Sunday, July 1, 2018

বৃক্ষ থেকে কী শিখবাব তার তালিকাঃ


১. তোমার শিকড় থাকতেই হবে।
২. ডালপালার বিস্তার অবশ্যম্ভাবী।
৩. বেদনায় জীর্ণ হয়ে তোমার পুরোনো আবাস পরিত্যাগ কোরো না।
৪. তুমি যা বিশ্বাস করো, তা থেকে সরে পোড়ো না। বৃক্ষ তা করে না্।
৫. অনেক সময় পুরোনো বাকলের মধ্যে আশ্রয় নিয়ে তোমাকে বেঁচে থাকতে হবে।
৬. দেরিতে ফুল ফুটলে কোনো ক্ষতি নেই। যখন ফোটার তখনই ফুটবে। প্রকৃতি কখনোই তাড়াহুড়ো করেনা। অথচ সবকিছুই সঠিক সময়েই হচ্ছে।
৭. যারা তোমাকে কেটে ফেলতে চায়, তাদের পরিত্যাগ করো।
৮. শরতকালে তোমার আসল রং লুকাতে পারবে না। ওটাই তোমার আসল রং।
৯. দাবানলে একসঙ্গে মরবে। ক্কিয়ামতের সঙ্গে তুলনীয়।
১০. বসন্তে সবার রঙে রং মেশাতে হয়। প্রকৃতিতে যখন ভালোবাসার সময়, তখন আলাদা থেকো না।
১১. একা থেকো না, ঝড়ে পড়ে যাবে। সবার সঙ্গে থাকো, ঝড় কিছু করতে পারবে না। এটা দেখার জন্য বাঁশ ঝাড়ের দিকে তাকাও। ওরা বাতাসে এক সাথে নুইয়ে পড়ে। ওদের রেজিলিয়েন্স (able to recoil or spring back into shape after bending, stretching, or being compressed.)অনেক বেশী। তোমারও রেজিলিয়েন্স থাকা চা্ই। এটা অত্যন্ত দরকারী।
১২. সবুজ রংটি আদরের, ওকে ভালোবেসো।
১৩. নমনীয় হবে। গাছেরা যখন বেড়ে ওঠে, একটু বাতাসেই তারা কেমন হেলে-দুলে ওঠে, পড়ে যায় না, শুধু দুলে ওঠে। দুলে উঠবে, পড়ে যাবে না। নমনীয় হবে। যখন শক্ত হয়ে গাছেদের মতো বেড়ে উঠবে, তখন আর দুলতে হবে না। জীবন যখন বেড়ে উঠছে, একটু সমালোচনাতেই মুষড়ে পড়বে না। প্রতিকূল ভারী বাতাসের আঘাত এলেও সামলে নেবে।
১৪. গাছদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ চোখে পড়ে না। যাঁরা গবেষণা করেছেন, তাঁরা জানেন এক বৃক্ষ আরেক বড় বৃক্ষকে উঠতে সাহায্য করে। মানুষেরাও তা-ই করতে পারে।
১৫. গাছের বীজ বা ফল, আমের আঁটি বা যা-ই হোক বদলে যায়। বদলে যাওয়া নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, যেমনটি ডেভিড জিন্ডেল বলেছেন “The Broken God গ্রন্থে”, ‘গাছের বীজ কখনো ভয় পায় না বৃ‌ক্ষে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যে বদলে যেতে।’
১৬. বনে যাদের বাস তারা জানে, গাছ একা বাড়ে না, সবাইকে নিয়ে বাড়ে। গাছেরা গান গায় নানা সুরে; হাসে, কাঁদে। যারা শুনতে জানে, শুধু তারাই শুনতে পায়। একসঙ্গে বেড়ে ওঠা একটা শিক্ষণীয়।
১৭. বৃক্ষদের আছে শিকড় ও উতসপ্রীতি। না হলে স্ফূর্তি হবে না। মানুষেরও তা-ই থাকতে হবে, নাহলে জীবনের উত্থান হবে না।

“অধিকার বেশি কার বনের উপর
সেই তর্কে বেলা হলো, বাজিল দুপুর।
বকুল কহিল, শুন বান্ধব-সকল,
গন্ধে আমি সর্ববন করেছি দখল।
পলাশ কহিল, শুনি মস্তক নাড়িয়া,
বর্ণে আমি দিক-বিদিক রেখেছি কাড়িয়া।
গোলাপ রাঙিয়া উঠি করিল জবাব,
গন্ধে ও শোভায় বনে আমারি প্রভাব।
কচু কহে, গন্ধশোভা নিয়ে খাও ধুয়ে,
হেথা আমি অধিকার গাড়িয়াছি ভুঁয়ে।
মাটির ভিতরে তার দখল প্রচুর
প্রত্যক্ষ প্রমাণে জিত হইল কচুর।”


No comments:

Post a Comment