Sunday, March 29, 2020

Narcissistic Nostalgia and marriage


বিয়ে ও আত্মনিবিষ্টতায় স্মরণব্যথা
১৯৬৪র হেমন্তে ছোট মামার বিয়ে হয়। আকন্দ বাড়ীতে(নানা বাড়ী) মানুষ গমগম করছে। অল্প সময়ের ভেতর নোতুন মামীকে আনতে যাবে বারাতীর গাড়ী। আমি আমার সমবয়সী সোনা মামা খুবই খুশী। ছোট মামা সেজেগুজে বের হলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে নোতুন মামী বা কনের পিত্রালয়ে যাবার জন্য। সবার কাছে ছোট মামা গিয়ে বিদায় নিচ্ছেন। মামা তার বড় বুবু বা আমার মায়ের কাছে গেলেন। মা অনেক আদরের ছোট ভাইকে জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না! যেনো কেউ দুনিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আমি কিশোর বয়সে সেই কান্নার কথার মানে জি্জ্ঞেস করি মা’কে আরো পরে, অনুষ্ঠানের শেষে। মা বল্লেন, “ছোট্ট ভাইটিকে আমরা আজ থেকে হাত-পা বেঁধে দিলাম। ও আসতো যেতো আমার কাছে, তোর খালার কাছে, মামাদের কাছে -আজ থেকে ওকে আর তেমন করে পাবোনা আমরা। ওর আকাশটা আরো ছোট হয়ে গেল রে।” এই বলে মা আবারো কাঁদলেন। এখনো আমার স্মৃতিটা জ্বলজ্বলে।

১৯৭৯তে আমাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হলো। আমি বন্ধূ বান্ধবসহ ভাবী “জরু” বা বধূর পিত্রালয়ে চলে আসি হেমন্তের বিকেলে। সন্ধ্যের পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় আমার আব্বাকে মুনাজাত পরিচালনার জন্য বলা হলো। আব্বা সবার অনুরোধ রেখে মুনাজাত শুরু করলেন। সে সময় সদা সচেতন আমি মুনাজাতের সঞ্চারীতে শুনলাম আব্বার ধরে আসা গলায়, “হে প্রভু, আমি আজ নিজ হাতে আমার সোনার পাখীটার পাখা বেঁধে দিলাম। ও আজ থেকে ছোট্ট খাঁচায় ছটফট করবে মরণতক-বেরোতে পারবেনা।” তুমি তাকে আশ্রয় দিও, দিও প্রবোধ।” অতিথিরা কে কি বুঝেছে জানিনা। কিন্তু আমার ভেতরটা যেনো হঠাত করে খালি হয়ে গেল। স্পষ্ট করে বুঝলাম বড় আকাশে স্বাধীন আর ছোট সংসারে পরাধীনতার নিখাদ তফাতটা। স্মৃতিটা আজও অম্লান।

২০০৬এর শরতে আমাদের মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। কম্যুনিটি সেন্টারে অতিথিদের সমাগম। আমি কিন্তু একটা ব্যথা অনুভব করছি মেয়েকে হারাবার। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমার সোনার পাখীটির উড়াল দেওয়ার সময় ঘনিয়ে এলো। ওরা নোতুন ঘর বাঁধবে। কেমন ঝাপসা হলো চারদিক। মেয়ে কাঁদছে ওর ছোট ভাইকে জড়িয়ে। ক্ষীণ কন্ঠে বল্লো, “যাচ্ছিরে। আম্মু-আব্বুর দিকে খেয়াল করিস।” ছেলেটাও ফুঁফিয়ে কাঁদছে। আমার মনে পড়লো সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের বিবাহান্তে বিদায় কবিতাটি। মেয়েটি যখন আমার কাছে এলো ও যেনো নিথর, জখ্মী আওরাত, আহত এক পাখী। চোখের কোণে সাজানো বরষার লোনাজল গোপন রাখা সম্ভব হলোনা। বল্লাম, “মা, যে ডালে বসে তুই কলকাকলীতে চারদিক মুখরিত করে রাখতিস- আজ থেকে সেই কলকাকলী আর শুনতে পাবোনা রে।” মেয়ে বল্লো, যাচ্ছি আব্বু। নিজের দিকে খেয়াল রেখো। ওর যাবার সময় আমার মনে হলো ভারতের বিখ্যাত সংগীত লেখক রাজেন্দ্র কৃষ্ণের গানের কথা, “খতম হুয়ে দিন উস ডালিসে যিস পার তেরা বাছেরা থা-” Gone are the days of that branch on which you were perched -যে ডালে বসে তুই কলকাকলীতে চারদিক মুখরিত করে রাখতিস-আজ থেকে সেই দিনের অবসান হলো”- মেয়েটি চলেই গেল। ও এখন থেকে আমাদের কাছে আসবে -কিন্তু অতিথি হয়ে।

