Thursday, March 21, 2019

নতুন প্রেসিডেন্ট ও মান হানিকর কথার জবাব

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ১ম দিন অফিস করছেন তিনি। আজ তার উদ্বোধনী ভাষন দেয়ার কথা রয়েছে। অল্প পরেই সঠিক সময়েই ভাষন শুরু হলো। তার ১ম ভাষনের মাঝেই আধুনিক পোশাক পরা কেতাদুরস্ত এক সিনেটর দাঁড়ালেন। নোতুন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করলেন। মি. প্রেসিডেন্ট, বোধ করি আপনি ভুলে যাননি যে আপনার বাবা একজন মুচি ছিল আর সে আমাদের পরিবারের পুরুষ নারী সবারই জুতো বানাতো। পুরো সিনেট অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। হাসি যেন আর থামেনা। সিনেটররা ধরেই নিলো যে এক নিরেট বোকাকে তাদের প্রেসিডেন্ট বানিয়েছে।
কিন্তু কিছু কিছু মানুষ্ এই দুনিয়াতেই রয়েছে যারা অসম্ভব দৃঢ় প্রত্যয়ী হন। প্রেসিডেন্ট প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে সরাসরি তাকালেন। তাকে বল্লেন, “জনাব, আমি জানি আমার বাবা আপনাদের পরিবারের পুরুষ নারী সবারই জুতো বানাতেন। এ রকম অরো মুচি এই শহরের ভেতরেই আছে। কিন্তু আমার বাবা অসম্ভব রকমের ভালো জুতো বানাতে পারতেন যা আর কারো পক্ষে সম্ভব ছিল না, বুঝেছেন।”
প্রেসিডেন্ট থামলেন না। বলেই চললেন। আমার বাবা ছিলেন একজন সৃষ্টিশীল মানুষ, একজন জিনিয়াস। তিনি শুধু জুতোই বানাতেন না। তিনি যা বানাতেন তাতে তার হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা থাকতো। আমি এটাই আপনাকে বলছি যে আমার বাবার তৈরী জুতো নিয়ে আপনার কি কোন অভিযোগ রয়েছে? থাকলে আমাকে বলুন। আর আমিও বাবার কাছ থেকে জুতো বানানো শিখেছি। আপনি চাইলো আরো কয়েক জোড়া জুতো আপনার জন্য তৈরী করে দেবো আমি নিজেই। আর আমি এখন অব্দি জানি যে এই তল্লাটের কেউই আমার বাবার তৈরী জুতো নিয়ে অভিযোগ তো দূরের কথা-একটা টু শব্দও করেনি। আমি আমার বাবাকে নিয়ে গর্বিত। আরো গর্বিত যে এমন এক বাবার সন্তান আমি।
হঠাত করেই যেনো গোটা সিনেটে পিনপতন নীরবতা নেমে এলো। সিনেটররা কেউই আঁচ করতে পারেনি প্রেসিডেন্টের জ্ঞানের গভীরতা আর ব্যাপকতা বিষয়ে। কারণ, তার বাবার কাজের খুঁত কেউই ধরতে পারেনি। তার বাবা ছিলেন একজন ধারালো মানুষ। কাজও ছিল সুচিন্তিত ও ধারালো। ছেলেটাও হয়েছে তেমনিই।
ফোকাসঃ আপনার অনুমতি ছাড়া কেউই আপনাকে মান হানিকর কোন কথা বলার ক্ষমতা রাখেনা। যা ঘটে যায় আমরা তা থেকে মানসিক আঘাত পাইনা। মানসিক আঘাতটা পাই মানুষের অভিব্যক্তি বা রেসপন্স থেকে।
Ref: Motivational Story

Wednesday, March 20, 2019

To Simplify Your Life: 10 Tips

Simplicity makes things easy.
Learn "KISS"-"keep it simple, stupid",
The KISS principle states that most systems work best if they are kept simple rather than made complicated; therefore, simplicity should be a key goal in design, and unnecessary complexity should be avoided.
1. Avoid getting influenced
2. Avoid impulse buying
3. The 6 months Rule: anything which has not been used in last 6 months will not be used in next 6 months most likely
4. Avoid Credit Cards Usage
5. Learn to say No
6. Reduce too much social gatherings
7. Reduce your love for money
8. Less TV more Books
9. Spend time with Nature
10. Change your eating habits. Avoid visiting costly restaurants again and again. Purpose of food is to fill your belly. Remember, most of the food items in the market silently making you a heart patient in the long run.
Work on your real wealth and live a happy life.
আরো কিছু-
Simple is easier to understand. সহজিয়া জিনিস সহজবোধ্য
Simple is easier to remember. সহজিয়া কোন কিছু মনে রাখা সহজ
Animals are simple. সকল প্রাণিই সহজ. এমনকি হিংস্র প্রাণিও
Simple things are always more beautiful. সহজ জিনিস আসলেই বিউটিফুল
Simple is harder to break. সহজকে ভাঙ্গা সহজ নয়
Simple things load faster. সহজ জিনিস সহজেই লোড করা যায়
In a complex world, simple is rare and appreciated. জটিল দুনিয়াতে সজহটাই মঙ্গা আর সহজকে সবাই ভালবাসে
Simple is the culmination of clear thinking and action. পরিষ্কার চিন্তার জন্য সহজকে আশ্রয় করা সহজ
Simple is closer to the truth. সহজ হলো সত্যের সবচেয়ে কাছে
Simple things are accessible to everyone. সহজটা সবাই চায়
সহজ কথা বলতে আমায় বলো যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে।

SOME OF THE HUMAN QUALITIES ALLAH, THE ALMIGHTY LOVES

"Say (O Muhammad to mankind): "If you (really) love Allah, then follow me (i.e. accept Islamic monotheism, follow the Quran and the Sunnah), Allah will love you and forgive you your sins. And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful." (Quran: 3:31)
Ø Patience
Ø Justice and Dealing with Equity
Ø Putting Trust in Allah
Ø Perfection of One's Work
Ø Rescuing
Ø Being Kind and Gentle to Others
Ø Kindliness
Ø Repentance
Ø Piety
Ø Good-doing
Ø Body Purification
Ø Humility of the Rich
Ø Belief and Work
Ø Reflection of Allah's Grace
Ø Magnanimity
Ø Virtuosity
Ø Loftiness
Ø Justice
Ø Strength
Ø Love for the Sake of Allah
Ø Forgiveness
Ø Continuous Performance of Righteous Deeds
Ø Loving and Visiting Believers
Ø Exhortation and Advising
Ø Love of Virtuous Deeds
Ø Good Manners and Conduct

