Tuesday, February 22, 2022

“মানুষ” শব্দটির বিশ্লেষণ

 

Analysis of the Word “MAN”

অন্যের প্রতি দয়া করা মনুষ্যত্ববোধের প্রকাশ। আল্লাহতায়ালা কুরআন মাজিদে মানুষ নিয়ে বেশ কয়েকটি আয়াত দিয়েছেন তার একটি হলো- ‘খালাকাল ইনসানা মিন আলাক্ব।’ যিনি সৃষ্টি করেছেন ইনসান তথা মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। আরেক আয়াতে তিনি বলেছেনঃ যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাকে সুঠাম ও সুসামঞ্জস্য করে গড়েছেন। এবং যে আকৃতিতে চেয়েছেন তোমাকে গঠন করেছেন৷ আল্লাহ আবারো বলেছেনঃ আমি মানুষকে পয়দা করেছি সর্বোত্তম কাঠামোয়। এ ইনসান কেমন হবে তার নমুনা করেছেন নবী(সা.)কে।

প্রাণি বিজ্ঞানী সি.পি হিকম্যান মানুষের সংজ্ঞা লিখতে গিয়ে লিখেছেনঃ

A man is a physico-chemical system with a specific and varying level of organization pattern, self-regulative, self-perpetuating in continuous adjustment with the environment.  - C.P. Hickmann

১. ‘আল ইনসান’ الۡاِنۡسَانِ শব্দের প্রথম হরফ ‘আলিফ’- তা দিয়ে ইমান বুঝানো হয়েছে। ইমান যার যত বেশি মজবুত তিনি তত বড় ইনসান। জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায়- ‘আল্লাতে যার পূর্ণ ইমান কোথা সে মুসলমান, কোথা সে মুসলমান।’

২. আল ইনসানের দ্বিতীয় হরফ ‘লাম’- লাম দিয়ে ‘লুতফ’ বা অনুগ্রহ, দয়া, লিনত বা নম্রতা-ভদ্রতা বুঝায়। যার দয়া নেই, অন্যের প্রতি অনুগ্রহ নেই, নম্রতা নেই, ভদ্রতা নেই সে আর যাই হোক মানুষ নামের যোগ্য নয়। কোরআনের ভাষায়- ‘উলাইকা কাল আনআমে বালহুম আদ্বাল্ল।’ তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট।

৩. আল ইনসানের তৃতীয় হরফ ‘আলিফ’- এর মাধ্যমে সৌহার্দ, উনসিয়ত বা মনের টান বুঝানো হয়েছে। আজকের সমাজে মনের টান, সৌহার্দ প্রায় অনুপস্থিত।

৪. আল ইনসানের চতুর্থ হরফ ‘নুন’। এ নুন দিয়ে নিয়াবত বা প্রতিনিধিত্ব বুঝায়। মানুষ আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি। তার চরিত্র হবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্রনীতিসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করা। ‘তাখাল্লাকু বি আখলাকিল্লাহ’ তথা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও। ‘সিবগাতাল্লাহ’ বা আল্লাহর রঙে রঙিন হওয়ার অর্থ হল আল্লাহ রহমান, রহিম- পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। করুণা ও দয়ার প্রতিবিম্ব হবে মানুষ। যার জীবনচরিত দেখে মানুষ তাকে বলবে আল্লাহওয়ালা। যার আছে দয়া, মায়া, মানবপ্রেম, সৃষ্টিপ্রেম। যে চরম শত্রুকেও আপন করে নিতে পারে। যার নমুনা ছিলেন প্রিয় নবীজি (সা.)। এক চরম শত্রু ইহুদি সিদ্ধান্ত নিল নবী মুহাম্মাদ (সা.)কে হত্যা করতে হবে। রাতের বেলায় সে প্রিয় নবীজি (সা.)-এর মেহমান হল। বারবার চেষ্টা করেও তার মিশন সফল করতে পারেনি। ধারালো চাকু নিয়ে এসেছিল প্রিয় নবীজিকে আঘাত করতে। যার পাহারার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তাকে আঘাত করার সাধ্য কার? ইহুদি প্রিয় নবীজি (সা.)-এর মেহমানদারি, আপ্যায়ন গ্রহণ করার পর তাকে ভালো বিছানায় শোয়ার ব্যবস্থা করলেন। শত্রুকে আঘাত করতে না পেরে রাগে-ক্ষোভে শেষ রাতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিছানায় পেশাব-পায়খানা করে অন্ধকার থাকতেই পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ভুলে তার চাকুটি ফেলে যায়। কিছু সময় পর সে চাকু নিতে ফিরে এসে দেখে প্রিয় নবী (সা.) ময়লা সাফ করে বিছানার চাদর ধুয়ে দিচ্ছেন। দূর থেকে ইহুদি এ ঘটনা দেখে কেঁপে উঠলেন। একটু কাছে যেতে প্রিয় নবীজি (সা.) তার সামনে এসে বললেন, ‘ভাই! রাতে আপনার খুব কষ্ট হয়েছে। আমি আপনার সেবা করতে পারিনি এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’ মানুষের প্রতি এ দয়া, অকৃত্রিম ভালোবাসা, মেহমানদারির নজির কি কোথাও আছে? জানের দুশমন মুহূর্তে পরিণত হল অন্তরঙ্গ বন্ধুতে। পড়ে নিল কালেমা।

