ অপছন্দনীয় ব্যক্তির সালামের উত্তর দেওয়াও ওয়াজিব।
৩. সালামের জবাব দিয়ে আবার সালাম দেওয়া : উত্তম হলো ব্যক্তি আগে সালাম দেবে। কিন্তু কেউ যদি সালাম দিয়ে ফেলে, তবে শুধু সালামের উত্তর দেওয়াই দায়িত্ব। আবার সালাম দেওয়া অগ্রহণযোগ্য।
৪. জবাব না দিয়ে আবার সালাম : বড়রা সালাম দিলে কেউ কেউ উত্তর না দিয়ে আবার সালাম দেয়। এ ধারণা থেকে সালাম দেওয়া তার দায়িত্ব ছিল। অথচ অন্য কেউ সালাম দিলে তখন উত্তর দেওয়াই নিয়ম ও ওয়াজিব।
৫. জবাব না পেলে ‘সালাম দিয়েছি’ বলা : সালাম দেওয়ার পর উত্তর না পেলে সালাম দিছি বলার রীতি আছে, এটা ঠিক নয়। নিয়ম হলো আবার সালাম দেওয়া এবং শ্রোতা সালাম শুনতে পায় এমনভাবে দেওয়া। সালামের উত্তর যেভাবে শুনিয়ে দিতে হয়, তেমনি সালামও শুনিয়ে দিতে হয়।
৬. নিম্নস্বরে সালামের জবাব দেওয়া : সালামের উত্তর শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। তাই নিম্নস্বরে বা মনে মনে সালাম দেওয়ার অভ্যাস পরিহারযোগ্য।
৭. অসময়ে সালাম দেওয়া : সালাম শুভেচ্ছা ও সৌজন্য বিনিময়ের মাধ্যম। সাক্ষাতের সময় তা বিনিময় করাই নিয়ম। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মোনাজাত ও জানাজা শেষে সালাম বিনিময় করা হয়। এটি একটি ভুল প্রচলন।
৮. ভুল উচ্চারণে সালাম দেওয়া : সালাম এক প্রকার ইবাদত। বিশুদ্ধ মনে সালাম বিনিময় করলে ব্যক্তি সওয়াবের অধিকারী হয়। তাই বিশুদ্ধ উচ্চারণে সালাম প্রদান করা আবশ্যক। কিন্তু বহু মানুষকে ভুল উচ্চারণে সালাম দিতে দেখা যায়। যেমন—স্লামালাইকুম, সালামালাইকুম, আস্লামালাইকুম, সেলামালাইকুম ইত্যাদি। সালামের সঠিক উচ্চারণ হলো ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’।
রেফা: আবরার আবদুল্লাহ
নিজ পাঠ
May be an image of text
All reactions: