Tuesday, December 25, 2018

নানাভাইয়ের লাগানো ২টি গাছ ও চারুর প্রশ্ন


নানাভাইয়ের লাগানো ২টি গাছ ও চারুর প্রশ্ন
১০ বছরের চারু তার নানা ভাইকে বললো, “নানা ভাই আমি অদুর ভবিষ্যতে একজন সাকসেসফুল লেডী হয়ে যাবো দেখে নিও। আর আমি এ নিয়ে খুবই গর্বিত, হ্যাঁ! আর নানা ভাই, আমাকে অরো কিছু টিপস দাও তো যাতে করে আমি আমার জায়গায় পৌছতে পারি।
নানা ভাই মাথা নাড়লো। কিন্তু মুখে কিছুই বল্লো না। বরং সে চারুর হাত ধরে
পাশের প্লান্ট নার্সারীতে চলে গেল।

তারা ২জনেই সেখান থেকে ২টি চারা কিনলো। তারা বাড়ী ফিরে এলো আর ২টি চারার ১টি রোপন করলো বাড়ীর পেছনে খোলা জায়গায় আর আরেকটি রোপন করলো বাড়ীর ভেতরের বারন্দাতে একটি টবের মধ্যে।

এবার নানাভা্ই চারুকে বল্লো আচ্ছা নানাভাই বলতো, “অদূর ভবিষ্যতে কোন চারাটি বেশী সাকসেসফুল হবে?”
চারু মাথা চুলকিয়ে বল্লো, “নানাভা্ই, ভেতরেরটাই বেশী সাকসেসফুল হবে।”  
নানাভা্ই বল্লো, কেন?
চারু বল্লো ভেতরেরটাতো কোন ঝামমেলায় পড়ছেনা। না ঝড়, না ঝঞ্ঝা, না পোকামাকড়ের উপদ্রব। তাই সেটা সাকসেসফুল হবে। ঝুঁকি নেই ওর।  

নানাভাই এবার তার কাঁধ ঝাঁকিয়ে নিয়ে বল্লো, “আচ্ছা সে দেখা যাবে।”
নানাভাই গাছ দুটির খুবই যত্ন করলো বছর ধরে। গাছ দুটি বাড়ছে আর চারুও বড় হয়েছে। সে এখন টিনএজার। এবার তারা ২ জনে গাছ দুটি দেখতে এলো।

চারু বল্লো, নানাভাই, “তুমি কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর এখোনো দাওনি। আর আমিও ভুলিনি।”  
এবার নানাভাই চারুকে বাড়ীর ভেতরের গাছটি দেখালো। আর তাকে বাইরে নিয়ে বড় হয়ে ওঠা গাছটও দেখালো। বাইরের গাছটি বেশী বেড়েছে। ডালপালা বড় বড় হয়ে একটা মহীরুহে পরিণত হয়েছে।  

নানাভাই এবার মুখ খুললো। চারুকে বল্লো দেখোতো কোন গাছটি বড়? চারু বল্লো, “বাইরেরটা।” চারু আবারো বল্লো, “ঠিক বুঝলাম না। বাইরেরটা এতসব চ্যালেঞ্জ নিয়েও কিভাবে এত্ত বেড়ে উঠলো।” চারুর বিষ্ময়!

নানাভাই এবার হাসলেন, বল্লো, আসলে চ্যালেঞ্জটাই বেশী মূল্যবান। আর গাছটা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই বাতাসে তার ডালপালা ছড়াতে পেরেছে আর মূলগুলোও মাটির গভীরে দিতে পেরেছে।
আমার ছোট্ট নানাভাই, তুমি এটা মনে রেখ। তোমাকে বড় হতে হলে অবশ্যই নিরাপদ থাকলে চলবে না ওই বাড়ীর ভেতরের গাছটার মত। তোমাকে বাড়ীর বাইরে এসে সব চ্যালেঞ্জ নিতে হবেই্। তা না হলে তুমি বেড়ে উঠতে পারবে না।
বাড়ীর ভেতরের গাছটার উচ্চতা ছাদ পর্যন্ত। আর বাইরের গাছটার উচ্চতা আকাশ পর্যন্ত। তাহলে কি বাইরের গাছটার অবস্থা ভাল নয়, নানাভাই?   
চারু এবার বড় করে নিঃশ্বাস নিলো। নানাভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বল্লো নানাভাই আসলে তুমিই ঠিক। ভাবলো আমার নানাভাই খুবই জ্ঞান রাখে।
এ্টি আমাদের সবার জীবনেই সত্যি।
আমরা যদি সেইফ অপশনে থাকি, নিরপদ দূরত্বটাই বেছে নিই, সেটা আমাদের জন্য খুবই বিড়ম্বনা নিয়ে আসবে। কারণ সেইফ জোনে থাকা মানেই সব সময়ই বিপদের ঝুঁকি। এখানে থাকলে আমাদের বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। আমরা কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করলাম না, আমরা কোন ঝুঁকি্ নিলাম না তা হলে আমরা কি নিলাম আর কিই বা পেলাম।
চ্যালেঞ্জ নেয়া মানেই নিজেকে বাড়িয়ে তোলা। ঝুঁকি নেয়া মানেই ঝুঁকে থেকে মুক্ত থাকা। চ্যালেঞ্জ না নিয়ে কোন কিছুর সমাধান চাওয়াটা একেবারেই বোকামী।
এ দুনিয়ার তাবত লীড়াররা সব সময় চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। তারা নিরাপদ কোন পথ বেছে নেন নি। তাই তারা মানুষের মনে ঠাঁই নিয়েছেন। তুমি ব্যবসাতে যাও সেখানে ঝুঁকি আছে, পলিটিক্সে যাও সেখানে ঝুঁকি আছে, সমুদ্রে যাও সেখানে ঝুঁকি আছে, পাহাড়ে উঠতে যাও, সেখানে ঝুঁকি আছে। তাহলে ঝুঁকি নেই কোথায়?
আর এ সকল বাধা পেরিয়ে গেলেই আমরা অবাধে চলতে ফিরতে পারবো, সব জায়গাতেই আমাদের চলা খুবই সহজ হবে।
এবার নানাভাই চারুকে তার জানা একটি কবিতা শোনালো আর কবিতাটির মানেও বলে দিল-

“কি কারণ, দীন! তব মলিন বদন?
যতন করহ লাভ হইবে রতন ৷
কেন পান্থ! ক্ষান্ত হও হেরে দীর্ঘ পথ?
উদ্যম বিহনে কার পূরে মনোরথ?
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে,
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?

