Wednesday, October 30, 2019

রঙিন মিঠাই খেতে মানা?


বাঙালীর উত্সব-পার্বণ কি আর মিষ্টি ছাড়া চলে? যেকোনো শুভকাজে মিষ্টি চাই। তবে রঙিন মিষ্টিতে আছে বিপত্তি। এস এস সি বা এইচ এস সি পাশের পর মিষ্টির দোকানে গেলে মিষ্টিই পাওয়া যায় না, সব শেষ হয়ে যায় আগেই। আমরা বাঙালীরা মিষ্টি প্রিয়। কিন্ত আসলে খাচ্ছিটা কি? ভাবছেন ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকলে মিষ্টিতে আবার বিপদ কিসের? বিপদ লুকিয়ে রয়েছে বাহারি মিষ্টিতে মেশানো রঙে।
গত বছর পাশের দেশ ভারতের কলকাতার নামি, অনামি একাধিক মিষ্টির দোকানের শতাধিক রঙিন মিষ্টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, খাদ্য মানের বিচারে বেশির ভাগ রঙিন মিষ্টিই ‘পাশ’ করতে পারেনি। আমাদের দেশে এমন পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা যায়নি এখনো।
কলকাতায় পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ রঙিন মিষ্টিই খাবারের অযোগ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রঙিন মিষ্টিতে মেশানো সস্তা, ক্ষতিকারক রঙ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এ থেকে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। রঙিন মিষ্টিতে ব্যবহৃত রঙ স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।
পাঞ্জাব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রূপা বক্সীর জানান, খাবারে মোশানো এই সস্তার রং স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। এই রঙ লিভার, কিডনি এমনকি স্নায়ুতন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ড. রূপার মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে এই রঙের ক্ষতিকর প্রভাব বহুগুণ বেশি।
পুষ্টিবিদদের মতে, যেকোনো খাবার বা মিষ্টিতে মেশানো এই রঙের পরিমাণ খুবই সামান্য হওয়ায় এর ক্ষতিকর প্রভাব শুরুতেই ধরা পড়ে না। পরবর্তিতে শরীরে হজমের সমস্যা, ত্বকের সমস্যাসহ নানা সমস্যা হতে পারে এবং হয়।
ডঃ বক্সী আরও জানান, মিষ্টিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এর সঙ্গে কমলা, লাল, সবুজ এবং হলুদ রং মেশানো হয়, এমনকি মিষ্টিতে মেশানোর জন্য টেক্সটাইল ডাই(Textile Dye)ও বাদ যায় না। সব রঙিন মিষ্টিতেই যে সস্তা, ক্ষতিকারক রং মেশানো হচ্ছে এমন নয়। তবে কোন মিষ্টিতে মেশানো হচ্ছে তা সাধারণ মানুষের পক্ষে জানা খুব কঠিন।
সূত্র: জি নিউজ ও অন্যান্য

17 Proven Tips to Sleep Better at Night

The Older You Are, the Worse You Sleep
As we age, bodily changes degrade the quantity and quality of our sleep—which affects our health more than we realize.



1. Increase Bright Light Exposure during the Day
Daily sunlight or artificial bright light can improve sleep quality and duration, especially if you have severe sleep issues or insomnia.
2. Reduce Blue Light Exposure in the Evening
Blue light tricks your body into thinking it's daytime. There are several ways you can reduce blue light exposure in the evening.
3. Don't Consume Caffeine Late in the Day
Caffeine can significantly worsen sleep quality, especially if you drink large amounts in the late afternoon or evening.
4. Reduce Irregular or Long Daytime Naps
Long daytime naps may impair sleep quality. If you have trouble sleeping at night, stop napping or shorten your naps.
5. Try to Sleep and Wake at Consistent Times
Try to get into a regular sleep/wake cycle — especially on the weekends. If possible, try to wake up naturally at a similar time every day.
6. Take a Melatonin Supplement
A melatonin supplement is an easy way to improve sleep quality and fall asleep faster. Take 1–5 mg around 30–60 minutes before heading to bed.
7. Consider These Other Supplements
Ginkgo biloba, Glycine, Valerian root, Magnesium, L-theanine & Lavender.
Several supplements, including lavender and magnesium, can help with relaxation and sleep quality when combined with other strategies.
8. Don't Drink Alcohol
Avoid alcohol before bed, as it can reduce nighttime melatonin production and lead to disrupted sleep patterns.
9. Optimize Your Bedroom Environment
Optimize your bedroom environment by eliminating external light and noise to get better sleep.
10. Set Your Bedroom Temperature
Test different temperatures to find out which is most comfortable for you. Around 70°F (20°C) is best for most people.
11. Don't Eat Late in the Evening
Consuming a large meal before bed can lead to poor sleep and hormone disruption. However, certain meals and snacks a few hours before bed may help.
12. Relax and Clear Your Mind in the Evening
Relaxation techniques before bed, including hot baths and meditation, may help you fall asleep.
13. Take a Relaxing Bath or Shower
A warm bath, shower or foot bath before bed can help you relax and improve your sleep quality.
14. Rule out a Sleep Disorder
There are many common conditions that can cause poor sleep, including sleep apnea. See a doctor if poor sleep is a consistent problem in your life.
15. Get a Comfortable Bed, Mattress and Pillow
Your bed, mattress and pillow can greatly impact sleep quality and joint or back pain. Try to buy a high-quality mattress and bedding every 5–8 years.
16. Exercise Regularly — But Not Before Bed
Regular exercise during daylight hours is one of the best ways to ensure a good night's sleep.
17. Don't Drink Any Liquids before Bed
Reduce fluid intake in the late evening and try to use the bathroom right before bed. Nocturia is the medical term for excessive urination during the night. It affects sleep quality and daytime energy