সূত্র: মাই ডেইলী নোটস, তীর্থ রেণু, ami jassi baba (আমি যাচ্ছি বাবা) bangla sad song


ভাই বোনেতে ছিলাম রে এক মায়ের জঠরে,
মায়ের যা দুধ সব খেয়েছি আমরা ভাগ করে;
তোমার ভাগ্যে ভাইরে তুমি পেলে বাপের ঘর,
আমার ভাগ্যে ভাইরে আমি হ’লাম দেশান্তর
মাসেক দু’মাস কাঁদবে বাপে, সারা জীবন মায়
দিনেক দু’দিন হয়তো রে ভাই কাঁদবে তুমি হায়;

ভাইয়ের বধূ কাঁদবে শুধু বিদায়ের কালে,
পোষা পাখী মুছবে আঁখি আঁখির আড়ালে।

মুমুর জন্য স্মৃতির জাবর কাটা


আমাদের ১ম সন্তান মুমু যখন ৪ বছরের তখন থেকে ও রাতে বাপের সাথেই নিদ যেতো। ওর জন্য আমাকে সব রাতেই লুলাবী(Lullaby) বা ঘুমপাড়ানী গান বা ছড়া শোনাতে হতো ওর ছোট্ট পিঠে মৃদু চাপড় দিয়ে দিয়ে। এরকম একটি ছড়া অনেক দিন পর মনে হলো। মুমু এখন আমার থেকে অনেক দূরে, কানাডার ভ্যানকুভারে। ও এখন ৩৮ ছুঁতে চলেছে। ওর ২টি দুষ্টু মেয়ে রয়েছে। ও ওদের লুলাবী শোনায় কি না, জানিনা।  মুমুর হয়তো মনে নেই ছড়াটি অথবা মনে আছে। কিন্তু আমি মনে রেখেছি-

“নানান রকম খেলনা নিয়ে
খেলা করে খানিক,
ঘুমিয়ে গেছে মুমু সোনা, ঘুমিয়ে গেছে মানিক।
রইলো পড়ে খেলান পুতুল
বেড়াল ঘোড়া যতো-
দুষ্টুমি আর করছে না কেউ
খেয়াল খুশীমত।
ভাত রান্নার ছোট্ট হাঁড়ি
অনেক পুতুল, ছোট্ট বাড়ী
ভাঙ্গা আয়না, পুঁতির হার
আশেপাশে ছড়ানো তার-
পাকা গিন্নী মুমু সোনার নজর চতুর্দিক-
ঘুমের পরী হঠাত এসে
নামলো চোখে ঠিক-
নামলো চোখে ঠিক-
নামলো চোখে ঠিক।”
আমি আমার মনের চোখে ঠিক দেখতে পাবো যে এই ছড়াটি পড়বে ও ওর বাপের কথা মনে করে ছল ছল চোখে আমাকে খুঁজবে। আমারো কেন যেন মনে হয় আমাদের মেয়েটি এখনো সেই ছোট্টটিই রয়ে গেছে।
-নিজের লেখা 

We shall overcome


আমরা করব জয়
আমরা করব জয় একদিন
হো বুকের গভীরে আমরা জেনেছি
যে আমরা করব জয় একদিন।
আমরা নই একা
আমরা নই একা আজকে
হো বুকের গভীরে আমরা জেনেছি
আমরা নই একা আজকে।
আমাদের নেই কোন ভয়
আমাদের নেই কোন ভয় আজকে
হো বুকের গভীরে আমরা জেনেছি
আমাদের নেই কোন ভয় আজকে।

