Tuesday, November 29, 2022

ইসলামে গ্রাহক সেবার চরমতম(uttermost) নমুনা নজরুলের কবিতায়

 ভৃত্য চড়িল উটের পৃষ্ঠে উমর ধরিল রশি,

মানুষে স্বর্গে তুলিয়া ধরিয়া ধুলায় নামিল শশী।
জানি না, সেদিন আকাশে পুষ্প বৃষ্টি হইল কিনা,
কি গান গাহিল মানুষে সেদিন বন্দী' বিশ্ববীণা।
জানি না, সেদিন ফেরেশতা তব করেছে কি না স্তব-
অনাগত কাল গেয়েছিল শুধু, 'জয় জয় হে মানব।'
আফসোস হয় আমরা কথাগুলোর যথাযথ প্রয়োগ জানিনা।
ইসলাম? সে তো স্ফুলিঙ্গ। মূহুর্তেই মানুষকে আপন করে।

পজিটিভিটি যখন সংক্রামক!!

 সুখ বেড়ায় না

সুখের মালিক হওয়া যায় না
সুখ কামাই করা যায় না
সুখ পরিধেয় বস্ত্রও নয়
সুখ ভক্ষ্য নয়।
তা হলে সুখ কি?
সুখ হলো এক অতি-জাগতিক (extraterrestrial) অভিজ্ঞতা
প্রতি মূহুর্তে
ভালবাসার অনুভব, মাধুর্য, আর কৃতজ্ঞতার সমন্বয়।

নারীরা পুরুষদের দেখতে পারবে?

 ইসলামের দৃষ্টিতে গাইরে মাহরাম তথা এমন পুরুষ যার সঙ্গে নারীর বিয়ে বৈধ, তার প্রতি নারীর দৃষ্টিপাত কয়েক প্রকার হতে পারে এবং তার বিধানও ভিন্ন ভিন্ন। যেমনঃ