Wednesday, October 23, 2019

ছড়িয়ে দাও “সূখ” Radiate Happiness

আমরা কখনো কি বুঝতে চেষ্টা করেছি যে হ্যাপিনেস বা সূখী হওয়াটা নির্ভরতা নয়? কখনো কি চিন্তা করেছি যে হ্যাপিনেস বা সূখী হওয়াটা একটা সিদ্ধান্ত?
সূখী হওয়াটা এমন আহা মরি কিছু না যে আপনি সূখী হবেন কি হবেন না। এটা আসে মন থেকে। মনকে প্রস্তুত করুন, স্বাস্থ্যটাকে সঠিক করুন -আপনি সূখী হবেই এটা গ্যারান্টিড।
মন থেকে একটি গল্প:
অফিসে এক ভদ্রলোক ডি.এম.ডি থেকে এম.ডি হয়েছেন। একদিন অফিসের কোলিগরা সিদ্ধান্ত নিলো যে এম.ডি সাহেবকে স্বাগত জানাবে এই নোতুন পোষ্টে। তারা অনুষ্ঠানের আয়োজনে লাগলেন। সব শেষ হলে অনুষ্ঠান নির্দিষ্ট দিনের বিকেল বেলায় শুরু হলো। অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে হঠাত নোতুন এম.ডি সাহেবের স্ত্রী হাজির। তিনি অনাহুত হলেও তিনি এম.ডি সাহেবের স্ত্রী তো! তাই সবাই তাকে সাবাগত জানিয়ে স্টেজে বসালেন। অনুষ্ঠানও শুরু হলো। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে ঘোষনা এলো যে এম.ডি সাহেবের স্ত্রীকে একটি মাত্র প্রশ্ন করা হবে তিনি উত্তর দিতে চান কি না। এম.ডি সাহেবের স্ত্রী বল্লেন, “আমি আপনাদের যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজী।” প্রশ্নত্তোরের পালা এলো। এম.ডি সাহেবের স্ত্রী ডায়াসে দাঁড়ালেন। তাকে প্রশ্ন করা হলো, “আমাদের নোতুন এম.ডি সাহেব তাকে সূখী করতে পেরেছেন কি না।” এম.ডি সাহেবের স্ত্রী খুব একটা ভাবলেন বলে মনে হলো না। অল্প পরে তিনি দৃঢ়তার সাথেই বল্লোন, “না, তিনি আমাকে কখনোই সূখী করেন নি।” কথাটা শুনেই এম.ডি সাহেব মাথা নীচু করে চেয়ারে বসে থাকলেন। হয়তো ভাবছেন বৌটা কী সব আবোল কাবোল বল্লো? মাথাটা যেন ঘুরছে! হাঠত অনুষ্ঠানে যেনো পিন-পতন নীরবতা। ফিস্ ফিসানী শুরু হলো অনুষ্ঠানে। সবাই বলাবলি করতে লাগলো এই মহিলাকে অনুষ্টানে না ডাকলেই তো ভাল হতো! এখন কি করা যায়।
এম.ডি সাহেবের স্ত্রী এই নীরবতা ভেঙ্গে বলে উঠলেন, “বন্ধুগন, আপনাদের এম.ডি সাহেবকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি আমাকে সূখী করার। আমি সূখী হবো না দুঃখী হবো সেটা একান্তই আমার নিজের ব্যাপার, আমার মনের ব্যাপার। উনি আমাকে কোটি টাকার ওপর শুয়ে রাখলেও দেখা যাবে আমি দুঃখী আবার দেখা যাবে আমি আধ পেটে খেয়েও, অভাবে থেকেও আমি খুবই সূখী। সূখী হওয়াটা একান্তই আমার। আমি নিশ্চিত যে আপনারা কখনোই আমার মত করে ভাবেননি।”
অনুষ্টানে যেনো প্রাণ ফিরে এলো। সবাই বলতে লাগলো, “ম্যাডাম, সত্যিই আজ আপনি নোতুন কিছু শোনালেন।” আমরা এভাবে অ্যানালাইসিস করিনি সূখকে। এম.ডি সাহেব তখন নীচু মাথাটা সোজা করে বসেছেন। যেনো নোতুন জীবন পেলেন, যাষ্ট রিজুভিনেটেড ফ্রম অ্যা রিকোনাইসাঁ-Just rejuvenated from a reconnaissance.
সূখী হতে হলে Health is a core value, a vital energy source, and a desired state too.
Integrity is also a desired state too.
স্বাস্থ্য আর চারিত্রিক দৃঢ়তা মিলিয়েই হলো মানুষ। সেখান থেকেই সূখের উতপত্তি। তাই বলা হয়-
A man is a physico-chemical system with a specific and varying level of organization pattern, self regulative, self perpetuating in continuous adjustment with the environment.
রেফারেন্সেস:
https://www.huffpost.com/
ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি জার্নাল, ইউ.এস.এ ১৯৭৩
নেদারল্যান্ডস রিভিউ অন আর্টস অ্যান্ড লিটারেচার -১৯৭৩
থ্যটসফরটুডে.কম-২০১৯