We are part of Creation


ময়ূরকন্ঠী রাতের নীলে
আকাশে তারাদের ঐ মিছিলে
তুমি আমি আজ চল চলে যাই
শুধু দু'জনে মিলে । 
হয়তো পাবোনা পথের ঠিকানা
তবু যাব আজ ছাড়িয়ে সীমানা
সাথী যদি হও পাশে থেকে মোর
করিনা ভয় নিখিলের ।
আকাশ যদি ঢাকে ঘনঘটায়
তারারা মেঘে মেঘে হারিয়ে যায়,
যা আছে থাক্ না করিনা ভাবনা
আঁধারে কুয়াশায় হারিয়ে যাব না
মনের আলোয় চিনে নেব পথ
তুমি ভরসা দিলে ।।

মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের এ গান শুনলেই আমার আকাশের উদারতার কথা(Beauty of the Sky)মনে আসে।
Leave worries aside and you will be surprised by the beauty of the sky and the color of flowers, of the freshness of the breeze and the generosity of the sun. You will feel you are part of creation, and life will start to make sense.
The greatest wealth is to appreciate what we have and what we are.
জীন্দেগী এক নাটক হ্যায়, হাম নাটক পার কাম কারতি হ্যায়-আশা ভোশলে
Every passing moment is like a passing act in a play.
Each of us are the actors playing out parts very well.
An actor is never focused on another actors part, continually criticizing it.
He just gets on with his own part, playing it as best he can.
This Drama of Life is eternal, predestined and accurate.
Whatever anybody else says and does is their role, not mine.
My task is to play my part right. Right thoughts restore rightness to the whole play.
Practice detaching yourself from your role and experiencing the truth, behind the role and you will find yourself loving every instant of your role and the Drama, too.
7 Ages of Man
All the world’s a stage,
And all the men and women merely players;
They have their exits and their entrances,
And one man in his time plays many parts,
His acts being seven ages.
 At first the infant,
Mewling and puking in the nurse’s arms;

And then the whining schoolboy, with his satchel
And shining morning face, creeping like snail
Unwillingly to school. And then the lover,
Sighing like furnace, with a woeful ballad
Made to his mistress’ eyebrow.
 Then a soldier,
Full of strange oaths, and bearded like the pard,
Jealous in honor, sudden and quick in quarrel,
Seeking the bubble reputation
Even in the cannon’s mouth. And then the justice,
In fair round belly with good capon lined,
With eyes severe and beard of formal cut,
Full of wise saws and modern instances;
And so he plays his part. The sixth age shifts
Into the lean and slippered pantaloon,
With spectacles on nose and pouch on side;
His youthful hose, well saved, a world too wide
For his shrunk shank;
 and his big manly voice,
Turning again toward childish treble, pipes
And whistles in his sound.
 Last scene of all,
That ends this strange eventful history,

Is second childishness and mere oblivion,
Sans teeth, sans eyes, sans taste, sans everything.


Silence is a great strength, 5 reasons

According to Carolyn Ellis, “When used with intention and purpose, silence is a communication superpower.”
For some people, silence comes naturally. These fortunate individuals know the power of silence and they are comfortable in that silence. There are quite a few of us who need to learn the art of practicing silence. Read on for more reasons to try silence in your daily communications.

1. Silence gets people’s attention

If you have ever been in a classroom or in a group situation you have most likely experienced how silence often gets everyone’s attention. If the teacher or presenter is talking away the listeners’ minds might start to wander. When the speaker stops talking a signal goes to the brain that something has happened. All of the sudden you pay attention to try and figure out why communication has stopped. The same is true in our daily conversations. If we are silent, people take note and we gain their attention.

2. Silence can be an obvious answer

Sometimes when we communicate we say too much. We over-explain. If a question is met with silence, there is often an answer in that silence. We can also soften the blow of a negative answer by silence being the response. There is an implied “no” without any harsh words or too many words that might do more harm than good. Another example is when someone says something we don’t agree with or find offensive. If we are silent, we send a powerful message that communicates that we don’t agree or are not going along with what someone is saying.