১. অপ্রয়োজনীয় দৃষ্টি : গাইরে মাহরাম পুরুষের প্রতি তাকানোর প্রয়োজন না থাকলে নারী তার দৃষ্টি অবনত রাখবে। এটাই তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির অনুকূল। মহান আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘আর মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। ’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩০-৩১)
উম্মে সালামা (রা.) বলেন, একদা আমি নবী (সা.)-এর কাছে ছিলাম এবং তাঁর কাছে মায়মুনা (রা.)-ও ছিলেন। এ সময় ইবনে উম্মু মাকতুম (রা.) এলেন। ঘটনাটি পর্দার বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পরের। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহ রাসুল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী (সা.) বললেন, যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছ না? (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪১১২)
২. প্রয়োজনীয় দৃষ্টি : ইসলাম অনুমোদিত প্রয়োজনে নারীরা গাইরে মাহরাম পুরুষের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে পারবে। শর্ত হলো ফিতনার আশঙ্কা না থাকা। এই ক্ষেত্রে দৃষ্টিপাতের সীমা হলো সাধারণভাবে পুরুষের দেহের যতটুকু প্রকাশ পায় ততটুকু। যেমন—চেহারা, মাথা, হাত ও পায়ের তালু ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে ফকিহদের দলিল হলো ফাতিমা বিনতে কায়সের হাদিস। মহানবী (সা.) তাঁকে বলেন, তুমি বরং ইবনে উম্মে মাকতুমের বাড়িতে গিয়ে ইদ্দত পালন করতে থাকো। কেননা সে একজন অন্ধ মানুষ। সেখানে প্রয়োজনবোধে তুমি তোমার পরিধানের (কম প্রয়োজনীয়) পোশাক খুলে রাখতে পারবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৫৮৯)
ফকিহরা বলেন, কারো বাড়িতে অবস্থান করতে হলে কমবেশি তাঁর দিকে তাকানোর প্রয়োজন হয়। যা দ্বারা প্রমাণিত হয়, প্রয়োজনের সময় যতটুকু স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়, নারীরা পুরুষের ততটুকু দেখতে পারবে।
৩. মাহরামের প্রতি দৃষ্টি : নারীরা তাদের মাহরাম তথা এমন পুরুষের প্রতি তাকাতে পারবে যাদের বিয়ে করা হারাম। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা হলো পুরুষের নাভির ওপরাংশ এবং হাঁটুর নিম্নাংশ। কেননা নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশটি সতর আর মাহরাম ও গাইরে মাহরাম কারো সামনে সতর প্রকাশ করা বৈধ নয়। আমর বিন শোয়াইব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, পুরুষের নাভির নিচ থেকে তার উভয় হাঁটু পর্যন্ত হলো সতর। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৬৭৫৬)
তবে বর্তমানে মাহরাম পুরুষ যদি ফাসিক হয় এবং তার ভেতর আল্লাহভীতি না থাকে, তাহলে তার থেকেও নারীদের দূরে থাকার পরামর্শ দেন প্রাজ্ঞ আলেমরা। কেননা বর্তমানে মাহরাম পুরুষ দ্বারা নারীর আব্রু বিনষ্ট হওয়ার ঘটনা বিরল নয়।
৪. স্বামীর প্রতি দৃষ্টি : একজন নারী তাঁর স্বামীর সমস্ত শরীরই দেখতে পারে। এমনকি তার লজ্জাস্থানও দেখতে পারবে। তবে ইসলাম স্বামী-স্ত্রী উভয়কে পরস্পরের লজ্জাস্থানের দিকে তাকাতে নিরুৎসাহ করে। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি কখনো নবীজি (সা.)-এর লজ্জাস্থানের দিকে তাকাইনি। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৩১২৩)
৫. যে দৃষ্টিতে ভয় নেই : কখনো নারীর দৃষ্টি গাইরে মাহরামের দিকে হলেও তাতে ভয় থাকে না। যেমন নাবালক ছেলেশিশুর দিকে তাকানো। এমন পরিস্থিতি নারীর দৃষ্টিপাত হারাম বা নিষিদ্ধ হবে না। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন হাবশিরা (বালক) তাদের বর্শা নিয়ে খেলা করছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে নিয়ে পর্দা করে তার পেছনে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং আমি সেই খেলা দেখছিলাম। যতক্ষণ আমার ভালো লাগছিল ততক্ষণ আমি দেখছিলাম। এরপর আমি স্বেচ্ছায় সে স্থান ত্যাগ করলাম। সুতরাং তোমরা অনুমান করতে পারো কোন বয়সের মেয়েরা আমোদ-প্রমোদ পছন্দ করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৯০)
৬. যে দৃষ্টিতে ভয় থাকে : যদি পরপুরুষের প্রতি নারীর দৃষ্টিতে জৈবিক কামনা থাকে অথবা কারো প্রতি তাকালে কামনা জেগে ওঠার ভয় থাকে, তবে এমন দৃষ্টি শরিয়তে দৃষ্টি হারাম। এমন পরিস্থিতিতে দৃষ্টি অবনত রাখা আবশ্যক। এ ছাড়া স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সতর দেখাও নারীর জন্য হারাম। চাই জৈবিক চাহিদা থাকুক বা না থাকুক। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ‘নারী যদি অপরিচিত পুরুষের দিকে জৈবিক চাহিদা নিয়ে তাকায় তবে তা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। পুরুষ যদি নারীর সতর এবং নারী যদি পুরুষের সতর দেখে তবে তাও সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। ’ (আল-মিনহাজ : শরহু সহিহ মুসলিম : ৬/১৮৪)
সূত্র: মুফতি আতাউর রহমান