নানাভাই আরো বলে দিলো চারুকে-

NO PAIN NO GAIN-কষ্ট ছাড়া প্রাপ্তি নেই
TO TAKE NO RISK IS TO TAKE HIGHEST RISK-রিস্ক না নিলে সবচেয়ে বেশী রিস্কে থাকতে হবে

চারু খুবই খুশী হলো নানাভাইয়ের কাছ থেকে তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে।

Monday, December 17, 2018

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে: ইসলামী কায়দা কানুন:


স্মৃতিশক্তি বাড়াতে: ইসলামী কায়দা কানুন:
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৯টি কাজ করতে বলেছেন। সেগুলো হলো-
১. ইখলাস বা আন্তরিকতাঃ যে কোনো কাজে সফলতা অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে ইখলাস বা আন্তরিকতা। আর ইখলাসের মূল উপাদান হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়তের বিশুদ্ধতার গুরুত্ব সম্পর্কে উস্তাদ খুররাম মুরাদ বলেন, “উদ্দেশ্য বা নিয়ত হল আমাদের আত্মার মত অথবা বীজের ভিতরে থাকা প্রাণশক্তির মত। বেশীরভাগ বীজই দেখতে মোটামুটি একইরকম, কিন্তু লাগানোর পর বীজগুলো যখন চারাগাছ হয়ে বেড়ে উঠে আর ফল দেওয়া শুরু করে তখন আসল পার্থক্যটা পরিস্কার হয়ে যায় আমাদের কাছে।
২. দু’আ ও যিকর করাঃ আমাদের উচিত সর্বদা আল্লাহর কাছে দু’আ করা যাতে তিনি আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেন এবং কল্যাণকর জ্ঞান দান করেন। আমরা নিন্মোক্ত দু’আটি পাঠ করতে পারি, “হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।” [সূরা ত্বা-হাঃ ১১৪]
তাছাড়া যিকর বা আল্লাহর স্মরণও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, “…যখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুন…” [সূরা আল-কাহ্‌ফঃ ২৪] তাই আমাদের উচিত যিকর, তাসবীহ (সুবহান আল্লাহ), তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাকবীর (আল্লাহু আকবার) – এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আল্লাহকে স্মরণ করা।
৩. পাপ থেকে দূরে থাকাঃ প্রতিনিয়ত পাপ করে যাওয়ার একটি প্রভাব হচ্ছে দুর্বল স্মৃতিশক্তি। পাপের অন্ধকার ও জ্ঞানের আলো কখনো একসাথে থাকতে পারে না। ইমাম আশ-শাফি’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “আমি (আমার শাইখ) ওয়াকীকে আমার খারাপ স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম এবং তিনি শিখিয়েছিলেন আমি যেন পাপকাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখি। তিনি বলেন, আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি আলো এবং আল্লাহর আলো কোন পাপচারীকে দান করা হয় না।”
যখন কোনো মানুষ পাপ করে এটা তাকে উদ্বেগ ও দুঃখের দিকে ধাবিত করে। সে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং জ্ঞান অর্জনের মতো কল্যাণকর ‘আমল থেকে সে দূরে সরে পড়ে। তাই আমাদের উচিত পাপ থেকে দূরে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
৪. বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করাঃ আমাদের সকলের মুখস্থ করার পদ্ধতি এক নয়। কারো শুয়ে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কারো আবার হেঁটে হেঁটে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়। কেউ নীরবে পড়তে ভালোবাসে, কেউবা আবার আওয়াজ করে পড়ে। কারো ক্ষেত্রে ভোরে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কেউবা আবার গভীর রাতে ভালো মুখস্থ করতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ উপযুক্ত সময় ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ঠিক করে তার যথাযথ ব্যবহার করা।
৫. মুখস্থকৃত বিষয়ের উপর ‘আমল করাঃ আমরা সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে, কোনো একটি বিষয় যতো বেশিবার পড়া হয় তা আমাদের মস্তিষ্কে ততো দৃঢ়ভাবে জমা হয়। কিন্তু আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে অতো বেশি পড়ার সময় হয়তো অনেকেরই নেই। তবে চাইলেই কিন্তু আমরা এক ঢিলে দু’পাখি মারতে পারি। আমরা আমাদের মুখস্থকৃত সূরা কিংবা সূরার অংশ বিশেষ সুন্নাহ ও নফল সালাতে তিলাওয়াত করতে পারি এবং দু’আসমূহ পাঠ করতে পারি সালাতের পর কিংবা অন্য যেকোনো সময়। এতে একদিকে ‘আমল করা হবে আর অন্যদিকে হবে মুখস্থকৃত বিষয়টির ঝালাইয়ের কাজ।
৬. মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাদ্য গ্রহণঃ পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য একান্ত আবশ্যক। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ আমাদের ঘুম বাড়িয়ে দেয়, যা আমাদের অলস করে তোলে। ফলে আমরা জ্ঞানার্জন থেকে বিমুখ হয়ে পড়ি। তাছাড়া কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। সম্প্রতি ফ্রান্সের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যয়তুনের তেল চাক্ষুস স্মৃতি (visual memory) ও বাচনিক সাবলীলতা (verbal fluency) বৃদ্ধি করে। আর যেসব খাদ্যে অধিক পরিমাণে Omega-3 ফ্যাট রয়েছে সেসব খাদ্য স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকলাপের জন্য খুবই উপকারী। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক ‘আলিম কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য গ্রহণের কথা বলেছেন। ইমাম আয-যুহরি বলেন, “তোমাদের মধু পান করা উচিত কারণ এটি স্মৃতির জন্য উপকারী।”
মধুতে রয়েছে মুক্ত চিনিকোষ যা আমাদের মস্তিষ্কের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া মধু খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যেই রক্তে মিশে গিয়ে কাজ শুরু করে দেয়। ইমাম আয-যুহরি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি হাদীস মুখস্থ করতে চায় তার উচিত কিসমিস খাওয়া।” সবুজ লম্বা কুমড়া স্মৃতি শক্তি বাড়ায়্ এটা রাসুল(সা.) পছন্দ করতেন।
৭. পরিমিত পরিমাণে বিশ্রাম নেয়াঃ আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক অনেকটা ব্যস্ত অফিসের মতো কাজ করে। এটি তখন সারাদিনের সংগৃহীত তথ্যসমূহ প্রক্রিয়াজাত করে। তাছাড়া ঘুম মস্তিষ্ক কোষের পুণর্গঠন ও ক্লান্তি দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৮. জীবনের অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারসমূহ ত্যাগ করাঃ বর্তমানে আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ও জ্ঞান অর্জনে অনীহার একটি অন্যতম কারণ হলো আমরা নিজেদেরকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়িয়ে রাখি।  তাই আমাদের উচিত এগুলো থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকা।
৯. হাল না ছাড়াঃ যে কোনো কাজে সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো হাল না ছাড়া। যে কোনো কিছু মুখস্থ করার ক্ষেত্রে শুরুটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়।

Thursday, November 29, 2018

হাত দিয়ে খাওয়া কি ভাল?


হাতের পাঁচ আঙুল দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যকর। উপকারিতাগুলো দেখুন ভাল করেঃ
১. হজমে সুবিধা হয়
হাত দিয়ে খাবার খেলে একাধিকবার পেশীর সঞ্চালন হয়। চামচ দিয়ে খাওয়ার ক্ষেত্রে এই পেশী সঞ্চালন এতটা পরিমাণে হয় না। খাওয়ার সময় যত বেশি পেশী সঞ্চালন হবে, তত রক্ত সঞ্চালন বেশি হবে শরীরে, খাবার হজমেও সুবিধা হবে।

২. বিপাকক্রিয়া উন্নত হয়
আমরা যখন হাত দিয়ে খাবার খাই তখন আঙুলের মাধ্যমেই মস্তিষ্কের বার্তা পাকস্থলীতে গিয়ে পৌঁছায়। ফলে বিপাকক্রিয়া উন্নতমানের হয়।

৩. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন নিঃসরণ হয়
চামচ দিয়ে খেলে ধাতুর স্পর্শ পাওয়ায় খাবারের স্বাদ বোঝা যায় না। এছাড়া রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনও কম নিঃসরন হয়।

৪. জিভের উপকার হয়
হাত দিয়ে খাওয়ার সময় হাতের ছোঁয়া জিভে লাগায় স্বাদকোরক বেশি উদ্দীপ্ত হয়, ফলে খাবার বেশি স্বাদু লাগে ও মানসিক তৃপ্তি ঘটে।

