Tuesday, September 19, 2017

Counting the blessings of Allah

I saw one wall hanging calendar having these superb lines.
When your head is on the pillow
And the day is almost done
Count Allah's Blessings
Count them one by one
Let us try to understand this concept further by listing down some of the major blessings which have been and being showered by Allah to each one of us. Also let us audit ourselves on how often we are thankful to Allah for these blessings. 

Resurrection Trial for the believers

হাশরের মাঠে কোন ব্যক্তি এক কদমও নড়তে পারবে না যতক্ষণ না সে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে:
(
) জিন্দেগী কি কাজে ব্যয় করেছে    
(
) যৌবন কিসের পেছনে ব্যয় করেছে?
(
) ধনসম্পদ কিভাবে অর্জন করেছে?
(
) ধনসম্পদ কোথায় ব্যয় করেছে?
(
) অর্জিত ইলম অনুসারে কতটুকু আমল করেছে?
 
যে ব্যক্তির হৃদয়ে উপরোক্ত হাদিসটি বদ্ধমূল হয়ে যাবে (কেবল মুখস্থ নয়) তার পক্ষে, জঙ্গিপনা কিংবা সন্ত্রাস তো অনেক দূরের কথা, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোন অন্যায় করা কি আদৌ সম্ভব? 

Never Compare Your Kids with Others

৫ কারণে আপনার ছেলে মেয়েকে অন্যের ছেলে মেয়ের সাথে তূলনা করবেন না
১. এটা তাদের ভেতর সন্দেহ নিয়ে আসবে
২. এতে তাদের ভেতর হিংসা ও দ্বেষ দানা বাঁধবে
৩. এটা তাদের ভেতর নেতিবাচক মনোভাব তৈরী করবে
৪. এটা মা-বাবা-ছেলে-মেয়ের ভেতরের মধুর রিলেশনশীপ বিলীন করে দেবে
৫. এটা তাদেরকে মনের দিক থেকে অনেক হতোদ্যম করবে।

Mark Twain অনেক আগেই বলে গেছেন, “নিজের ছেলে মেয়েকে অন্যের ছেলে মেয়ের সাথে তূলনা করা মানে হলো “অনেক” আনন্দের মৃত্যু- death of joy