শরীরচর্চার আগে-পরে এই পাঁচ ভুল করবেন না

 ১. শরীরচর্চার আগে ভারী খাবার

শরীরচর্চার পর পেশি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত রক্তসঞ্চালন হওয়া ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু শরীরচর্চার আগে ভারী খাবার খেলে তা পরিপাক হতে থাকার কারণে পেশিতে এই রক্তসরবরাহ ব্যাহত হয়। এ কারণে শরীরচর্চার পর পেশিতে টান লাগতে পারে (মাসল ক্র্যাম্প), বমিভাবও হতে পারে। তাই ভারী খাবার খাওয়ার পর অন্তত দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে শরীরচর্চা করতে হয়। তবে সবচেয়ে ভালো হলো, শরীরচর্চার আগে হালকা কিছু খাবার খেয়ে নেওয়া। একমুঠো বাদাম হতে পারে শরীরচর্চার আগে দারুণ এক নাশতা।
২. পানির সঙ্গে আড়ি
শরীরচর্চার আগে–মাঝে–পরে পানি না খাওয়া একটি মারাত্মক ভুল। শরীর ঠান্ডা করতে এবং রক্তের সঞ্চালন ঠিক রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই। শরীরচর্চা শুরুর আগে কিছুটা পানি খেয়ে নিন। শরীরচর্চা চলার সময়ও ১৫ মিনিট অন্তর ১৫০-২০০ মিলি পানি খাওয়া উচিত। শরীরচর্চা শেষে ধীরেসুস্থে পানি খেতে হবে আরও বেশ খানিকটা।
৩. ‘ওয়ার্ম আপ’ এবং ‘কুল ডাউন’ না করা
সময় বাঁচাতে গিয়ে ‘ওয়ার্ম আপ’ অর্থাৎ শরীর গরম করে নেওয়ার ধাপটি বাদ দেবেন না। ‘ওয়ার্ম আপ’ করার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, পেশি শিথিল হয়, বিস্তৃত পরিসরে নাড়ানো যায় অস্থিসন্ধি বা জয়েন্ট। তাই ভারী ব্যায়াম (যেমন পেশির স্ট্রেচিং) শুরুর আগে ৫-১০ মিনিট হালকা হাঁটাহাঁটি, জগিং বা ধীরেসুস্থে সাইকেল চালিয়ে ‘ওয়ার্ম আপ’ করে নেওয়া আবশ্যক। শরীরচর্চা শেষে শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ‘কুল ডাউন’ অর্থাৎ হালকাভাবে পেশি স্ট্রেচিং করতে হবে কিছুক্ষণ।
৪. ভুল দেহভঙ্গি
শরীরচর্চার জন্য চাই সঠিক দেহভঙ্গি। নইলে বাড়বে ব্যথা-বেদনা, শরীরচর্চার সুফলটাও সঠিকভাবে পাওয়ার সম্ভাবনা কমবে। ট্রেডমিল ব্যবহারের সময় কিংবা ওজন তোলার সময় ভুল দেহভঙ্গির কারণে ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও। ট্রেডমিল ব্যবহারের সময় এর ওপর ঝুঁকে পড়া যাবে না। ওজন তোলার সময় পিঠ সোজা রাখুন, কাঁধ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে ফেলা যাবে না। হাঁটা বা দৌড়ানোর সময়ও বজায় রাখতে হবে সঠিক দেহভঙ্গি।
৫. শরীরচর্চার সময় সামাজিকতা
বন্ধুদের সঙ্গে শরীরচর্চা করতেই পারেন, আবার একই জায়গায় একই সময়ে শরীরচর্চা করতে করতে নতুন বন্ধুও তৈরি হতে পারে। কিন্তু শরীরচর্চার সময় সামাজিকতার দিকে খুব বেশি মনোযোগ না দেওয়াই ভালো। হালকা কথাবার্তা চলতেই পারে, কিন্তু শরীরচর্চায় নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। তবে শরীরচর্চার আগে বা পরে আলাপ চলতে পারে, ছুটতে পারে হাসির ফোয়ারা।
সূত্র: প্রথম আলো

বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ‘মাউথওয়াশ’

 বহু মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে এখন ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক উপাদান কাজে লাগাতে বেশি পছন্দ করেন। যাঁরা বাজারজাত মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে চান না, তাঁরা বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ।

বাড়িতে তৈরি মুখ পরিষ্কার করার এই দ্রবণে কোনও কৃত্রিম রাসায়নিক যেমন থাকে না, তেমনই থাকে না অ্যালকোহল।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
লবঙ্গ: ৪-৫টি
গোলমরিচ: ৪-৫টি
জল: ২ কাপ
প্রণালী:
একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে গোলমরিচ ও লবঙ্গ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ভাল করে এক বার ফুটলে পাত্র নামিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক নাড়িয়ে ঠান্ডা করে নিন। ব্যস; তাতেই কেল্লাফতে। মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া নির্মূল করাই হোক, বা দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখা— মুখ গহ্বর ভাল রাখতে এই প্রাকৃতিক মাউথওয়াশের জুড়ি মেলা ভার।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
দাঁত মাজার পর দ্রবণটি মুখে নিয়ে ভাল করে কুলকুচি করে ফেলে দিতে হবে। এ ভাবে দিনে দু’বার মুখ সাফ করতে হবে। বাড়িতে তৈরি মুখ পরিষ্কার করার এই দ্রবণে কোনও কৃত্রিম রাসায়নিক যেমন থাকে না, তেমনই থাকে না অ্যালকোহল। ফলে যাঁদের মুখ স্পর্শকাতর, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকরী। কৃত্রিম মাউথওয়াশে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ অনেক সময়ে মুখের লালা গ্রন্থির ক্ষরণ কমে যায়। একে বিজ্ঞানের ভাষায় জেরোস্টোমিয়া বলে। বাড়িতে তৈরি এই মাউথওয়াশে এই ধরনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।
-আনন্দবাজার থেকে