৫. আল ইনসানের পঞ্চম হরফ ‘সিন’। এর অর্থ সায়াদাত বা সৌভাগ্যবান হওয়া। জীবনের চাওয়া-পাওয়া সব পেয়ে মানুষ যখন সৃষ্টিপ্রেমে বিভোর হয়ে আল্লাহপ্রেমের সদর দরজায় পৌঁছে যায় তখনই সে হয় সৌভাগ্যবান। যার রূপরেখা দিতে গিয়ে ইমাম গাজ্জালি (রহ.) লিখেছেন, ‘কিমিয়ায়ে সায়াদাত’ বা সৌভাগ্যের পরশমণি। আল্লামা ইকবাল (রহ.) তাই তো বলেছেন, ‘খুদি কো কর এতনা বুলন্দ তাকদির সে পহেলে- কে খোদা পুসে তুজেহ বাতা তেরি রেজা কেয়া হ্যায়।’ আত্মমর্যাদাকে এত উঁচুতে নিয়ে যাও তাকদিরের গণ্ডিরও ওপরে। খোদা যেন জিজ্ঞেস করে, বান্দা বলো কী পেলে তুমি সন্তুষ্ট হবে। আজকের মানুষ পার্থিব মোহে, রিপুর তাড়নায় চরম দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্য মনে করছে। কিছুদিন ক্ষমতার দাপট, বিত্ত-বৈভবের অহঙ্কারে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। কিছুদিন পর দেহ বেলুনের বাতাস বের হয়ে গেলে লাশ হচ্ছে। লোভ-লালসা নয়, পার্থিব সম্পদ নয়- সৌভাগ্যের অধিকারী হতে হলে সম্পর্ক করতে হবে সৌভাগ্যের চাবিকাঠি যার হাতে, তিনি আর কেউ নন, তিনি আমার-আপনার প্রেমময় খোদা। মাওলানা রুমি (রহ.) তাই তো বলেছেন, হারকে খাহাদ যিস্তান বা আবরু-যিকরে উ কুন যিকরে উ কুন যিকরে উ। যে চাইবে সম্মানের জীবন লাভ করে অমর হতে, তাঁর জিকির কর, তাঁর জিকির কর অমরত্ব মিলবে তাতে।