অ্যাক্ট অব লিটল কাইন্ডনেস

ছোট্ট চারুর ইচ্ছে হলো সে আল্লাহকে দেখবে। সে এইনা ভেবে তার ছোট্ট সুটকেসটির ভেতর কাপড় গুছিয়ে নিলো। সুটকেসটির ভেতরে একটি পাত্রে সে কয়েক পিস কেক নিলো। এবার তার যাত্রা শুরু করলো। সে বাড়ী থেকে অনেক দূরে একটি বাগানে পৌছলো। বেশ ক্লান্ত বোধ করলো সে। বাগানের গাছের ছায়ায় সে একটি বেঞ্চের ওপর বসে পড়লো। ভাবলো, ক্লান্ত লাগছে- এবার কেক খাই। এদিক ওদিক তাকিয়ে নিলো চারু। দেখলো তার কাছেই এক বৃদ্ধা বসে আছে আরেকটি বেঞ্চের ওপর। সে ছিল ক্লান্ত, দুঃখিত আর মনে হলে সে কিছুই খায়নি অনেক সময় ধরে। চারু তাকে কেক দিতে চাইলো। মহিলাটিও কেক নিতে চাইলো। চারু তাকে দিলো। মহিলাটি বেশ “কৃতজ্ঞ” হলো চারুর প্রতি। সে চারুর দিকে তাকিয়ে “সুন্দর হাসি” দিলো। এমন হাসি দিলো যে চারু কোনদিনই এমন সুন্দর হাসি দেখেনি। চারু ভাবলো এই মহিলাকে যেন বার বার দেথতে পাই। চারু আবার তাকে কেক দিলো। কেক নিয়ে আবারো সে চারুর দিকে তাকিয়ে আবারো সুন্দর হাসি দিলো।
এভাবেই চারু আর বৃদ্ধা মহিলা বাগানে অনেকটা সময় এক সাথে কাটিয়ে দিলো । দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলো। কিন্ত এতটা সময় দু’জনেই কারো সাথে কোন কথা বলেনি।
গোধুলী বেলায় চারু বাড়ীর দিকে চললো। কারণ, ওর বেশ দূরে যেতে হবে। বৃদ্ধা মহিলা চারুকে একটি “চুমু” দিলো। এতে সে আরো আনন্দিত হয়ে চললো বাড়ীর পানে।
বাড়ীর দরজায় টোকা দিতেই চারুর মা দরজা খুললো। চারুর মুখটি হাসিতে উজ্জল। মা বল্লো “কি রে, আজ এতটা আনন্দিত যে তুই”। কি হয়েছে বলতো শুনি। সে বল্লো, আজ বাগানে আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করেছি। তাই এতটা আনন্দিত।” মা বল্লো, “কিভাবে?” চারু বল্লো মা, বাগানে আজ এক বৃদ্ধা মহিলার সাথে কেক শেয়ার করি। সে ছিল ক্লান্ত, দুঃখিত আর মনে হলে সে কিছুই খায়নি অনেক সময় ধরে। কেক শেয়ার করবার সময় আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করলাম। আল্লাহ তো আমাদের কাছেই থাকেন। সাথেই থাকেন। তুমি আমাকে আল্লাহ বিষয়ে বলতে, “আন্যকে সাহায্য করলে আল্লাহকেই সাহায্য করা হয়।”
এদিকে বৃদ্ধা মেয়েটিও বাড়ীতে গেলসে ও ছিল চারুর মতই আনন্দিত। তার ছেলে বল্লো, “মা, আগে তোমাকেতো এতটা আনন্দিত দেখিনি?” কি হলো আজ যে তুমি এতটা আনন্দিত। বৃদ্ধা বল্লো বাবা, বাগানে আজ এক ছোট্ট বাবুর সাথে কেক শেয়ার করবার সময় আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করলাম। আল্লাহ তো আমাদের কাছেই থাকেন। সাথেই থাকেন। আমি তোকে বলতাম, গল্প শোনাতাম, “গৃহহীনে গৃহ দিলে আমি থাকি ঘরে!” সেই চারু যখন আমাকে কেক খাওয়াচ্ছিল তখনই আল্লাহকে অনুভব করলাম। (সুরা ক্কাফ-আয়াত ১৬ “ওয়া না্‌হ্‌নু আক্করাবু ইলাইহি মিন হাব্‌লিল ওয়ারীদ..-আমি তোমাদের ঘাড়ের শিরার চাইতেও কাছে থাকি।”
আসুন আমরাও আল্লাহকে আমাদের মনের ভেতরে স্থায়ী আসন দিই। তখন দেখবেন “আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবেনা।” আপনি আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করতে পারবেন।
রিফ্লেকশানঃ
আমরা বেশীরভাগ সময়ই “স্পর্শের” (টাচ) শক্তিকে অবহেলা করি
“হাসির” (স্মাইল) শক্তিকে অবহেলা করি
“দয়ার (কাইন্ডনেস) উদ্রেক করে এমন কথার শক্তি”কে অবহেলা করি
“ভাল কথা শোনার (গুড হেয়ারিং) শক্তি”কে অবহেলা করি, ভাল কথা হলে উপেক্ষার ছলে চলে যাই
“ভাল প্রশংসার (প্রেইজ) শক্তি”কে অবহেলা করি
উতসাহের (এনথুসিয়েজম) “শক্তি”কে অবহেলা করি (উতসাহ কথাটার গ্রীক সংস্করণ এনথুসিয়েজম-যার মানে “ভেতরে আল্লাহ আছেন”)
“খুব ছোট একটি যত্নের (স্মল কেয়ার) শক্তি”কে অহেলা করি-তুচ্ছ ভাবি।

কিন্তু না। মনোবিজ্ঞান বলছে-ওপরের সবগুলো “শক্তি”ই অসাধারন। এগুলো আমাদের সবার জীবনে অনেক গভীর ও স্থায়ী চিহ্ন রেখে যায়। স্মৃতির পাতা থেকে সেগুলো কোন দিনই মুছে যায় না।এর নাম “ইপিসোডিক মেমোরী” বা ঘটনাক্রমে যা মনে লাখা হয়।
আমাদের মনে রাখা দরকার যে “আল্লাহ”কে আমরা কেউই দেখিনি। আল কুরআনের ভাষায় তিনি আমাদের নিকটতম দূরত্বেই থাকেন। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন যেটা তাঁর অন্যতম সেরা সৃষ্টি। “আল্লাহ” মানুষ সৃষ্টি করেছেন অবশ্যই একটি মহান উদ্দেশ্য নিয়ে। ওপরে লেখা মানুষের সব “শক্তি”র্ কোন না কোন স্থায়ী ভাল “প্রভাব”তো প্রত্যেক মানব জীবনে তথা প্রত্যেক প্রাণীর জীবনে রয়েছেই, অস্বীকার করার জো নেই।
আমাদের সবারই উচিত হবে প্রতিদিন এমন কোন না কোন কাজ করা যা মানুষের বা কোন প্রাণীর মনে দয়ার উদ্রেক করে একটি স্থায়ী ছাপ রেখে যায়। পরীক্ষা করে দেখুন আপনার বাড়ীর আশে পাশের বিড়াল ছানাটিকে যদি “আদর” দেন-সে ও আপনার ভালবাসার জবাব দেবেই।

মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে্
একটু সহানুভূতি কী মানুষ পেতে পারে না?
বলো কী তোমার ক্ষতি, জীবনের অথৈ নদী-
পার হয় তোমাকে ধরে-দুর্বল মানুষ যদি?

