Wednesday, March 20, 2019

নিঃসঙ্গতা ২১ শতকের মহামারীঃ আল কুরআন ও হাদীস ভিত্তিক সল্যুশন

নিঃসঙ্গতা মানব মস্তিষ্ককে ভিন্নভাবে চালিত করে
একাকিত্ব মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
একাকী ব্যক্তির মস্তিষ্ক সামাজিক নানা পরিপ্রেক্ষিতের প্রতি বেশি সক্রিয়।
সঙ্গহীন মানুষের মস্তিষ্ক অন্যদের তুলনায় ভিন্নভাবে কাজ করে। এ ধরনের মানুষের মস্তিষ্ক সামাজিক পরিস্থিতির প্রতি বেশি সক্রিয় থাকার কারণে অপরিচিতদের থেকে সম্ভাব্য শঙ্কা ও বিপদের বিষয়ে বেশি সচেতন থাকে।
সামাজিকভাবে ঋণাত্মক কোনো শব্দ সামনে আনার পর নিঃসঙ্গ ব্যক্তিরা ভীষণভাবে সচেতন হয়ে ওঠে, যেখানে অন্যদের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না।
নিঃসঙ্গতা স্ব-সংরক্ষণ পন্থাকে প্রণোদিত করে এবং অসামাজিক শঙ্কার তুলনায় সামাজিক শঙ্কার প্রতি মানুষকে বিশেষভাবে সচেতন ও সক্রিয় করে তোলে। নিঃসঙ্গ মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঋণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। সামাজিক নানা শঙ্কা সম্পর্কিত এ প্রতিক্রিয়ার মূল অবচেতনের মধ্যেই প্রথিত আছে।
Loneliness and health
Loneliness can become a health problem when it is in your life for a long time and joins forces with things like:
Depression
Self harming or suicidal thoughts
Drugs, tobacco and alcohol
Anxiety or fear
Anger
Violence
Prostitution
Criminal activity
Mental illness.
Loneliness is a hidden scourge of modern life.
People are happier and healthier when they feel connected.
Loneliness does you no good. You can’t reach out to anyone and you tend to stew in your own juice.
All of us can benefit from having more connection and more support –and giving more support to other people.
Loneliness is a serious public-health problem
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, হে মানবসমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অনেক পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর যার নামে তোমরা একে অপরের কাছে চেয়ে থাক এবং আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর, নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন। (সূরা নিসা-১) ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মানব, আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাপেক্ষা মর্যাদাবান যার তাকওয়া বেশি।’ (সূরা আল হুজরাত: ১৩) ।
জ্ঞাতি সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্বঃ হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রাহেম’ শব্দটি (আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম) রহমান’ থেকে উতসারিত। তাই আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি রাহেম’ এর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে, আমি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখব এবং যে ব্যক্তি তা ছিন্ন করবে আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করব। (বুখারি)।
আরবীতে জ্ঞাতি সম্পর্ক রক্ষা করাকে সিলাতুর রাহেম’ বলা হয়। যার অর্থ জ্ঞাতি সম্পর্ক বজায় রাখা। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রাহেম’ (আল্লাহ তা’আলার) আরশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে এবং বলে, যে আমাকে সংযুক্ত করবে আমি তাকে সংযুক্ত করব এবং যে আমাকে বিচ্ছিন্ন করবে আল্লাহ তাআলাও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। (বুখারি, মুসলিম)
পারিবারিক বন্ধন রক্ষার পুরষ্কারঃ হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি চায় তার রিযিক প্রশস্ত হোক এবং জীবন দীর্ঘায়ু হোক সে যেন তার আত্মীয় স্বজনের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখে। (বুখারি) হাদিসের ভাষ্যকারগণ বলেন, এ হাদিস থেকে উদ্দেশ্য আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পাওয়া নয়, বরং তার অর্থ হল, এধরনের লোক আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করবে এবং জীবনের সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে সক্ষম হবে। অধিকন্তু, রুজি বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ পরিমাণ কিংবা ওজনে বৃদ্ধি পাওয়া নয়; বরং তা থেকে উদ্দেশ্য হল আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহ ও বারক্কাত বৃদ্ধি পাওয়া। যার ফলে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হওয়া থেকে হেফাজত থাকবে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
সূত্র: অনেক

No comments:

Post a Comment