৬. আল ইনসানের ষষ্ঠ হরফ ‘আলিফ’- এর মাধ্যমে উনসিয়্যাত বা মনের টান সৃষ্টি করা, উখুয়্যাত বা ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলা। এক সৃষ্টির প্রতি অপর সৃষ্টির মনের টান বা মমত্ব যদি না থাকে, একটি বিড়াল, একটি ক্ষুদ্র প্রাণীর প্রতি দয়া যদি না থাকে তাহলে এ মানুষটি সুরতে মানুষ হতে পারে কিন্তু তাকে প্রকৃত মানুষ বলে না। প্রিয় নবীজি (সা.) গোশত বা মাছ খাওয়ার পর যে হাড্ডি বা কাঁটা থাকত তা সংরক্ষণ করে বলতেন, খবরদার এ হাড্ডিতে বা কাঁটাতে পানি ফেল না। কারণ এটি অন্য প্রাণী খাবে। যদি তাতে পানি ঢাল তাতে তার স্বাদ কমে যাবে। অন্য প্রাণী খেয়ে তৃপ্তি পাবে না। সৃষ্টির প্রতি এ প্রেম, এ দয়ার নীতি কোনোদিন কেউ শুনেছে বা দেখেছে? আল্লামা ইকবাল তাই তো বলেছেন, ‘সবক পড় ফের সাদাকাত কা, আমানাত কা, সুজায়াত কা লিয়া যায়েগা ফের তুঝসে দুনিয়া কি ইমামত কা।’ সবক পড় ফের সত্যবাদিতার, আমানত এবং বীরত্বের; দুনিয়ার নেতৃত্ব তোমার হাতে ফের আসবে ।

৭. আল ইনসান শব্দের শেষ হরফ ‘নুন’। এর অর্থ হল নুর বা আলো। মানুষ লাভ করবে আলোকিত জীবন। নিজ খুদী হবে আলোকিত, সমগ্র সৃষ্টিজগতকে করবে আলো দান। যে মানুষ নিজে আলোকিত নন, অন্য সৃষ্টি যার অস্তিত্ব, ব্যক্তিত্ব, মমত্ব থেকে আলো নিতে পারে না সে আর যাই হোক, আলোকিত মানুষ নন। নয় সে ইনসান। কোরআনের ভাষায়- ‘উলাইকা হুম শাররুল বারিয়্যাহ।’ তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টি। এক কথায় ইনসানে কামেল বা পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে হলে থাকতে হবে সুদৃঢ়, ইমান, অনুগ্রহ, দয়া, নম্রতা, ভদ্রতা, সৌহার্দ। তখন গোটা জীবন হবে আলোকিত।

রেফাঃ আল কুরআন

অধ্যক্ষ, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা

C.P. Hickmann, প্রফেসর, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

নিজ পাঠ

Saturday, February 5, 2022

কর্পূর যখন ব্রণের ওষুধ

 অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক হলে, এক চিমটে কর্পূরের গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিন।


কর্পূর ব্রণর সমস্যাও দূর করতেও সাহায্য করে? অনিয়মিত জীবনযাত্রা, দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ত্বকের সঠিক যত্ন না নেওয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ব্রণর সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে কর্পূরে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান বেশ কার্যকারী। কর্পূরের গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে মিশ্রণটি ব্রণর ওপর লাগান। তবে এই প্রলেপটি সারা মুখে লাগানোর প্রয়োজন নেই।

তৈলাক্ত ত্বকে কীভাবে ব্যবহার করবেন কর্পূর?

অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক হলে, এক চিমটে কর্পূরের গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটিতে সামান্য পরিমাণ গোলাপ জল দিয়ে একটা পাতলা পেস্ট বানিয়ে নিন। ফেসপ্যাকটি সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এর পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ওপেন পোরসের সমস্যা দূর হবে।

শীতকালে সারা শরীরে প্রায়শই র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে নারকেল তেলের সঙ্গে সামান্য কর্পূর মিশিয়ে সারা শরীরে লাগান। এটি ত্বকের জ্বালা ভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে। চাইলে বডি লোশনের সঙ্গে সামান্য কর্পূরের গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

পোড়া দাগ নিরাময় কর্পূর ব্যবহার করা যেতে পারে। সামান্য পরিমাণে কর্পূর নিয়ে জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত পোড়া জায়গাটিতে লাগান, উপকার মিলবে।
-আনন্দবাজার সূত্র