Saturday, September 16, 2017

Plant a Viable Genuine seed

If you plant honesty, You will reap trust
If you plant goodness, You will reap friends
If you plant humility, You will reap greatness
If you plant perseverance, You will reap victory
If you plant consideration, You will reap harmony
If you plant hard work, you will reap success
If you plant forgiveness, You will reap reconciliation
If you plant openness, You will reap intimacy
If you plant patience, You will reap improvements
If you plant faith, You will reap miracles

But
If you plant dishonesty, You will reap distrust
If you plant selfishness, You will reap loneliness
If you plant pride, You will reap destruction
If you plant envy, You will reap trouble
If you plant laziness, You will reap stagnation
If you plant bitterness, You will reap isolation
If you plant greed, You will reap loss
If you plant gossip, You will reap enemies
If you plant worries, You will reap wrinkles
If you plant sin, You will reap guilt

So be careful what you plant now, it will determine what you will reap tomorrow, the seeds you now scatter, will make life worse or better, your life or the ones who will come after. Yes, someday, you will enjoy the fruits, or you will pay for the choices you plant today.

Saturday, September 9, 2017

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ওরফে বনফুল অনেক আগে এই গল্পটা লিখছিলেন। কিন্তু মানুষের দাম্পত্য জীবনের পাওয়া না পাওয়ার দোলাচলে গল্পটা হয়ে গেছে চিরকালীন।
নিম গাছ
কেউ ছালটা ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করছে।
পাতাগুলো ছিঁড়ে শিলে পিষছে কেউ।
কেউ বা ভাজছে গরম তেলে।
খোস দাদ হাজা চুলকুনিতে লাগাবে।
চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ।
কচি পাতাগুলো খায়ও অনেকে।
এমনি কাঁচাই.....
কিংবা ভেজে বেগুন- সহযোগে।
যকৃতের পক্ষে ভারী উপকার।
কচি ডালগুলো ভেঙে চিবোয় কত লোক...। দাঁত ভালো থাকে।
কবিরাজরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
বাড়ির পাশে গজালে বিজ্ঞরা খুসী হন।
বলেন-"নিমের হওয়া ভাল, থাক, কেটো না।"
কাটে না, কিন্তু যত্নও করে না।
আবর্জনা জমে এসে চারিদিকে।
শান দিয়ে বাধিয়েও দেয় কেউ- সে আর এক আবর্জনা।
হঠাত একদিন একটা নূতন ধরণের লোক এল।
মুগ্ধ দৃষ্টিতে বেয়ে রইল নিমগাছের দিকে। ছাল তুললে না, পাতা ছিঁড়লে না, ডাল ভাঙ্গলে না। মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে রইল শুধু।
বলে উঠলো, "বাঃ কি সুন্দর পাতাগুলো.....কি রূপ। থোকা থোকা ফুলেরই বা কি বাহার....এক ঝাঁক নক্ষত্র নেমে এসেছে যেন নীল আকাশ থেকে সবুজ সায়রে। বাঃ--"
খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে চলে গেল।`
কবিরাজ নয়, কবি।
নিমগাছটার ইচ্ছে করতে লাগল লোকটার সঙ্গে চলে যায়। কিন্তু পারলে না।মাটির ভেতর শিকড় অনেক দূরে চলে গেছে। বাড়ির পিছনে আবর্জনার স্তূপের মধ্যেই দাঁড়িয়ে রইল সে।


ওদের বাড়ীর গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্ণী বউটার ঠিক এই দশা।

Wednesday, September 6, 2017

সংরক্ষণ করুন ৯টি খুব দামী কথা

সংরক্ষণ করুন ৯টি খুব দামী কথাঃ
১. অন্যের আবেগ-অনুভূতি নিযে ঠাট্টা-মশকরা করা কখনোই উচিত নয়। তুমি হয়তো এ খেলায় সাময়িক জিতে যাবে কিন্তু সেই লোকটি চিরদিনের জন্য তোমার অন্তরালে চলে যাবে।-শেক্সপিয়র

২. আমাদের এই দুনিয়াটা অনেক সমস্যায় ডুবে আছে। এটা খারাপ লোকদের সন্ত্রাসের জন্য নয় কিন্ত। এটা এজন্য যে সমস্যা থেকে উতরে যাওয়ার চেষ্টায় ভালো লোকেরা নিষ্ক্রিয়।-নাপোলিয়ঁ

