Saturday, July 30, 2022

প্রজ্ঞার জাপানী সংষ্করণ

 যা তোমার নয়, তা নিও না

যা সঠিক নয় তা করো না

যা সত্যি নয় তা বলোনা

যা জানোনা, তা বলতে যেও না

মুখ বন্ধ থাকুক।

ইউরিক অ্যাসিড কমবে

 Homemade drinks which can help reduce Uric acid


নিয়মিত আদা চা খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমে। আদার মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও খনিজ রয়েছে যা স্বাভাবিকভাবে প্রদাহ,জয়েন্টের ব্যথা এবং শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

লেবুর সঙ্গে শসার রস খেলে লিভার, কিডনি ডিটক্সিফাই হয় এবং তা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটির মধ্যে পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের উপস্থিতির কারণে কিডনিকে ডিটক্সিফাই করে এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়ে যার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।

এক কাপ গ্রিন টি ইমিউনিটি বাড়াতে কার্যকরী। একই সঙ্গে এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং বায়োঅ্যাকটিভ থাকায় এই চা কয়েকদিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

গাজরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, ফাইবার, বিটা ক্যারোটিন, মিনারেল থাকায় লেবু দিয়ে গাজরের রস খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়। এছাড়াও লেবু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি যুক্ত হওয়ায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কোষের পুর্নগঠনে সাহায্য করে।
-নিউজ১৮ 

লাউ শাক

 লাউ শাক


লাউ শাক ভর্তা, ঝোল, মাছের সঙ্গে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। এই লাউ শাকে রয়েছে ফলিক এসিড, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন-সি। আবার এই শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। যা শরীরস্বাস্থ্য সুস্থ ও সবল রাখতে দারুনভাবে কার্যকর। এবার লাউ শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টি সম্পর্কে জেনে নিনঃ

* আয়রন থাকার কারণে লাউ শাক রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কনিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।

* লাউ শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি। যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ও ঠাণ্ডা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

* প্রচুর আঁশ থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে লাউ শাক। এছাড়া পাইলস প্রতিরোধেও সহায়ক।

* বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়েজ্যান্থিনে পরিপূর্ণ হলো লাউ শাক। বিটা-ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন চোখের নানাবিধ রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।

* লাউ শাক দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই লাউ শাক খেলে মস্তিষ্ক থাকবে ঠাণ্ডা এবং ঘুমও হবে গভীর।

* লাউ শাকে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত ও মজবুত করে। অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায় লাউ শাক।

* লাউ শাক কোলেস্টেরল ও ফ্যাট মুক্ত। আবার ক্যালরি কম থাকায় ওজন কমানোর জন্য লাউ শাক হলো একটি আদর্শ খাবার। এই শাকে থাকা পটাশিয়াম হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
তথ্যসূত্র:একুশে টেলিভিশন
https://health-barta.quora.com/