বন্ধুত্ব: ইসলামের দৃষ্টিতে এবং যা করা দরকার

A conglomerate ( man) is known by company it(he) keeps.
A person tends to associate with people who are like him or her. "Son, when you go away to school, spend your time with serious people; don't hang around with people who go to parties all the time. A man is known by the company he keeps. If you want to know what kind of person Muhammad is, look at his friends. A man is known by the company he keeps."
সমাজে চলার পথে বন্ধুর প্রয়োজন হয়। সামাজিক সম্পর্ক তৈরীতে বন্ধুত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মানুষের কর্ম, চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয় বন্ধুত্বের কল্যাণে। এ কারণে কার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে এবং কাদের বর্জন করতে হবে এ ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা আমাদের পথ দেখিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, “আর ঈমানদার পুরুষ এবং ঈমানদার একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজ প্রতিষ্ঠিত করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবনজাপন করে। তাদের ওপর আল্লাহতায়ালা অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী সুকৌশলী। [সূরা আত্-তওবা : ৭১]
নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “মুমিন ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক মজবুত কর। আর তার সাথেই পানাহার কর।” এখানে মুমিন ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মুমিন ছাড়া কি আর কারো সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না? এ প্রশ্নের উত্তর আল্লাহ তায়ালাই দিয়েছেন। তিনি বলেন,
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা ঈমানদারদের বাদ দিয়ে কাফেরদের নিজের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করে আল্লাহতায়ালার কাছে তোমাদের বিরুদ্ধে কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ তুলে দিতে চাও?
[সূরা আন নিসা: ১৪৪]
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ঈমানদার ব্যক্তিরা কখনো ঈমানদারদের বদলে কাফেরদের বন্ধু বানাবে না। যদি তোমাদের কেউ তা করে, তবে আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্কই থাকবে না।” [সূরা আলে-ইমরান: ২৮]
এ আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, এমন ব্যক্তিকে আমরা বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবো যে ঈমানদার, ধর্মপ্রাণ, সত্যবাদী, সদাচারী, সতকাজে অভ্যস্ত এবং নীতিবান।
যেহেতু আমরা বন্ধুছাড়া চলতে পারি না সেহেতু বন্ধু গ্রহণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
এ সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) বলেন, “মানুষ তার বন্ধুর ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই তোমাদের যে কেউ যেন বিবেচনা করে দেখে কাকে সে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছে। [তিরমিজি]
মহানবী (সঃ) আরো বলেন “জীবন যাপন প্রণালী ও চিন্তা ভাবনায় ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের বেলায় অভিন্নতা থাকা বাঞ্ছনীয়। অতএব বন্ধু নির্বাচনে প্রত্যেকের যতœশীল হওয়া উচিত। [তিরমিজি]
বিভিন্ন কারণে আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। কিন্তু আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের ভিত্তিতে যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে সে বন্ধুত্ব সবচেয়ে মজবুত হয়। অপরদিকে নিজের স্বার্থের জন্য উপকার লাভের আশায়, ক্লাব সদস্যের ভিত্তিতে, সামাজিক শ্রেণী ও জাতিগত পরিচিতির ভিত্তিতে যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে তা বেশিদিন টিকে না। এ সকল ক্ষেত্রে কারো স্বার্থে কোন রকম আঘাত লাগলেই নষ্ট হয়ে যায়।
নবী করিম (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি কাউকে ভালোবাসলো তো আল্লাহ্র জন্যই ভালোবাসলো, কাউকে ঘূণা করলো তো আল্লাহ্র জন্যই ঘৃণা করলো, কাউকে কিছু দিল তো আল্লাহর জন্যইড দিল এবং কাউকে দেওয়া বন্ধ করলো তো আল্লাহর জন্যই দেয়া বন্ধ করলো, তবে সে তার ঈমানকে পূর্ণ করলো। [মিশকাত]
অর্থাৎ ঈমান ও আনুগত্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব সর্বোত্তম। হাদীসে কুদসীতে আছে, আল্লাহতায়ালা বলেছেন, “যারা আমার প্রেমে পরস্পরকে ভালোবাসে, আমার খাতিরে সমবেত হয়, যারা আমার খাতিরে পরস্পরের খবরাখবর নেয় ও পারস্পরিক যোগাযোগ বহাল রাখে, আমার ভালোবাসা তাদেরই প্রাপ্য”।
ইসলামের দৃষ্টিতে উপযুক্ত লোকদের সাথেই বন্ধুত্ব করা উচিত এবং সারা জীবন ঐ বন্ধুত্ব অটুট রাখার জন্য চেষ্টা করা উচিত। যে বন্ধুত্ব আমাদের জীবনের আমূল পরিবর্তন করে দেয়, যে বন্ধুত্ব ছাড়া আমাদের চলা সম্ভব নয়, সে বন্ধুত্ব লালনের জন্য কুরআন ও হাদীসে নির্দেশনা রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:-
* আল্লাহর আনুগত্য লাভের আশায় সকল বিশ্বাসীগণকে ভালোবাসা।
* ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে সাক্ষাত করা। বেহেস্তের সুসংবাদ সেই ব্যক্তির জন্য রয়েছে, যে অন্য সমস্ত উদ্দেশ্য বাদ দিয়ে শুধুমাত্র বন্ধুর ভালোমন্দ জানার জন্য বন্ধুত্বের খাতিরে বন্ধুর সাথে সাক্ষাত করে।
* আত্মসর্বস্বতা/selfishness পরিহার করা। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন,” নিজের ভাবনায় যা প্রিয়, তা অন্য মুসলিম ভাইয়ের জন্য প্রিয় না হওয়া পর্যন্ত সত্যিকারের বিশ্বাসী হওয়া যায় না।
* দুর্নীতি, মুনাফেকী চাল ও আত্মম্ভরিতা পরিহার করা। এগুলো হৃদয়ে পরিবর্তন আছে এবং বন্ধুত্ব নষ্ট করে।
* সামাজিক সৌজন্য চর্চা করা যেমন সহগামী মুসলিমের নাম জানা ও ঠিকানা সংগ্রহ করা।
* খাবার দাওয়াত দেয়া হলে তা কবুল করা।
* দয়ার বিনিময়ে দয়া জানানো।
* বন্ধুদের খাটো বা বিদ্রুপ না করা।
* বিদ্রুপ করে বন্ধুদের মনে কষ্ট না দেয়া।
* অসাক্ষাতে বন্ধুর নামে খারাপ কথা না বলা।
* বিনয়ী হোন এবং আত্মম্ভরিতা ত্যাগ করা।
* বন্ধুর কর্মকান্ডে অসত উদ্দেশ্য আরোপ না করা।
* বন্ধুকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা এবং সত কাজে উতসাহিত করা।
* বিরোধ দেখা দিলে নিজেই প্রথমে মিটিয়ে ফেলার জন্য উদ্যোগী হওয়া।
আল্লাহ তাওফীক দিন ভাল মানুষ, ঈমানদার মানুষ বেছে নিয়ে তার সাথে চলতে।

Get Rid of Headaches, 11 Simple & Effective Ways to

1. Cut out Foods Containing a Lot of Histamine from Your Diet
খাবার থেকে হিষ্টামিন বাদ রাখুন
These foods include histamine:
• aged cheeses
• fermented foods
• beer
• wine
• smoked fish
• cured meats
2. Avoid Strong Smells
তীব্র গন্ধ এড়িয়ে চলুন
3. Use Essential Oils to Ease Your Pain
সুগন্ধি তেল ব্যবহার করুন
2 Essential oils beneficial to relieving headaches are lavender and peppermint oil
4. Stop Consuming Narcotics
নেশা হয় এমন দ্রব্য পান নয়।
5. Look Out For Foods Containing Nitrates and Nitrites
যে সব খাবারে নাইট্রেট রয়েছে সেসব খাবার নয়
These food preservatives can be found in many meat products:
• hot dogs
• sausages
• processed foods containing meat
6. Caffeine Is Your Best Friend
ক্যাফিন হতে পারে আপনার বেষ্ট ফ্রেন্ড
Caffeine can relieve headaches and make you feel more alert.
7. Avoid bright lights and loud sounds
উজ্বল আলো ও তীব্র সাউন্ড থেকে দূরে থাকুন
8. Use a Warm or Cold Compress On Your Neck and Head
ঘাড় মাথায় ঠান্ডা বা গরম সেঁক দিন
9. Take a B-Complex Vitamin
ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স নিন
10. Massage your neck and temple
কপাল ও ঘাড়ে মাসাজ করুন
11. Sip Some Ginger Tea
জিঞ্জার টি বা আদা চা পান করুন