৩. যারা আমাকে “না” বলেছে আমি তাদের সবার প্রতিই কৃতজ্ঞ। এর কারণ এই যে, ওরাই আাকে “না” বলা শিখিয়েছে।-আইনষ্টাইন

৪. কেবল বন্ধু বানানোই যদি তোমার দুর্বলতা হয়ে থাকে- তবে তুমিই দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী লোক।– আব্রাহাম লিংকন

৫. হাসিমাখা মুখের মানুষ দেখলেই তোমরা ভেবো না যে ওর ভেতর দুঃখ নেই। আসল কথা হলো ও দুঃখকে জয় করে ফেলেছে।-শেক্সপিয়র

৬. সুযোগ হলো উদিত সূর্যের আলোর মত অবারিত। যদি তুমি অনেক বেশী দেরী করো তবে এই আলোকে হারাবে।–উইলিয়াম আর্থার

৭. যখন তুমি আলোতে অবস্থান করবে তখন দেখবে সবাই তোমাকে অনুসরণ করছে। কিন্তু তুমি যখন আধাঁরে চলে যাবে-তোমার ছায়াও তোমার সঙ্গে যাবে না।-হিটলার

৮. খুচরো পয়সা বেশী ঝনঝন করে। আবার নোটগুলো চুপচাপ রয়্। পকেটে নোটগুলোর উপস্থিতি বোঝাই যায়না। তাই মানুষ যখন তোমাকে মূল্যায়ন করে তোমার সম্মান বাড়িয়ে দেয়-তখন চুপ থাকো।-শেক্সপিয়র

৯. জ্ঞান কথা কয়, কিন্তু প্রজ্ঞা চুপ থাকে।–জিমি হেনড্রিক্স


Tuesday, September 5, 2017

Gratitude

আপনি কেন কৃতজ্ঞ হবেন না?
কৃতজ্ঞতা জীবনকে ভরে দেয়, জীবনকে সুশোভিত করে
কৃতজ্ঞতা জীবনের বন্ধ দরজা খুলে দেয়
কৃতজ্ঞতা অস্বীকৃতিকে স্বীকৃতির দিকে নিয়ে যায়
কৃতজ্ঞতা জীবনকে বিশৃংখলা থেকে শৃংখলার দিকে নিয়ে যায়
কৃতজ্ঞতা জীবনকে সন্দেহ থেকে স্বচ্ছতার দিকে নিয়ে যায়
কৃতজ্ঞতা নাশতাকে ভুরিভোজে পরিণত করে
কৃতজ্ঞতা ঘরকে বাড়ীতে পরিণত করে
কৃতজ্ঞতা অতিথিকে বন্ধু বানায়
কৃতজ্ঞতা অতীত বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারনা দেয়
কৃতজ্ঞতা বর্তমানের শান্তি আনে

কৃতজ্ঞতা অন্তরদৃষ্টি খুলে দেয়

Adjustment in life

মানুষের জীবনে খাপ খাইয়ে নেয়া বা অ্যাডজাষ্টমেন্ট একটা সমস্যা!
আমাদের জীবনে খাপ খাইয়ে নেয়া বা অ্যাডজাষ্টমেন্ট একটা সমস্যা বটে। আমরা যারা যারা খাপ খাইয়ে নেয়া বা অ্যাডজাষ্টমেন্টের সমস্যায় খাকি- কবি রবীন্দ্রনাথ তার “বোঝাপড়া” কবিতায় একটা চমতকার সমাধান দিয়েছেনঃ
“ভেসে থাকতে পারো যদি, সেইতো সবার চেয়ে শ্রেয়
না পারোতো বিনা বাক্যে টুপ করিয়া ডুবে যেও।
এটা কিছূ অপূর্ব নয়, ঘটনা সামান্য খুবই
শংকা যেথা করেনা কেউ, সেইখানে হয় জাহাজ ডুবি।
মনেরে তাই কহ যে, ভাল মন্দ যা্হাই আসুক
সত্যেরে লও সহজে।
তোমার মাপে হয়নি সবাই, তুমিও হওনি সবার মাপে
তুমি মরো কারো ঠ্যালায়, কেউবা মরে তোমার চাপে।
তবু ভেবে দেখতে গেলে, এমনি কিসের টানাটানি
তেমন করে হাত বাড়ালে, সূখ পাওয়া যায় অনেকখানি।”
আসলে মনকে যদি বশ মানানো যায়, তাহলে খাপ খাইয়ে নেয়া বা অ্যাডজাষ্টমেন্ট কোন সমস্যাই নয়।
তাই আমরা কবির ভাষায়, “তেমন করে হাত বাড়াই”- সুখ আসবে। আমরা খাপ খাইয়ে নেবো নিজেদেরকে। কারণ, মানুষের ল্যাটিন নাম “হোমো স্যাপিয়েন্স” যার মানে হলো “জ্ঞানী মানুষ Homo sapiens (Latin: "wise man")