Saffron-For-Child

 শিশুর বিকাশে সহায়ক

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য যেমন জাফরান খুবই উপকারী, তেমন শিশুর জন্যও অত্যন্ত ভালো জাফরান। শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য় খুবই সহায়ক জাফরান। কী ভাবে শিশুর স্বাস্থ্যের বিকাশের জন্য জাফরান ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন।

সন্তানের সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রতিটি মা-বাবাই চিন্তিত থাকেন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই তাদের স্বাস্থ্যবান রাখতে সচেষ্ট হয়ে পড়েন তাঁরা। তবে ৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চারা শুধুমাত্র মাতৃদুগ্ধের ওপরই নির্ভরশীল থাকে। এ সময় মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে শরীরে পুষ্টির জোগান সম্পূর্ণ হয়। আবার ৬ মাস বয়সের পর থেকে বাচ্চাদের তরল ও আধাতরল খাদ্য দেওয়া হয়। সে সময়ও সন্তানের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান হচ্ছে কী না, তাতে নজর রেখে চলেন প্রতিটি মা-বাবাই।

এমন একটি উপাদান রয়েছে, যা সন্তানদের ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই তাদের পুষ্টি জোগাতে সহায়ক হবে। এই উপাদানটি হল কেসর বা জাফরান (saffron)। নবজাতক শিশু-সহ যে কোনও বয়সের বাচ্চাদের জাফরান দেওয়া তাদের পুষ্টি বৃদ্ধিতে সহায়ক প্রমাণিত হবে।

হাড়ের বিকাশে সাহায্য করে

অল্প বয়সে বাচ্চাদের হাড় দ্রুতগতিতে বিকশিত হয়। জাফরানে ক্যালশিয়াম ও ফাইবার উপস্থিত। হাড়ের উন্নতি ও বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য এই উপাদানটি অত্যন্ত জরুরি।

বাচ্চাদের মুড বুস্ট করে

জাফরান এক ধরনের স্ফূর্তিদায়ক ও মুড স্টেবিলাইজার হিসেবে কাজ করে। বাচ্চাদের খিটখিটে ও ছিঁচকাঁদুনে হওয়া থেকে আটকায় জাফরান। এনসিবিআইয়ের এক রিপোর্ট অনুযায়ী জাফরান বাচ্চাদের মেজাজ উন্নত করে।

ফ্লু থেকে রক্ষা করে

শিশু বা অল্প বয়সি বাচ্চারা প্রায়ই সর্দি ও ফ্লুর শিকার হয়ে পড়ে। জাফরানের প্রকৃতি গরম। এ কারণে এটি জ্বর, সর্দি ও ফ্লুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে।

শিশুর বিকাশে সহায়ক এক চিমটে জাফরান! মজবুত হবে হাড়, ভালো থাকবে দৃষ্টিশক্তি

বাচ্চাদের পাচন প্রক্রিয়াকে মজবুত করতে সাহায্য করে জাফরান। এতে উপস্থিত অ্যান্টিবায়োটিক ও ভালো ব্যাক্টিরিয়া পাচন তন্ত্রের কাজকে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে

জাফরানে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন রেটিনাকে শক্তিশালী করে। এর ফলে বাচ্চাদের দৃষ্টি শক্তি উন্নত হয় এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত তা ভালো থাকে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

স্নায়ু ও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য শৈশবকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। জাফরান স্নায়ুর নেটওয়ার্ককে বিকশিত ও সুদৃঢ় করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

শিশুর ত্বকের পক্ষে উপকারী

বাচ্চাদের ত্বক খুব শীঘ্র শুষ্ক ও রক্ষ হয়ে যায়। বাচ্চাদের ত্বক সংবেদনশীল হওয়ায় এতে রাসায়নিক যুক্ত লোশান বা ক্রিম ব্যবহার করা যায় না। এ কারণে আমরা তেল ব্যবহার করে ত্বক সুস্থ রাখি। এ ছাড়াও জাফরান ব্যবহার করেও বাচ্চাদের ত্বককে মোলায়েম ও সুস্থ রাখা যায়।