3. Silence uses nonverbal language

Often our nonverbal language is a more powerful way of communicating than our verbal language.
According to HelpGuide.org, “It’s important to recognize, though, that it’s our nonverbal communication – our facial expressions, gestures, eye contact, posture, and ton of voice – that speaks the loudest. The ability to understand and use nonverbal communication, or body language, is a powerful tool that can help you connect with others, express what you really mean, and build better relationships.”

4. Silence offers empathy to others

There are times in life where silence offers empathy and understanding to others. Sometimes we don’t have the right words to communicate to someone who is struggling with a hurtful or sorrowful situation. We can show someone we care and we are there for them without using a plethora of words. We can offer comfort by our calming silence.

5. Silence is polite

We live in a society where we are constantly being barraged by noise and messages. From radio broadcasts, news channels, music in elevators, stores, and most businesses, to the rings of our phones, to the constant chatter of people around us. We often feel with so much going on we don’t have enough time to communicate what we need to communicate. We are fighting with so many other sources of noise. When we do get the chance to talk we usually feel like we have to cram every thought into a short span of time. However, when we are silent we give others a chance to speak. We show them that they matter.
In conclusion, we can be effective communicators by utilizing our ability to be silent. There is great strength in silence. Now, we just need to keep practicing. Like the old adages go practice makes perfect and silence is golden.
https://www.lifehack.org/347881/5-reasons-why-silence-source-great-strength

The Wonder of Silence
The disease of anger needs the medicine of tolerance;
The pain of disappointment needs the medicine of hope;
The violence of revenge and spite needs forgiveness;
Fear needs courage,
Ego needs self-respect.
Through inner silence we receive the strength to heal.


আল্লাহর গজব আসে ৩০ কারণে

৩০টি কারন ৭ ক্যাটাগরিতে
প্রথম ক্যাটাগরী:
পাপের সীমা ছাড়িয়ে গেলে
মানুষ পাপ করতে করতে যখন পাপের সীমা ছাড়িয়ে যায়তখনই আল্লাহর শাস্তি নাজিল হয়।পাপিষ্ঠ ফেরাউনকে আল্লাহ তাআলা তখনই ধরেছেনযখন সে নিজেকে আল্লাহ বলে দাবি করেছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : ‘হে মুসাতুমি ফেরাউনের কাছে যাওসে অত্যন্ত উদ্ধত হয়ে গেছে।’ (সুরা ত্বাহা : ২৪)
নমরুদকে আল্লাহ তাআলা তখনই শাস্তি দিয়েছেনযখন সে নিজেকে প্রভু বলে দাবি করেছে। অনুরূপভাবে আদসামুদ প্রভৃতি জাতিকে তাদের সীমাহীন পাপাচারের কারণে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বনি ইসরাইলরা আল্লাহর কিতাব তাওরাতকে অস্বীকারউত্তম জিনিস তথা মান্না  সালওয়ার পরিবর্তে খারাপ জিনিস তথা ভূমির উতপন্ন জিনিস চাওয়াআমালেকা সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আল্লাহর অগণিত নিয়ামত ভোগ করেও অকৃতজ্ঞ হওয়ার কারণেচির লাঞ্ছনা  আল্লাহর ক্রোধে পতিত হয়েছে।আগের নবীদের এসব কাহিনী পবিত্র কোরআনে আলোচনা করে আল্লাহ তাআলা এটিই বোঝাতে চেয়েছেন যে যদি উম্মতে মুহাম্মদী (সা.) তাদের মতো পাপাচারে লিপ্ত হয়তবে তাদের পরিণতিও অনুরূপ হবে এবং একই ভাগ্য বরণ করতে হবে। 