Disaster for the Muslims

হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত-রাসূলুল্লাহ সা: বলেন,
যখন জিহাদলব্ধ সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করা হবে,
যখন গচ্ছিত বস্তুকে লুটের মাল গণ্য করা হবে,
যাকাতকে জরিমানার মতো কঠিন মনে করা হবে,
যখন পার্থিব সম্পদ লাভের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা করা হবে,
যখন মানুষ স্ত্রীর আনুগত্য ও মায়ের অবাধ্যতা শুরু করবে,
যখন বন্ধুকে কাছে টেনে নেবে ও বাবাকে দূরে সরিয়ে রাখবে,
যখন মসজিদগুলোয় হট্টগোল হবে, যখন পাপাচারী ও কুকর্মী ব্যক্তি গোত্রের নেতা হবে,
যখন নীচতম ব্যক্তি তার সম্প্রদায়ের প্রধান হবে,
যখন দুষ্ট লোকেদের সম্মান করা হবে তাদের অনিষ্টের ভয়ে,
যখন গায়িকা নারী ও বাদ্য যন্ত্রের ব্যাপক প্রচলন হবে,
যখন মদ্যপান শুরু হবে,
যখন মুসলিম সম্প্রদায়ের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিসম্পাত করবে,

তখন তোমরা প্রতীক্ষা কর একটি লালবর্ণযুক্ত বায়ুর, ভূমিকম্পের, ভূমিধসের, আকার-আকৃতি বিকৃত হয়ে যাওয়ার এবং কিয়ামতের এমন নিদর্শনগুলোর, যে গুলো একের পর এক প্রকাশমান হতে থকাবে-যেমন কোনো মালার সুতা ছিঁড়ে গেলে দানাগুলো একের পর এক খসে পড়তে থাকে (তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন/সপ্তমখণ্ড/ সূরা লোকমান অধ্যায়)

Sunday, September 3, 2017

ইসলামে আসার গল্প : শাইখ মির্জা ইওয়ার বেইগ

ইসলামে আসার গল্প : শাইখ মির্জা ইওয়ার বেইগ

আমি হার্টফোর্ড থেকে লস অ্যাঞ্জেলে যাওয়ার জন্য নর্থওয়েস্ট এয়ারলাইনসে ভ্রমণ করছিলাম ডেট্রয়েটে ওদের একটি হাব আছে তাই বিমান সেখানে থামল দুর্ভাগ্যবশত আমার সিটটি ছিল মাঝখানে চিন্তা করুন, অ্যামেরিকার মধ্যে ঘণ্টার বেশি সময় ইকনমি ক্লাসের তাও আবার মাঝের সিটে বসে ভ্রমণ করার বিষয়টি কতখানি বিরক্তিকর হতে পারে দিনটি ছিল শুক্রবার আমি একটি লম্বা সাদা জুব্বা পরাছিলাম, তার উপর ছিল (জুব্বার উপর পরিধানের) একটি মিশলাহ এবং মাথায় ছিল সাদা পাগড়ী হার্টফোর্ড এয়ারপোর্টে এক মহিলা আমার কাছে এসে বলল, ‘আপনি কী সুলতান?’ আমি উত্তর দিলাম, ‘জি না, ম্যাডাম, এখনো হইনিতারপর দুজনেই হাসলাম আমরা বিমানে উঠলাম এবং ডেট্রয়েটে দিকে এটা উড়া শুরু করল জানালার পাশের লোকটি ডেট্রয়েটে নেমে গেলো তারপর একজন সাদা চামড়ার অ্যামেরিকান মহিলা এসে বসল

বিমান যখন আবার উড়া শুরু করল আমি কুরআনটা বের করে সূরা আল-কাহাফ পড়া শুরু করলাম শুক্রবারে সূরা কাহাফ পাঠ করা সুন্নাহআমি খেয়াল করছিলাম জানালার পাশের সেই মহিলাটি পাশ থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে এবং আমি কী পড়ছি তা দেখার চেষ্টা করছেকয়েক মিনিট পর সে আমাকে বলল, ‘আপনি কী পড়ছেন?’
ম্যাডাম, আমি কুরআন পড়ছি
এটা কোন ভাষা?’
আরবী
তারপর মহিলাটি কাত হয়ে সামনের সিটের নিচে রাখা তার হাতব্যাগটি থেকে একটা লকেট বের করে আমাকে দেখিয়ে বলল, ‘আপনি কী এটা পড়তে পারেন?’