আরো কারণসমুহঃ
১. হাত হলো বিভিন্ন কাজের জন্য দরকারী একটি মূল্যবান অংগ। হাতের আঙ্গুলের মাথায় যে স্নায়ুর প্রান্ত(নার্ভ এন্ডিং) থাকে সেগুলো হজমের জন্য দরকারী রাষায়নিককে উদ্দিপ্ত করে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলে হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে “ক্ষিতি” বা মাটির সারবস্তু শরীরে ঢোকে।
অনামিকা বা রিং ফিঙ্গার দিয়ে “আব” বা পানি শরীরে ঢোকে।
মধ্যমা আঙ্গুল দিয়ে “তেজ” বা আগুন শরীরে ঢোকে।
তর্জনী দিয়ে শরীরে ঢোকে “মরুত” বা বায়ু।
আর বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে শরীরে ঢোকে “ব্যোম” বা উর্দ্ধালোকের শূন্যতা।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে ক্ষিতি, আব, তেজ, মরুত এবং ব্যোম এই পঞ্চভূতে মানব দেহ তৈরী।    

২. হাত হলো মাল্টি টাস্কার বা এটা দিয়ে অনেকগুলো কাজ একসাথে করা যায়। যেমনঃ হাত দিয়ে খাবার ছেঁড়া যায়, অনুভব করা যায়, ছোঁয়া যায়, সবগুলো আঙ্গুল এক সাথে করে খাবার তোলা যায়, খাবারের টুকরো ছোট বা বড় করা যায় এমনকি পানিও ধরে রাখা যায়। তাই এই হাত অবশ্যই একটা খাঁটি মাল্টি টাস্কার।
৩. হাত দিয়ে সহজেই খাবার ভাগ করা যায়(পোরশন)। হাত দিয়ে খাবারগুলো ধীরে ধীরে খাওয়া যায়। হাত দিয়ে খাবারের ছোট ছোট পোরশনগুলো মুখে দিলে দাঁত সেগুলো ভাল করে চিবাতে সাহায্য করে। এভাবে আমরা খাবারের ভাল অভিজ্ঞতা পেতে পারি।   
৪. হাত দিয়ে খাওয়া একটা ব্যায়ামও বটে। হাত দিয়ে খেলে হাতে এবং আঙ্গুলের মাথায় রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। তাছাড়া খাবার নাড়াচাড়া করলে হাতের মাংসপেশীগুলোও সচল থাকে।
৫. হাত দিয়ে খেলে খাবারগুলো সহজে হজম হয়। হাতে বা আঙ্গুলের মাথায় যে সব উপকারী বা বেনিফিশিয়্যাল ব্যাক্টেরিয়া থাকে, খাবারের সাথে সেগুলো আমাদের পাকস্থলী বা অন্ত্রে ঢুকে যায়। এগুলোই পরবর্তীতে হজমে সহায়তা করে।     

৬. হাত দিয়ে খেলে মনে হবে যেন তৃপ্তিসহকারে খেলাম। কিন্তু চামচ দিয়ে খেলে খাবারের এই যে অপার আনন্দ সেটা উপভোগ করা যায় না।  


৭. হাত দিয়ে খেলে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীরা উপকার পায়। এর কারণ হলো যারা এই রোগে ভোগে তাদের বেশীরভাগ মানুষ চামচ দিয়ে দ্রুত খেয়ে নেয়। দ্রুত খাওয়ার ফলে শরীরের শর্করা জাতীয় খাবারগুলো চিনির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রনে অবদান রাখতে পারে না।  

৮. হাত দিয়ে খাওয়াটা বেশী স্বাস্থ্যসম্মত। এর কারণ হলো আমরা যতবারই খেতে বসি ততবারই হাত ভাল করে ধুই। আর এই পরিষ্কার হাত দিয়ে খাবার খেলে রোগ বালাই দূরে রয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, দৈনিক অনেকবার হাত ধুলে অন্ততঃ ৮০% অসুখ শরীরে ভীড়তে পারে না। কারণ, হাত হলো বাইরের জগতের সাথে মিশে যাবার বা মিশে থাকার ক্ষেত্রে শরীরের প্রথম অঙ্গ।  
৯. হাত দিয়ে খেলে মনযোগ সহকারে খাবার খাওয়া যায় (Mindful Eating) । আর খাবার মনযোগ দিয়েই খাওয়া দরকার। তা না হলে শরীরে প্রোটিন-ক্যালরীর ভারসাম্য বজায় থাকে না। এমন হলে কেউ দ্রুত মোটা হয়ে যেতে পারে আবার কেউ বা শুকিয়ে যেতে পারে।  
১০. হাত দিয়ে খেলে বি.ই.ডি বা বিঞ্জ ইটিং ডিজঅর্ডার বা দ্রুত খাবার খাওয়া থেকে মুক্তি মেলে। যারা দ্রুত খাবার খায় তারা খাবারগুলো ভাল করে চিবায় না। ফলে তারা দ্রুতই স্থুলকায় হতে থাকে। মণীষীরা বলেন, কম খাও, চিবাও বেশী। বেশী চিবানো খাবার দ্রুত হজম হয় আর পুষ্টিও শরীরে দ্রুত সরবরাহ হয়। আর যারা এ কাজটি করেন, তারা সারা জীবনধরেই স্লিম থেকে যান।  
১১. মুসলমানদের জন্য হাত দিয়ে খাওয়া সুন্নাত। আমাদের নবী (সা.) তাঁর উম্মতদেরকে হাত দেয়ে খেতে উতসহিত করেছেন।

১২. হাত দিয়ে খেলে(রাসুল(সা.)এঁর সুন্নাত তিন আঙ্গুলে খাওয়া-অনামিকা আর কনিষ্ঠাকে বাদ রেখে-তবে অবশ্য প্রয়োজন হলে এ ২টিও ব্যবহার করা যাবে) স্লিম থাকা যায় (Sure way to stay slim) ।