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ইমোশনাল নাম্বনেস

 দরকারী লেখা: জেনে নাও

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ইমোশনাল নাম্বনেস: কলকাঠি নাড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
ধরুন, আপনি মোবাইল চালাচ্ছেন। ১০ মিনিট ধরে ফেসবুক বা ইউটিউব স্ক্রল করলেন। আপনি দেখলেন মেসির সেরা ১০ গোল, তারপর আপনি দেখলেন সিরিয়ার বোমা বিস্ফোরণের একটা ছোট্ট ভিডিও। এবার আপনি দেখলেন সুজির হালুয়ার রেসিপি। দেখলেন মহাবিশ্বের সাপেক্ষে পৃথিবী, সবকিছু কত ছোট—এমন একটি ভিডিও। তারপর আপনি দেখলেন আপনার কাছের বন্ধু বিয়ে করে হানিমুনে গেছে মিসর, সে রকম কয়েকটি ছবি। দেখলেন একটা পান্ডা, চিতাবাঘ বা একটা বাচ্চা হয়তো বিড়ালের সঙ্গে খেলছে বা এ রকম কিছু। ১০ মিনিট শেষ। আপনি কী অনুভব করছেন? উত্তরের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন, আপনার আবেগ অবশ হয়ে যায়নি তো?
আপনার কী মনে হয়, বেশির ভাগ মানুষ এ প্রশ্নের উত্তরে কী বলবে? আসলে আপনার কিছুই অনুভূতি হচ্ছে না। ভীষণ কষ্ট থেকে অত্যন্ত আনন্দের ভিডিও, অনেক জ্ঞানের ভিডিও, টাইম পাসিং ভিডিও—এসব থেকে সবশেষে আপনার ভেতর স্রেফ কোনো অনুভূতিই হয় না। আমরা ‘ইমোশনালি নাম্ব’ (আবেগিক অবশতা) বোধ করি। মাঝে মাঝে ‘ইমোশনাল নাম্বনেস’ থাকাও ভালো। সব সময় ইমোশনালি খুব সক্রিয় থাকাও ঠিক নয়। তবে অনুভূতিহীনতা দীর্ঘস্থায়িত্ব পাওয়া বা চিরস্থায়িত্ব হওয়াটা ভয়াবহ ব্যাপার। সেখান থেকে খুব সহজেই একজন হতাশার অতলচক্রে পড়ে যেতে পারেন। তারপর ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনও হতে পারে। বাকি জীবনের জন্য তার যেকোনো কাজের ‘একাগ্রতা’ হারিয়ে যেতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ইমোশনাল নাম্বনেস অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আরও অনেক কিছু থেকেই এই অনুভূতিহীনতার সৃষ্টি হতে পারে। যেমন বাবা–মায়ের বিচ্ছেদ বা পারিবারিক বিপর্যয় অথবা ছোটবেলার কোনো মানসিক আঘাত। কিন্তু বর্তমান সময়ে যে হু হু করে অনুভূতিহীনতা বাড়ছে, এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যেটা দেখে আপনার আনন্দিত হওয়ার কথা, তাতে আপনি আর আনন্দ পাচ্ছেন না। আপনার কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে না। বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিতে ভালো লাগছে না। কোনো কিছুতেই আপনার কিছু আসছে যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় আপনার সৃজনশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনি কোনো কাজ ঠিকভাবে করতে পারবেন না। কোনো দল পরিচালনা করতে পারবেন না। কেননা, আপনার ভেতরে কোনো ইমপ্যাথি বা সহমর্মিতা নেই। যুক্তি আর আবেগের সমন্বয় ঘটিয়ে কোনো কিছু সঠিকভাবে ভাবতেও আপনি ব্যর্থ।
এমন অবস্থায় আপনাকে অবশ্যই সাইকোলোজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। ‘ক্যাজুয়াল ফ্রি ফ্লটিং নিউজ’ প্লে করা বন্ধ করতে হবে। কেননা, আপনি যখন খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে নানান মুডের নানা কিছু দেখে ফেলেন, আপনার মস্তিষ্ক তত দ্রুত আবেগ–অনুভূতি বদলাতে পারে না। মানে, আপনি খুব দুঃখের একটা কিছু দেখলেন, তাতে আপনার মন যে দুঃখ–ভারাক্রান্ত থাকবে, সেখান থেকে আপনি কোনো একটা বার্তা বা অনুভূতি নিজের ভেতর রাখবেন—এমনটা ঘটার আগেই আপনি অন্য কোনো কিছু একটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। আমাদের মস্তিষ্ক আর আবেগ–অনুভূতি এত দ্রুত কাজ (প্রসেস) করতে পারে না। তাই সে ‘কনফিউজ’ হয়ে কোন তথ্য আর আবেগ সংরক্ষণ করে না। এক কথায় অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে।
সূত্র: ইয়াহিয়া মো. আমিন, লাইফস্প্রিং–এর প্রধান সাইকোলজিস্ট
-প্র.আ সূত্র

অতিরিক্ত কফি পান

অতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে কোন কোন সমস্যা ডেকে আনে?
Side effects of Coffee: কাজের ফাঁকে ঘন ঘন কফিতে চুমুক দেন?

ডিহাইড্রেশন
কফি ন্যাচারাল ডাই-ইউরেটিক। তাই অতিরিক্ত কফি শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গেই কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে বার বার প্রস্রাব পাওয়ায় শরীর থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও সলিউবল মিনারেল বার করে দেয়। সোডিয়ামের শোষণ কমিয়ে দেয়। ফলে শরীরের স্বাভাবিক হাইড্রেশন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলস্বরূপ ডিহাইড্রেশন হয়।

অনিদ্রা

কফিতে ক্যাফিন থাকে। ক্যাফিন বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ঘুমের বারোটা বাজে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা বেশি কফি খান তাঁদের অনিদ্রা রোগ হয়।

মানসিক অবসাদ

ঘুম থেকে উঠলে শরীরে কর্টিসোল হরমোন উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে একটু বেশি মাত্রায় কফি খেলেই কর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণ আরও বেড়ে যায়। এতেই ঘটে বিপত্তি। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর কারণ এই হরমোনটি। ফলে সকালে উঠেই দু’তিন কাপ কফি খেয়ে ফেললে মন ভাল হওয়ার বদলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়।

ক্রনিক রোগ

শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় কর্টিসোলে ক্ষরণ বিপাক হার, রক্তচাপ আর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে অত্যধিক মাত্রায় এর ক্ষরণ হাড়ের ক্ষতি করে, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস এমনকি, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়।

প্রজনন ক্ষমতা

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশি মাত্রায় কফি খেলে বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়ে।
-আনন্দবাজার 

জিরা পানি

 বদহজম নিরাময় করে

ওজন কমাতে সহায়ক
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
লিভারের জন্য উপকারী
রক্তাস্বল্পতা নিরাময়ে সাহায্য করে
ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে
হৃদরোগের জন্য উপকারী
ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী
রক্তশূণ্যতা রোধ করে

রেসিপি, জিরা পানির

উপাদানগুলি
২ জনের
১৫০ মিলি.লি জল
৭-৮টা পুদিনা পাতা
১ কাপ তেঁতুল ভেজানো জল
২ টেবিল চামচ চিনি
১ চা চামচ বিট নুন
১ টেবিল চামচ ভাজা জিরে গুঁড়ো।
১ টা পাতি লেবুর রস
২ চা চামচ মধু
১ টা কাঁচা লঙ্কা কুঁচি
প্রয়োজন অনুযায়ী বরফের টুকরো