Tuesday, December 22, 2020

বেশি হতাশাগ্রস্ত

 যে লক্ষণগুলো প্রকাশ করে আপনি অনেক বেশি হতাশাগ্রস্ত

হতাশাগ্রস্ত মানুষের মনস্তাত্ত্বিক লক্ষণগুলো
উচ্চমাত্রার হতাশায় ভুগলেঃ
১. সামাজিকতাকে এড়িয়ে চলবে
২. শারীরিকভাবে নানা রকমের অসুস্থতা দেখা দেবে
৩. ঘুমে পরিবর্তন ঘটবে
৪. দ্রুত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়বে
৫. একই কাজ বারবার করবে (নিষ্কৃতি কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
৬. কাজ হতে পারে হতাশার সোপান
৭. মন মেজাজ খারাপ থাকবে
৮. পরিবারে হতাশাগ্রস্ত কেউ থাকবে
হতাশা কেন?
• দীর্ঘদিন ধরে নেতিবাচক অবস্থার মধ্য দিয়ে গেলে হতাশা কাজ করতে পারে।
• কারো কারো ব্যক্তিত্বের ধরনই নেতিবাচক থাকে। তারা হতাশবোধ করে।
• সমস্যা মোকাবিলা করার দক্ষতা কম থাকলে ভয় পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।
• সমস্যা সমাধানের দক্ষতা কম থাকলেও সমস্যার মধ্যে আটকে যায়, ঘুরপাক খেতে থাকে হতাশার ভেতর।
• কারো কারো চিন্তার মধ্যে ত্রুটি থাকে। কোনো কোনো ঘটনায় সে ব্যর্থ হলে, সে ভাবে সারা জীবন সে ব্যর্থ হবে। একবার একটি কাজ না পারলে দ্রুত উপসংহারে পৌঁছে যায়, ভাবে কিছু হবে না। এসব ভেবে হতাশ হয়।
• অনেকে তুচ্ছ ঘটনাকে বড় করে দেখে। আর এগুলো ভাবতে ভাবতে হতাশার মধ্যে ডুবে যায়।
• কখনো কখনো একাকীত্বের কারণে মানুষ হতাশবোধ করে।
• অনুভূতি শেয়ার করার মতো কাউকে পায় না, পারিবারিক সাহায্য থাকে না, তখন হতাশ হয়ে যায়।
• পরিবার থেকে যদি সারাক্ষণ দোষারোপ করতে থাকে, বিপদে পড়লে ব্যক্তিকে সাহায্য না করে, তখন ব্যক্তির মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব হয়, তখন উদ্যোগ নেওয়া ছেড়ে দেয় এবং হতাশ হয়।
• অনেক সময় বেকারত্বের কারণে মানুষ হতাশবোধ করে।
• অর্থনৈতিক অসুবিধার কারণে মানুষ হতাশ হয়।
• সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেও অনেক সময় মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে।
• লেখাপড়ায় অকার্যকারিতার জন্য মানুষ হতাশ হয়।
হতাশ হলে ব্যক্তির মানসিক সমস্যাঃ
• ব্যক্তি মনমরা হয়ে থাকে।
• কোনো বিষয়ে আনন্দ খুঁজে পায় না।
• মনোযোগের অভাব ঘটে।
• ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
• খাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
• আবেগের তারতম্য হতে পারে।
• অনেক সময় দুর্বল লাগে।
• মাথা ঘোরে।
• পেট গুলায়।
• কাজের গতি কমে যায়।
• ব্যক্তি অন্যমনষ্ক থাকে।
• কাজের গতি কমে যায়।
• নিজেকে অন্যদের কাছ থেকে গুটিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে হয়।
আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক সেন্টারের মতে, ডিপ্রেশনের কিছু লক্ষণঃ
১। সবসময় বিরক্ত, অশান্তি বা অস্বস্তি কিংবা ক্লান্তিবোধ করা
২। চিন্তা চেন্তনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দূর্বল হয়ে পড়া
৩। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা অথবা অতিরিক্ত ঘুম
৪। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন। খুব বেশি খাওয়া কিংবা খাওয়া একেবারে কমিয়ে দেওয়া
৫। নিজের ভেতর দূর্বলতা অনুভব করা
৬। কারণ ছাড়াই প্রচন্ড কান্না পাওয়া
৭। কারণ ছাড়াই প্রচন্ড মাথাব্যাথা বা শারীরিক অসুস্থতা
৮। প্রচন্ড নিরাশায় থাকা
৯। নিজেকে সামাজিক এবং নিজস্ব ব্যক্তিগত জীবন থেকে গুটিয়ে নেওয়া
১০। সবশেষে মৃত্যু কিংবা আত্মহত্যা নিয়ে চিন্তা শুরু করা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নিষ্কৃতি‘ কবিতায় হতাশার এক বিশাল চিত্র পাবেন পড়লে।
পারিবারিক জীবনে হতাশার এক সুবিশাল চিত্র এই কবিতায় রয়েছে। সমাধানও আছে সেখানে।
কবি আলফ্রেড টেনিসন তার Tears, Idle Tears কবিতার প্রথম দিকে হতাশার কথা বলেছেনঃ
Tears, idle tears, I know not what they mean,
Tears from the depth of some divine despair
Rise in the heart, and gather to the eyes,
In looking on the happy Autumn-fields,
And thinking of the days that are no more.
ইসলাম মানুষকে হতাশ হতে বারন করেছে।
আল কুরআন বলেঃ
আর নিশ্চয়ই আমরা ভীতি, অনাহার, প্রাণ ও সম্পদের ক্ষতির মাধ্যমে এবং উপার্জন ও আমদানী হ্রাস করে তোমাদের পরীক্ষা করবো ৷ এ অবস্থায় যারা সবর করে। - সূরা আল বাকারাহ আয়াত ১৫৫
এবং যখনই কোন বিপদ আসে বলেঃ “আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে। সূরা আল বাকারাহ আয়াত ১৫৬
“A great novel could be written about each one of us. We all have wondrous tales written across our faces. Some are epic, some are tragic, some are hilarious, some elegiac and of course some are spare, but none could be uninteresting”.
মানুষের জন্য প্রযোজ্য এ সংজ্ঞাটি মনে রাখলে হতাশা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভবঃ
A MAN IS A PHYSICO-CHEMICAL SYSTEM WITH A SPECIFIC AND VARYING LEVEL OF ORGANISAION PATTERN, SELF REGULATIVE, SELF PERPETUATING IN CONTINUOUS ADJUSTMENT WITH THE ENVIRONMENT. - C.P. HICKMANN
সূত্রগুলোঃ
পিন্টারেস্ট
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আলফ্রেড টেনিসন
বিভিন্ন পত্রিকা
মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢা.বি
নিজ মাথা
আল কুরআন

No comments:

Post a Comment