২) বিধর্মী কার্যকলাপের ফলে
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেনযখন (১)সরকারি মালকে নিজের মাল মনে করা হয়, (২)আমানতের মালকে নিজের মালের মতো ব্যবহার করা হয়, (৩)জাকাতকে জরিমানা মনে করা হয়, (৪)ইসলামী আকিদাবর্জিত বিদ্যা শিক্ষা করা হয়,
(৫)পুরুষ স্ত্রীর অনুগত হয়,
(৬)মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়,
(৭)বন্ধুদের আপন মনে করা হয়,
(৮)বাবাকে পর ভাবা হয়,
(৯)মসজিদে শোরগোল করা হয়,
(১০)পাপী লোক গোত্রের নেতা হয়,
(১১)অসত  নিকৃষ্ট লোক জাতির চালক হয়, (১২)ক্ষতির ভয়ে কোনো লোককে সম্মান করা হয়, (১৩)গায়িকা  বাদ্যযন্ত্রের প্রচলন অধিক হয়,
(১৪)মদ্য পানের আধিক্য ঘটে
(১৫)পরবর্তী সময় লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের বদনাম করেতখন যেন তারা অপেক্ষা করে লু হাওয়া (গরম বাতাস), ভূমিকম্পভূমিধসমানব আকৃতি বিকৃতিশিলাবৃষ্টিরক্তবৃষ্টি ইত্যাদি কঠিন আজাবেরযা একটার পর আরেকটা আসতে থাকবেযেমন হারের সুতা ছিঁড়ে গেলে মুক্তার দানাগুলো একটার পর একটা পড়তে থাকে। (তিরমিজি)

৩) ব্যভিচারমাপে কম দেওয়া ইত্যাদি অপকর্মের ফলে
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মুহাজিরদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘পাঁচটি মন্দ কাজ এমন আছেযদি তোমরা তাতে জড়িয়ে  পড়ো বা তা তোমাদের মধ্যে বাসা বাঁধেতবে খুবই খারাপ পরিণতির সম্মুখীন হবে। আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি যেন  পাঁচটি মন্দ কাজ তোমাদের মধ্যে জন্ম না নেয়।
ব্যভিচার যদি কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েতাহলে তাদের মধ্যে এমন এমন রোগ দেখা দেবেযা আগে ছিল না
. ‘মাপে কম দেওয়া।’  মন্দ কাজ যদি কোনো জাতির মধ্যে জন্ম নেয়তবে তাদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় এবং তারা অত্যাচারী শাসকের শিকারে পরিণত হয়
. ‘জাকাত’ না দেওয়া।  মন্দ কাজ যাদের মধ্যে দেখা দেয়তাদের ওপর আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। যদি সে অঞ্চলে পশু বা পাখি না থাকততবে আদৌ বৃষ্টি হতো না
আল্লাহ  রাসুলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা  প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা।  মন্দ কাজ যখন সমাজে দেখা দেয়তখন আল্লাহ তাআলা তাদের ওপর অমুসলিমদের আধিপত্য চাপিয়ে দেন। আধিপত্যবাদীরা তখন মুসলমানদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়
. ‘কিতাব অনুযায়ী শাসনকার্য না চালানো।’ যদি মুসলমান শাসকরা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী শাসনকার্য না চালায়তবে আল্লাহ তাআলা মুসলিম সমাজে ভাঙন সৃষ্টি করে দেন। তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পর লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে এবং সমাজে সন্ত্রাস  খুন-খারাবি শুরু হয়ে যায়।’ (বায়হাকিইবনে মাজাহহাদিস : ১০১৯)
হজরত ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিততিনি বলেনকোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বীনের কার্যকলাপে শৈথিল্য প্রদর্শন করা হলে সেই সম্প্রদায়ের লোকদের অন্তরে ভয়-ভীতি ঢেলে দেওয়া হয়কোনো সম্প্রদায়ে জিনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পেলে তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়কোনো সম্প্রদায়ের লোক মাপে কম দিলে তাদের রিজিক সংকুচিত করে দেওয়া হয়কোনো সম্প্রদায়ে অন্যায়ভাবে বিচার-ফয়সালা করা হলে সে গোত্রে রক্তপাত বৃদ্ধি পায়কোনো সম্প্রদায়ের লোক অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে তাদের মধ্যে শত্রুতা প্রবল করে দেওয়া হয়। (মুয়াত্তা মালেকমিশকাত : পৃ৪৫৯

