Thursday, November 15, 2018

ইমোশনাল ওয়েলনেস বা আবেগিক সুস্থতাঃ

এটা হলো জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করা।
কেউ যদি তার রাগ, ভয়, হতাশা বা মানষিক চাপ, আশা, নিরাশা, প্রেম-ভালবাসা, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না ইত্যাদি আবেগগুলো গঠনমূলকভাবে স্বীকার করে নেয়ার ক্ষমতা রেখে সেগুলো কারো সাথে ভাগাভাগি বা শেয়ার করে নেয়-তাহলে আবেগিক সুস্থতা লাভ করা যায়।
নিজেকে ভালবাসতে হলে বা আবেগিক সুস্থ পেতে নীচে দেয়া কাজগুলো করোঃ
১. জীবনের প্রতি যদি বিতৃষ্ণা আসে তাহলে সেটাকে পয়লা স্বীকার করে নাও। পরে পরিকল্পণা করো কি ভবে তুমি তোমার জীবন পরিচালনা করবে।
২. আজ থেকেই প্রাক্টিস করো প্রতিদিন অন্ততঃ ১০ মিনিট করে নীরবতা পালন করবে।
৩. নিজেকে ক্ষমা করতে শেখো। নিজেকে ভাল না বাসলে কখনোই পার্ফেক্ট হতে পারবে না।
৪. তোমার যে কাজের জন্য অন্যের সহায়তা দরকার, সেটা নাও। মন যদি বেশী আবেগপূর্ণ হয় তাহলে কারো উপদেশ নাও বা কারো কাউন্সেলিঙ নাও।
৫. দৈনিক ১০ মিনিট করে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টেকনিক এক্সারসাইজ করো। এক প্লেট ভাত যেটা তোমার সামনে তরকারীসহ এসেছে, সেটা অ্যানালাইসিস করে। মাঝে মাঝে হাসপাতালে যাও। দেখো তুমি অন্যসব মানুষের চেয়ে কাতটা ভাল রয়েছে।
৬. নিজের দৈনিক কাজের শিড্যুল ঠিক করে নাও। এতে করে তোমার কোন কাজের ওপর কোন কাজ অগ্রাধিকার পাবে সেটা নিশ্চিত হতে পারবে ও এতে তোমার সময়ের অপচয় রোধ হবে।
৮. মনে আশা জাগানিয়া কাজ করো।
৯. নিজেই নিজের সাথে পজিটিভ কথা বলো। এর নাম “ইনার ডায়ালগ।” এই ডায়ালগে তুমি নিজেকে যে পজিটিভ মেসেজ দিতে চাও, সেটা তোমার ওপর অনেক বেশী প্রভাব ফেলবে।
১০. তুমি কিভাবে সময় ব্যয় করবে তার একট সীমারেখা টেনে নাও। যে কাজ তোমার জীবনোপযোগী নয় সেখান থেকে সরে এসো। এতে জীবন যুতসই হবে।
১১. যে ব্যবহারগুলো তোমাকে বিপদে ফেলে সে সব ব্যবহার থেকে ফিরে এসো।
১২. ঈর্ষান্বিত ব্যক্তিকে(টক্সিক পিপলকে) সনাক্ত করে তার কাছ থেকে দূরে থাকো।
১৩. অ্যাডভেঞ্চারকে ইয়েস বলো।
১৪. বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুক করো।
১৫. তোমার নিজের প্রশংসা করো।
সূত্র: ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ম্যাগাজিন

No comments:

Post a Comment