Sunday, October 13, 2019

মানুষদের ডাকো আল্লাহর পথে

'তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক তো অবশ্যই থাকা উচিত, যারা মানুষকে নেকি ও কল্যাণের দিকে ডাকবে, সতকাজের আদেশ করবে এবং অসতকাজ থেকে বিরত রাখবে। যারা এমন কাজ করবে, তারাই সফলকাম হবে।' (সূরা আলে ইমরান: ১০৪)।
ইসলামে দাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামী জীবনাদর্শের ভিত্তি দাওয়াত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, 'বাল্লিগু আন্নি ওয়ালাও আয়াহ'। অর্থাত 'আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও প্রচার করো।' (বুখারি: ৩৪৬১)। হাদিস বিশেষজ্ঞরা বলেন, 'বাল্লিগু' প্রচার করো এটি নির্দেশসূচক ক্রিয়া। নবীর পক্ষ থেকে আয়াত পৌঁছানো উম্মতের ওপর আবশ্যকীয় কর্তব্য। প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা মোবারকপুরী (রহ.) বলেন, 'কোরআনের ছোট্ট আয়াত হলেও রাসুলের পক্ষ থেকে তাঁর উম্মতের কাছে পৌঁছে দেয়া কর্তব্য।' (তুহফাতুল আহওয়াজি)।
আল্লাহ তায়ালা সব নবীকে দাওয়াতে তাবলিগের মহান দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ বলেন, 'হে রাসুল! যা কিছু আপনার রবের পক্ষ থেকে আপনার ওপর নাজিল করা হয়েছে, তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিন। যদি তা না করেন তবে আপনি তাঁর রিসালাতের দায়িত্ব পালন করলেন না।' (সূরা মায়েদা: ৬৭)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, 'হে নবী! প্রজ্ঞা ও চমতকার উপদেশের মাধ্যমে আপনার রবের পথে ডাকুন। আর সুন্দরভাবে-উত্তমপন্থায় বিতর্ক করুন। আপনার রব খুব ভালো করে জানেন, কে ভুল পথে আছে, আর কে সঠিক পথে আছে।' (সূরা নাহল: ১২৫)। এ কারণেই প্রত্যেক নবী তাঁর উম্মতকে আল্লাহর আনুগত্য ও দাসত্বের দিকে দাওয়াত দিয়েছেন। কোরআনের ভাষায়, '(হে নবী!) আপনি তাদের স্পষ্ট বলে দিন, আমার পথ তো এটাই, আমি আল্লাহর দিকে ডাকি। আমি ও আমার সাথীরা স্পষ্ট আলোতে আমাদের পথ দেখতে পাচ্ছি। আল্লাহ পূতপবিত্র। যারা শিরক করে, তাদের সঙ্গে আমার দূরতম সম্পর্ক নেই।' (সূরা ইউসুফ: ১০৮)। আল্লাহর দিকে দাওয়াতের প্রতিক্রিয়ায় কাফেররা নবীদের মানব রচিত বিধান ও ধর্মের দিকে আহ্বান করত। জবাবে নবীরা বলতেন, 'হে আমার সম্প্রদায়! এটা কেমন কথা! আমি তোমাদের মুক্তির পথে ডাকছি, আর তোমরা আমাকে জাহান্নামের পথে ডাকছ?' (সূরা গাফির/মু’মিন: ৪১)।
আল্লাহর পথে ডাকার শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, 'কথায় তার চেয়ে উত্তম আর কে হতে পারে, যে আল্লাহর পথে ডাকে, সতকাজ করে এবং ঘোষণা করে আমি আত্মসমর্পণকারী মুসলমান।' (সূরা সিজদা: ৩৩)।