জাফরানের তেল বানিয়ে মালিশ করুন

রাতের বেলায় নারকেল বা আমন্ড তেলে এক-দুটি জাফরান মিশিয়ে দিন। সকালে জাফরান মেশানো তেল দিয়ে বাচ্চাদের মালিশ করতে পারেন। স্নানের পর এই তেল দিয়ে আবার মালিশ করুন। এর ফলে ত্বক ভালো থাকবে এবং ভালো ঘুমও আসবে।

খাবারে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন

৬ মাসের বেশি বয়সি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাবার-দাবারের মধ্যে জাফরান মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। দুধ, সেরেল্যাক বা অন্য কোনও তরল খাবারে জাফরান মেশাতে পারেন। আবার বাচ্চারা শক্ত খাবার খেতে শিখে গেলে, দুধে জাফরান ঘুলে পান করালেও উপকার পাবেন।

-আনন্দবাজার

ইসলামের নির্দেশনাঃ পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা রোধে

 পরিবার মানব সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি পারিবারিক ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে পৃথিবীতে মানবজাতির যাত্রা শুরু হয়। মহান আল্লাহ পৃথিবীতে প্রথম মানব আদম (আ.) ও প্রথম মানবী হাওয়া (আ.)-কে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ করে প্রেরণ করেন এবং পারিবারিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মানবসভ্যতার বিকাশ ঘটে। ইসলাম মানবজাতিকে পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

