Tuesday, January 26, 2021

সন্তান এখন টিনেজার? মা বাবাদের জন্য জরুরি কিছু টিপস

 টিন এজ মানে উঠতি বয়স। যেমনঃ বয়স ১৩ থেকে ১৯ বা কেউ কেউ বলেন ১৮ থেকে ২২ এই রকম উঠতি বয়সকেই টিন এজ বলে।

কেউ কেউ মশকরা করে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সকে ‘তেরোনিশ’ বলে।
সন্তান টিনেজার? মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়া মনোমালিন্য লেগেই থাকছে? তাহলে এই টিপস জেনে রাখুন, কাজে আসবে
দিন বদলেছে। যুগ বদলেছে। খুব ছোট বয়স থেকেই মোবাইলের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে খুদেরা। বয়স যতই টিনএজের দিকে এগোয় ততই যেন আজকাল মা-বাবার সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে সন্তানদের। আজকালকার ছেলেমেয়েদের আবার বেশি কিছু বলাও যায় না। এরা একটুতেই অনেকখানি অভিমানী। এছাড়াও এই সময়ে শারীরিক কিছু পরিবর্তন আসে। হরমোনের পরিবর্তন হয়। আর তাই এই সময়টায় সন্তানের খেয়াল রাখার পাশাপাশি তাকে বুঝতেও হবে। এমন অনেক বাবা-মা আছেন, যাঁরা মনে করেন সন্তান বড় হচ্ছে সবটা ওকেই বুঝতে হবে, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে। বরং সেই সময়টা তাঁরা অনেকটাই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন কাজে। এমনকী পার্টি থেকে গানের ক্লাসের বন্ধুদের সঙ্গে কিটি পার্টি কিছুই বাকি থাকে না। আর সব মায়ই মনে করেন পাশের বাড়ির ছেলেটি কিংবা মেয়েটি তাঁর সন্তানের থেকে ভালো। ফলে সেই নিয়ে নিরন্তর খোঁটা দেওয়া তো চলেই। আর তাই এই সময়টায় সন্তানের পাশাপাশি মা-বাবার আচরণও সংযত হতে হবে। এই বয়সে এসে তাঁদেরও যে নতুন করে শিখে সন্তানের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে সেই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।
১. সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠুন
বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা মানে এই নয় যে, কে কার সঙ্গে প্রেম করছে সেই খবর নেবেন। কিংবা কোন বন্ধুর টিউশন টিচার কত ভালো তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা করবেন এমনটা নয়। স্কুলের পড়াশোনার খবর নেওয়ার পাশাপাশি বাচ্চাকে নিয়ে উইকএন্ডে ঘুরতে যান। একসঙ্গে বসে প্রোজেক্ট বানান। তবে সব সময় পেছন পেছন ঘুরবেন এই মানসিকতাও রাখবেন না।
২. সন্তানকে যথেষ্ট স্পেস দিন
সব মানুষের জীবনেই একটা স্পেসের প্রয়োজন হয়। আর সেটা আপনাকেই বুঝতে হবে। সন্তানকেও যেমন আগলে রাখবেন তেমনই শ্রদ্ধাও করবেন। আর তাই সন্তানের ফোনের পাসওয়ার্ড জানলেও টেক্সট খুলে পড়বেন না। এই ভুল যদি সন্তান করে থাকে তাহলে তাকেও শেখানোর দায় কিন্তু আপনারই।
৩. যোগাযোগ
সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, যোগাযোগ সব ভালো রাখুন। এমন কোনও আচরণ করবেন না যাতে সন্তান দূরে চলে যায়। সন্তানের সামনে ড্রিংক কিংবা অন্যান্য সম্পর্ক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। মনে রাখবেন সন্তান কিন্তু আপনাকেই দেখে শিখবে। আর তাই ওর মধ্যে কোনও নেগেটিভ প্রভাব পড়তে দেবেন না। বরং সন্তানের সঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটান।
৪. এমন কিছু করবেন না যাতে সন্তানের বাড়িতে থাকতে অস্বস্তি হয়
সন্তানের সঙ্গে এমন কোনও আচরণ করবেন না, যাতে সে বাড়িতে থাকতে না চায়। প্রতি মুহূর্তে রাগ, অভিমান করতে হয়। বাড়িতে সুন্দর পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করুন। অযথা চিৎকার, স্বামী স্ত্রীয়ের ঝামেলা কিংবা অফিসের সমস্যা বাড়িতে টেনে আনবেন না।
৫. সন্তান কিন্তু আপনার অনুপ্রেরণা
যে কোনও বাচ্চারই বেড়ে ওঠা মা-বাবাকে দেখে। বাড়ির পরিবেশ থেকে। তাই সবসময় সন্তানের ভুল না ধরে বরং সন্তানের পাশে থাকার চেষ্টা করুন। সন্তানের ভালো কাজে উৎসাহ দিন। সেই সঙ্গে সন্তান কোনও ভুল করলে অবশ্যই তা ধরিয়ে দিন। কিন্তু অযথা বকাবকি করবেন না।
-এইসময় ও

No comments:

Post a Comment