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) লিখেন, 'প্রখ্যাত তাবেঈ হাসান বসরি (রহ.) এ আয়াত তিলাওয়াত করে বলেন, এরা আল্লাহর বন্ধু। এরা আল্লাহর অলি। আল্লাহর কাছে এরাই সবচেয়ে প্রিয় ও পছন্দনীয় বান্দা। তারা মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে এবং নিজেরা সতকাজ করে। আর নিজেদের আত্মসমর্পণকারী হিসেবে ঘোষণা করে। এরাই খলিফাতুল্লাহ-আল্লাহর প্রতিনিধি।' (ইবনে কাসির: ৪৮৫)।
দাঈ অবশ্যই মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেবেন। কোনো দল, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, এমনকি মাজহাবের দিকেও দাওয়াত দেবেন না। দাওয়াতের প্রথমেই ধর্মের সহজ বিষয়গুলো সরলভাবে উপস্থাপন করতে হবে। মানুষ যেন সাদরে গ্রহণ করতে পারে। দাঈ কখনোই কঠিন ও ভীতিকর পন্থা অবলম্বন করবে না। আল্লাহ বলেন, 'আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।' (সূরা বাক্কারা: ১৮৫)। রাসুল (সা.) এর একান্ত সেবক আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, 'সহজ করো, কঠিন করো না। প্রশান্তি দাও, বিদ্বেষ ছড়িও না।' (বুখারি: ৬১২৫)। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) যখন আমাকে এবং মুয়াজ বিন জাবাল (রা.)কে ইয়েমেনে পাঠান, তখন আমাদের উদ্দেশে বলেন, 'সহজ করবে, কঠিন করবে না। সুসংবাদ দেবে, বিদ্বেষ ছড়াবে না। (বুখারি: ২৮৭৩)।
আল্লাহর পথে দাওয়াতের ফলে বাতিল শক্তির বিরোধিতা মোকাবিলায় অন্যায়-অবিচারের পথ গ্রহণ করা যাবে না। এ পথ কাঁটা বিছানো। তাই কাঁটার ঘা সহ্য করে এগিয়ে যেতে হবে। পাথরের বিনিময় ফুল ছুড়তে হবে। যে ফুল বিরোধী হৃদয়ে সুঘ্রাণ ছড়াবে, অন্তর আলোকিত করবে, বিবেক নাড়িয়ে দেবে, সত্যের বিরোধীকে ঘোর সমর্থক বানাবে। দাওয়াতের শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন, 'ভালো ও মন্দ সমান নয়।
তুমি মন্দ আচরণের পরিবর্তে সবচেয়ে ভালো আচরণ করো। তাহলে দেখবে তোমার ঘোর শত্রুও অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। চরম ধর্যশীল ছাড়া এ গুণ কারো ভাগ্যে জোটে না। আর পরম সৌভাগ্যবান ছাড়া এ মর্যাদা কেউ লাভ করতে পারে না।' (সূরা সিজদা: ৩৪-৩৫)।
দাওয়াতের সময় দাঈ যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা উপলব্ধি করে, হৃদয়ে চরমপন্থার বাসনা জাগে, কাদার পরিবর্তে কাদা ছুড়তে ইচ্ছে করে, পাথরের পরিবর্তে ফুলের কথা ভুলে যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, 'যদি তোমরা শয়তানের পক্ষ থেকে কোনো প্ররোচণ আঁচ করতে পারো তাহলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো। আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও জানেন।' (সূরা সিজদা: ৩৬)
সূত্র: https://www.alokitobangladesh.com/

