কান্না,
সুস্বাস্থ্যের জন্য
চোখের পানি হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া ও বিষক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক
প্রতিষেধক।ক্ষতিকর জীবাণুকেও ধ্বংস করে অশ্রু।
কান্না আসে দুঃখ বা কষ্ট থেকে।এ কান্না দেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ—
তা জেনে খুব বেশি অবাক হওয়ার কারণ নেই।গবেষণা থেকে কান্নার উপকারী বেশ কিছু দিক বের
হয়ে এসেছে।
মানসিক চাপ কিংবা হতাশা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।এ থেকে নানা রোগও
হতে পারে।হূদ রোগ, উচ্চরক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, অবসাদগ্রস্ততা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত
হওয়ার আশঙ্কা থাকে।কিন্তু হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় একটু কেঁদে নিতে পারলে তা মানসিকচাপকে
দারুণভাবে কমিয়ে ফেলবে।
চরম হতাশায় ভুগলে অথবা দ্বিধাগ্রস্ত হলে দেহে ক্ষতিকর কেমিক্যাল
উত্পাদিত হতেথাকে।এঅবস্থায় চোখেরপানি কেমিক্যাল কমাতে সাহায্য করবে।
চোখের পানি হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া ও বিষক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক
প্রতিষেধক।কান্নার সময় বের হওয়া চোখের পানি ক্ষতিকর জীবাণুকেও ধ্বংস করে। চোখের পানির
সঙ্গে কিন্তু চোখের মধ্যে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন এবং ময়লাও
বের হয়ে আসে। চোখের পানি আপনার শুষ্ক চোখের শুকনো ভাগ কমিয়ে ফেলে।এ প্রাকৃতিক তৈলাক্তকরণ
পদ্ধতি ছাড়া আপনি সাধারণত চোখে দেখতে পারবেন না।
মজার একটি বিষয় হচ্ছে, চোখের অনেক সমস্যার সমাধান করে কান্নার
সময় উত্পন্ন আপনার চোখের পানি।প্রাকৃতিক চোখের ড্রপের মতো কাজ করে চোখের পানি আপনার
চোখে থাকা জীবাণুর ৯০-৯৫ শতাংশ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম।
যদি কোনো ব্যক্তি সামান্য অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় একটু কেঁদে নিতে
পারেন, তা হলে তার মানসিক অবস্থার একটা ইতিবাচক পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবেই হবে।
কান্নার পর ব্রেইন এবং হূদযন্ত্র বেশ স্মুথ হবে।ফলে আপনি বেশ ভালো
এবং স্বস্তি বোধ করবেন।
কান্নার সুফল
আবেগপ্রবণ হলে মানুষের চোখে পানি
দেখাদেয়।সেই অশ্রুঝরার কিছুউপকারী দিকও রয়েছে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।কান্নায় মানসিক
চাপ প্রশমিতহয়।কারণ, চোখের পানির সঙ্গে ম্যাঙ্গানিজের মতো জৈবরাসায়নিক অনেক উপাদান
শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, যেগুলো মানসিক চাপ সৃষ্টির জন্যদায়ী।কান্না অনেক সময় মানুষের
ইতিবাচক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ বৃদ্ধির ব্যাপারটা সীমিত রাখে। আবেগজনিত অশ্রুছাড়াও
চোখ থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কিছু তরল নির্গত হয়।সেগুলো চোখ পরিষ্কার রাখে এবং
চোখের উপরিতলকে মসৃণ বা পিচ্ছিল রাখে।পেঁয়াজের ঝাঁজ বা ধুলাবালুর সংস্পর্শেও চোখ থেকে
পানি ঝরে।যুক্তরাষ্ট্রের সাউথফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জোনাথান রোটেনবার্গও
তাঁর সহযোগীরা এক গবেষণার ভিত্তিতে বলেন, উদ্বিগ্ন অবস্থায় কান্নার মাধ্যমে নারীরা