লকেটটা ছিল রুপার যার এপাশে লেখা ছিল সুবহান আল্লাহ এবং অন্য পাশে আলহামদুলিল্লাহআমার জানার কৌতূহল হলো যে সে এটা কোথায় পেয়েছেআমি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বললাম, ‘এর মানে সকল প্রশংসা আল্লাহরএবং এর মানে সকল প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা আল্লাহর জন্যতারপর আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, আপনি এটা কোথায় পেয়েছেন?’ সে হেসে আমাকে একটা চমৎকার গল্প বললআমার যতটুকু মনে আছে আমি তা এখানে তা তুলে আনার চেষ্টা করছি
সে বলল, ‘এই লকেটটা আমার দাদী আমাকে দিয়েছেআমার দাদীকে এই লকেটটা তার এক ইরানী বান্ধবী এ কথা বলে দিয়েছিল যে, ‘এটা তার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবেএতে কী লেখা আছে তা আমার অজানা ছিল যখন আমি আপনাকে দেখলাম, আমার মনে হয়েছে যে আপনি বলতে পারবেনতাই আমি আপনাকে দেখিয়েছি

তারপর সে বলল, ‘আপনি জানেন, আপনার সাথে আমার দেখা হওয়ার বিষয়টি কোনো আকস্মিক বিষয় নয়আমি লস অ্যাঞ্জেলে থাকিএকটা কনফারেন্সে ডেট্রয়েটে এসেছিগতকাল আমার কনফারেন্স শেষ হয়ে গিয়েছেআমার লস অ্যাঞ্জেলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিলকিন্তু কিছু একটা আমাকে আটকে দিলবলল, আরেকটা দিন থেকে যেতেআমি আমার টিকেট বাতিল করে নর্থওয়েস্ট এয়ারলাইনসে আজকের টিকেট কিনেছিআমি আগে কখনোই নর্থওয়েস্টে ভ্রমণ করিনিতার কথার সত্যতা প্রমাণ করার জন্য সে আমাকে বাতিল করা টিকেটটা দেখালোআমি এত বিস্মিত ছিলাম যে কিছু বলার ভাষা পাচ্ছিলাম না

সে বলল, ‘কাল সন্ধ্যায়, আমি একা একা বসে আমার হোটেলের রুমে টিভি দেখছিলাম আর ভেবে অবাক হচ্ছিলাম যে আমি ডেট্রয়েটে বসে আছি কেনকেন আমি একরাতের জন্য বেশি টাকা ব্যয় করে এখানে রয়ে গিয়েছি? অথচ আমার সব বন্ধু ও সহকর্মীরা যে যার বাড়িতে চলে গিয়েছেতারপর আজ সকালে যখন এই ফ্লাইটে আপনার সাথে দেখা হলো তখন আপনি আমাকে লেখাটির মানে বললেনআপনি যেটা পড়ছিলেন সেটা কি একটু শব্দ করে পড়বেন, প্লীজ? আমার শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে
আমি শব্দ করে সূরা আল কাহাফ পাঠ করলামযখন পাঠ শেষে কুরআন বন্ধ করলাম, সে বিস্মিত হয়ে বলল, ‘চমতকারশেষ হয়ে গিয়েছে? আমি ভেবেছিলাম আপনি বইয়ের শেষ পর্যন্ত পাঠ করবেনআমার চোখ অশ্রু সিক্ত হয়ে উঠলএকজন মহিলা যে কুরআনের একটি শব্দও বুঝে না তারপরও সে আরও বেশি বেশি শুনতে চাচ্ছেএটাই হলো আমাদের রবের কালামের অলৌকিকত্বযারা বুঝতে পারে না তাদের অন্তরকেও তা ছুয়ে যায়

আমি আল্লাহর কাছে দুআ করলাম, ‘ইয়া রাব্বী, তোমার দ্বীনের প্রতি এই মহিলার অন্তরকে খুলে দাওআমি বুঝতে পারছি না, কীভাবে তাকে ইসলাম সম্পর্কে বলবদয়াকরে তাকে দিয়ে আমাকে প্রশ্ন করাও
তারপর সে আমাকে বলল, ‘আপনি কি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলবেন?’
আমি বললাম, ‘ইসলাম হলো কেবলমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তার ইবাদত করা এবং তাঁর ক্ষমতা, মহমা ও গরিমার ক্ষেত্রে কোনো অংশীদার স্থাপন না করাকারণ তিনি কোনোরূপ সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই সবকিছু একা সৃষ্টি করেছেন এবং কারও সাহায্য ছাড়াই তিনি একা গোটা সৃষ্টি জগতকে প্রতিপালন করছেন এবং কারও সাহায্য ছাড়াই তিনি এই সবকিছুকে তিনি ধ্বংস করবেনতারপর আমাদের সবাইকে তাঁরই কাছে ফিরে যেতে হবেইসলাম হলো মুহাম্মদ (সা.)কে আল্লাহর প্রেরিত নবুওয়াতের ধারার সর্বশেষ নবী হিসেবে মেনে নেওয়া