একাকীত্ব

 আপনার যত সময় বা বয়স বেড়ে চলবে, ততই আপনার একাকীত্ব অনুভব হবে। আর এটাই স্বাভাবিক। একারণেই আমাদের উচিত বৃদ্ধ মানুষদের সঙ্গ দেওয়া। কারণ তারা একাকীত্বে ভোগেন।

সবথেকে বেশি আঘাত করে, সেই মানুষের দেওয়া একাকীত্বটা যার সঙ্গ আপনাকে কাল পর্যন্ত বিশেষ ভাবে শক্তি জুটিয়েছে কিন্তু আজ সে আপনাকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করছে।
একাকীত্ব ধমনির অসুখ এবং হার্ট অ্যাটাক এর জন্য অনেকাংশে দায়ী।
একাকীত্ব কক্ষনোই আপনার কতজন বন্ধু বা কতজন আত্মীয় আছে তার উপর নির্ভর করে না। আপনার অনেক বন্ধু এবং আত্মীয় থাকলেও আপনি একাকীত্ব অনুভব করতে পাড়েন। এটা সম্পূর্ণভাবে অনুভূতির ব্যাপার। যখন আপনি মনে করেন আপনার কেউ নেই, তখনই আপনার একাকীত্ব অনুভব হয়।
একাকীত্বের জন্যই পৃথিবীর অনেক রিলেশনশিপ ভেঙ্গে যায়।
-সংগৃহীত

উত্তম জীবন বা ‘হায়াতে তায়্যিবা’

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, উত্তম জীবনের অর্থ হালাল উপার্জন।

আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) অর্থ করেছেন পরিতৃপ্তি।
আলী ইবনে আবি তালহা (রহ.) বলেছেন, সৌভাগ্য।
আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) উল্লিখিত মতগুলো উদ্ধৃত করে বলেন, ‘হায়াতে তায়্যিবা’ এর সবটিকেই বোঝায়। কেননা হাদিসের বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হয় মানুষের জীবনের জন্য স্বস্তিকর, তৃপ্তিকর ও আরামপ্রদ সব কিছুই উত্তম জীবনের অন্তর্ভুক্ত।
-তাফসিরে ইবনে কাসির
মুমিন দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম জীবন প্রত্যাশা করে। শুধু প্রত্যাশা করে না; বরং এ জন্য সে যথাযথ চেষ্টাও করে। কেননা মহান আল্লাহ ‘উত্তম জীবন’কে তাঁর অনুগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা তিনি ঈমান ও ভালো কাজের প্রতিদান হিসেবে দিয়ে থাকেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষ ও নারীদের কেউ ভালো কাজ করলে আমি তাকে নিশ্চয়ই পবিত্র (উত্তম) জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কাজের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব।
ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষ ও নারীদের কেউ ভালো কাজ করলে আমি তাকে নিশ্চয়ই উত্তম জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কাজের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব। ’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৯৭)
সূত্র: মুফতি আবদুল্লাহ নুর

আসা যাওয়া, খালি হাতেই

 কোন এক কালে প্রভাবশালি এক বাদশাহ ছিলেন। তিনি যখন অনুধাবন করতে পারলেন তার মৃত্যুর সময় নিকটবর্তি হয়ে গেছে তখন তার প্রধান উজিরকে ডেকে পাঠালেন।