পারিবারিক বন্ধন বিচ্ছিন্নকারীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
পারিবারিক বন্ধন আল্লাহর অনুগ্রহ : পরিবার ও পারিবারিক বন্ধন আল্লাহর অনুগ্রহ। সুতরাং তা অটুট রাখা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং আল্লাহ তোমাদের থেকে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে তোমাদের জন্য পুত্র-পৌত্রাদি সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের উত্তম জীবনোপকরণ দান করেছেন। ’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৭২)
পরিবার মানুষের আশ্রয় : পরিবার-পরিজন মানুষের জন্য সর্বোত্তম আশ্রয়। পরিবার মানুষের বৈষয়িক ও মানসিক আশ্রয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীদের, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য তাতে বহু নিদর্শন আছে। ’ (সুরা রোম, আয়াত : ২১)
পারিবারিক সম্পর্কে বিপর্যয় থেকে রক্ষা : পারিবারিক সম্পর্ক অটুট থাকলে মানুষ বহু ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায়। কেননা তারা পরস্পরকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আত্মীয়গণ আল্লাহর বিধানের একে অন্য অপেক্ষা অধিক হকদার। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। ’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ৭৫)
পারিবারিক বন্ধন রক্ষায় বৈষয়িক লাভ : বর্তমান সময়ে বহু মানুষ পার্থিব লাভ-ক্ষতির বিবেচনা করে পরিবার-পরিজনকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) সম্পর্ক রক্ষাকারীর জন্য পার্থিব কল্যাণের সুসংবাদ দান করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি চায় তার জীবিকা প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি পাক সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬)
ধর্মের নামেও বিচ্ছিন্নতা নয় : ইসলাম পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন জীবন অনুমোদন করে না। এমনকি আল্লাহর অধিক ইবাদতের জন্য পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার অনুমতি নেই। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘ইসলামে বৈরাগ্যবাদের কোনো স্থান নেই। বিয়ে পরিহারের কারণে মানুষ বহু কল্যাণ ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়। ’ (ফিকহুস সুন্নাহ : ৩/৩৬)
কষ্ট হলেও পরিবার থেকে দূরত্ব নয় : পারিবারিক জীবনে নানা ধরনের সংকট তৈরি হয়। ভুল বোঝাবুঝি ও মতভিন্নতা দেখা দেয়। ইসলাম এমন সমস্যাগুলো উপেক্ষা করে পারিবারিক জীবনযাপনের নির্দেশ দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের সঙ্গে সত্ভাবে জীবনযাপন করবে, তোমরা যদি তাদের অপছন্দ করো, তবে এমন হতে পারে যে আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন তোমরা তাকেই অপছন্দ করছ। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৯)
পারিবারিক সংকট দূরের উদ্যোগ : পারিবারিক জীবনে কোনো সংকট দেখা দিলে তা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধ আশঙ্কা করলে তোমরা তার পরিবার থেকে একজন ও তার পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে; তারা উভয়ের নিষ্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৫)
উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, শুধু স্বামী-স্ত্রী নয়; বরং পরিবারের সন্তান-সন্তুতিদের মধ্যে মনমালিন্য তৈরি হলে পরিবারের অভিভাবকরা দ্রুততম সময়ে তা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।
আত্মীয়তার ব্যাপারে উদাসীনতা নয় : আত্মীয়-স্বজন ও পারিবারিক সম্পর্কের ব্যাপারে উদাসীনতা কাম্য নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহকে ভয় কোরো, যার নামে তোমরা পরস্পরের কাছে যাঞ্চা কোরো এবং সতর্ক থাকো আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর তীক্ষ� দৃষ্টি রাখেন। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১)
সুসম্পর্ক ঈমানের নিদর্শন : আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক মুমিনের ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। মুমিন কখনো তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১৩৮)
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার অর্থ : সাধারণত মানুষ তাদের সঙ্গেই সম্পর্ক রক্ষা করে, যে তার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলে। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে এমন ব্যক্তি হলো প্রতিদান দানকারী। বিচ্ছিন্নতার পর যে সম্পর্ক রাখে সেই প্রকৃত আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী। ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রতিদানকারী আত্মীয় হক সংরক্ষণকারী নয়; বরং আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী সে ব্যক্তি, যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পরও তা বজায় রাখে। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৯১)
দায় নয়, দায়িত্ব : পারিবারিক ব্যয় নির্বাহকে অনেকে সামাজিক দায় মনে করেন। কিন্তু ইসলাম একে দায়িত্ব আখ্যা দিয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘লোকে কি ব্যয় করবে সে সম্পর্কে তোমাকে প্রশ্ন করে। বলুন, যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় করবে তা মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, এতিম, মিসকিন ও মুসাফিরদের জন্য। উত্তম কাজের যা কিছু তোমরা কোরো না কেন আল্লাহ তো সে সম্পর্কে অবহিত। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২১৫)
পারিবারিক বিচ্ছিন্নতার প্রতি হুঁশিয়ারি : আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্নকারীদের প্রতি পবিত্র কোরআনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ‘ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। আল্লাহ তাদেরই অভিশাপ করেন আর করেন বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন। ’ (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ২২-২৩)
সম্পর্কচ্ছেদের ভয়াবহ পরিণতি : আত্মীয়তা ও পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিণতি ভয়াবহ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আত্মীয়তা ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৫৬)
আল্লাহ আমাদের পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা রক্ষা করুন। আমিন।
সূত্রঃ আতাউর রহমান খসরু

Poor sleep tied to kids’ lower academic performance

 Children who have trouble sleeping tend to do worse in school than their peers who get a good night’s sleep, a new study suggests.

