যেভাবে ইসলাম ঈমানদারদের দিন অতিবাহিত করার নিয়ম শিক্ষা দিয়েছে, অনুরূপভাবে রাত্রিযাপনেরও আদব-শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে। রাত আল্লাহর সৃষ্ট নির্দশন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি দিন এবং রাতকে নির্দশন স্বরূপ সৃষ্টি করেছি’। (সূরা বনি ইসরাইল-১২)
অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তিনি রাতকে মানুষের প্রশান্তির উপায় হিসেবে সৃষ্টি করেছেন’। (সূরা আনআম : ৯৬)
The Prophet (pbuh) said, “One should not sleep before the night prayer, nor
have discussions after it” [Sahih Bukhari
574].
শোয়ার জায়গায় সর্তকতা :
শোয়ার জায়গায় সর্তকতা :
একাকী ঘরে রাত যাপনে হাদিসে নিষেধ রয়েছে। ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণিত, নবী করিম সা: কোনো ঘরে একাকী রাত যাপন ও একাকী সফর নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৫৬৫০)
অনুরূপভাবে ছাদে ঘুমাবেন না। নবী করিম সা: ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি বেষ্টনীবিহীন ছাদে রাতে ঘুমাল (কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে) তার সম্পর্কে (আল্লাহর) কোনো জিম্মাদারি নেই। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৪১)
পবিত্রতা অর্জন:
পবিত্রতা অর্জন:
রাতে পরিষ্কার পরিছন্ন ও পবিত্র হয়ে শোয়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যদি কোনো মুসলমান রাতে আল্লাহকে স্মরণ করে অজু শেষে শয়ন করে এবং রাতে জাগ্রত হয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের কোনো কল্যাণ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, আল্লাহ তায়ালা তা দান করেন’। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৪২)
It is reported in Sahih
Muslim (SM 2710) that one of the companions said that the Prophet (pbuh)
told him, “Whenever
you go to bed, perform ablution-অযু like that for the prayer, and
lie on your right side”
ঘুমানোর আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেবেন যাতে খাবারের কোনো কিছু লেগে না থাকে। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘শয়তান ঘ্রাণ নিতে খুবই দক্ষ ও লোভী। তোমরা নিজের ব্যাপারে শয়তান থেকে সর্তক হও। কোনো ব্যক্তি খাদ্যের চর্বি ইত্যাদির ঘ্রাণ হাত থেকে দূর করে রাত যাপন করলে এবং এতে তার কোনো ক্ষতি হলে সে এ জন্য নিজেকেই যেন তিরস্কার করে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৫৯)
ঘুমানোর আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেবেন যাতে খাবারের কোনো কিছু লেগে না থাকে। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘শয়তান ঘ্রাণ নিতে খুবই দক্ষ ও লোভী। তোমরা নিজের ব্যাপারে শয়তান থেকে সর্তক হও। কোনো ব্যক্তি খাদ্যের চর্বি ইত্যাদির ঘ্রাণ হাত থেকে দূর করে রাত যাপন করলে এবং এতে তার কোনো ক্ষতি হলে সে এ জন্য নিজেকেই যেন তিরস্কার করে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৫৯)
শয্যা গ্রহণের কিছু আদব:
শয্যা গ্রহণের আগে বিছানা ঝেড়ে নেয়া উচিত। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ শয্যায় যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গি দ্বারা বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে বিছানার উপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোনো কিছু আছে কি-না। তার পর এ দোয়া পড়বে ‘হে আমার রব, আপনারই নামে শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠব। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২০)
শয়নকালে দোয়া পড়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি শয়নের পর আল্লাহ পাকের নাম নেয় না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বঞ্চনা নেমে আসবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৫৬)
শয়নকালে দোয়া পড়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি শয়নের পর আল্লাহ পাকের নাম নেয় না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বঞ্চনা নেমে আসবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৫৬)
In description of the sleep of the Prophet (pbuh), a Hadith states, “When
the Prophet (pbuh) wants to go to sleep, he puts his right hand under his cheek” [SM 2713].