Thursday, November 15, 2018

ইমোশনাল ওয়েলনেস বা আবেগিক সুস্থতাঃ

এটা হলো জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করা।
কেউ যদি তার রাগ, ভয়, হতাশা বা মানষিক চাপ, আশা, নিরাশা, প্রেম-ভালবাসা, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না ইত্যাদি আবেগগুলো গঠনমূলকভাবে স্বীকার করে নেয়ার ক্ষমতা রেখে সেগুলো কারো সাথে ভাগাভাগি বা শেয়ার করে নেয়-তাহলে আবেগিক সুস্থতা লাভ করা যায়।
নিজেকে ভালবাসতে হলে বা আবেগিক সুস্থ পেতে নীচে দেয়া কাজগুলো করোঃ
১. জীবনের প্রতি যদি বিতৃষ্ণা আসে তাহলে সেটাকে পয়লা স্বীকার করে নাও। পরে পরিকল্পণা করো কি ভবে তুমি তোমার জীবন পরিচালনা করবে।
২. আজ থেকেই প্রাক্টিস করো প্রতিদিন অন্ততঃ ১০ মিনিট করে নীরবতা পালন করবে।
৩. নিজেকে ক্ষমা করতে শেখো। নিজেকে ভাল না বাসলে কখনোই পার্ফেক্ট হতে পারবে না।
৪. তোমার যে কাজের জন্য অন্যের সহায়তা দরকার, সেটা নাও। মন যদি বেশী আবেগপূর্ণ হয় তাহলে কারো উপদেশ নাও বা কারো কাউন্সেলিঙ নাও।
৫. দৈনিক ১০ মিনিট করে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টেকনিক এক্সারসাইজ করো। এক প্লেট ভাত যেটা তোমার সামনে তরকারীসহ এসেছে, সেটা অ্যানালাইসিস করে। মাঝে মাঝে হাসপাতালে যাও। দেখো তুমি অন্যসব মানুষের চেয়ে কাতটা ভাল রয়েছে।
৬. নিজের দৈনিক কাজের শিড্যুল ঠিক করে নাও। এতে করে তোমার কোন কাজের ওপর কোন কাজ অগ্রাধিকার পাবে সেটা নিশ্চিত হতে পারবে ও এতে তোমার সময়ের অপচয় রোধ হবে।
৮. মনে আশা জাগানিয়া কাজ করো।
৯. নিজেই নিজের সাথে পজিটিভ কথা বলো। এর নাম “ইনার ডায়ালগ।” এই ডায়ালগে তুমি নিজেকে যে পজিটিভ মেসেজ দিতে চাও, সেটা তোমার ওপর অনেক বেশী প্রভাব ফেলবে।
১০. তুমি কিভাবে সময় ব্যয় করবে তার একট সীমারেখা টেনে নাও। যে কাজ তোমার জীবনোপযোগী নয় সেখান থেকে সরে এসো। এতে জীবন যুতসই হবে।
১১. যে ব্যবহারগুলো তোমাকে বিপদে ফেলে সে সব ব্যবহার থেকে ফিরে এসো।
১২. ঈর্ষান্বিত ব্যক্তিকে(টক্সিক পিপলকে) সনাক্ত করে তার কাছ থেকে দূরে থাকো।
১৩. অ্যাডভেঞ্চারকে ইয়েস বলো।
১৪. বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুক করো।
১৫. তোমার নিজের প্রশংসা করো।
সূত্র: ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ম্যাগাজিন

Tuesday, November 6, 2018

ত্বকের স্বাস্থ্য নিয়ে জন্য এক ডজন কথা


ত্বকের স্বাস্থ্য নিয়ে জন্য এক ডজন কথা
Never pop a pimple
১. কোন পিম্পলকে কখনো গলাবেন না। এতে মারত্মক ইনফেকশান হতে পারে।
Never leave home without applying sunscreen
২. কড়া রোদে সানস্ক্রীন মেখে বের হোন বা ছাতা ব্যবহার করুন। কারণ এতে ত্বকে ক্যান্সারের আশংকা থাকে। আর কড়া রোদ ত্বকের কোলাজেন ফাইবারকে ড্যামেজ করে আর এতে ত্বকে রিঙ্কল হয় বা ভাঁজ পড়ে, ত্বক কুঁচকে যায়।

Never get lemon or lime on your skin while in the sun
৩. রোদে বসে মুখের ত্বকে বা শরীরের ত্বকে কমলার খোসা ঘসবেন না বা কমলার খোসা মুখের ত্বকে ঘসে রোদে বের হবেন না। এতে ত্বকে ফটোটক্সিক রি-অ্যাকশান হয়। ফলে ফোষ্কা পড়ে আর ত্বক কালচে হয়ে যায়। ফোষ্কা বা কালচে হওয়া অনেকদিন অব্দি স্থায়ী হয়ে থাকে।
Never get a tattoo with white ink
৩. মুসলমানদের জন্য ট্যাটু করা সরাসরি হারাম। যদি জেদ করে ট্যাটু করেনই, তবে সাদা কালি দিয়ে ট্যাটু করবেন না। সাদা কালির ওপর লেজার পাস করালে তা পারমানেন্ট কালো হয়ে যায়।

Never use miracle products that tout secret ingredients
৫. মুখের ত্বকের জন্য বা ত্বকের জন্য মিরাকল প্রোডাক্ট বলে কিছু নেই। তাই প্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনার ত্বকে কি লাগাচ্ছেন বা দিচ্ছেন সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকলে বুঝবেন আপনি বিপদের দিকেই এগোচ্ছেন।

Never DIY high-level treatments
৬. মুখের ত্বকের জন্য বা শরীরের ত্বকের জন্য হাই লেভেল কোন ট্রিটমেনেন্টের ফর্মুলা দেয়া থাকলেও নিজে নিজে তা করতে যাবে না। “ইট ইজ ড্যাঞ্জারারস টু বি অ্যা ডক্টর বাই হিমসেল্ফ।” নিজে নিজে ডাক্তারী করা ভাল কোন কিছু নয়।
Never pick at your skin
৭. মুখের ত্বক বা ত্বক খোঁটাখুঁটি বন্ধ করুন। এতে শরীরের ত্বকে স্থায়ী দাগ  পড়বে আর ইনফেকশান তো হতেই পারে।
Never ignore a new or changing mole
৮. কোন মোল বা আঁচিলের বা তিলের রঙ বদলে যাচ্ছে এমন দেখলে তা অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন না। এরকম হলে ত্বক পরীক্ষা করিয়ে নিতে ভুলবেন না। এটা মারাত্মক অসুখের সূচনা হতে পারে।
Never squeeze deep cysts
৯. ত্বকের গভীরের সিস্ট কখনোই চাপাচাপি করবেন না। এতে সিস্ট গলে গিয়ে ভয়াবহ ইনফেকশান হতে পারে। আপনার বিপত্তি বাড়িয়ে তুলবে।
Never use too much soap
১০. অতিমাত্রায় সাবন ব্যবহার করবেন না। বেশী সাবান ব্যবহার করলে ত্বক ক্ষার হয়ে যায়। এতে ফাংঙ্গাস ইনফেকশান দ্রুত চলে আসে। সাবান ত্বককে দ্রুত অসুস্থ করে তোলে যদি তার ত্বকে ঘষাঘষি একটু বেশীই হয়। সপ্তাহে ২ দিন গায়ে সাবান দেয়া যথেষ্ট।  
Never used expired products
১১. মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। এতে প্রোডাক্টের ভেতরে কেমিক্যাল রিঅ্যকশান হয়ে প্রেডাক্টের গুনাগুন বদলে ফেলে। ব্যবহার করলে ফল মারত্মক হবে।
Never stick sharp objects into your skin
১২. কোন সূঁচালো জিনিষ দিয়ে ত্বক ফুটো করতে যাবেন না। এতে ত্বকে স্থায়ী দাগ পড়ে যাবে। সে দাগ সারা জীবনে নাও মিশতে পারে।

শেষ কথা বা বটম লাইন: ত্বক হলো আপনার শরীরকে জীবানুর হাত থেকে বাঁচানোর ১ম প্রথম প্রটেকটিভ ব্যারিয়ার বা পয়লা নং বাধা। ত্বকের গঠনও বেশ কুশলী। তাই ত্বকে নিয়ে কোন হেলফেলা নয়। ত্বক নিয়ে সচেতন হোন। একে ভাল ভাল খেতে দিন। ত্বক যে মানুষকে কত ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখে তা জানলে সত্যিই আপনার অবাক লাগবে!
Fatty Fish, Avocados, Walnuts, Sunflower Seeds, Sweet Potatoes, Red or Yellow Bell Peppers, Broccoli, Tomatoes, Soy, Dark Chocolate, Green Tea, Red Grapes এবং দুঃশ্চিন্তাহীনঘুম ত্বকের স্বাস্থ্য খুবই ভাল রাখে।
সূত্র: rd.com এবং আরো অনেক