উজিরকে উদ্দেশ্য করে বললেন- আমি তোমাকে তিনটি উপদেশ করে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর পর তুমি তা পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করবে।
উজির সম্মানসূচক জিজ্ঞাসার দৃষ্টিতে তাকলে বাদশাহ বললেন –
উপদেশগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনো –
আমি যখন মারা যাব তখন আমার মরদেহের পালকিটা যেন ওইসব বিজ্ঞ আর বড় বড় ডাক্তার বয়ে নিয়ে যায়, যারা আমার জীবদ্দশায় দেশ সেরা ছিল। আর আমার চিকিৎসা করেছিল।
আমার মৃত্যুর পর আমার বাড়ি থেকে কবরস্থান পর্যন্ত পুরো রাস্তায় যেন আমার সব সোনা রুপা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যেগুলো আমি জীবদ্দশায় সংরক্ষিত করে রেখেছিলাম।
আমার মৃত্যুর পর আমার দুইহাত যেন আমার কাফনের বাইরে রাখা হয়।
উজির অবাকদৃষ্টিতে বাদশাহকে জিজ্ঞাসা করলেন – বাদশাহ মহোদয়, উপদেশগুলো আমি যথাযথভাবে পালন করব, ইন শা আল্লাহ। তবে এর পেছনে রহস্যটা কী? তা জানতে আগ্রহ হচ্ছে।
বাদশাহ বললেন –
১. মানুষ যাতে একথা বুঝে যে, মৃত্যু থেকে কেউ রেহাই পাবে না। এমনকি বড় বড় ডাক্তার; যাদের উপর আমরা আস্থা করি তাদেরও আমাদের বাঁচানোর ক্ষমতা নেই।
২. মানুষ যেন একথা বুঝতে পারে যে, সারা জীবনে সে যে সম্পদ কামাই করেছে সেসবও তাকে বাঁচাতে পারবে না। সবকিছুই এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে।
৩. মানুষ যেন একথা বুঝতে পারে যে, যেভাবে খালি হাতে দুনিয়াতে এসেছিল সেভাবেই খালি হাতে ওপারে যেতে হবে।
ধনসম্পদ আপনজান কেউই তার সাথে ওপারে যাবে না। যাবে শুধু আমলনামা, যা সে কামাই করেছে।
-সংকলিত।

Friday, November 18, 2022

বিষাক্ত মানুষ

 নিরাপদ দূরত্ব থাকুন বিষাক্ত মানুষ থেকে

A toxic person is anyone whose behavior adds negativity and upset to your life.
Cut Them Off of Your Life
১. সকল ক্ষেত্রে প্রমাণ নির্ভর যুক্তি উপস্থাপন, কথায় কথায় নিতি আদর্শের বুলি আওড়ানো, বাক পটিয়সি এবং এই পৃথিবীতে সে বা তারাই একমাএ নিখুঁত মর্মে নিজেকে জাহির, তাদের চেহারা, প্রতিভা, ভাবমূর্তি সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার বেপরোয়া মনোভাব, চরম হিপোক্রেসি এবং যখন তখন যাকে তাকে দমিয়ে নামিয়ে নিজেকে আপগ্রেড করার নির্লজ্জ ভুমিকায় অবতীর্ণ মানুষগুলো নিশ্চিতভাবে বিষাক্ত মানুষ।
২. আত্মীয়, সজ্জন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, এমনকি বাবা, মা, স্ত্রীর সম্পর্কেও মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন বক্তব্য দ্বারা বিভ্রান্তির সৃষ্টি পারস্পরিক অবনতিশীল সম্পর্কের তৈরি - এই মানুষগুলো ভয়ংকর রকম বিষাক্ত।
৩. অযাচিত প্রশংসা, অপ্রয়োজনীয় তারিফ, তোষামোদী এবং অতি উৎসাহি ভুমিকা দ্বারা তুষ্ট করার প্রচেষ্টা এবং তাদের উদ্দেশ্য সাধন না হওয়া পযর্ন্ত সকল অনাদর, অবহেলা, উপেক্ষা হাসিমুখে মেনে নেওয়া এবং পরবর্তীতে সুযোগ মতো পিঠে ছুরি মেরে সটকে পড়া- বিষাক্ত মানুষ।
৪. বন্ধুর লেবাসে গভীর সক্ষতা গড়ে তুলে যাবতীয় গোপনীয়তা, দুর্বলতা সংগ্রহ করে পরিণামে সেগুলো অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার এবং আত্মস্বার্থ চরিতার্থ- বিষাক্ত মানুষ।
৫. মুখে তারা সবকিছু উজাড় করে দিয়ে দেবে, প্রতিনিয়ত Emotionally ব্লাকমেইলিং এবং তাদের সকল দায়িত্বহীন ভূমিকা, কর্তব্যকর্মে অবহেলা কিংবা অবান্তর কর্মকাণ্ডকেও যুক্তি দ্বারা বৈধকরণের প্রচেষ্টা এবং প্রকারান্তরে তাদের নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি; এগুলো বিষাক্ত চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।
৬. সকল বিষয়ে এটা ঠিক নয়, ওটা ভুল, সে ছাড়া অন্যেরা কুৎসিত, অবান্তর তথা এই জাতীয় নেতিবাচক কথাবার্তা এবং চিন্তা চেতনা দ্বারা প্রভাবিত করে প্রকৃত বন্ধু এবং সহযোগীদের সাথে দূরত্ব বাড়িয়ে সুযোগের সৃষ্টি করে নিজেদের মতলব হাসিলের প্রচেষ্টা - এগুলোও বিষাক্ত চরিত্রের নমুনা।
৭. যারা অল্পতেই অস্বস্তির সৃষ্টি করে এই মানুষগুলো ভয়ংকর রকম বিষাক্ত।
সূত্র: কনস্ট্রাকশন ইন্জিনিয়ার M MD R Tanim
Own study
Reader's Digest