Researchers in Brazil looked at children age seven to 10 who attended Sao Paulo public schools. They found kids with symptoms of sleep disorders or sleep breathing disorders earned lower grades than those without problems sleeping, on average.
Thirteen percent of children with difficulty sleeping had failing grades in Portuguese, compared to nine percent of those without sleep problems. Likewise, 25 percent of kids with disrupted sleep had failing math grades, versus eight percent of children without trouble sleeping.
“Because (symptoms of sleep disorders) and particularly (sleep breathing disorders) are highly prevalent, we suggest that all health professionals and educators become aware of this striking effect and take appropriate actions to solve or mitigate what could very well constitute a public health issue,” researchers led by Luciane Bizari Coin de Carvalho from the Universidade Federal de Sao Paulo wrote.
Experts estimate that roughly one-quarter of US children have disrupted sleep at some point during childhood. Erratic bedtime hours and anxiety, either at school or at home, may contribute.
Other children may have unrecognized sleep disorders, such as sleep walking, nightmares or insomnia, or sleep breathing disorders, like sleep apnea. Some medications, including those for asthma or attention-deficit/hyperactivity disorder, can affect sleep. The underlying medical problems may also cause sleep disturbances.
Poor sleep among children has been tied to obesity, which over the long term increases the risk of heart disease and diabetes. And poor school performance has been linked to early dropout rates — so the new findings may have implications beyond getting a good night’s sleep, researchers said.
From 1999 to 2001, the researchers distributed 5,400 questionnaires asking about symptoms of sleep disorders and sleep breathing disorders to children in Sao Paulo public schools.
Then they looked at the Portuguese and Math grades of 2,384 children whose parents filled out and returned the questionnaire.
The study team found about 31 percent of the children had symptoms of sleep disorders — such as difficulty falling or staying asleep, or feeling sleepy all the time — and close to 27 percent had sleep breathing disorders. Those students’ grades were significantly lower than the grades of kids without sleep disorder symptoms.
In Brazil, grades are based on a scale of 0 to 10, with 5 considered passing. Average Portuguese grades were 6.6 for kids with sleep problems, compared to 7.1 among those with no sleeping trouble.
Likewise, children with symptoms of sleep disorders or sleep breathing disorders earned an average grade of 6.3 in Math, compared to 7.1 for other children, according to findings published in the journal Sleep Medicine.
However, the new study can’t say definitively that sleep problems were to blame for poor grades, researchers said.
“This study doesn’t prove that a sleep disturbance causes decreased academic performance,” Bazil said, “but it shows an association. Basically every category of sleep disturbance the authors looked at correlated with decreased academic performance.”
Source: Arab News

বাক শক্তির ক্ষমতা Power of Words

 Words are...an expression of emotions. They have a power we might not even be aware of. The first word spoken by a human being brings joy, pride, and leaves an impact forever. The lack of it brings worry.


Words are...countless. They come in more than 6,000 different languages, spoken in every corner of the world. There's no common language that unites us all, but we all speak words. And nothing carries more meaning than words. They are spoken by both commoners and rulers; both children and adults; both men and women; both black and white.

Words are...wise. They have to be well-chosen because the effect they can leave is indescribable. And unforgettable. Words build. Words break. Words unite. Words teach. Words control. Words affect.

Words are...beautiful. They are lyrics of inspiring pieces of music. They form parts of outstanding pieces of literature. Words make books. They inspire us, change us.

Words are...memories. They are writable, storable, portable, sendable. They can send chills down your spine. They can reduce you to tears. Nothing brings nostalgia better than with words.

Words are...decisions. They can express our wants, needs, dreams, and burdens. Words divide. Words hurt. Words console. Words persuade. Words are a window to our feelings. Words write the Book of Life of each one of us.

It's up to you what to write on each and every page... So then, you can enjoy the read.

Care: কর যত্ন হবে জয়

 Expressing my care and concern, I respond to situations with a cool head and people with a warm heart.


দিলের আরজু (আকাঙ্ক্ষা) থেকেই দিলরুবাকে পাওয়া যায়।

বলো না কাতর স্বরে বৃথা জন্ম এ সংসারে
এ জীবন নিশার স্বপন
দারা পুত্র পরিবার তুমি কার কে তোমার
বলে জীব করো না ক্রন্দন।
মানব-জনম সার এমন পাবে না আর
বাহ্যদৃশ্যে ভুলো না রে মন
কর যত্ন হবে জয় জীবাত্মা অনিত্য নয়
ওহে জীব কর আকিঞ্চন।

সহজভাব

করুণ করে বলো না পৃথিবীতে জন্ম বৃথা
মানুষের জীবন নিছক কোনো স্বপ্ন নয়।
স্ত্রী-পুত্র-কন্যা, পরিবার-পরিজন কে কার-
এই মিথ্যা ধারণায় কান্না করো না।
এমন সার্থক-সুন্দর মানব জীবন আর পাওয়া যাবে না
বাইরের জগতে চাকচিক্যময় অবস্থা দেখে
সব ভুলে থেকেও না
জীবনকে যত্ন কর জয় হবে
অত্যন্ত মূল্যবান জীবন বার বার পাওয়া যাবে না
জীবনের প্রতি যত্নবান হলে
জয় করার ইচ্ছা পোষণ কলে জয় হবেই