“রিল্যাক্স” খুবই দরকারী একটা কিছু

“রিল্যাক্স” খুবই দরকারী একটা কিছু!
বিশ্রাম কাজের অঙ্গ
একসাথে গাঁথা;
নয়নের অঙ্গ যেমন
নয়নের পাতা।
আসলেই কিন্তু ব্যাপারটা এমন, বিশ্রাম নেয়ার মনে হল মস্তিষ্ক যেন নিজেকে পরিষ্কার করার কাজটা সেরে নিতে পারে, সেই সুযোগ দেয়া! মানে আপনি যখন ভাবছেন আপনি বিশ্রাম নিচ্ছেন, আসলে কিন্তু আপনি কাজ করছেন। আপনি তখন আপনার মস্তিষ্কটাকে ধুঁয়ে-মুছে পরিষ্কার করবার কাজটা করছেন। মানে, বিশ্রাম নেয়াটা আসলেও একটা কাজ!
অতীতের অভিজ্ঞতাগুলো যেন মনের ভেতর অনেক গভীরে নোঙর করে থাকে। আর এর সাথে মনটাও অনেক দূরে ভেসে বেড়ায়। অতীতের অভিজ্ঞতা অনেক সময় মনে লাশের বোঝার মত ভারীই মনে হয়। তাই অতীতের বোঝাগুলো হাল্কা না করতে পারলে যেন নিজেকে হাল্কা মনে হয় না। অতীতের বোঝাগুলো ফাইল ক্যাবিনেটের মত। এগুলো আমাদের লার্নিঙ পয়েন্টস, লার্নিঙ ইনফোরমেশনস। কিন্তু বর্তমান জীবনের সাথে এরা মাননসই নয়, লাগসইও নয়। ফাইল ক্যাবিনেট নিয়ে সারা দিন ঘাঁটাঘাঁটি কি ভালো? তাই এদের “গুড বাই” জানানোই মঙ্গলের। আসুন, গতকালকে, গত মাসকে বা গত বছরকে ফেয়ারওয়েল দিই। এতে মন রিল্যাক্স করবে। যে মানুষ আজ ভালভাবে বাঁচতে চায়, সে কেন গত দিনের চিন্তায় ডুবে থাকবে?
“আজ”-এর একটা শক্তি আছে। কোন কাজ ফেলে রাখবেন না। আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু -এভাবে চলবেন না। এটা যারা করেন তারা হলো দীর্ঘসূত্রী বা প্রোক্রাস্টিনেটর। তাই আজই “মি. প্রফেসর” হয়ে যান। মি. “ল্যাটার” হবেন না। দীর্ঘসূত্রী হলে আপনার ব্রেন বা ঘিলুটা একা মেস হয়ে যাবে আর আপনি পরিপাটি থাকতে পারবেন না। রিল্যাক্সও করতে পারবেন না।
অতীতের দীর্ঘশ্বাস আর ভবিষ্যতের আশ্বাস বাস্তব জীবনে কোনটাই কাজে আসে না। বর্তমানটাই জীবন্ত। তাই বর্তমানটাকে ভাল কাজে লাগান। মনে রাখবেন গতকাল হলো ইতিহাস, আগামীকাল হলো রহস্যাবৃত আর আজ হলো দীপ্তিময় আশীর্বাদ। গতকাল হলো ব্যাংকের একটি বাতিল চেক, আগামীকাল হলো ব্যাংকের একটি প্রতিজ্ঞাপত্র বা প্রমিসরী নোট আর আজ হলো রেডী ক্যাশ-একে ব্যবহার করো সার্থকভাবে।

Friday, October 26, 2018

সূখী জীবনের “ফিলোসফি”


PHILOSOPHY শব্দটাকে ভাংলে ১০টি বর্ণমালা বের হয়। এর এক একটি বিষয় নিয়ে Living a Happy Life বিষয়ে অনেক কথা বলা যায় যা সূখী জীবনের জন্য খুবই দরকারী। সে দরকারী কথাগুলো হলোঃ চলুন আমরা PHILOSOPHY শব্দটাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করি, দেখি কি পাওয়া যায়ঃ
P=Present Moment=বর্তমান সময়ঃ
অতীতের দীর্ঘশ্বাস আর ভবিষ্যতের আশ্বাস বাস্তব জীবনে কোনটাই কাজে আসে না। বর্তমানটাই জীবন্ত। তাই বর্তমানটাকে ভাল কাজে লাগান। মনে রাখবেন গতকাল হলো ইতিহাস, আগামীকাল হলো রহস্যাবৃত আর আজ হলো দীপ্তিময় আশীর্বাদ। গতকাল হলো ব্যাংকের একটি বাতিল চেক, আগামীকাল হলো ব্যাংকের একটি প্রতিজ্ঞাপত্র বা প্রমিসরী নোট আর আজ হলো রেডী ক্যাশ-একে ব্যবহার করো সার্থকভাবে।
H=Health=স্বাস্থ্যঃ
WHO’র ভাষায় Health is a state of complete physical, mental and social well-being and not merely the absence of disease or infirmity.
স্বাস্থ্য হলো একজন মানুষের শারীরিক, মানষিক এবং সামাজিক সুখের সামগ্রিক বাস্তব অবস্থা। স্বাস্থ্য কেবল “আমার কোন অসুখ নেই বা আমি ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী নই” -এমন কিছুই বুঝায় না।

আবার হিরোফিলাস নামের গ্রীক দার্শনিক বল্লেন, “When health is absent, wisdom cannot reveal itself, art cannot manifest, strength cannot fight, wealth becomes useless, and intelligence cannot be applied.”

যখন আমাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে না তখনঃ

১. আমাদের প্রজ্ঞা খোলে না

২. আমরা আমাদের আঁকা চিত্রকলাগুলোকে বিমূর্ত করতে পারি না

৩. আমার বল-শক্তিকে কোথাও প্রয়োগ করে দেখাতে পারি না

৪. আমাদের সম্পদগুলোও ব্যবহার করতে পারি না সেগুলোকে অর্থহীন মনে হয়

৫. আমরা আমাদের বুদ্ধি-বিবেচনাকে কোথাও ব্যবহার করতে পারি না। 


I= Ignite the Happiness= সূখ জাগিয়ে তুলুন, জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে
অন্যের ভেতর সুখ জাগিয়ে তুলুন। কোন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে অন্যকে সুখী করতে তুলতে পারলে যে আনন্দ পাওয়া যায় তা অপার। নিঃস্বার্থভাবে নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে হলেও অন্যের ভেতর সুখের ঢেউ বা ঊর্মি তুলুন -দেখবেন ভাল লাগবে।

L= Love Unconditionally=নিঃস্বার্থ ভালবাসুন
মানুষকে ভালবাসুন। না। দু’তরফা নয়, একতরফা ভালবাসুন- মানে কারো কাছ থেকে ভালবাসা আদায় করবার জন্য ভালবাসা নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে ভালবাসতে হলে অবশ্যেই সত (অনেষ্ট) থাকতে হবে। সত্য বলতে হবে। সত্য বলবার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা যে আপনাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হবে না। যাকে ভালবাসবেন বা ভালবেসেছেন- আপনার সযত্ন, ভদ্র ও সোজাসাপ্টা তথা সুষম ব্যবহারের মাধ্যমে তার মনে স্থায়ী ও স্থির বিশ্বাস আনুন।
O= Open to Learning= শেখার বাতায়ন খোলা রাখুন
জ্ঞানী মানুষেরা সারা জীবনব্যাপী শেখে। এটাই তাদের সাফল্য আর সুখের চাবি। শিক্ষণ মানুষকে একই জিনিষ বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন কিছু শেখাবে। জ্ঞানী মানুষদের সাহচর্যে থেকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, তাদের সাথে সময় কাটানের মাধ্যমে এবং পঠন পাঠনের মাধ্যমে অমূল্য অনেক কিছুই শেখা যায়। তবে শেখার মত মাসষিকতা অবশ্যই দরকার।   