ইসলাম হলো আল্লাহর রাসুলদের মধ্যে কোনোরূপ পার্থক্য না করে তাদের সবার উপর ঈমান আনাইসলাম হলো তাদের সবাইকে আল্লাহর রাসুল হিসেবে মেনে নেওয়াতাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছিল তারা তা যথাযথভাবে পালন করেছেনসেটা হলো আল্লাহর সাথে কোনো অংশীদার স্থাপন না করে মানুষকে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহবান করার দায়িত্বআমরা মুসলিমরা নূহ, ইবরাহীম, মুসা এবং যিশু (ঈশা (আ.) এবং আল্লাহর অন্যান্য সব নবী রাসুলকে বিশ্বাস করিআমরা বিশ্বাস করি যে আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র এই কয়েকজন নবী-রাসুলকেই পাঠাননি বরং তিনি পৃথিবীর প্রত্যেকটা স্থানে প্রত্যেক জাতির কাছে নবী-রাসুল পাঠিয়েছিলেনতাদের কতিপয়ের কথা আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করেছেন এবং অন্যান্যদের কথা তিনি উল্লেখ করেননিইসলাম হলো মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে বিশ্বাস করা এবং বিচার দিবসের উপর ঈমান আনাসেদিন আমাদেরকে আমাদের কাজের হিসাব দেওয়ার জন্য আহবান করা হবে এবং তার উপর নির্ভর করে আমাদের জান্নাতে অথবা জাহান্নামে পাঠানো হবে

সে মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনল এবং এমনভাবে মাথা নাড়াল যেন সে আমার কথায় সম্মতি প্রকাশ করছেযিশু সম্পর্কে আপনারা কী বলেন?’ সে প্রশ্ন করল
আমরা তা-ই বলি যা আল্লাহর কিতাবে বলা হয়েছেআমি বললামআমরা বলি যে তিনি ছিলেন কুমারী মারিয়াম (আ.)এর পুত্রআল্লাহর পুত্র ননআল্লাহ তায়ালা জিবরীল (আ.)কে তার মা মারিয়াম (আ.)এর কাছে পাঠান যিনি ছিলেন একজন ধার্মিক নারীজিবরীল (আ.) তাকে পুত্র সন্তান জন্মের সুসংবাদ দেনমারিয়াম (আ.) বলেন, ‘কীভাবে আমার সন্তান হবে অথচ আমাকে কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি?’
জিবরীল (আ.) উত্তর দেন, ‘আপনার রবের জন্য এটা সহজতারপর ঈশা (আ.) একজন কুমারী মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম গ্রহণ করেনঈশা (আ.) ছিলেন আল্লাহর রাসুল যিনি জন্মের পর শৈশবে কথা বলেছেনআল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক অলৌকিক ক্ষমতা দান করেছিলেনতিনি কুষ্ঠ রোগিদের সুস্থ করতেন, অন্ধদের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতেন এবং মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতে পারতেন এবং আরও অনেক অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়েছেনআমরা বিশ্বাস করি যে তিনি এই অলৌকিক কাজগুলো করেছেন আল্লাহর ইচ্ছায়, তার নিজের ক্ষমতায় নয়তিনি এসেছিলেন বনী ইসরাইলদেরকে মুসা (আ.)এর আনিত বিধানের দিকে ফিরিয়ে নিতে এবং তাদেরকে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ছড়ানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করতেতারা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা সফল হয়নিআল্লাহ তায়ালা তাকে বাঁচিয়েছেন এবং জীবিত অবস্থায় তার কাছে তুলে নিয়েছেন