নিঃসঙ্গতা ২১ শতকের মহামারীঃ আল কুরআন ও হাদীস ভিত্তিক সল্যুশন

নিঃসঙ্গতা মানব মস্তিষ্ককে ভিন্নভাবে চালিত করে
একাকিত্ব মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
একাকী ব্যক্তির মস্তিষ্ক সামাজিক নানা পরিপ্রেক্ষিতের প্রতি বেশি সক্রিয়।
সঙ্গহীন মানুষের মস্তিষ্ক অন্যদের তুলনায় ভিন্নভাবে কাজ করে। এ ধরনের মানুষের মস্তিষ্ক সামাজিক পরিস্থিতির প্রতি বেশি সক্রিয় থাকার কারণে অপরিচিতদের থেকে সম্ভাব্য শঙ্কা ও বিপদের বিষয়ে বেশি সচেতন থাকে।
সামাজিকভাবে ঋণাত্মক কোনো শব্দ সামনে আনার পর নিঃসঙ্গ ব্যক্তিরা ভীষণভাবে সচেতন হয়ে ওঠে, যেখানে অন্যদের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না।
নিঃসঙ্গতা স্ব-সংরক্ষণ পন্থাকে প্রণোদিত করে এবং অসামাজিক শঙ্কার তুলনায় সামাজিক শঙ্কার প্রতি মানুষকে বিশেষভাবে সচেতন ও সক্রিয় করে তোলে। নিঃসঙ্গ মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঋণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। সামাজিক নানা শঙ্কা সম্পর্কিত এ প্রতিক্রিয়ার মূল অবচেতনের মধ্যেই প্রথিত আছে।
Loneliness and health
Loneliness can become a health problem when it is in your life for a long time and joins forces with things like:
Depression
Self harming or suicidal thoughts
Drugs, tobacco and alcohol
Anxiety or fear
Anger
Violence
Prostitution
Criminal activity
Mental illness.
Loneliness is a hidden scourge of modern life.
People are happier and healthier when they feel connected.
Loneliness does you no good. You can’t reach out to anyone and you tend to stew in your own juice.
All of us can benefit from having more connection and more support –and giving more support to other people.
Loneliness is a serious public-health problem
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, হে মানবসমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অনেক পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর যার নামে তোমরা একে অপরের কাছে চেয়ে থাক এবং আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর, নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন। (সূরা নিসা-১) ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মানব, আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাপেক্ষা মর্যাদাবান যার তাকওয়া বেশি।’ (সূরা আল হুজরাত: ১৩) ।
জ্ঞাতি সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্বঃ হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রাহেম’ শব্দটি (আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম) রহমান’ থেকে উতসারিত। তাই আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি রাহেম’ এর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে, আমি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখব এবং যে ব্যক্তি তা ছিন্ন করবে আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করব। (বুখারি)।
আরবীতে জ্ঞাতি সম্পর্ক রক্ষা করাকে সিলাতুর রাহেম’ বলা হয়। যার অর্থ জ্ঞাতি সম্পর্ক বজায় রাখা। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রাহেম’ (আল্লাহ তা’আলার) আরশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে এবং বলে, যে আমাকে সংযুক্ত করবে আমি তাকে সংযুক্ত করব এবং যে আমাকে বিচ্ছিন্ন করবে আল্লাহ তাআলাও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। (বুখারি, মুসলিম)
পারিবারিক বন্ধন রক্ষার পুরষ্কারঃ হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি চায় তার রিযিক প্রশস্ত হোক এবং জীবন দীর্ঘায়ু হোক সে যেন তার আত্মীয় স্বজনের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখে। (বুখারি) হাদিসের ভাষ্যকারগণ বলেন, এ হাদিস থেকে উদ্দেশ্য আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পাওয়া নয়, বরং তার অর্থ হল, এধরনের লোক আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করবে এবং জীবনের সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে সক্ষম হবে। অধিকন্তু, রুজি বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ পরিমাণ কিংবা ওজনে বৃদ্ধি পাওয়া নয়; বরং তা থেকে উদ্দেশ্য হল আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহ ও বারক্কাত বৃদ্ধি পাওয়া। যার ফলে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হওয়া থেকে হেফাজত থাকবে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
সূত্র: অনেক

এক মিনিটের আমল

আপনি কি মর্যাদার শিখরে পৌছতে চান?
তাহলে ৬০ সেকেন্ড সময়কে বাস্তবে কাজে লাগান।
আল্লাহ্র ইচ্ছায় ৬০ সেকেন্ডে আপনি যে যে আমলগুলো করতে পারেন:
১) ১ মিনিটে সূরা ফাতিহা মনে মনে তিন বার পড়তে পারেন। কেউ কেউ হিসাব কষে দেখিয়েছেন একবার সূরা ফাতিহা পড়লে ৬০০ টির বেশি নেকি পাওয়া যায়। বা তারও বেশী।
২) ১ মিনিটে আপনি সূরা ইখলাস ২০ বার পড়তে পারেন। এই সূরা একবার পাঠ করলে কুরআন শরীফের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
৩) ১ মিনিটে আপনি আল্লাহর কিতাবের এক পৃষ্ঠা পাঠ করতে পারেন।
৪) ১ মিনিটে আপনি আল্লাহর কিতাবের ছোট একটি আয়াত মুখস্থ করতে পারেন।
৫) ১ মিনিটে আপনি “সুবানাল্লাহি অবিহামদিহি” ১০০ বার পড়তে পারেন।
৬) ১ মিনিটে আপনি “সুবানাল্লাহি অবিহামদিহি ও সুবানাল্লাহিল আজিম” ৫০ বার পড়তে পারেন।
৭) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সুব্হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আক্বার পাঠ করা যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সবকিছু থেকে আমার নিকট অধিক প্রিয়।”[হাদিসটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম (২৬৯৫)]
৮) এক মিনিটে আপনি আল্লাহর কাছে ১০০ বারের বেশি ইসতিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। এর ফজিলত আপনার অজানা নয়। এটি ক্ষমা প্রাপ্তি ও জান্নাতে প্রবেশের উপায়।
৯) ১ মিনিটে আপনি সংক্ষেপে কিছু ভাল কথা বলতে পারেন যা দ্বারা আল্লাহ হয়ত এমন কোন কল্যাণের পথ খুলে দিবেন যা আপনি ভাবতেও পারেননি।
১০) ১ মিনিটে আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ৫০ বার দরূদ পাঠ করতে পারেন। শুধু পড়বেন “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। এর প্রতিদানে আল্লাহ আপনার উপর ৫০০ বার সালাত (রহমত) পাঠাবেন।
১১) ১ মিনিটে আপনার মন আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, তাঁর ভালবাসা, তাঁর ভয়, তাঁর প্রতি আশা এবং তাঁর প্রেমে উদ্বেল হয়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি আল্লাহর দাসত্ব এর স্তরসমূহ অতিক্রম করতে পারেন; হতে পারে সে সময় আপনি হয়ত আপনার বিছানায় শুয়ে আছেন অথবা কোন পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছেন।
১২) ১ মিনিটে আপনি সহজবোধ্য উপকারী কোনো বইয়ের দুই পৃষ্ঠার বেশি পড়তে পারেন।
১৩) ১ মিনিটের টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি ‘সিলাতুর রাহেম’ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার আমল পালন করতে পারেন।
১৪) ১ মিনিটে আপনি দুই হাত তুলে ব্যাপক অর্থবোধক দোয়াগুলো হতে পছন্দমত যে কোন দোয়া করতে পারেন।
১৫) ১ মিনিটে আপনি কয়েকজন ব্যক্তিকে সালাম দিতে পারেন ও তাদের সাথে মুসাফাহা করতে পারেন।
১৬) “অ্যাক্ট অব লিটল কাইন্ডনেস” বা এমন কিছু কথা বা কাজ যা মানুষের মনে দয়া বা ভালবাসার উদ্রেক করে তা ৬০ সেকেন্ডে করতেই পারেন।

Tuesday, March 12, 2019

থানকুনি কথন

পেটের পীড়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকে। পেটের পীড়ার সমস্যা মূলত হয়ে থাকে খাবার ও পানির কারণে। ঘরে বাইরে যেখানেই থাকেন বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এছাড়া ভেজাল খাবারের কারণে পেটের পীড়া হতে পারে।
গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এ পীড়ার প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। পেটের পীড়া বলতে আমরা সাধারণত বুঝি আমাশয়, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা কিংবা হজমের অসুবিধা।
পেটের পীড়াকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথমত, খাদ্যনালি (পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, ক্ষুদ্রান্ত্র কিংবা বৃহদান্ত্রের রোগ)।
দ্বিতীয়ত, লিভারের প্রদাহ।
খাদ্যনালির কারণজনিত পেটের পীড়াকে দু’ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
১. স্বল্পমেয়াদি পেটের পীড়া
২. দীর্ঘমেয়াদি পেটের পীড়া
থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। থানকুনি পাতার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়। থানকুনি আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ।
চিকিতসার অঙ্গনে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম। প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় এর ভেষজ গুণ থেকে। খাদ্য উপায়ে এর সরাসরি গ্রহণ রোগ নিরাময়ে থানকুনি জুড়ি নেই।
ঔষধি গুণসম্পন্ন থানকুনি পাতা খেতে পারেন রস করে অথবা বেটেও। তরকারিতে কুচি করে মিশিয়ে দিতে পারেন। চাইলে চায়ের সঙ্গেও মিশিয়ে নিতে পারেন এটি। নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে দূরে থাকতে পারবেন বিভিন্ন রোগ থেকে।
থানকুনি পাতা কেন?
হজম শক্তি
হজম শক্তি বাড়াতে পারে থানকুনি পাতা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে।
অ্যাসিডিটি
পেটের সমস্যা লেগেই থাকে? নিয়মিত থানকুনি পাতা খান, দূর হবে পেটের সমস্যা। এছাড়া অ্যাসিডিটি দূর করতেও জুড়ি নেই থানকুনি পাতার। দুধের সঙ্গে মিসরি ও থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন।
পেটের সমস্যা
আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত থানকুনির রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। জ্বর পেটের পিড়া, আমাশয়য়, আলসার, বাতের বাথা বিভিন্ন অসুখের ওষুধ হিসেবে এটির ব্যাবহার রয়েছে। কাশি ও ঠাণ্ডা
কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে ও রক্তে প্রবেশ করে। প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়।
ভিটামিন সি যুক্ত
ভিটামিন সি যুক্ত থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড, বেটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।
Precisely:
1. Considered as brain food
2. Problems of fatigue may be tackled
3. Good for mentally retarded children as it is helpful to enhance memory.
4. In case of sleeplessness, it is given with cow milk
5. Helps to strengthen and strong your nerves
6. Extract of leaves are connected with enhancement of thinking or conscious mental processes.
7. Regular eating of its leaves is helpful to solve the problems of stammering.
8. Case of convulsion may be cured by using of it.
9. In case if migraine and headache, it also give some relaxation.
10. The problems of joint can also be alleviated by using this plant leaves.
Source: https://www.techgape.com