একধরনের প্রশান্তি অনুভব করেন।
কান্নার ৫ অসাধারণ উপকারিতা
কান্নাকাটিকে অনেকে বিড়ম্বনার বিষয় বলেই মনে করেন। যদিও বাস্তবে
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কান্না মন ও শরীর দুইয়ের জন্যই ভালো। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, কান্না
পেলে তা আটকানোর প্রয়োজন নেই বরং কেঁদে নেওয়াই ভালো। এ লেখায় থাকছে কান্নার কয়েকটি
উপকারিতা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. চোখ পরিষ্কার করে
কান্নার সময় চোখের পানি আমাদের চোখের মণি আর চোখের পাতা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেয়। এটি আমাদের চোখকে পানিশূন্যতা থেকেও বাঁচায়। ফলে চোখ পরিষ্কার রাখতে আর দৃষ্টি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে কান্না।
২. ব্যাকটেরিয়া দূর করে
চোখের পানিতে থাকে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করার উপাদান। রাস্তা-ঘাটে, বাসে-ট্রামের ধুলো-বালি থেকে সারা দিনে চোখের ভেতর কত ময়লাই না জমা হয়। এগুলো থেকে নানা জীবাণু আমাদের চোখের বাসা বাঁধতে পারে। কিন্তু চোখের পানি এসব ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জীবাণু ধ্বংসে খুবই কার্যকর। চোখের পানিতে থাকা আইসোজাইম মাত্র ৫-১০ মিনিটেই চোখের প্রায় ৯০-৯৫ ভাগ ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে।
৩. মন উদ্দীপ্ত করে
কান্নায় মন ভালো হয়। কারণ কান্নায় শরীরে ম্যাঙ্গানিজের মাত্রা কমে যায়। এই ম্যাঙ্গানিজ বেশি মাত্রায় জমতে থাকলে উদ্বেগ, অস্বস্তি, রাগ-ক্ষোভ বেড়ে যাওয়াসহ নানা আবেগি ঝামেলা তৈরি করতে থাকে। কিন্তু কেঁদে ফেলতে পারলে এর মাত্রা কমে গিয়ে শরীর ও মন হালকা হয়।
৪. মানসিক চাপ কমায়
কান্নাতে আমাদের মনের ওপর চাপ কমে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে আমাদের শরীরে 'লিওসিন এনকেফেলিন ও প্রোলাকটিন'-এর মতো কিছু রাসায়নিক জমা হয়। আবার কান্নার অবদমন আমাদের উদ্বেগ-উতকণ্ঠার চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কাঁদতে পারলে এই সব অতিরিক্ত চাপ কমে যায়।
৫. আবেগজনিত চিকিৎসা
কান্না বাস্তবে একটা চিকিতসার মতো। এটা উদ্বেগ কাটায়, বিষণ্নতা দূর করে। আবেগে কেঁদে ফেলতে পারাটা বহু কারণেই মন ও দেহের জন্য উপকারী। দীর্ঘদিন ধরে আবেগ চেপে রাখা ক্ষতিকর। এতে মনের ভেতর জমে ওঠে নানামুখী চাপ। এটি মস্তিষ্কেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আর এ পরিস্থিতি সামলাতে প্রয়োজন কান্না।
১. চোখ পরিষ্কার করে
কান্নার সময় চোখের পানি আমাদের চোখের মণি আর চোখের পাতা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেয়। এটি আমাদের চোখকে পানিশূন্যতা থেকেও বাঁচায়। ফলে চোখ পরিষ্কার রাখতে আর দৃষ্টি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে কান্না।
২. ব্যাকটেরিয়া দূর করে
চোখের পানিতে থাকে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করার উপাদান। রাস্তা-ঘাটে, বাসে-ট্রামের ধুলো-বালি থেকে সারা দিনে চোখের ভেতর কত ময়লাই না জমা হয়। এগুলো থেকে নানা জীবাণু আমাদের চোখের বাসা বাঁধতে পারে। কিন্তু চোখের পানি এসব ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জীবাণু ধ্বংসে খুবই কার্যকর। চোখের পানিতে থাকা আইসোজাইম মাত্র ৫-১০ মিনিটেই চোখের প্রায় ৯০-৯৫ ভাগ ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে।
