১. ভোজন করে ভুক না
হ’তে, হজম শক্তি কমে তাতে। এর মানে হলো কেবল ক্ষুধা পেলেই খেতে হবে। ক্ষুধার উদ্রেক
না হলে বরং হজমেরই সমস্যা হবে।
২. প্রাতে খেলে নুন
আদা, অরুচি আর থাকেনা দাদা। সকালে খালি পেটে একটু নুন আর আদা খেলে অরুচি চলে যায়। বিষয়টি
পিরীক্ষিত।
আদা, সকলেোগে দাদা- ট্রেনে বা বাসে চড়লে
যাদের বমি বা বমির ভাব হয় তারা ভ্রমণের শুরুতে ১ গ্রাম কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে এ সমস্যা
থাকে না বা গর্ভাবস্থায় কাঁচা আদা দিনে চারবার খেলে বমির তীব্রতা হ্রাস পায়। আদা হজমকারক,
উত্তেজক, পেটব্যথা নাশক। ফলে ইহা বমি, কাশি, ঠাণ্ডা জ্বর, গলা ব্যথা, কোষ্ঠাকাঠিন্য,
আমাশয়, কান ও মাথা ব্যথা, অজীর্ণ রোগে কার্যকরি। আদাকে শুকিয়ে অল্প অল্প করে নিয়মিত
সেবনে অরুচি, পেটফাঁপা রোগে উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা ধমনিতে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়,
নিয়মিত অল্প কাঁচা আদা খেলে করোনারী থ্রম্বোসিস ও মস্তিষ্কের স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এছাড়া আদা আফলাটক্সিন তৈরি আটকে দেয় এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া আদা আফলাটক্সিন
তৈরি আটকে দেয় এবং ফুসফুস-লিভার-কিডনিতে ক্যান্সাররোধী এনজাইমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে
ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে।
৩. নিম নিশিন্দা বাড়ে
যেথা, অসুখ কেন থাকবে তথা। তার মানে নিম আর নিশিন্দার ওষধী গুণে অসুখ দূরে চলে যায়।
নিম মানে ঘরের ডাক্তার। চুলকানী সহ যে কোন চর্ম রোগে নিম। লিভার বা যকৃতের ব্যাথায় নিম, কৃমি দমনে নিম, জন্ডিস বা কামলায়
নিম, ঘন ঘন প্রসাব আর যৌনাঙ্গ চুলকানীতে
নিম, ডায়াবেটিসে নিম।
নিশিন্দা
একটি ঔষধী গুণযুক্ত গাছ৷ এতে প্রচুর পরিমাণে ঔষধী গুণ আছে৷ স্বাদে খুবই তেঁতো বলে গোরু–ছাগলে
একে খায় না৷ পেটের পক্ষে নিশিন্দা খুবই উপকারী৷ তিক্ততাযুক্ত এই নিশিন্দা পাতা কীটনাশক৷
রেশমী ও পশমী বস্ত্রাদির মধ্যে নিশিন্দা পাতা রেখে দিলে তাতে সহজে পোকা লাগে না৷
৪. ঊণ ভাতে দুনো বল,
বেশী খেলে রসাতল। তার মানে কম খেলে শরীর টেকে ভাল, কিন্তু বেশী খেতে বারন।
৫. দুগ্ধে পুষ্টি বৃদ্ধি,
ঘৃতে বৃদ্ধি বল, মাংসে মাংস বৃদ্ধি, শাকে বৃদ্ধি মল। তার মানে দুধে পুষ্টি আনে, ঘি
আনে বল। গোশত গোশত বাড়ায় শরীরে আর শাক জাতীয় খাবার মলের পরিমাণ বাড়ায়।
৬. দিনে ঘুমায় রাতে
জাগে, তার রোগ সকলের আগে। এখানে শিফটিং ডিউটির ওপর তীক্ষ্ণ নজর দেয়া হয়েছে। কুকুরের
দিক খেয়াল করলে বোঝা যায় যে কুকুরের মৃত্যুর হার খুব বেশী। এর রাতে জাগে।
৭. অতি ভোজন রোগের মুল,
বেশী উপোষ তেমন ভুল। এখানে পেট তিনভাগের এক ভাগ খালি রেখে কেতে বলা হয়েছে প্রকারান্তরে।
আবার যারা ডায়েটিং করে তাদের দিকেও আঙ্গুল তোলা হয়েছে।
৮. তুলসি পাতার কবিরাজি, শতেক রোগের নিত্যরাজি-তুলসি পাতা অনেক রোগের বেশ ভালো ঔষধ হিসেবে হরহামেশা ব্যবহার করা হয়
৯. খেয়েছি কচু
কিছু না বুঝে, এখন তেঁতুল কোথা পাই খুঁজে -তার মানে কচু জাতীয় খাবার রান্না করলে তেতুঁল খুঁজে নিতেই হবে।
সূত্রঃ অনেক
খুব ভালো।
ReplyDeleteএরকম আরও লেখা লিখবেন।
ভোজনরসিক বাঙালি নিয়ম মানতে চায়না।