Saturday, March 9, 2019

ভুল ধারনা, স্বাস্থ্য বিষয়ে যত

জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশি নিয়ে আমাদের দেশে প্রচলিত কিছু ধারণা রয়েছে। জ্বর হলে এটা করা যাবে না, ঠাণ্ডা লাগলে সেটা খাওয়া যাবে না ইত্যাদি। এসব ধারণা বা নিয়মকানুন আদৌ সঠিক কিনা, তা জানি না অনেকেই। অসুস্থতা বা খাবার সম্পর্কিত চিরাচরিত এসব নিয়মকানুন বা ধারণা সবসময় সঠিক নয়। বরং কখনো কখনো দেখা যায় অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে যেটা খাদ্যতালিকা থেকে ছাঁটাই করছেন, হয়তো সেটাই ওই অসুখের আদর্শ কোনো পথ্য। ভুল ধারণা ভাঙতে জেনে নিন নিচের বিষয়গুলো—
ঠাণ্ডা লাগলে ফল খেতে নেই
এখনো অনেকেই অন্ধভাবে বিশ্বাস করে ঠাণ্ডা বা কাশিতে কোনো ফলই খাওয়া যাবে না। বর্তমানে ধারণাটি একান্তই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল ঠাণ্ডা বা কাশি দূর করতে সহায়ক। পরিমিত পরিমাণ ফল খাওয়া যেতেই পারে। দিনের প্রথম ভাগে ফল খাওয়া উত্তম। কলাকে ঠাণ্ডা ফল বলে মনে করা হয়। কিন্তু বর্তমানে প্রমাণিত হয়েছে, কলা পেস্ট করে খাওয়ালে তা শিশুদের ঠাণ্ডা সারায়।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে নেই
ঠাণ্ডা লাগলে দুধ খাওয়ার ব্যাপারে অনেকের আপত্তি না থাকলেও এখন পর্যন্ত অনেকেই মনে করে, সর্দিতে দই খাওয়া যাবে না। অনেকের বিশ্বাস দই ঠাণ্ডা খাবার। এটি খেলে কাশি বাড়তে পারে। তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ঠাণ্ডা, কাশি বা জ্বরে দই খাওয়া নিরাপদ। তবে দই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হলে খাওয়ার সময় তা ওভেনে হালকা গরম করে নেয়া ভালো।
জ্বর হলে স্নান বাদ
জ্বর হলে স্নান করা যাবে না, এ ধারণা থেকে অবশ্য আজকাল অনেকেই সরে এসেছে। এখন ডাক্তাররাই বলেন, জ্বর হলে স্নান নিতে। সেক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানিতে স্নান নেয়া ভালো। এতে ঘুমটাও ভালো হয়।
ঠাণ্ডা-কাশিতে শিশুকে ঘি খাওয়ানো বারণ
ভারতীয় উপমহাদেশীয় আনুষঙ্গিক খাবারের মধ্যে অত্যন্ত পুষ্টিকর অনুষঙ্গ এটি। ঘি ফুসফুস ভালো রাখে, ইনফেকশন দূর করে, শুকনা কাশি প্রতিরোধ করে ও মিউকাস দূর করে।
ডিম হৃদস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
সাধারণের ধারণা ডিম খেলে হৃদরোগ হতে পারে বা বাড়তি কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই সপ্তাহে দুটি বা চারটির বেশি ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলে। বিশেষত যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস ও হূদরোগ রয়েছে, তাদের এ নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম খাওয়ার সঙ্গে হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার কোনো যোগসূত্র নেই।
সূত্র: Medical News Today

আল্লাহ তা‘আলার দয়া

রাসুলে কারীম সা. ইরশাদ করেন, হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক যুদ্ধে আল্লাহর রাসুল সা.-এর নিকট কিছু যুদ্ধবন্দি উপস্থিত হলে সেখানে দেখা গেলো এক নারী তার সন্তানকে খুঁজছে। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবন্দীদের মাঝে একটি শিশুকে পেয়ে তাকে নিয়ে জড়িয়ে ধরল এবং দুধ খাওয়ালো। আল্লাহর রাসুল সা. আমাদেরকে বললেন, তোমরা কি মনে কর, এই নারী তার সন্তানকে আগুনে ফেলে দিবে? আমরা বললাম, না আল্লাহর শপথ। (সে ফেলবে না) যতক্ষণ সে তাকে না ফেলে থাকতে পারে। অতঃপর আল্লাহর রাসুল সা. বললেন, এই নারী তার সন্তানের প্রতি যতটা না স্নেহময়ী, দয়ালু- আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি তার চেয়েও বেশি দয়ালু। বুখারী, হাদিস নং ৫৯৯৯, মুসলিম, হাদিস নং- ২৭৫৪।

আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা কর

সুরা ফাতিহার পঞ্চম আয়াত
“ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম”।
হিদায়াত অর্থ পথ প্রদর্শন করা। হিদায়াতের কয়েকটি স্তর রয়েছে। কুরআনুল কারীমের বিভিন্ন আয়াত দ্বারা এই স্তরসমূহ প্রমাণিত। হিদায়াথের প্রথম স্তর সাধারণ ও ব্যাপক। এতে সমগ্র সৃষ্টি অন্তর্ভুক্ত। জড় প্রদার্থ, উদ্ভিদ এবং প্রাণিজগতও এর অন্তর্ভুক্ত।এ প্রসঙ্গে অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে- ‘তিনি প্রত্যেক বস্তুর অস্তিত্ব দান করেছেন এবং সে অনুপাতে তাকে হিদায়াত দান করেছেন।’ অর্থাত তিনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য বিশেষ অভ্যাস ও বিশেষ বিশেষ দায়িত্ব নির্ধারণ করেছেন। আর সে অভ্যাস ও দায়িত্বানুযায়ী হিদায়াত দান করেছেন। এই হিদায়াতের কারণে সৃষ্টি জগতের প্রতিটি বস্তুই নিপুণভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে চলেছে।
হিদায়াতের দ্বিতীয় স্তর প্রথমটির তুলনায় অনেকটা সংকীর্ণ। এই হিদায়াত দ্বারা উদ্দেশ্য- যারা বিবেকবান ও বুদ্ধিসম্পন্ন। অর্থাত মানুষ এবং জিন জাতি। এই হিদায়াত নবী রাসুল এবং আসমানী কিতাবের মাধ্যমে প্রত্যেক মানুষের নিকট পৌঁছেছে। কেউ তা গ্রহণ করে মুমিন হয়েছে আবার কেউ একে প্রত্যাখ্যান করে কাফের বেঈমানে পরিণত হয়েছে।
হিদায়াতের তৃতীয় স্তর আরো বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। তা শুধু মুমিন ও মুত্তাকিদের জন্য। এই হিদায়াত আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে কোন প্রকার মাধ্যম ব্যতীতই মানুষকে প্রদান করা হয়। এরই নাম তাওফিক। অর্থাত এমন অবস্থা, পরিবেশ ও মনোভাব সৃষ্টি করে দেওয়া যে, এর ফলে কুরআনের হিদায়াত গ্রহণ করা এবং এর ওপর আমল করা সহজসাধ্য হয় এবং এর বিরুদ্ধাচারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। -মাআরিফুল কুরআন, মুফতি শফি রহ. (সংক্ষেপিত)
সিরাত মানে পথ। আর মুসতাকিম মানে সঠিক। সঠিক পথের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন- যে পথের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য থাকে তাকে সঠিক পথ বলে।
এক. সোজা হওয়া। আঁকাবাঁকা না হওয়া।
দুই. প্রশস্ত হওয়া।
তিন. এই পথে গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হওয়া।
চার. গন্তব্য নিকটবর্তী হওয়া এবং
পাঁচ. গন্তব্যে পৌঁছতে এ পথ ব্যতীত বিকল্প পথ না থাকা। সিরাতে মুসতাকিম দ্বারা উদ্দেশ্য দীন ইসলাম। আর এর মাঝে এই পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। -মাআরিফুল কুরআন, কান্ধলভী রহ.।
সিরাতে মুসতাকিম দ্বারা উদ্দেশ্য দীন ইসলাম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা., হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা., হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. প্রমুখ সাহাবী থেকে এটি বর্ণিত হয়েছে। হজরত মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়া রহ. বলেন- এর দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহ তা‘আলার ঐ দীন যা ব্যতীত অন্য কিছু তাঁর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।
সরল পথ মানে সব কাজে মধ্যপন্থা অবলম্বন এবং যেকোন ধরনের বাড়াবাড়ি বর্জন। অনেকে মূলনীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির স্বীকার হয় এবং অনেকে কর্মক্ষেত্রে ও নৈতিক ক্ষেত্রে ভুল পথে চলে যায়। অনেকে আবার সব কাজের জন্য আল্লাহকে দায়ী করে; যেন পরিণতির ব্যাপারে মানুষের কোন হাত নেই। কেউ আবার সব কাজে নিজের ক্ষমতাকে চূড়ান্ত মনে করে যেন সৃষ্টি জগতের কাজ-কর্মে আল্লাহর কোন হাত নেই। অনেক কাফের আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ নবী-রাসুলদেরকে সাধারণ মানুষ এমনকি পাগল বলেও আখ্যায়িত করেছিল। অনেক বিশ্বাসী ব্যক্তি আবার হজরত ঈসা আ.-এর মতো নবীকে খোদার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। এ ধরনের চিন্তা ও আচরণের অর্থ হল রাসুল এবং তাঁর সাহাবায়ে কিরামের নির্দেশিত পথ থেকে বিচ্যূত হওয়া। পবিত্র কুরআন আমাদেরকে আর্থ-সামাজিক কাজ-কর্ম ও ইবাদতের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। যেমন সুরা আ‘রাফের ৩১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ‘তোমরা খাও এবং পান করো। তবে অপব্যয় করো না।’ সুরা আসরা বা বনী ইসরাইলের ১১০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ‘নামাজে স্বর উঁচুও করো না আবার অতিশয় ক্ষীণও করো না। বরং এ দুইয়ের মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। একইভাবে সুরা ফুরকানের ৬৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ‘মুমিন ব্যক্তিরা যখন দান করে তখন তারা অপব্যয় করে না আবার কার্পণ্যও করে না। বরং তারা এ দুইয়ের মধ্যপন্থা অবলম্বন করে।’ ইসলাম ধর্মে পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণের ওপর অত্যন্ত জোর দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ‘পিতা-মাতার প্রতি উত্তম আচরণ করো।’ আবার সেখানে এও বলা হয়েছে যে, ‘তারা যদি তোমাকে মিথ্যা পথে পরিচালিত করতে চায় তবে তাদের আনুগত্য করবে না।’ যারা কেবল সমাজ থেকে বেরিয়ে একাকি এবাদত-বন্দেগীতে মশগুল হয় কিংবা শুধু মানবসেবাকে ইবাদত বলে, তাদের ধারনার জবাবে পবিত্র কুরআন নামাজ ও জাকাতকে পাশাপাশি বর্ণনা দিয়ে বলেছে, ‘তোমরা নামাজ কায়েম কর এবং জাকাত আদায় কর।’ সর্বোপরী সিরাতে মুসতাকিম দ্বারা উদ্দেশ্য এমন মধ্যম পথ- যা সীমা অতিক্রম এবং মর্জি মতো কাটছাট করে নেওয়া থেকে মুক্ত।