করো না সুখের আশ পরো না দুখের ফাঁস
জীবনের উদ্দেশ্য তা নয়
সংসারে সংসারী সাজ করো নিত্য নিজ কাজ
ভবের উন্নতি যাতে হয়।
দিন যায় ক্ষণ যায় সময় কাহারো নয়
বেগে ধায় নাহি রহে স্থির
সহায় সম্পদ বল সকলি ঘুচায় কাল
আয়ু যেন শৈবালের নীর।

সহজভাব

সুখের আশা করে দুঃখকে বরণ করো না
সুখে থাকাই জীবনের উদ্দেশ্য নয়
নিত্য সংসারের অর্থাৎ জগতের কাজ করলে উন্নতি হয়
দিন ক্ষণ চলে যায়, এই সময় কারো নয়
সময় বেগেই চলে যায় কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
সহায় সম্পদ শরীরের বল, খ্যাতি সবই কালের হাতে বন্দি
জীবনের আয়ুও ক্ষণস্থায়ী।
সংসারে-সমরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ়পণে

সংসারে-সমরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ়পণে
ভয়ে ভীত হইও না মানব
কর যুদ্ধ বীর্যবান যায় যাবে যাক প্রাণ
মহিমাই জগতে দুর্লভ।
মনোহর মূর্তি হেরে ওহে জীব অন্ধকারে
ভবিষ্যতে করো না নির্ভর
অতীত সুখের দিন পুনঃ আর ডেকে এনে
চিন্তা করে হইও না কাতর।

সহজভাব
সংসারযুদ্ধে যুদ্ধ করে দাঁড়াতে হয়
ভয়ে ভীতু হলে চলে না
মহিমার জন্য বীরের মতো যুদ্ধ করতে হবে
যদি প্রাণ যায় দিতে হবে
অন্ধাকারের ভবিষ্যতের উপর নির্ভর না করে
আলোকিত জীবনের দিকে আসতে হবে
অতীতের সুখে কাতর না হয়ে বর্তমানমুখী হতে হবে

মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করে গমন
হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়
সেই পথ লক্ষ্য করে স্বীয় কীর্তি ধ্বজা ধরে
আমরাও হব বরণীয়।
সমর-সাগর-তীরে পদাঙ্ক অঙ্কিত করে
আমরাও হব হে অমর
সেই চিহ্ন লক্ষ করে অন্য কোনো জন পরে
যশোদ্বারে আসিবে সত্বর।

সহজভাব

যারা মহান, মহাজ্ঞানী তারা যেভাবে দুনিয়া থেকে চলে গিয়েছে
তাদের কথা স্মরণ করতে হবে
তাদের পথ অনুসরণ করেত হবে
তাদের পথে চলে, তাদের অনুস্মরণ করে
আমাদেরও বরণীয় হতে হবে, অমর হতে হবে
তাদের পথে চললে আমাদেরও যশ, খ্যাতি আসবে।
করো না মানবগণ বৃথা ক্ষয় এ জীবন
করো না মানবগণ বৃথা ক্ষয় এ জীবন
সংসার-সমরাঙ্গন মাঝে
সংকল্প করেছ যাহা সাধন করহ তাহা
রত হয়ে নিজ নিজ কাজে।

সহজভাব

মহামূলবান জীবন বৃথা নষ্ট করো না
এই জগতের মাঝে ভালো সংকল্প করে তা পূরণ করতে হবে
নিজের কাজের প্রতি যত্নবান হয়ে কাজ সম্পন্ন করলেই
জীবন হবে সার্থক ও অমর।

সূত্র: Henry Wadsworth Longfellow এর ‘A Psalm of life’
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়;  থ্যটফরটুডে