S=Self Audit= নিজের দোষ নিজে খুঁজুন। ‘স্বীয় আত্মার হিসাব গ্রহণ করুন বা ‘মুহাসাবাতুন নাফস’ করুন।’


আত্মসমালোচনার ফলে:
১. নিজের দোষত্রুটি নিজের সামনে প্রকাশ করার মাধ্যমে মানুষ স্বীয় ভুলত্রুটি জানতে পারে। ফলে তার হৃদয় ভালো কাজের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং মন্দকাজ থেকে দূরে থাকতে পারে।
২. আত্মসমালোচনা দ্বীনের বা ধর্মের ওপর দৃঢ়তা অর্জনের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম, যা মানুষকে আল্লাহর দরবারে মুহসিন ও মুখলিছ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে।
৩. আত্মসমালোচনার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নেয়ামতগুলো, অধিকারগুলো জানতে পারে। আর সে যখন আল্লাহর নেয়ামত ও তার অবস্থান সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে, তখন সে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ে উদ্বুদ্ধ হয়।
৪. আত্মসমালোচনার মাধ্যমে মানুষের মাঝে পরকালীন জওয়াবদিহিতার উপলব্ধি সৃষ্টি হয়। মাইমুন বিন মিহরান নামক এক তাবে‘য়ী বলতেন, ‘মুত্তাকি ব্যক্তি সেই, যে নিজের জওয়াবদিহিতা এমন কঠোরভাবে গ্রহণ করে যেন সে একজন অত্যাচারী শাসক’ (ইহয়াউ উলুমিদ্দীন ৩/৩৯৫) ।
৫. আত্মসমালোচনা জীবনের লক্ষ্যকে সব সময় সজীব করে রাখে। এর মাধ্যমে আমরা অনুভব করতে পারি আমাদেরকে এই পৃথিবীর বুকে অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি। পার্থিব জীবন শুধু খাওয়াদাওয়া, হাসিঠাট্টার নয়, এ জীবনের পরবর্তী যে অনন্ত এক জীবন, তার জন্য যে আমাদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে, আত্মসমালোচনা আমাদেরকে সর্বক্ষণ তা স্মরণ করিয়ে দেয়।
৬. মুহাসাবার বা আত্মসমালোচনার ফলে কোনো পাপ দ্বিতীয়বার করতে গেলে বিবেকে বাধা দেয়। ফলে পাপের কাজ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়।
আত্মসমালোচনা শুধু ধর্মীয় জীবন নিয়েই নয় বরং অর্থনৈতিক জীবন, শিক্ষাগত জীবন, পারিবারিক জীবন, নিজের আবেগিক দিক, পেশাগত জীবন, সামাজিক জীবন এবং নিজের শারীরিক দিক আত্মসমালোচনার ভেতর রাখতে হবে।



O= Optimism= Optimism=আশাবাদ
যারা আশাবাদী দেখবেন তাদের ভেতর স্ট্রেস ব সানষিক চাপ নেই। সব কাজের ভেতরেই ইতিবাচক কোন কিছু খুঁজুন। পেয়ে যাবেন। যারা আশাবাদী নয়, তারা সকল সমস্যাকে জটিলতর করে তোলে। কিন্তু যারা আশাবাদী তারা সকল সমস্যার ভেতর সমাধান দেখতে পায় আর এটা তার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। আশাবাদী লোকদের কাছে সমস্যা হলো অপোরচ্যুনিটি বা সুযোগ। তাই আশাবাদী হোন, সমস্যা সমাধানকেন্দ্রীক লোক বনে যান। জীবন সহজ হবেই।  

P=Power of Now= “আজ”-এর শক্তি
কোন কাজ ফেলে রাখবেন না। আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু -এভাবে চলবেন না। এটা যারা কারেন তারা হলো দীর্ঘসূত্রী বা প্রোক্রাস্টিনেটর। তাই আজই “মি. প্রফেসর” হয়ে যান। মি. “ল্যাটার” হবেন না। দীর্ঘসূত্রী হলে আপনার ব্রেন বা ঘিলুটা একা মেস হয়ে যাবে আর আপনি পরিপাটি থাকতে পারবেন না।

H= High Gratitude=কৃতজ্ঞ হোন।  
যে সকল লোকের ভেতর কৃতজ্ঞতা বোধ আছে তারা দুনিয়ার সবচেয়ে সূখী। এই দুনিয়ায় বিলিয়ন বিলিয়ন লোক আছে যারা আপনার চেয়ে অনেক গরীব-হতদরিদ্র। এই দুনিয়ায় বিলিয়ন বিলিয়ন লোক আছে যারা আপনার চেয়ে অনেক বেশী অসুস্থ। তাই দিনের শেষে যখন আপনার মাথাটি আরামের বালিশ ছোঁয় তখনই আপনি গুনতে থাকুন কি পারিবারিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক, মানষিক, আবেগিক, শিক্ষা বিষয়ক, পেশাগত আশীর্বাদ আপনি পেয়েছেন আপনার সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে।  
Y= Yes to Change=হ্যাঁ, আমি বদলে যাবো

কথায় বলে, “গড়ায়মান শিলার গায়ে শ্যাওলা থাকে না “অ্যা রোলিঙ স্টোন গ্যাদার্স নো মস। তাই বদলে যান। আপনার খোল নলচে পাল্টান। খাপ খাওয়ান জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপের সাথে। মনে রাখবেন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বদলে যাওয়া অনেক মূল্যবান একটি বিষয়। যারা বদলাতে পারে না, তারা টিকতেও পারেনা। সেই জন্যই বলা হয়, “যে সহে, সে রহে।”-হি হু এনডিওরস- ক্যান উইথস্ট্যান্ড HE WHO ENDURES, CAN WITHSTAND. আর নিজেকে পরিবর্তন করাতে হলে পজিটিভ মনোভাব অত্যন্ত বেশী দরকার।     