সুখ

 আল্লাহতে সমর্পিত বান্দা হলে “সুখ” ধরা দেবেই

সুখ হলো মনের একটা অনুভূতি। কোন কিছু থাকা বা না থাকার সাথে এর সম্পর্ক নেই।
মানুষ অতীতের সুখ বোঝে, ভবিষ্যতে সুখ খোঁজে। আর বর্তমানের সুখ চেনেই না।
Bonus Reading
সুখের সন্ধান পাওয়া যায় একমাত্র ইসলামে। ইসলাম কথাটির অর্থ - আত্মসমর্পণ। আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ। যে লোকটি তেমন আত্মসমর্পণ করতে পারে, তার কোন অতৃপ্তি থাকে না। সে হয় প্রকৃত সুখী, প্রকৃত শক্তিশালী।
নিজ পাঠ
বিএন.কোরা.কম

ইম্প্রেসিভ

 শুনশান রেল স্টেশন। দিনের শেষ ট্রেনটি প্লাটফর্ম ছেড়ে চলে গেছে। এক বৃদ্ধা বসেই আছেন। জানেন না পরের ট্রেনটি আসবে পরের দিন। এক কুলির নজর গেল সেদিকে।

- মাইজি, তুমি কোথায় যাবে?
- দিল্লি যাব বাবা ছেলের কাছে।
- আজকে তো ট্রেন আর নেই মাইজি।
বৃদ্ধার অসহায় দৃষ্টি। কুলিটির বোধহয় দয়া হল।
- মাইজি তোমাকে ওয়েটিং রুমে রেখে আসি। আমার সঙ্গে চল।
- তাই চল বাবা। কি আর করব!
- তোমার ছেলে বুঝি দিল্লিতে থাকে?
- হ্যাঁ বাবা।
- কি করে?
- রেলে কি যেন একটা কাজ করে!
- নামটা বল দেখি। যোগাযোগ করা যায় কিনা দেখছি।
- ও তো আমার লাল। সবাই ওকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলে ডাকে যে।
তিনি তখন ভারতীয় রেলওয়ের ক্যাবিনেট মিনিস্টার। মুহূর্তের মধ্যে গোটা স্টেশন তোলপাড়। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলো শ্যালোঁ (saloon car)। বৃদ্ধা অবাক। তাঁর ছেলের এত ক্ষমতা!
লাল বাহাদুর কিছুই জানতেন না। সমস্ত আয়োজন করেছিল ভারতীয় রেল।
পরিশেষে একটিই কথা, এমন মা না হলে অমন ছেলে হয়! ****এই রকম নেতা এখন দুর্লভ, এরা ক্ষমতা প্রতিপত্তির জন্য পদে বসেন নি, এরাই পদকে অলংকৃত করেছেন।
ছেলের দেখা পাওয়ার পর তিনি ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন - "বেটা , তু রেল মে কেয়া কাম করতে হো , এ লোগ পুছা তো ম্যায়নে কুছ নেহি বোলপায়া ।"
তার উত্তরে ছেলে বলেছিলেন - " ছোটিসি কাম মা "।
-Adapted

