Tuesday, November 6, 2018

“রিল্যাক্স” খুবই দরকারী একটা কিছু

“রিল্যাক্স” খুবই দরকারী একটা কিছু!
বিশ্রাম কাজের অঙ্গ
একসাথে গাঁথা;
নয়নের অঙ্গ যেমন
নয়নের পাতা।
আসলেই কিন্তু ব্যাপারটা এমন, বিশ্রাম নেয়ার মনে হল মস্তিষ্ক যেন নিজেকে পরিষ্কার করার কাজটা সেরে নিতে পারে, সেই সুযোগ দেয়া! মানে আপনি যখন ভাবছেন আপনি বিশ্রাম নিচ্ছেন, আসলে কিন্তু আপনি কাজ করছেন। আপনি তখন আপনার মস্তিষ্কটাকে ধুঁয়ে-মুছে পরিষ্কার করবার কাজটা করছেন। মানে, বিশ্রাম নেয়াটা আসলেও একটা কাজ!
অতীতের অভিজ্ঞতাগুলো যেন মনের ভেতর অনেক গভীরে নোঙর করে থাকে। আর এর সাথে মনটাও অনেক দূরে ভেসে বেড়ায়। অতীতের অভিজ্ঞতা অনেক সময় মনে লাশের বোঝার মত ভারীই মনে হয়। তাই অতীতের বোঝাগুলো হাল্কা না করতে পারলে যেন নিজেকে হাল্কা মনে হয় না। অতীতের বোঝাগুলো ফাইল ক্যাবিনেটের মত। এগুলো আমাদের লার্নিঙ পয়েন্টস, লার্নিঙ ইনফোরমেশনস। কিন্তু বর্তমান জীবনের সাথে এরা মাননসই নয়, লাগসইও নয়। ফাইল ক্যাবিনেট নিয়ে সারা দিন ঘাঁটাঘাঁটি কি ভালো? তাই এদের “গুড বাই” জানানোই মঙ্গলের। আসুন, গতকালকে, গত মাসকে বা গত বছরকে ফেয়ারওয়েল দিই। এতে মন রিল্যাক্স করবে। যে মানুষ আজ ভালভাবে বাঁচতে চায়, সে কেন গত দিনের চিন্তায় ডুবে থাকবে?
“আজ”-এর একটা শক্তি আছে। কোন কাজ ফেলে রাখবেন না। আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু -এভাবে চলবেন না। এটা যারা করেন তারা হলো দীর্ঘসূত্রী বা প্রোক্রাস্টিনেটর। তাই আজই “মি. প্রফেসর” হয়ে যান। মি. “ল্যাটার” হবেন না। দীর্ঘসূত্রী হলে আপনার ব্রেন বা ঘিলুটা একা মেস হয়ে যাবে আর আপনি পরিপাটি থাকতে পারবেন না। রিল্যাক্সও করতে পারবেন না।
অতীতের দীর্ঘশ্বাস আর ভবিষ্যতের আশ্বাস বাস্তব জীবনে কোনটাই কাজে আসে না। বর্তমানটাই জীবন্ত। তাই বর্তমানটাকে ভাল কাজে লাগান। মনে রাখবেন গতকাল হলো ইতিহাস, আগামীকাল হলো রহস্যাবৃত আর আজ হলো দীপ্তিময় আশীর্বাদ। গতকাল হলো ব্যাংকের একটি বাতিল চেক, আগামীকাল হলো ব্যাংকের একটি প্রতিজ্ঞাপত্র বা প্রমিসরী নোট আর আজ হলো রেডী ক্যাশ-একে ব্যবহার করো সার্থকভাবে।

No comments:

Post a Comment