সূত্রঃ অনেক

Monday, October 15, 2018

ধ্যান বা মেডিটেশনের উপকারিতাঃ


Physiological benefits: ধ্যান বা মেডিটেশনের শারীরিক উপযোগঃ
1- It lowers oxygen consumption. ধ্যান বা মেডিটেশন কম অক্সিজেন ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
2- It decreases respiratory rate. ধ্যান বা মেডিটেশন শ্বাস-প্রশ্বাসের হার কমিয়ে আনে
3- It increases blood flow and slows the heart rate. ধ্যান বা মেডিটেশন রক্ত সরবরাহ বাড়ায় আর হৃদপিন্ডের গতির হার কমিয়ে আনে
4- Increases exercise tolerance. ধ্যান বা মেডিটেশন ব্যায়ামের সহনশীলতা বাড়ায়
5- Leads to a deeper level of physical relaxation. ধ্যান শারীরিক বিশ্রামকে সু-গভীরে নিয়ে যায়
6. Good for people with high blood pressure. ধ্যান বা মেডিটেশন উচ্চ রক্তচাপের রোগির জন্য খুবই সহায়ক
7- Reduces anxiety attacks by lowering the levels of blood lactate. ধ্যান বা মেডিটেশন রক্তের ল্যাকটেটকে কমিয়ে এনে রাগকে দমিয়ে ফেলে
8- Decreases muscle tension ধ্যান বা মেডিটেশন মাংশপেশীর টেনশন কমায়
9- Helps in chronic diseases like allergies, arthritis etc ধ্যান বা মেডিটেশন এ্যালার্জি আথ্রাইটিস কমিয়ে ফেলে
10- Reduces Pre-menstrual Syndrome symptoms. ধ্যান বা মেডিটেশন মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্রের(পি.এম.এস) অসুখ ভাল করে
11- Helps in post-operative healing. ধ্যান বা মেডিটেশন অপারেশনের পর ক্ষত সারাতে কার্যকরী মাধ্যম
12- Enhances the immune system. ধ্যান বা মেডিটেশন শরীরের ইম্যিউন সিষ্টেম বা অনাক্রম্যতা রোধ পদ্ধতির সক্রিয়তার জন্য অনন্য
13- Reduces activity of viruses and emotional distress ধ্যান বা মেডিটেশন ভাইরাসের আক্রমন প্রতিহত করে এবং আবেগ দমনে সহায়তা করে
14- Enhances energy, strength and vigor. ধ্যান বা মেডিটেশন শক্তি, দম আর উদ্যমকে বাড়িয়ে দেয়
15- Helps with weight loss ধ্যান ওজন কমাতে সহায়তা করে
16- Reduction of free radicals, less tissue damage ফ্রি-রেডিকলের কারণে শারীরিক টিস্যুরতি হলে ধ্যান বা মেডিটেশন তা হতে দেয় না
17- Higher skin resistance ধ্যান ত্বকের সহনশীলতা বাড়ায়
18- Drop in cholesterol levels, lowers risk of cardiovascular disease. ধ্যান বা মেডিটেশন রক্তের কোলেষ্টেরোলের পরিমাণ কমিয়ে হৃদযন্ত্রেও রোগ থেকে মানুষকে বাঁচায়
19- Improved flow of air to the lungs resulting in easier breathing. ধ্যান বা মেডিটেশন ফুসফুসে বাতাসের প্রবাহ বৃদ্ধি করে
20- Decreases the aging process. ধ্যান বা মেডিটেশন বুড়িয়ে যাবার হাত থেকে মানুষকে বাঁচায়
21- Higher levels of DHEAS (Dehydroepiandrosterone) ধ্যান বা মেডিটেশন রক্তে ডিহাইড্রোইপিঅ্যানড্রোস্টেরোনের সরবরাহ বাড়ায়। এই হরমোনের আরেক নাম ই্য়ুথ হরমোন।   
22- Prevented, slowed or controlled pain of chronic diseases ধ্যান বা মেডিটেশন ক্রনিক রোগের ব্যাথা,বেদনা রোধ করে এর হাত থেকে মানুষকে বাঁচায়
23- Makes you sweat less ধ্যান বা মেডিটেশন কম ঘাম ঝরায়
24- Cure headaches & migraines. ধ্যান বা মেডিটেশন স্ভাবাবিক মাথাব্যথা এবং আধ-কপালী মাথাব্যাথা রোধ করে
25- Greater Orderliness of Brain Functioning ধ্যান বা মেডিটেশন মস্তিস্কের কার্যক্ষমতাকে অধিকতর কার্যকরী করে তোলে
26- Reduced Need for Medical Care ধ্যান বা মেডিটেশন মানুষকে চিকিতসা সহায়তা নেয়া কমিয়ে দেয়
27- Less energy wasted ধ্যান বা মেডিটেশনে সবচেয়ে কম শক্তি ব্যয় হয়
28- More inclined to sports, activities ধ্যান বা মেডিটেশন মানুষকে খেলাধুলার দিকে টেনে নিয়ে যায়
29- Significant relief from asthma ধ্যান বা মেডিটেশন মানুষকে হাঁপানি থেকে কার্যকরভাবে মুক্তি দেয়
30- improved performance in athletic events ধ্যান বা মেডিটেশন অ্যাথলেটদের অনেক উপযোগ সৃষ্টি করে
31- Normalizes to your ideal weight ধ্যান বা মেডিটেশন মানুষের আদর্শ ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে
32- harmonizes our endocrine system ধ্যান বা মেডিটেশনের ফলে মানুষের অন্তঃক্ষরা বা নালীহীন গ্রন্থি বা এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ড বা যে সব গ্রন্থি হরমোন নিঃসরণ করে তাদের কাজের ক্ষমতা বাড়ায়
33- relaxes our nervous system ধ্যান বা মেডিটেশন স্নায়ুতন্ত্রের সহনশীলতা বাড়ায়
34- produce lasting beneficial changes in brain electrical activity ধ্যানে মগজের বৈদ্যুতিক তরঙ্গের স্থায়িত্ব বাড়ে
35- Cure infertility (the stresses of infertility can interfere with the release of hormones that regulate ovulation). ধ্যান বা মেডিটেশনে মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব রোধ হয়। কারণ,  এতে স্ত্রী হরমোনের সরবরাহ বাড়ে
Psychological benefits: ধ্যান বা মেডিটেশনে মানষিক উপকারিতা
36- Builds self-confidence. ধ্যান বা মেডিটেশন মনে আস্থা গড়ে তোলে
37- Increases serotonin level, influences mood and behavior. ধ্যান বা মেডিটেশন শরীরে সেরোটোনিন নামক রাসায়নিক পদার্থের লেভেল বাড়িয়ে দেয় এবং সেরোটনিন মানুষের মানষিকতা ব্যবহারের ওপর বেশী প্রভাব ফেলে
38- Resolve phobias & fears ধ্যান বা মেডিটেশন মানুষের ভীতি ও আশংকা দূর করে
39- Helps control own thoughts ধ্যান বা মেডিটেশন চিন্তাশক্তি নিয়ন্ত্রন করে
40- Helps with focus & concentration ধ্যান বা মেডিটেশন কোন কাজে নিবিষ্টচিত্ত হতে সাহায্য করে
41- Increase creativity ধ্যান বা মেডিটেশন সৃজনশীল কাজ বাড়ায়
42- Increased brain wave coherence. ধ্যান বা মেডিটেশন মগজের কাজকে সুষম করে
43- Improved learning ability and memory. ধ্যান বা মেডিটেশন প্রশিক্ষণ নেয়ার সক্ষমতা বাড়ায় ও স্মরনশক্তি শাণিত করে
44- Increased feelings of vitality and rejuvenation. ধ্যান বা মেডিটেশন জীবন শক্তিকে পূনরুজ্জীবিত করে
45- Increased emotional stability. ধ্যান বা মেডিটেশন মনের আবেগকে থিতু করে
46- Improved relationships ধ্যান বা মেডিটেশন সম্পর্কের উন্নয়ন করে
47- Mind ages at slower rate  ধ্যান বা মেডিটেশন মনের বয়সকে দ্রুত বাড়তে দেয় না
48- Easier to remove bad habits ধ্যান বা মেডিটেশন বদ বা খারাপ স্বভাবকে দূরে সরিয়ে রাখে
49- Develops intuition ধ্যান বা মেডিটেশন সজ্ঞা বাড়ায়
50- Increased Productivity ধ্যান বা মেডিটেশন মানুষের উতপাদনশীলতা বাড়ায়
51- Improved relations at home & at work ধ্যান বা মেডিটেশন ঘরে বাইরে সম্পর্কোন্নয়ন ঘটায়
52- Able to see the larger picture in a given situation ধ্যান বা মেডিটেশন কোন নির্দিষ্ট পরিবেশে বড় পরিসরে কাজ করার অবস্থা তৈরী করে
53- Helps ignore petty issues ধ্যান বা মেডিটেশন ছোট ছোট বা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে দূরে রাখতে সাহায্য করে
54- Increased ability to solve complex problems ধ্যান বা মেডিটেশন জটিল সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে
55- Purifies your character ধ্যান বা মেডিটেশন চরিত্রকে নির্মল করে
56- Develop will power ধ্যান বা মেডিটেশন ইচ্ছা শক্তি বাড়ায়
57- Greater communication between the two brain hemispheres ধ্যান বা মেডিটেশন মগজের দুই অর্ধ-গোলকের মধ্যেকার যোগাযোগ বাড়িয়ে দেয়
58- React more quickly and more effectively to a stressful event. ধ্যান বা মেডিটেশন মানসিক চাপের সময় বিচক্ষণতা বাড়ায়
59- Increases one’s perceptual ability and motor performance ধ্যান বা মেডিটেশন মগজের সচলতা বাড়িয়ে মানূষের বিচার ক্ষমতা বাড়ায়
60- higher intelligence growth rate ধ্যান বা মেডিটেশন বুদ্ধিমত্তার উত্তোরণ ঘটায়
61- Increased job satisfaction ধ্যান বা মেডিটেশন (যে কোন) কাজে তৃপ্তি আনে
62- Increase in the capacity for intimate contact with loved ones ধ্যান বা মেডিটেশন ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে বা নিবিড় সান্নিধ্যে যেতে সহায়তা করে
63- Decrease in potential mental illness ধ্যান বা মেডিটেশন মানষিক অসুস্থতা থেকে মানুষকে দূরে রাখে
64- Better, more sociable behavior ধ্যান বা মেডিটেশন মানুসকে অধিকতর সামাজিক হতে সাহায্য করে
65- Less aggressiveness ধ্যান বা মেডিটেশনে যারা অভ্যস্ত, তারা কম আগ্রাসী হয়
66- Helps in quitting smoking, alcohol addiction ধ্যান বা মেডিটেশন ধূমপানসহ মাদকদ্রব্য সেবন থেকে মানুষকে দূরে থাকতে সাহায্য করে
67- Reduces need and dependency on drugs, pills & pharmaceuticals ধ্যান বা মেডিটেশন মাদক ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা কমায়
68- Need less sleep to recover from sleep deprivation ধ্যান বা মেডিটেশন ঘুম বঞ্চিতদের সহায়তা করে ঘুম নিয়ে আসে
69- Require less time to fall asleep, helps cure insomnia ধ্যান বা মেডিটেশন দ্রুত ঘুম নিয়ে আসে নিদ্রাহীনতা দূর করে
70- Increases sense of responsibility ধ্যান বা মেডিটেশন দায়িত্বশীল হতে সাহায্য করে
71- Reduces road rage ধ্যান বা মেডিটেশন রাগের পথ সংকুচিত করে
72- Decrease in restless thinking ধ্যান বা মেডিটেশন চঞ্চল চিন্তার অবসান ঘটায়
73- Decreased tendency to worry ধ্যান বা মেডিটেশন অযাচিত চিন্তার মাত্রা কমিয়ে দেয়
74- Increases listening skills and empathy ধ্যান বা মেডিটেশন শ্রবনের দক্ষতা বাড়ায় ও মানুষকে সহানূভুতিশীল হতে সাহায্য করে
75- Helps make more accurate judgments ধ্যান বা মেডিটেশন মানুষকে সঠিক বিচার করার ক্ষষতা দেয়
76- Greater tolerance ধ্যান বা মেডিটেশন মানুষকে অনেক স্থিতধী করে
77- Gives composure to act in considered & constructive ways ধ্যান বা মেডিটেশন কাউকে গঠনমূলক বিবেচক হতে সাহায্য করে
78- Grows a stable, more balanced personality ধ্যান বা মেডিটেশন ব্যক্তিত্বকে সুষম করে
79- Develops emotional maturity ধ্যান বা মেডিটেশন মনের আবেগজনিত অবস্থাকে পরিণত করে