সারকথা, মানুষের জীবন যাপনের জন্য বিভিন্ন পথ রয়েছে। ব্যক্তি তার নিজস্ব চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী পথ বেছে নিতে পারে। সমাজ ও জনগণের চলার পথ, পূর্বপুরুষদের অনুসৃত পথ, জনগণের জন্য অত্যাচারী শাসক ও তাগুতী শক্তির পক্ষ থেকে নির্ধারিত পথ। একটি পথ হল দুনিয়ার যাবতীয় রং, রূপ ও সৌন্দর্য উপভোগ করা। আবার অন্য একটি পথ হল সমাজ জীবন থেকে বেরিয়ে একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতা বেছে নেয়া। এত সব পথের মধ্যে সঠিক পথ বেছে নেয়ার জন্য মানুষের কি পথপ্রদর্শকের প্রয়োজন নেই? আল্লাহ পাক মানুষের পথপ্রদর্শনের জন্য নবী রাসুল ও আসমানী কিতাব পাঠিয়েছেন। তাই মানুষ যদি পবিত্র কুরআন, রাসুল সা.-এর অনুসরণ করে তাহলে সঠিক পথের সন্ধান পাবে। তাইতো আমরা প্রত্যেক নামাজে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যাতে তিনি আমাদেরকে সরল, সঠিক পথে পরিচালিত করেন। যে পথে কোন ক্ষতি ও বিভ্রান্তি নেই, তিনি যাতে ঐ পথে আমাদেরকে পরিচালিত করেন।
Ref: মুফতি আবদুর রহমান গিলমান

‘তাদের পথ নয়, যারা অভিশপ্ত এবং যারা পথভ্রষ্ট

‘গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ দ্বোয়াল্লিন
সুরা ফাতিহার সপ্তম আয়াতটি পূর্ববর্তী আয়াত ‘আন’আমতা আলাইহিম’-এর ব্যাখ্যাবোধক। অর্থাত যাঁদেরকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর করুণা দানে ধন্য করেছেন, তারাই আল্লাহ’র গজব ও পথভ্রষ্টতা থেকে মুক্ত বা সুরক্ষিত।
এই দুটি আয়াতে মানুষের তিনটি দলের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। জীবন চলার পথ বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে মানুষ ৩টি দলে বিভক্ত।
এক দল আল্লাহর পথ বেছে নেয় এবং আল্লাহর দেয়া জীবন-বিধান অনুযায়ী নিজেদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন পরিচালনা করে। এ দল সবসময় আল্লাহর রহমত, অনুগ্রহ ও দয়া লাভ করে।
প্রথম দলের বিপরীতে আরেকটি দল রয়েছে যারা সত্য চেনার পরও আল্লাহকে ছেড়ে গায়রুল্লাহকে বেছে নিয়েছে এবং নিজের কামনা-বাসনা, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-পরিজন ও সমাজের ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার ওপর প্রাধান্য দেয়। এ দলের লোকদের মধ্যে তাদের কৃতকর্মের প্রভাব ধীরে ধীরে গেঁড়ে বসে এবং তারা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়। তারা আল্লাহর সান্নিধ্য এবং দয়া লাভের পরিবর্তে ধ্বংসের অতল গহ্বরে পতিত হয়, আর আল্লাহর গজবের মধ্যে পড়ে। এই আয়াতে এ দলকে “মাগদুবি আলাইহিম” বা ক্রোধনিপতিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
তৃতীয় আরেকটি দল রয়েছে যাদের কোন সুনির্দিষ্ট পথ নেই এবং কোন্ পথে চলবে তা ঠিক করতে পারেনি। তারা দিগভ্রান্ত এবং বিভ্রান্ত। এ আয়াতে তাদেরকে “দ্বোয়াল্লিন” বা পথভ্রষ্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন একেক পথ বেছে নেয় কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না।
প্রতিশোধ স্পৃহার উল্লাস ও উদ্দীপনার নাম গজব। কিন্তু এর সম্পর্ক যখন আল্লাহ’র সঙ্গে করা হয়, তখন তার মর্ম হবে গজবের পরিণাম বা পরিসমাপ্তি। ‘যালালাহ’ শব্দটি হেদায়েতের পথের বিপরীত অর্থবোধক শব্দ। অর্থাত যে পথ আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছায়, ঐ পথের প্রতি বিমুখতাই ‘যালালাহ’ বা পথভ্রষ্টতা।
এখন একটি প্রশ্ন জাগে- ক্রোধের শিকার ও পথভ্রষ্ট কারা? এর উত্তরে হজরত আদি বিন হাতেম রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যাদের প্রতি গজব অবতীর্ণ হয়েছে তারা ‘ইয়াহুদি’, আর যারা পথভ্রষ্ট তারা ‘খ্রিস্টান’। -তিরমিজী
উক্ত হাদিস দ্বারা এটা উদ্দেশ্য নয় যে- ‘মাগদুব আলাইহিম’ বলতে শুধু ইয়াহুদিরাই উদ্দেশ্য আর ‘দ্বোয়াল্লিন’ দ্বারা শুধু খ্রিস্টানরাই উদ্দেশ্য। বরং প্রত্যেক প্রকারের পথভ্রষ্ট, কাফের, ফাসেক, অবাধ্য, বেদাতী তাদের স্তর হিসেবে এর অন্তর্ভুক্ত।
তাফসিরে মাযহারী’র লেখক মাওলানা সানাউল্লাহ পানিপথী রহ. বলেন, ‘গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ দ্বোয়াল্লিন’ অর্থাত অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট- এ শব্দ দু’টিতে সাধারণভাবে সকল সত্য প্রত্যাখ্যানকারী, অবাধ্য এবং বেদাতী সম্প্রদায় শামিল রয়েছে। তাফসিরে মা‘আরিফুল কুরআনে এই আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে- ‘মাগদুব আলাইহিম বলতে ঐ সকল লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে- যারা ধর্মের হুকুম-আহকামকে বুঝে-জানে, তবে স্বীয় অহমিকা ও ব্যক্তিগত স্বার্থের বশবর্তী হয়ে বিরুদ্ধাচরণ করে। অন্য শব্দে বলা যায়- যারা আল্লাহ তা‘আলার আদেশ মান্য করতে গাফলতি করেছে। যেমন, সাধারণভাবে ইয়াহুদিদের নিয়ম ছিল, সামান্য স্বার্থের কারণে দীনের নিয়ম-নীতি বিসর্জন দিয়ে তারা নবী রাসুলগণের অবমাননা- এমনকি হত্যা পর্যন্ত করতে দ্বিধাবোধ করত না।
আর দ্বোয়াল্লিন তাদেরকে বলা হয়- যারা না বুঝে অজ্ঞতার দরুন ধর্মীয় ব্যাপারে ভুল পথের অনুসারী হয়েছে এবং ধর্মের সীমালঙ্ঘন করে অতিরঞ্জনের পথে অগ্রসর হয়েছে। যথা- নাসারাগণ। তারা নবীর শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদানের নামে বাড়াবাড়ি করে নবীদেরকে আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে।
সুতরাং আয়াতের সারমর্ম হচ্ছে- আমরা সে পথ চাই না, যা নফসানী উদ্দেশ্যের অনুগত হয় এবং মন্দকাজে উদ্বুদ্ধ করে ধর্মের মধ্যে সীমালঙ্ঘনের প্রতি প্ররোচিত করে। সে পথও চাই না, যে পথ অজ্ঞতা ও মুর্খতার দরুন ধর্মের সীমারেখা অতিক্রম করে। বরং এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সোজা-সরল পথ চাই। যার মধ্যে না অতিরঞ্জন আছে, আর না কম-কছুরী আছে এবং যা নফসানী প্রভাব ও সংশয়ের উর্ধ্বে।’
Ref: মুফতি আবদুর রহমান গিলমান