আয়েশা রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: প্রতি রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন দুই হাত একত্রিত করে তাতে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর তা মাথা ও চেহেরা থেকে শুরু করে যতদূর সম্ভব দেহে দুই হাত বুলাতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৭)
সাহাবায়ে কেরামের কেউ কখনো অনিদ্রার রোগে আক্রান্ত হননি। কারণ তারা রাসূলের সুন্নত মেনে চলতেন। রাসূল সা:-এর সুন্নত চিকিতসা ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বর্তমানকালে মানুষের অনিদ্রা দূর করার জন্য এই সুন্নত খুবই উপকারী। রাসূল সা: ডান কাত ও কেবলামুখী হয়ে শয়ন করতেন। বামদিকে মানুষের পাকস্থলি ও হৃদপিণ্ড থাকে। বামদিকে কাত হয়ে শয়ন করলে পাকস্থলি ও হৃদপিণ্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে রক্ত চলাচল ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘুম সম্পর্কে বোম্বে হাসপাতালের (বোম্বাই অডিটোরিয়াম) ডাক্তার কৃষ্ণ লালা মার্মা গবেষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, যেসব রোগীকে ডান দিকে কাত করে শয়ন করা হয়েছে, তারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করেছে।
পক্ষান্তরে, যেসব রোগীকে বাম কাত হয়ে শয়ন করানো হয়েছে তারা অস্থিরতার সম্মুখীন হয়েছে। আধুনিক গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়েছে, ডান দিকে ফিরে শয়ন করা হলে হৃদরোগের জন্য উপকারী। বাম দিকে যেহেতু হৃদপিণ্ড থাকে এ কারণে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে ঘুম অত্যন্ত গভীর হয়। মানুষ সহজে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে পারে না। পক্ষান্তরে, ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে ঘুম অতটা গভীর হয় না। ফলে সহজে মানুষ ঘুম থেকে জাগ্রত হতে পারে। তাতে ফজরের নামাজের সময় সহজে ঘুম ভেঙে যায়। রাসূল সা: সফরকালীন ডান দিকে কাত হয়ে ডান হাত খাড়া করে বাহুর উপর মাথা রেখে ঘুমাতেন। এতে ঘুম গভীর হতো না, ফলে ফজরের নামাজ কাজা হতো না। এভাবে রাসূলে করিম সা: জীবন যাপন করেছেন।
Turning off light before sleep-(বাতি নিভিয়ে শোয়া)
It is narrated that the Prophet (pbuh)
said, “Put out lamps when you go to bed, shut the doors, and cover water
and food containers” [in Sahih Al-Bukhari 5301]. This may correspond with
current scientific understanding that it is important to maintain a dark
environment during sleep so as not to disrupt the circadian rhythm(a cycle that tells our bodies when to
sleep, rise, eat—regulating many physiological processes ).
Yawning ( হাই তোলা
)
Yawning is an unacceptable behavior for
Muslims, especially in public places. If yawning occurs, the yawner is
instructed to cover his mouth with his hand. The Prophet said, “Yawning is
from Satan. If you are about to yawn, you should try to stop it as much as
possible. If you yawn, Satan will laugh” [in Sahih Al-Bukhari 3115].
Naps
Napping is a cross-cultural practice, and
modern sleep scientists believe that napping provides benefits for all ages. A
short mid-day nap (called Qailulah in Islamic culture) is a
deeply embedded practice in the Muslim culture, and it takes a religious
dimension (Sunnah) for some Muslims. The Prophet Muhammad (pbuh) said,
“Take a short nap, for Devils do not take naps” [Sahih Aljamie.
Alalbani 1647]. Another Hadith by Muhammad (pbuh) provided
details about the timing of the nap, “Sleeping early in the day betrays
ignorance, in the middle of the day is right, and at the end of the day is
stupid.” (Fath Al-Bari, p.73). A third Hadith reported
in Sahih Al-Bukhari (SB) says, “We used to offer the Jumua (Friday) prayer
with the Prophet and then take the afternoon nap” [in Sahih Al-Bukhari
5923]. Friday is the weekend for Muslims, so napping on Friday may compensate
for sleep debt that has accumulated during weekdays.
Sleep and death
The Quran indicates
some resemblance between sleep and death. The Quran uses “Wafat” to
describe death, and one of the verses states, “It is Allāh Who takes
away the souls (Wafat) at the time of their death, and those that die not
during their sleep. He keeps those (souls) for which He has ordained death and
sends the rest for a term appointed. Verily, in this are signs for people who think
deeply” [verse 39:42]. মৃত্যর সময় আল্লাহই রূহসমূহ কবজ করেন আর যে এখনো মরেনি নিদ্রাবস্থায় তার রূহ কবজ করেন৷ অতপর যার মৃত্যুর ফায়সালা কার্যকরী হয় তাকে রেখে দেন এবং অন্যদের রূহ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফেরত পাঠান৷ যারা চিন্তা-ভাবনা করে তাদের জন্য এর মধ্যে বড় নিদর্শন রয়েছে৷-সূরা
আয্ যুমার ৪২
“It is He Who
takes your souls (Wafat) by night (when you are asleep), and has knowledge of
all that you have done by day, then He raises (wakes) you up again that a term
appointed (your life period) be fulfilled, then (in the end) to Him will be
your return. Then He will inform you of that which you used to do” [verse 6.60].
তিনিই রাত্রিকালে তোমাদের মৃত্যু ঘটান এবং দিবসে তোমরা যা কিছু করো তা জানেন৷ আবার পরদিন তোমাদের সেই কর্মজগতে ফেরত পাঠানা, যাতে জীবনের নির্ধারিত সময়-কাল পূর্ণ হয়৷ সবশেষে তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে৷ তখন তিনি জানিয়ে দেবেন তোমরা কি কাজে লিপ্ত ছিলে৷ সূরা আল
আন‘য়াম ৬০
সূত্র: নয়া দিগন্ত ১৩.০৭.২০১৮ ও https://www.ncbi.nlm.nih.gov
No comments:
Post a Comment