‘বাস্তবতা একটি মোহ, অবশ্যই তা নিরবচ্ছিন্ন।’-বলেছেন
আলবার্ট আইনস্টাইন
‘নীরবতাই বড় শক্তির উতস।’-বলেছেন
চীনা ধর্মীয় গুরু তাও জি খ্রিষ্টের তিন শ’ বছর আগে
ভালো মানুষের জন্য সংক্ষিপ্ত সঙ্কল্পের একটি তালিকা
লেখকঃ প্যাট্রিক জে কিজার।
১. তোমার সহজাত ক্ষমতাকে ভালো কাজে ব্যবহার করো
২. তোমার প্রতিবেশীকে জানো
৩. নতুন অভিযানের চেষ্টা করো
৪. দীর্ঘ দিন বাঁচতে হলে কম টিভি দেখো
৫. প্রতিদিন এক জিনিস শেখ
৬. মুক্তহস্তে বখশিশ দাও
৭. কাউকে ক্ষমা করো
৮. লোকসান ও বিপদের ঝুঁকি নাও
৯ নিজের অনুভূতির ওপর বিশ্বাস রাখো এবং
১০. গড়িমসি বা দীর্ঘসূত্রতা করো না।
কিজারের এই সংক্ষিপ্ত লিস্টটি যদি অনুসরণ করা যায়, অবশ্যই সুফল দেবে।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রধান আইভান দিমিত্রিজেভিকের ৫০টি সঙ্কল্পের উপদেশ আরো সমৃদ্ধ। এখানে কিছু উদ্ধৃত করা হলোঃ
১. সুস্থ থাকার চেষ্টা করো এটা খুবই দরকারী।
২. সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাও।
৩. কোনো কাজ করতে গিয়ে গড়িমসি করবে না, কারণ একবার এই অভ্যাস হলে আর বেরিয়ে আসা যায় না।
৪. মানসিক স্থিতি এবং কাজে মনোনিবেশ অত্যন্ত জরুরি।
৫. নতুন কারো সাথে দেখা হলে লজ্জা পরিহার করে নতুন কিছু জানার চেষ্টা করো। বিশেষ করে, যদি কোনো ভালো এবং জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে দেখা হয়।
৬. সব সময় কর্মক্ষম থাকার জন্য নতুন কারো সাথে দেখা হলে তার বিষয়ে জানার চেষ্টা করা উচিত।
৭. প্রয়োজন হলে অজ্ঞাত বিষয়েও চেষ্টা করা উচিত।
৮. সত উপার্জন বৃদ্ধির চেষ্টা সব সময় করো।
৯. মার্জিত ও ভদ্র থাকার চেষ্টা করো, যেন সবাই জানে- তুমি ভালো মানুষ। সব দেশেই ভদ্রতা-সভ্যতা সমাজের অঙ্গ
১০. সব সময় চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করবে;
১১. জীবনে যে অবস্থায় আছো, তা নিয়ে সুখী থাকার চেষ্টা করো। এতে কিছু সময় নেবে। অবশেষে শান্তি আসবে। একটি উপায় হলো ছোট ছোট বিষয়েই আনন্দিত হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
১২. ভালো ঘুমের চেষ্টা করবে। দিনে অন্তত চার থেকে আট ঘণ্টা ভালো ঘুমালে স্বাস্থ্য ও মন, দুটোই ভালো থাকে।
১৩. কখনো সিগারেট খেয়ো না অথবা ধীরে ধীরে তা ত্যাগ করো। এর জন্য মনকে শক্ত করতে হবে।
১৪. কম টিভি দেখো। এতে দিনে আরো বেশি কাজ করা সম্ভব।
১৫. বেশি পড়ো। বছরে অন্তত ২০টি বই পড়ো। এক দিকে যেমন এটা ব্রেনের সুস্থতা দেয়, অপর দিকে একে সমৃদ্ধ করে।
১৬. ভালো এবং জ্ঞানীদের সাথে যোগাযোগ রাখো। তাদের জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার এবং উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকে।
১৭. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকো। সুন্দর, সহজ ও সরল জীবনযাপনের চেষ্টা করো। এতে শুধু মনই ভালো থাকে না, তার সাথে জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনাও সম্ভব।
১৮. ঋণমুক্ত থাকার চেষ্টা করো। ঋণ করাও একটা নেশা। আত্মসংযম শেখার চেষ্টা করতে হবে।
১৯. ঋণমুক্ত থাকতে খরচ করতে হবে সাবধানে।
২০. একটি নতুন ভাষা শেখার চেষ্টা করা উচিত। কারণ, তাতে নতুন দিগন্তের সন্ধান পাওয়া যায়।
২১. দান করো এবং স্বেচ্ছাসেবক হও। তাতে নতুন মানুষের দেখা পাওয়া যাবে এবং নতুন কিছু শেখা যাবে।
২২. নতুন কিছু শিখ এবং শখের পেশা নির্বাচন করো।
২৩. কারো বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ পুষে রাখবে না।
২৪. শখের ছোট্ট কিছু, যেমন বিড়াল বা এমন কোনো পশু পোষো, তাতে দায়িত্ববোধ শক্ত হয়।
২৫. যত পারো ভ্রমণ করো, এতে অভিজ্ঞতার সাথে মানসিক বিস্তৃতি ঘটে।
২৬. রান্না করতে শেখো এবং সংসারকে সুন্দর-শান্তিময় রাখার চেষ্টা করো।
২৭. প্রতিদিন নিজেকে আবিষ্কার করো, এটা জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আসে।
২৮. নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
২৯. নিজের সংস্কৃতি ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোকে জানার এবং তার সাথে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবে।
৩০. বর্তমানের সোস্যাল মিডিয়ার সাথে যোগ দিতে পারলে দিয়ো, তবে সাবধান, এতে ডুবে যাবে না। শুধু সত্যিকারের ভালো বিষয়গুলোই এখান থেকে নেবে।
৩১. নিজেকে রক্ষার চেষ্টায় থাকবে, যাতে কেউ তোমার জীবনে হস্তক্ষেপ না করে
৩২. রোমান্সকে পরিত্যাগ করো না। এটা জীবনকে একঘেয়েমি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
৩৩. স্মরণীয় দিনগুলোকে ভোলা উচিত নয়। কারণ, এগুলো সামনের দিনগুলোর পথ নির্মাণ করতে সাহায্য করে। নিজের স্মরণীয় দিনগুলো এর মধ্যে প্রধান।
৩৪. সামাজিক হওয়ার চেষ্টা থাকবে অব্যাহত। তখন কখনো নেতৃত্বও হাতে এসে পড়ে।
৩৫. সৃষ্টিশীল হওয়ার চেষ্টা হবে নিরবচ্ছিন্ন।
৩৬. কখনো রূঢ় হবে না। নিজেকে শিল্পসম্পন্ন ও রুচিসম্মতভাবে প্রকাশ করবে।
৩৭. নিজের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতাকে জয় করবে। ভয়কে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে ভালোভাবে চলতে হলে।
৩৮. নিজের ভাবনাগুলোকে লিখো। পারলে বই লিখো। দেখা যাবে, এই ভাবনাগুলো অমূল্য সম্পদ।
৩৯. স্বাস্থ্যকর অভ্যাসকে রপ্ত করতে হবে।
৪০. প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে এবং পেট সুস্থ রাখতে হবে।
৪১. প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যান করবে।
No comments:
Post a Comment