ভোরে এক ঘন্টা হাঁটা

 “This early piece of the morning is mine.” – Wallace Stegner

খুব ভালো হয় যদি এটা আপনি নিজে পরীক্ষা করে দেখেন। একদিন ভোরবেলা হেঁটে আসবেন। তারপরের দিন ভোরবেলা পড়তে বসেন। পার্থক্যটা নিজে বুঝতে পারবেন। অন্য কারো কথায় অভিজ্ঞতাটা ঠিক বোঝা যাবেনা এক্ষেত্রে।যেটা আপনার ভালো লাগবে, আপনি সেটাই বেছে নেবেন।
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, সুবিখ্যাত বিজ্ঞানী " মিসাইল ম্যান" ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম " My Journey Transforming Dreams into Actions" বইয়ে এই বিষয়ে তাঁর বাবার প্রাতঃভ্রমনের অভ্যাস সম্পর্কে কিছু বক্তব্য লিখেছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী তাঁর বাবা প্রাতঃভ্রমনের ফলে নিজের এক উন্নত ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলেছিলেন। যে উন্নত ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন রাষ্ট্রপতির জীবন দর্শনে অনেকাংশেই প্রভাব ফেলে।সুতরাং তাঁর মতে প্রাতঃভ্রমনের উপকারীতা অনস্বীকার্য।
ছোট থেকে বেশ কিছু কথা শুনে আসছি। যেমন ভোরবেলা পড়াশোনা করলে সেটাই নাকি আসল পড়াশোনা হয়। কারণ সকালে মাথা পরিষ্কার থাকে, পরিবেশ শান্ত থাকে, যা পড়া হয়,সেটাই একেবারে মস্তিষ্কের অন্তঃস্থলে প্রবেশ করে পাকাপোক্ত বাসা বেঁধে ফেলে। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা হল (ভুল হতে পারে) - ভোরবেলা পড়তে বসলেই ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে , হাঁই তুলে তুলে গাল-গলা ব্যাথা করে সময়ই শুধু নষ্ট করতাম। একবাক্যও পড়া হত না। আমি রাতভোর পড়তাম। কারণ নিশুতি রাতে শান্ত নিরিবিলিতে পড়তে সুবিধা হত। এটা যদিও যার যার নিজস্ব পছন্দ ও সুবিধার ব্যাপার। কিন্তু আমার মতে বই পড়ার সদিচ্ছা থাকলে, সারাদিনের যে কোনো সময়েই পড়া যায়। প্রাতঃভ্রমণ নির্দিষ্ট সময়ে ভোরবেলা করতে পারলে তা জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সারারাত ঘুমের পরে, সকালে সমস্ত ক্লান্তি দুর হয়ে আমাদের যে শারীরিক শক্তি সঞ্চিত হয়, তা প্রাতঃভ্রমণের জন্য অনুকূল অবস্থা তৈরি করে।
সকালের সদ্যজাগ্রত প্রকৃতি আমাদের অন্যপ্রকারের মানসিক শক্তির যোগান দেয়। ভোরবেলার পাখির কলতান, হালকা সূর্যের আলো, ঠাণ্ডা নরম হাওয়ার স্পর্শে শরীর ও মনে সুস্থতার বোধ হয়।
সকালে ভ্রমণ সারাদিন কাজ করার উৎসাহ ও শক্তি বৃদ্ধি করে। কিন্তু দিনশেষে সারাদিনের কাজকর্মের ক্লান্তি ভ্রমণের ইচ্ছা নষ্ট করে দেয়। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর ভ্রমণ করাই হয় না।
বর্তমানে আমরা বড় বেশী কূপমণ্ডূকতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছি। সামাজিকতাহীন হয়ে পড়ছি। এই পরিস্থিতিতে সকাল বেলা কিছু চেনা পরিচিত মানুষের মুখ দর্শনও জীবনে নতুন আলোর সঞ্চার করে। সারাদিন একটা ভালোলাগায় ভরে থাকে।
এছাড়া একমাত্র ভোরবেলাতেই আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত হয়। দিনের অন্য সময় এটা সম্ভব নয়।
সকালে ভ্রমণের সময় আমি একটা জিনিস করি। যেটা মন তরতাজা করে দেয়।প্রথমে খালি পায়ে কাঁকরের ওপর দিয়ে খানিকক্ষণ হাঁটি। তারপর খালি পায়ে নরম শিশিরে ভেজা ঘাসের ওপর হাঁটি।খুব আরাম লাগে। এটা মন ভালো করার একধরনের থেরাপিও বলা যায়। এটা দিনের অন্য কোনো সময়ে আর করা যায় না।
তাই সকালে একঘণ্টা বই পড়া আর সকালে একঘণ্টা প্রাতঃভ্রমণের মধ্যে আমি প্রাতঃভ্রমণকেই বেছে নেব।
ধার: পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজ পাঠ