বয়স, হাঁটার গতিতে

যারা ধীরে হাঁটে তাদের বুড়িয়ে যাওয়ার হার বেশি।
Retrospective analysis shows the slower walkers could have been identified at age 3
বেশির ভাগ মানুষেরই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটার গতি ধীর হয়ে আসে। চেহারায় পড়তে শুরু করে বয়সের ছাপ। আবার কাউকে দেখলে মনে হয়, বয়স বাড়লেও যেন তারুণ্য রয়ে গেছে। তরুণ বয়সের মতোই জোরেসোরে পা ফেলেন, কাজে থাকে উদ্দীপনা। গবেষকেরা বলছেন, বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর মানুষের হাঁটার গতিই তাঁদের বুড়িয়ে যাওয়ার হার বলে দেয়।
আন্তর্জাতিক একটি গবেষক দল চল্লিশোর্ধ্ব মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে ওই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তাঁরা বলেছেন, ধীরে হাঁটা মানুষের শরীরই কেবল দ্রুত বুড়িয়ে যায় না, তাঁদের চেহারায়ও বয়সের ছাপ পড়ে। এমনকি তাঁদের মস্তিষ্কের আকারও তুলনামূলক ছোট।
সাধারণত বয়স ৬৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর শারীরিক অবস্থা নির্ণয়ে চিকিতসকেরা হাঁটার গতি পর্যবেক্ষণ করেন। এর মাধ্যমে তাঁরা মাংসপেশির শক্তি, ফুসফুসের কার্যকারিতা, শারীরিক ভারসাম্য, মেরুদণ্ডের শক্তি ও দৃষ্টিশক্তি সম্পর্কে ধারণা পান। তবে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে তারুণ্যের শেষ দিকে এবং মধ্য বয়সেও শারীরিক অবস্থা নির্ণয় করা যায়। আন্তর্জাতিক ওই গবেষক দল এই কাজটিই করেছে। তারা নিউজিল্যান্ডে সত্তরের দশকে জন্ম নেওয়া এক হাজার মানুষের ওপর গবেষণাটি চালায়।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ৪৫ বছর বয়সে বিভিন্ন মানুষের হাঁটার গতি বিভিন্ন হয়। এই বয়সে তাঁরা হাঁটার সর্বোচ্চ গতি পেয়েছেন সেকেন্ডে দুই মিটার। অর্থাত ঘণ্টায় সাত কিলোমিটারের কিছু বেশি। বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, ধীরে হাঁটা মানুষেরা শিশু বয়সে ঘণ্টায় ৪ দশমিক ৩২ কিলোমিটার গতিতে হাঁটতে পারেন। এ ধরনের মানুষের বুদ্ধিমত্তাও কম হয়। এর বিপরীতে ৪০ বছর বয়সে যেসব ব্যক্তি ঘণ্টায় ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতিতে হাঁটেন, তাঁদের বুদ্ধিমত্তা তুলনামূলক বেশি।
গবেষকেরা বলেছেন, দ্রুত হাঁটা ব্যক্তিদের তুলনায় ধীরে হাঁটা ব্যক্তিদের ফুসফুস, দাঁত ও শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়। তাঁদের মস্তিষ্কও দ্রুত বুড়িয়ে যায়। সে দিক থেকে শিশু বয়সেই মানুষের পরবর্তী জীবন কেমন হবে, তার কিছুটা আঁচ করা যায় বলে ওই গবেষক দলের দাবি।
গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টেরি. ই. মফিট। তিনি বলেন, গবেষণায় তাঁরা জানতে পেরেছেন, শারীরিক ও মানসিক বয়সের সঙ্গে হাঁটার গতির একটি সম্পর্ক রয়েছে। সে দিক থেকে বৃদ্ধ হওয়ার কয়েক দশক আগেই ধীরে হাঁটার মাধ্যমে শারীরিক সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
সূত্রঃ জেএএমএ নেটওয়ার্ক ওপেন সাময়িকী, ইউএসএ
https://today.duke.edu/2019/10/