আমরা বিশ্বাস করি যে ঈশা (আ.) পৃথিবী ধ্বংসের আগে আবার ফিরে আসবেন এবং তার আগমন হলো কিয়ামতের একটি লক্ষণতিনি দাজ্জালের সাথে যুদ্ধ করবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করবেন তখন মুসলিমরা ঈশা (আ.) এর পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করবেআমরা বিশ্বাস করি যে তিনি তখন অন্যান্য মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন, বিয়ে করবেন, মৃত্যু বরন করবেন এবং তাকে কবর দেওয়া হবে
আমার কথাব শুনে সে সম্মতিসূচক মাথা নাড়ল এবং বলল, ‘আপনার কথায় যৌক্তিকতা আছেযীশু মানুষের পাপের জন্য ক্রসে ঝুলে মারা গিয়েছে ব্যাপারে আপনাদের মতামত কী?’
আমরা বলি যে আল্লাহ তায়ালা অবিচারক ননঅন্য মানুষের পাপের জন্য একটা নিস্পাপ মানুষকে ভয়ঙ্করভাবে মৃত্যুর শাস্তি দেওয়া একটি বড় ধরনের অবিচারতাছাড়া কাউকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা অন্য কাউকে শাস্তি দিতে বাধ্য ননআল্লাহ যদি ক্ষমা করে দিতেই চান তাহলে তিনি তা এমনিই পারেনকারণ তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারীক্ষমা পাওয়ার জন্য সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হয়ে আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আল্লাহ তায়ালা তাহলেই ক্ষমা করে দিবেনএর জন্য আর বেশি কিছু করার দরকার নেই
সে আরও একবার মাথা নেড়ে বলল, ‘আমি একমতস্রষ্টা কি অন্যদের পাপের জন্য একজন নিস্পাপ মানুষকে শাস্তি দিতে পারেন?’ তারপর সে বলল, ‘আচ্ছা, কীভাবে মুসলিম হতে হয়?’
আমি বললাম, ‘বলতে হবে যে, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহি (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদাতের যোগ্য কোনো ইলাহা নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসুল); এবং অন্তর থেকে এর উপর ঈমান আনতে হবেঅন্তর থেকে সব ধরনের মিথ্যা বিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে দিতে হবেএমনকি এটাও বিশ্বাস করা যাবে না যে যীশু আল্লাহর পুত্রমনে করা যাবে না যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মানুষ, ফেরেশতা অথবা অন্য কেউ ইবাদতের যোগ্য অথবা তারা কোনোভাবে কোনো কল্যাণ বা অকল্যাণ ঘটানোর ক্ষমতা রাখে

এতটুকুই?’ আমি যদি শুধু এতটুকু বলি এবং আমার অন্তর থেকে বিশ্বাস করি তাহলেই আমি মুসলিম হয়ে যাবো?’
জি হ্যাঁ, আপনি এই বাক্য পাঠ করলে আর অন্তর থেকে বিশ্বাস করলেই মুসলিম হয়ে যাবেনআমি উত্তর দিলাম
আমাকে আর কী করতে হবে?’ সে প্রশ্ন করল
আমি বললাম, ‘দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাহ আদায় করতে হবে, আপনার উদ্ধৃত্ত সম্পদের ২.৫ শতাংশ প্রতি বছর দান করে দিতে হবে এবং রমাদান মাসে রোজা রাখতে হবেআর আপনি যদি পারেন তাহলে জীবনে একবার আল্লাহর ঘরে হজ্ব করবেনখাদ্যের ব্যাপারে আল্লাহর বিধানগুলো মেনে চলবেন (শূকরের মাংস খাবেন না, মদ পান করবেন না অথবা কোনো নেশা জাতিয় দ্রব্য সেবন করবেন না), ন্যায়পরায়ণ, দায়িত্বশীল ও নৈতিক জীবন যাপন করবেনসবসময় সচেতন থাকবেন যে আপনাকে আপনার কাজকর্মের হিসাব দিতে হবে


সে জিজ্ঞেস করল, ‘আমি কি এখনই মুসলিম হতে পারব?’
কথাটা শুনে আমার অন্তর বলে উঠল, ‘ইয়া আল্লাহ, তুমি আমার ও তার রবতুমি আমাকে আজ দেখালে যে কীভাবে তুমি যাকে ইচ্ছা তাকে হিদায়েতের পথে আনো কারও সাহায্য ছাড়াইইয়া আল্লাহ, তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের কোনো ভাষা আমার জানা নেইআমি তোমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি সেই শব্দের দ্বারা যা তোমার শান ও মর্যাদার সাথে মানানসই
আমি বললাম, ‘জি, আপনি চাইলে এখনি মুসলিম হতে পারেন
তাহলে বলুন আমাকে কী করতে হবে
আমার সাথে সাথে পাঠ করুন, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অয়া আশাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহিসে পাঠ করল এবং ভূমি থেকে ৩৫,০০০ ফুট উপরে বাতাসের মধ্যে যখন আমরা ঘণ্টায় ৯০০ মাইল বেগে চলছিলাম সে অবস্থায় সে ইসলামের প্রশান্তির ছায়াতলে প্রবেশ করলএটাই হলো আমার রবের দয়াআলহামদুলিল্লাহ।