অশ্বগন্ধা

অশ্বগন্ধা কোলেস্টেরল কমায়

অশ্বগন্ধা অনিদ্রা দূর করে

অশ্বগন্ধা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে

অশ্বগন্ধা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে

অশ্বগন্ধা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

অশ্বগন্ধা থাইরয়েডের সমস্যা দূর করে

অশ্বগন্ধা চোখের সমস্যা দূর করে

অশ্বগন্ধা আর্থ্রাইটিস সারাতে কাজ করে

অশ্বগন্ধা স্মৃতি শক্তি বাড়ায়

অশ্বগন্ধা পেশী মজবুত করে

অশ্বগন্ধা ইনফেকশন থেকে রক্ষা পেতেও কাজ করে

অশ্বগন্ধা হার্টের জন্য ভালো

অশ্বগন্ধা শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে

অশ্বগন্ধা বার্ধ্যকের ছাপ দূর করে

অশ্বগন্ধা ক্ষত সারায়

অশ্বগন্ধা খুশকি কমায়

-https://bn.quora.com/
-নিজ পাঠ

ঘুমবার সহজ উপায়গুলো

 ঘুমকে অস্বীকার করার উপায় নেই। যখন আমরা মানসিক অস্থিরতায় থাকি তখন ঘুমের প্রয়োজনীতা কার্যকরভাবেই দেখা দেয়। আর ঘুমের সাথে বুদ্ধিমত্তার যোগাযোগও ঘনিষ্ট।

১. টেষ্ট ইওর পিলো
বালিশটা দেখে নাও নিদ যাবার আগে।
অনেকে ইটের মতন শক্ত বালিশে মাথা রেখে ঘুমায়। এটা স্বাস্থসম্মত নয়।
অনেকে এ রকম শক্ত উঁচু বালিশে মাথা রাখে। এটাও নয় স্বাস্থসম্মত নয়। অপেক্ষাকৃত নরম বালিশে ঘুম সুখের হয়। কেউ যদি চিৎ হয়ে ঘুমায় তার উচিৎ কম উঁচু বালিশ সিলেক্ট করা। আবার কেউ কাৎ হয়ে ঘুমালে তার উচিত অপেক্ষাকৃত উঁচু ও নরম বালিশ ব্যবহার করা। এ পরামর্শ স্লিপ স্পেশালিষ্ট ও সাইকোলজিস্ট ডা. মাইকেল জে. বৃয়াসের।
২. সকালে গায়ে এক ঘন্টা রোদ লাগাও
এ সময় রোদ লাগালে ব্রেন মেলাটোনিন উতপাদনের সুইচ বন্ধ রাখে একই সাথে কধন মেলাটোনিন তৈরীর টাইমার চালু করতে হবে তা নিয়ন্ত্রন করে ব্রেন। সকালে ১৫-৩০মিনিট সরাসরি সূর্যের আলোতে থাকো। এর পরে বাইরে কাজের সময় ১৫ মিনিট করে রোদ লাগালেই চলবে। ডা. মাইকেল জে.বৃয়াসের এগুলো জানিয়েছেন।
৩. শোবার আগে নোনা স্বাদের স্ন্যাক্স খাওয়া মানা
শোবার আগে এ রকম খাবার খেলে বেশী বাথরুমে যেতে হয়। আবার রাতের শেষের দিকে Bathroom Trip দরকার হলে (নকচ্যুরিয়া-Nocturia) ফিরে এসে আবারও নিদ যাওয়া অনেকেরই পক্ষে কষ্টকর। এ পরামর্শ
সাইকিয়াট্রিষ্ট ডা. Rafael Pelayoর।
৪. ডিনারের আগে ঝগড়া-ঝাটি মিটিয়ে ফেলো
স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য বা পারিবাররিক ভারী ভারী কথাগুলো বা বিতন্ডা ডিনারের অনেক আগেই সেরে ফেলা ভালো। আমার এক ভগ্নিপতি বলতেন, “তোরা ‘আসরের নামাযের পরে আর ঝগড়া করিসনে যেনো।” কথাটার যুক্তি আছে বৈ কি! ভারী ভারী কথাগুলো বা বিতন্ডা সেরে ফেললে রাতের ঘুমের ডিষ্টার্ব হয় না। এ পরামর্শ ক্যালিফের্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রির প্রফেসর অ্যাশলে ম্যাশনের। কিন্ত ডিনারের পরে এ রকম আরগুমেন্ট আর ঝগড়া-ঝাটি শুরু হলে কখন যে শেষ হবে বলা মুশকিল। আমরা বাংগালীরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঝগড়া-ঝাটির রেশ রেখেই দেই। এতে ঘুমের ১২টাই বাজে।
সহায়তাঃ AARP BULLETIN, Dec 2021
রিডার্স ডাইজেষ্ট
Self Study