Tuesday, March 5, 2019

কুরআন হচ্ছে সত্যের বাণী আর সত্যই মানুষকে বশীভূত করার সামর্থ্য রাখে

কুরআন যা শিক্ষা দেয়
পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। “আমি তাদের পশ্চাতে সঙ্গী লাগিয়ে দিয়েছিলাম; এরপর সঙ্গীরা ওদের আগের ও পেছনের আমল তাদের দৃষ্টিতে সুশোভন করে দিয়েছিল। তাদের ব্যাপারেও শাস্তির নির্দেশ হলো কার্যকর, যার বাস্তবায়ন হয়েছিল এদের পূর্ববর্তী জিন ও মানুষের বেলায়। নিশ্চিতভাবেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত’। আর কাফেররা বলে থাকে, ‘তোমরা এই কুরআন শ্রবণ করো না এবং তখন (এর বাণী উচ্চারণের সময়ে) গোলযোগ সৃষ্টি করো, যেন তোমরা জয়লাভ করতে পারো।’ আমি অবশ্যই কাফেরদের স্বাদ দেবো কঠিন আজাবের এবং অবশ্যই ওদের মন্দ ও হীন কাজের প্রতিদান প্রদান করব।” এটা হলো আল্লাহর দুশমনদের শাস্তি জাহান্নাম। এতে তাদের জন্য স্থায়ী আবাস রয়েছে আমার আয়াতগুলো অস্বীকার করার প্রতিফলস্বরূপ। কাফেররা বলবে, ‘আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে বিপথগামী করেছিল যেসব জিন ও মানুষ, তাদের দেখিয়ে দাও, আমরা ওদের পদদলিত করব, যাতে তারা যথেষ্ট অপদস্থ হয়।’ নিশ্চয়ই যারা বলে, ‘আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ’; অতঃপর এর ওপর থাকে অবিচল, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, ‘তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোনো। ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য আছে, যা তোমাদের মন চায় এবং সেথায় তোমাদের জন্য আছে যা তোমরা দাবি করো। এটা ক্ষমাশীল করুণাময়ের পক্ষ থেকে তাদের আপ্যায়ন। (সূরা হা-মীম সিজদাহ, আয়াত ২৫-৩২)
এই সূরাতে দেখানো হচ্ছে, কিভাবে আল্লাহ তায়ালার ক্ষমতা অবিশ্বাসীদের হৃদয়-মনের ওপর বিস্তৃত। তারা তাঁর ওপর ঈমান আনতে অস্বীকার করার সময়েও এর ব্যতিক্রম হয় না। তিনি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন যে, ওদের অন্তঃকরণ কলুষিত হয়ে গেছে। তাই তিনি মানুষ ও জিন উভয়ের মধ্য থেকে কিছু মন্দ সত্তাকে ওদের বন্ধু করে দেন এবং এরা যা কিছু খারাপ, সেটাকেই সুন্দর ও ভালো হিসেবে অবিশ্বাসীদের সামনে তুলে ধরে। এভাবেই তাদের ধ্বংসের পথে পরিচালনা করা হয়, যে পর্যন্ত না তারা ওদের সাথে যোগ দেয়, যারা নিজেদের ধ্বংস করে এবং এ কারণে শাস্তি যাদের প্রাপ্য।
অবিশ্বাসী ও কাফেরদের অহঙ্কার এত বেশি যে, তারা আল্লাহর ইবাদত করতে চায় না। অথচ তারা সবাই তার শক্তি, ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের আওতাধীন সর্বতোভাবেই। নিজেদের অন্তরই তাদের ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নেয়, যার চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা আল্লাহর শাস্তির সম্মুখীন হয়। আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য মন্দ সঙ্গী বরাদ্দ রেখেছেন; যারা ওদের কানে কুমন্ত্রণা জোগায়। তারা নিশ্চয়তা দিয়ে বলে যে, চার পাশে মন্দ যা কিছু দেখা যায়, এর সবই ভালো এবং তারা নিজেদের মন্দ কাজকে মনোরম ও আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরে, যাতে এগুলোর কুৎসিত-কদর্য রূপ ধরা পড়ে না যায়।
মানুষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে মন্দ যা ঘটতে পারে, তা সম্ভবত এটাই যে, ভারসাম্যপূর্ণ বিচার-বিবেচনার সামর্থ্য সে হারিয়ে ফেলে। এবং তার কাজকর্ম কত বেশি মন্দ ও বিপথগামী, তা আর দেখতে পায় না। ফলে সে মনে করে, নিজে যা কিছু করছে, সেটাই ভালো ও সুন্দর। অথচ অনিবার্যভাবেই এর মাধ্যমে সে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। যখন অবিশ্বাসীরা ওই পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তারা নিজেদের দেখতে পায় অতীতে হারিয়ে যাওয়া সম্প্রদায়গুলোর মাঝে, যারা আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত শাস্তি ভোগ করেছে। ‘তারা আসলেই হারিয়ে যাবে।’
উল্লিখিত মন্দ সঙ্গীরা যা করতে অবিশ্বাসীদের উসকিয়েছিল, তা হলো কুরআন শরীফের বক্তব্যের যুক্তিও যথার্থতা উপলব্ধি করায় তা না মেনে উল্টো এই কিতাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়া। ‘অবিশ্বাসীরা বলে, কুরআনের বাণী শ্রবণ করবে না। বরং সে সময়ে গোলযোগ সৃষ্টি করো যাতে তোমরা জয়ী হতে পারো।’
মক্কার কুরাইশ গোত্রের মুরুব্বিরা একে অপরকে এই অপকর্ম করারই পরামর্শ দিত। তারা জনগণকেও এটা করার জন্য উসকানি প্রদান করত। তারা উপলব্ধি করেছিল, আল কুরআন এবং এর সৌন্দর্য, শক্তিমত্তা ও বাকশৈলীর সাথে তুলনীয় কোনো কিছুই তাদের কাছে নেই। তারা কুরআনের বাণী শুনে ‘না’ বলার কারণ, তাদের বক্তব্য ছিল, এই বাণী মনের ওপর জাদুকরী প্রভাব ফেলে, তাদের জীবন ধ্বংস করে দেয় এবং পিতা ও সন্তান কিংবা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।’ বাস্তবে কুরআন বিভাজন তৈরি করে থাকে আল্লাহর নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় যাতে ঈমান পৃথক হয় কুফর থেকে এবং হেদায়াত বা সুপথনির্দেশনা আর বিপথে গিয়ে ধ্বংস হওয়ার মধ্যে থাকে পার্থক্য। আল কুরআন মানুষের হৃদয়কে জয় করে নেয়, যাতে মানুষ ঈমানের মহান বন্ধনের মতো বেশি গুরুত্ব আর কোনো বন্ধনকেই না দেয়। তাই আল কুরআন অভিহিত হয় ‘আল ফুরকান’ হিসেবে। এর অর্থ, যথার্থ বিচার-বিবেচনার মাধ্যমে যা পার্থক্য সৃষ্টি করে।
কুরআনের বাণী উল্লেখ করার সময়ে বাধা দিতে, গোলযোগ করতে বলা হয়েছে। কারণ অবিশ্বাসীরা ভালো করেই জানত, কুরআনের মোকাবেলায় পেশ করার মতো কোনো যুক্তি বা বক্তব্য তাদের পক্ষে পেশ করা সম্ভব নয়। তাই কুরআনের প্রচারে বিঘœ সৃষ্টি অর্থহীন ও নিষ্ফল প্রয়াস মাত্র। ওই সব কাফির বা অবিশ্বাসী নানাভাবে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করত। বসে বসে রুস্তমসহ প্রাচীন ইরানের রাজাদের কিস্সা-কাহিনী শোনাত। এর উদ্দেশ্য ছিল, লোকজন যেন কুরআনের কথা না শুনে এ ধরনের গল্প শুনতে থাকে। আবার কেউ কেউ কুরআনকে বাধা দিতে চাইত চিতকার দিয়ে, কবিতা আবৃত্তি করে কিংবা ছড়া শুনিয়ে। কিন্তু এসব কিছুর ফলাফল হয়েছিল ‘শূন্য’। কেননা আল কুরআনের শক্তি ও প্রভাব এতটুকুও কমাতে পারেনি ওরা। কুরআন হচ্ছে সত্যের বাণী; আর সত্যই মানুষকে বশীভূত করার সামর্থ্য রাখে।
অবিশ্বাসীদের মন্তব্যের জবাবে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিতভাবেই কাফেরদের দেবো মারাত্মক দুর্ভোগের স্বাদ এবং আমরা অবশ্যই তাদের সবচেয়ে মন্দ কাজগুলো মোতাবেক তাদের প্রতিদান দেবো। আল্লাহর শত্রুদের জন্য প্রতিদান এমনই হয়ে থাকে; আগুন হবে তাদের স্থায়ী নিবাস; জেনেশুনে আমাদের নাজিলকৃত বাণীকে প্রত্যাখ্যানের উপযুক্ত পুরস্কার এটা।’ জাহান্নামে তারা শাস্তি ভোগ করে যাবে। বিপথগামীরা সেখানে তাদের ওপর খুব ক্রুদ্ধ হয়ে উঠবে, যারা বিপথে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তখন এই বোধোদয় হবে যে, মন্দ কাজকে ভালো ও আকর্ষণীয় হিসেবে দেখিয়ে সর্বনাশ করা হয়েছে। তাই ‘অবিশ্বাসীরা বলবে : হে প্রভু! ওই সব জিন ও মানুষকে দেখিয়ে দাও যারা আমাদের বিপথে নিয়ে গেছে। আমরা ওদের পায়ের নিচে ফেলে মারব যাতে তারা অধমদের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট হতে পারে।’ অথচ বিভ্রান্তির শিকার এসব লোক এবং তাদের উসকানিদাতাদের মধ্যে এই পৃথিবীতে কতই না ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
কিন্তু ঈমানদারদের মধ্যে যে বন্ধন, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা সতপথের পথিক এবং কেবল তা-ই করেন যা সঠিক। আল্লাহ তাদের কাছে ফিরিশতা পাঠিয়ে থাকেন ভরসা দেয়ার জন্য। বেহেশতের সুসংবাদ দেয় এই ফিরিশতারা।
আল্লাহ যে আমাদের প্রতিপালক, এ বিষয়ে অবিচল থাকার তাতপর্য হলো, এই উপলব্ধিকে বিবেকে সদা জাগ্রত রাখা, বাস্তবে এর প্রমাণ দেয়া এবং এই ঈমানমাফিক অর্পিত দায়িত্বগুলো পালন করা। এই কাজ গুরুত্বপূর্ণ ও কষ্টকর। তাই প্রয়োজন আল্লাহর দয়া ও করুণার। জান্নাত বা বেহেশত হলো আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে উপহার। তাঁর অপার ক্ষমা ও অসীম করুণার ফলেই এটা অর্জন করা যায়।
মূল: আদিল সালাহি
(আরব নিউজ-এর সৌজন্যে)

তোমাদের মধ্যে যে অধিক পরহেজগার সে-ই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী

inna akramakum indallahi atqakum-Al Quran
সূরা আল হুজুরাতের ১৩ নং এ ছোট্ট আয়াতটিতে আল্লাহ তা'আলা সমস্ত মানুষকে সম্বোধন করে তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সত্য বর্ণনা করেছেনঃ
১. তোমাদের সবার মূল উতস এক৷ একমাত্র পুরুষ এবং একমাত্র নারী থেকে তোমাদের গোটা জাতি অস্তিত্ব লাভ করেছে৷ বর্তমানে পৃথিবীতে তোমাদের যত বংশধারা দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে তা একটি মাত্র প্রাথমিক বংশধারার বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা যা একজন মা ও একজন বাপ থেকে শুরু হয়েছিল৷ এ সৃষ্টি ধারার মধ্যে কোথাও এ বিভেদ এবং উচ্চ নীচের কেনা ভিত্তি বর্তমান নেই৷ অথচ তোমরা এ ভ্রান্ত ধারণায় নিমজ্জিত আছো৷ একই আল্লাহ তোমাদের স্রষ্টা৷ এমন নয় যে, বিভিন্ন মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন৷ একই সৃষ্টি উপকরণ দ্বারা তোমরা সৃষ্টি হয়েছো৷ এমন নয় যে, কিছু সংখ্যক মানুষ কোন পবিত্র বা মূল্যবান উপাদানের সৃষ্টি হয়েছে এবং অপর কিছু সংখ্যক কোন অপবিত্র বা নিকৃষ্ট উপাদানের সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে৷ একই নিয়মে তোমরা জন্মলাভ করেছো৷ এমনও নয় যে, বিভিন্ন মানুষের জন্মলাভের নিয়ম-পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন ৷ তাছাড়া তোমরা একই পিতা -মাতার সন্তান৷ এমনটিও নয় যে, সৃষ্টির প্রথম দিককার মানব দম্পতির সংখ্যা ছিল অনেক এবং তাদের থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আলাদা আলাদা জন্মলাভ করেছে৷
২. মূল উতসের দিক দিয়ে এক হওয়া সত্ত্বেও তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভিক্ত হওয়া ছিল একটি স্বাভাবিক ব্যাপার৷ একথা স্পষ্ট যে, সমগ্র বিশ্বে গোটা মানব সমাজের একটি মাত্র বংশধারা আদৌ হতে পারতো না৷ বংশ বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন খান্দান ও বংশধারার সৃষ্টি হওয়া এবং তারপর খান্দানের সমন্বয়ে গোত্র ও জাতিসমূহের পত্তন হওয়া অপরিহার্য ছিল৷ অনুরূপ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি স্থাপনের পর বর্ণ, দেহাকৃতি, ভাষা এবং জীবন যাপন রীতিও অবশ্যম্ভাবীরূপে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা৷ একই ভুখণ্ডের বসবাসকারীরা পরস্পর ঘনিষ্ঠ এবং দূর-দূরান্তের ভুখণ্ডে বসবাসকারীদের মধ্যে পরস্পর ব্যবধান সৃষ্টি হওয়ার কথা৷ কিন্তু প্রকৃতিগত এ পার্থক্য ও ভিন্নতার দাবী এ নয় যে, এর ভিত্তিতে উচ্চ ও নীচ, ইতর ও ভদ্র, এবং শ্রেষ্ঠ ও নিকৃষ্ট হওয়ার ভেদাভেদ সৃষ্টি হবে, একটি বংশধারা আরেকটি বংশধারার ওপর কৌলিন্যের দাবী করবে, এক বর্ণের লোক অন্য বর্ণের লোকদের হেয় ও নীচ মনে করবে, এক জাতি অন্য জাতির ওপর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ও আভিজাত্য কায়েম করবে এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে এক জাতি অন্য জাতির ওপর অগ্রাধিকার লাভ করবে৷ যে কারণে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানব গোষ্ঠীসমূহকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের আকারে বিন্যস্ত করেছিলেন তা হচ্ছে, তাদের মধ্যে পারস্পরিক জানা শোনা ও সহযোগিতার জন্য এটাই ছিল স্বাভাবিক উপায়৷ এ পদ্ধতিতে একটি পরিবার, একটি প্রজাতি একটি গোত্র এবং একটি জাতির লোক মিলে একটি সম্মিলিত সমাজ গড়তে এবং জীবনের বিভিন্ন ব্যাপারে একে অপরের সাহায্যকারী হতে পারতো৷ কিন্তু আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টি প্রকৃতি যেস জিনিসকে পারস্পরিক পরিচয়ের উপায়ে বানিয়েছিল শুধু শয়তানী মূঢ়তা ও মুর্খতা সে জিনিসকে গর্ব ও ঘৃণার উপকরণ বানিয়ে নিয়েছে এবং বিষয়টিকে অত্যাচার ও সীমালংঘনের পর্যায় পর্যন্ত পৌছিয়ে দিয়েছে৷
৩. মানুষের মধ্যে মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের বুনিয়াদ যদি কিছু থেকে থাকে এবং হতে পারে তাহলে তাহচ্ছে নৈতিক মর্যাদা৷ জন্মগতভাবে সমস্ত মানুষ সমান৷ কেননা, তাদের সৃষ্টিকর্তা এক, তাদের সৃষ্টির উপাদান ও সৃষ্টির নিয়ম-পদ্ধতিও এক এবং তাদের সবার বংশধারা একই পিতা-মাতার পর্যন্ত গিয়ে পৌছে৷ তাছাড়া কোন ব্যক্তির কোন বিশেষ দেশ, জাতি অথবা জাতি -গোষ্ঠীতে জন্মলাভ করা একটি কাকতালীয় ব্যাপার মাত্র৷ এতে তার ইচ্ছা, পছন্দ বা চেষ্টা -সাধনার কোন দখল নেই ৷ একদিক দিয়ে কোন ব্যক্তির অন্য কোন ব্যক্তির ওপর মর্যাদালাভের কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই৷ যে মূল জিনিসের ভিত্তিতে এক ব্যক্তি অপর সব ব্যক্তিদের ওপর মর্যাদা লাভ করতে পারে তা হচ্ছে, সে অন্য সবার তুলনায় অধিক আল্লাহ ভীরু মন্দ ও অকল্যাণ থেকে দূরে অবস্থানকারী এবং নেকী ও পবিত্রতার পথ অনুগমনকারী৷ এরূপ ব্যক্তি যে কোন বংশ, যে কোন জাতি এবং যে কোন দেশেরই হোক না কেন সে তার ব্যক্তিগত গুণাবলীর কারণে সম্মান ও মর্যদার পাত্র৷ যার অবস্থা এর বিপরীত সর্বাবস্থাই সে একজন নিকৃষ্টতর মানুষ৷ সে কৃষ্ণাঙ্গ হোক বা শ্বেতাঙ্গ হোক এবং প্রাচ্যে জন্মলাভ করে থাকুক বা পাশ্চাত্যে তাতে কিছু এসে যায় না৷
এ সত্য কথাগুলোই যা কুরআনের একটি ছোট্ট আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা ও উক্তিতে আরো স্পষ্ট করে বর্ণনা করেছেন৷

Saturday, March 2, 2019

জ্ঞান অর্জন


'জ্ঞান প্রতিটি মানুষের হারানো সম্পদ। তাকে যেখানে পাও সেখান থেকেই কুড়িয়ে নাও।' 'জ্ঞান প্রতিটি মানুষের হারানো সম্পদ। তাকে যেখানে পাও সেখান থেকেই কুড়িয়ে নাও।'
পবিত্র কোরআনের সর্বপ্রথম বাণীই হলো_ 'পড়'। আর এ পড়ার আদেশ বাস্তবায়ন করতেই মানবতার মুক্তিদূত বিশ্বনবী (সা.) গড়ে তুলেছেন একটি সুশিক্ষিত জাতি। যে জাতির জীবনকালকে আজো মানুষ অকপটে সোনালি যুগ বলে স্বীকৃত দিতে বাধ্য হচ্ছে।
বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত মহানবী (সা.) নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনে জীবনের চরম শত্রুকেও শিক্ষকের মর্যাদায় সমাসীন করতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেননি। বদরের যুদ্ধে কাফেরদের ৭০ নেতা মুসলমানদের হাতে বন্দি হয়। রসুল (সা.) তাদের এই শর্তে মুক্ত করে দেন যে, তাদের প্রত্যেকেই দশজন করে নিরক্ষর মুসলমানকে অক্ষরজ্ঞান দান করবে।
বিশুদ্ধ ভাষা শেখার জন্য জ্ঞান অর্জন তথা জ্ঞানী হওয়ার বিকল্প নেই।
বিশ্ব সভ্যতার নির্মাতা রসুল (সা.) জ্ঞান অর্জনকে প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ ঘোষণা করেন। হাদিস শরিফে এসেছে, জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর ফরজ।
বিশ্বনবী (সা.)-এর আনিত শিক্ষাদর্শন গ্রহণ করার গুরুত্বারোপ করে মহান আল্লাহ কোরআনে কারিমে ঘোষণা করেন : বলুন, যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান? (সূরা জুমার ৩৯)
এ কথা অকপটে বলা যায় যে, জ্ঞানীর মর্যাদা সর্বোচ্চে। জ্ঞানীর মর্যাদা সম্পর্কেই বলা হয়েছে যে, 'বিদ্বানের কলমের কালি শহীদের রক্ত অপেক্ষা শ্রেয়।' শিক্ষিত দেশ ও জাতি গঠনে মহানবী (সা.) যেমন গুরুত্বারোপ করেছেন, অন্য কোনো বিজ্ঞ কিংবা প্রাজ্ঞ এমনকি অন্য কোনো নবীও স্বজাতিকে শিক্ষিত করতে তেমন গুরুত্বারোপ করে যাননি।
জ্ঞান মানুষের পরম বন্ধু। একজন ভালো বন্ধু যেমন মানুষের জীবনের নানা বাঁকে তার যে কোনো সমস্যায় সাহায্যের হাত নিয়ে সামনে দাঁড়ায়, তেমনি জ্ঞানও মানুষের সুখ-দুঃখে করণীয় নির্ধারণে সাহায্য করে। শুধু সাহায্যই নয়, তাকে তার অজান্তেই জীবনসমস্যার সমাধান বাতলে দেয়, উত্তরণের পথ দেখায়, নবচেতনায় উজ্জীবিত করে; পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে তার চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ করে।
একদা খলিফা হারুনুর রশিদ অশ্বারোহণ করে কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে সেই যুগের প্রখ্যাত ভাষাবিদ আবুল হাসান আলী বিন হামজা আল কেসায়ীকে দেখতে পেলেন। তাকে দেখামাত্রই বাহন থেকে নেমে এসে বিনয়ের সঙ্গে মোসাফাহা করে নিবেদন করলেন, 'জনাব! আপনি তো কখনো আমার দরবারে আসেন না।' জবাবে পন্ডিতপ্রবর বললেন, 'পড়াশোনা করে আর সময় করে উঠতে পারি না'। খলিফা বললেন, 'এত বইপুস্তক পড়াশোনা করার ফায়দা কী?' ইমাম কেসায়ী সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলেন, 'আপাতত নগদ ফায়দা তো এতটুকু দেখছি যে, মহাপরাক্রান্ত খলিফাও বাহন থেকে অবতরণ করে হস্ত চুম্বন করতে বাধ্য হয়েছেন!'
সূত্র: অনেকগুলো