৩. মন উদ্দীপ্ত করে
কান্নায় মন ভালো হয়। কারণ কান্নায় শরীরে ম্যাঙ্গানিজের মাত্রা কমে যায়। এই ম্যাঙ্গানিজ বেশি মাত্রায় জমতে থাকলে উদ্বেগ, অস্বস্তি, রাগ-ক্ষোভ বেড়ে যাওয়াসহ নানা আবেগি ঝামেলা তৈরি করতে থাকে। কিন্তু কেঁদে ফেলতে পারলে এর মাত্রা কমে গিয়ে শরীর ও মন হালকা হয়।
৪. মানসিক চাপ কমায়
কান্নাতে আমাদের মনের ওপর চাপ কমে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে আমাদের শরীরে 'লিওসিন এনকেফেলিন ও প্রোলাকটিন'-এর মতো কিছু রাসায়নিক জমা হয়। আবার কান্নার অবদমন আমাদের উদ্বেগ-উতকণ্ঠার চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কাঁদতে পারলে এই সব অতিরিক্ত চাপ কমে যায়।
৫. আবেগজনিত চিকিৎসা
কান্না বাস্তবে একটা চিকিতসার মতো। এটা উদ্বেগ কাটায়, বিষণ্নতা দূর করে। আবেগে কেঁদে ফেলতে পারাটা বহু কারণেই মন ও দেহের জন্য উপকারী। দীর্ঘদিন ধরে আবেগ চেপে রাখা ক্ষতিকর। এতে মনের ভেতর জমে ওঠে নানামুখী চাপ। এটি মস্তিষ্কেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আর এ পরিস্থিতি সামলাতে প্রয়োজন কান্না।
কান্নায় প্রশান্তি আসে
কান্না মানুষের সহজাত প্রবণতা। দুঃখের কারণে মানুষ যেমন কান্নাকাটি করে, তেমনি সুখে তার চোখে পানি আসে। তবে কান্নার পর দেহমনে প্রশান্তি আসে; আগের চেয়ে অনেক ভালো অনুভূতি হয়— নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
মানুষের ওপর কান্নার প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি অব টিলবার্গের আসমির গ্রাকানিন ও তার দল। তারা গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের লাইফ ইজ বিউটিফুল ও হাচি: এ ডগস টেল নামে দুটি চলচ্চিত্র দেখান এবং তাদের প্রতিক্রিয়া ভিডিও করেন। পরে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের অনুভূতি কেমন। গবেষকরা নিয়ন্ত্রিত ল্যাবে তাদের তাত্ক্ষণিক ও কিছুক্ষণ পরের মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখেন। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন মোটিভেশন অ্যান্ড ইমোশন জার্নালে প্রকাশ হয়েছে।
গবেষণাটিতে ৬০ জন অংশ নেন। চলচ্চিত্র দুটি দেখার পর ২৮ জনের চোখে পানি এসেছিল এবং ৩২ জন ছিল স্বাভাবিক। ২০ ও ৯০ মিনিট পর তাদের মানসিক অবস্থা নির্ণয় করা হয়। যাদের চোখে পানি আসেনি, তাদের মেজাজে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অন্যদিকে যাদের চোখে পানি এসেছে, তাদের মেজাজে পরিবর্তন দেখা গেছে। ২০ মিনিট পর তাদের মেজাজ চলচ্চিত্র দেখার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। তবে ৯০ মিনিট পর তাদের মধ্যে প্রশান্তির ভাব বেশি দেখা যায়।
গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা যায়, কান্নাকাটির পর তাত্ক্ষণিকভাবে
নয়, বরং কিছুক্ষণ পর মেজাজে পরিবর্তন ঘটে। এ প্রসঙ্গে আসমির গ্রাকানিন বলেন, কান্নার পর তারা আগের মেজাজে ফিরে যায় এবং পরে তাদের মনে প্রশান্তিও আসে।
No comments:
Post a Comment