Spiritual benefits: ধ্যান বা মেডিটেশনের আধ্যাত্মিক উপযোগ
80- Helps keep things in perspective ধ্যান বা মেডিটেশন কোন কিছুর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে সাহায্য করে
81- Provides peace of mind, happiness ধ্যান বা মেডিটেশন মনের শান্তি  নিয়ে আসে
82- Helps you discover your purpose ধ্যান বা মেডিটেশন কারো জন্য কোন উদ্দেশ্যকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে
83- Increased self-actualization. ধ্যান বা মেডিটেশন সেলফ্ অ্যাকচুয়ালাইজেশনে (নিজের পূর্ণ সম্ভাবনাকে উপলদ্ধি করতে)সহায়তা করে
84- Increased compassion ধ্যান বা মেডিটেশন অপরের জন্য সহানূভুতি বাড়িয়ে দেয়
85- Growing wisdom ধ্যান বা মেডিটেশন প্রজ্ঞা বাড়িয়ে দেয়
86- Deeper understanding of yourself and others ধ্যান বা মেডিটেশন নিজেকে অপরকে গভীরভাবে জানার সুযোগ করে দেয়
87- Brings body, mind, spirit in harmony ধ্যান বা মেডিটেশন শরীর, মন এবং মানষিকতাকে একই সমতলে নিয়ে আসে
88- Deeper Level of spiritual relaxation ধ্যান বা মেডিটেশন আধ্যাত্মিক স্বস্তির গভীরতা বৃদ্ধি করে
89- Increased acceptance of oneself ধ্যান বা মেডিটেশন নিজেকে গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়ায়
90- helps learn forgiveness ধ্যান বা মেডিটেশন ক্ষমা করতে শেখায়
91- Changes attitude toward life  ধ্যান বা মেডিটেশন জীবনবোধ বদলে দেয়
92- Creates a deeper relationship with your God ধ্যান বা মেডিটেশন সৃষ্টিকর্তার সাথে গভীর সম্পর্কের সৃষ্টি করে
93- Attain enlightenment ধ্যান বা মেডিটেশন মনকে আলোকিত করে
94- greater inner-directedness ধ্যান বা মেডিটেশন মনের অন্তর্গত পরিচালনার পরিধি বাড়িয়ে দেয়
95- Helps living in the present moment ধ্যান বা মেডিটেশন বর্তমান বা চলমান সময়ে বেঁচে থাকার খোরাক জোগায়
96- Creates a widening, deepening capacity for love ধ্যান বা মেডিটেশন প্রেমের পরিধি বাড়িয়ে দিয়ে তাকে আরও গভীর করে
97- Discovery of the power and consciousness beyond the ego ধ্যান বা মেডিটেশন অহংয়ের বাইরে চেতনাকে জাগ্রত করে
98- Experience an inner sense of “Assurance or Knowingness” ধ্যান বা মেডিটেশন কাউকে জানার বাস্তব নিশ্চয়তা দেয়
99- Experience a sense of “Oneness” ধ্যান বা মেডিটেশন মনের মধ্যে এককত্বের ভাব নিয়ে আসে

100- Increases the synchronicity in your life ধ্যান বা মেডিটেশন জীবনকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে