যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
অন্ত্রের জন্য ভাল : খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে।
যক্ষ্মা প্রতিরোধক : আপনার যদি যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে ভাগ করে বার বার খেতে পারেন।
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক : গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মতো কাজ করে।
শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে : অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ উপশম হয়।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : রসুনে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রপাটিজ রয়েছে। এই উপাদানটি একদিকে যেমন শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি উচ্চ রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে : নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করলে দেহের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটারি প্রপাটিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন নানাবিধ যন্ত্রণা কমে, তেমনি হাড়ের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে : প্রতিদিন রসুন খেলে পাকস্থলী এবং কলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
ক্ষতের চিকিৎসায় কাজে আসে : কেটে গেলে এবার থেকে ক্ষতস্থানে এক টুকরো রসুন রেখে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। জ্বালা-যন্ত্রণা কমে যাবে।
ইমিউনিটি বাড়ে : রসুনে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস দেহের আনাচে-কানাচে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে দ্রুত।
রক্ত বিষমুক্ত হয় : প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে দুটি রসুনের কোয়া খেলে রক্তে থাকা নানা বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক এবং শরীর উভয়ই চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে : শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিনের কারণে ত্বকের যাতে কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে রসুন।
ব্লাড প্রসার নিয়ন্ত্রণে থাকে : রসুনের মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ সালফার, রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরের সালফারের ঘাটতি দেখা দিলে তবেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে।
সংক্রমণ সব দূরে থাকে : রসুনে থাকা একাধিক কার্যকরি উপাদান ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসসহ একাধিক জীবাণুর সংক্রমণ আটকাতে যে কোনও আধুনিক মেডিসিনের থেকে তাড়াতাড়ি কাজে আসে।
জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে : আবহাওয়া বদলের সময় যারা সর্দি-কাশিতে খুব ভুগে থাকেন তারা দু কোয়া রসুন অথবা গার্লিক টি খাওয়া শুরু করুন।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : রসুনে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান স্টমাকের ক্ষমতা বাড়ায়।
ব্রেনের অসুখ দূরে থাকে : রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখাতে শুরু করে যে নানাবিধ নিউরোডিজেনারেটিভ অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চীন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন ছিল৷
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যান্সারের চিকিৎসায়৷
লুই পাস্তুর রসুনের অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণের খবর জানান৷
ইউনিভার্সিটি অব কানেক্টিকাট স্কুল অব মেডিসিন–এর কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের মতে, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে৷
সতর্কতা
বমির ভাব হলে রসুন খাবেন না
অ্যালার্জি থাকলে রসুন খাবেন না।
মাথা ব্যথা হলে রসুন বাদ থাকবে।
যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, তারা রসুন খাবেন না।
শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো।
-https://agami24.com/
No comments:
Post a Comment