Saturday, October 22, 2016

চারটি অভ্যাস ও ওয়ারেন বাফেট

ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত বিনিয়োগকারী ।
এ সাফল্য রাতারাতি পাননি। দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করে তবেই তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।তিনি কোনো যুগান্তকারী প্রযুক্তিপণ্য আনেননি। নানা ধরনের বিনিয়োগেই তিনি সাফল্য পেয়েছেন।তার চারটি অভ্যাস, যা তাকে বিলিয়নেয়ার হতে সহায়তা করেছে।
১.  চিন্তা উদ্যোক্তার মতো

চিন্তাভাবনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।এ কথার অর্থ তা নয় যে, আপনাকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজের চিন্তাভাবনা একজন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার মতো রাখা।নতুন সুযোগ খুঁজতে হবে। এরপর সে সুযোগ ব্যবহার করে কিভাবে ব্যবসা করা যায় তার উপায় অনুসন্ধান করতে হবে। এরপর সঠিক উপায়ের সন্ধান পাওয়া গেলে তবেই বিনিয়োগ করতে হবে।
ওয়ারেন বাফেট তার জীবনের প্রথম কাজ শুরু করেন সংবাদপত্র বিলি ও চুইং গাম বিক্রির মাধ্যমে। এরপর তিনি সুযোগের সন্ধানে থাকেন। সামনে আসা সুযোগগুলোকে তিনি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করেন এবং সাফল্য পান।
২. অল্প অল্প বিনিয়োগ
কোনো সফল বিনিয়োগকারী হওয়ার জন্য আপনার যে বিপুল অর্থ থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কারণ শুরুতে কারো হাতেই বড় অংকের অর্থ থাকে না। সামান্য অর্থকেই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করে সাফল্য অর্জন করা যায়।
ওয়ারেন বাফেট মাত্র ২৫ ডলার খরচ করে একটি পিনবল মেশিন কেনেন। এরপর তা স্থানীয় সেলুনে স্থাপন করেন। সেখানে উপার্জিত অর্থ তিনি খরচ না করে সঞ্চয় করেন এবং পরবর্তীতে তা আরও বড় বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত করেন।
৩. যথাসম্ভব কম ঋণ
ঋণ প্রায় সময়েই অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। আর তাই ঋণ নেওয়ার বদলে নিজের হাতে যে অর্থ আছে তা ব্যবহারই সুবিধাজনক। এক্ষেত্রে ঋণ যদি নিতেই হয় তাহলে সবার আগে সুদের বিষয়টি হিসাব করতে হবে। সবচেয়ে কম সুদে যেখানে ঋণ পাওয়া যায় সেখান থেকেই নিতে হবে।
৪. আয়ের তুলনায় কম ব্যয়
আপনি যদি অর্থ সঞ্চয় করে নিজের ব্যবসা কিংবা অন্য কোনো খাতে তা ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আয়ের তুলনায় কম ব্যয় করুন। অন্যথায় তা আপনার কোনো কাজেই আসবে না। যতই অর্থ উপার্জন করেন না কেন, তার থেকে কিছু যদি সঞ্চয় করতে না পারেন তাহলে কোনো লাভ হবে না।

No comments:

Post a Comment