৪) অন্যায় কাজে বাধা না দেওয়ার ফলে
সতকাজের আদেশ এবং অসত কাজে বাধা দেওয়া ফরজ। মুমিন  কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে না। হজরত হুজায়ফা (রা.) থেকে বর্ণিতমহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যার হাতে আমার প্রাণ নিবদ্ধ তাঁর শপথতোমরা অবশ্যই ন্যায় কাজের আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজ থেকে (মানুষকেবিরত রাখবে। অন্যথায় আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের ওপর আজাব পাঠাবেন। অতঃপর তোমাদের পরিত্যাগ করা হবে এবং তোমাদের দোয়াও কবুল করা হবে না।’ (তিরমিজি

৫) অন্যায়ভাবে হত্যা করা হলে
অন্যায়ভাবে হত্যা করা হারাম। কথিত আছেহজরত আদম (.)-এর পুত্র কাবিল যেদিন হাবিলকে হত্যা করেসেদিনই পৃথিবীতে প্রথম ভূমিকম্প হয়। কেননা অন্যায়ভাবে হত্যাকাণ্ড আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না। তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোনো মুমিনকে হত্যা করেতার শাস্তি হলো জাহান্নামসে সদা সেখানে অবস্থান করবে।’ (সুরা নিসা : ৯৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনতোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক বিষয় থেকে দূরে থাকবে। সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেনইয়া রাসুলুল্লাহবিষয়গুলো কী কীরাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন : আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা। . জাদুটোনা করা। যথাযথ কারণ বাদে কাউকে হত্যা করাযা আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন। সুদ খাওয়া। এতিমের সম্পদ গ্রাস করা। রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা। মুসলিম সরলা নির্দোষ মহিলাদের নামে ব্যভিচারের দুর্নাম রটনা করা। (মিশকাতপ্রথম খণ্ডবাবুল কাবাইর ওয়া আলামাতুন নিফাকসহীহ বুখারিকিতাবুল ওয়াসায়াহাদিস নম্বর : ২৭৬৬
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) মহানবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেনতিনি বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি মুসলমানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে আবদ্ধ কোনো অমুসলিমকে হত্যা করেতাহলে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ ৪০ বছরের দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহহাদিস : ২৬৮৬সুনানে নাসাঈহাদিস  : ২৫)

৬) দুনিয়াপ্রীতি বৃদ্ধি পেলে
মুমিন দুনিয়ার চেয়ে আখিরাতকে অধিক ভালোবাসে। সাহাবায়ে কিরাম দুনিয়ার চেয়ে আখিরাতকে প্রাধান্য দিতেন এবং দ্বীনের জন্য মরণকে বেশি পছন্দ করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেনআমার উম্মতের ওপর এমন দুঃসময় আসবেযখন অন্যান্য জাতি তোমাদের ওপর এমনভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে যেন ক্ষুুধার্ত মানুষ খাদ্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একজন সাহাবি জিজ্ঞেস করলেনহে আল্লাহর রাসুল (সা.)! তখন কি আমরা সংখ্যায় কম হবরাসুলুল্লাহ (সা.) বলেননাবরং তোমরা সংখ্যায় অনেক হয়েও বন্যার ফেনার মতো ভেসে যাবে। দুশমনদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয়ভীতি  প্রভাব-প্রতিপত্তি উঠে যাবে। তোমাদের অন্তরে ওহান (কাপুরুষতাসৃষ্টি হবে। একজন সাহাবি জিজ্ঞেস করলেনহে আল্লাহর রাসুলওহান কীরাসুল (সা.বললেনদুনিয়ার মহব্বত  মৃত্যুর ভয়। (আবু দাউদরাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেনচারটি বিষয় ক্ষতিকর : চোখ নষ্ট হওয়াকলব শক্ত হওয়াদীর্ঘ আশা করা  পার্থিব লোভ

৭) ধনীরা কৃপণ হলে
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের মধ্যে উত্তম লোকরা তোমাদের নেতা (রাষ্ট্রপ্রধানহয়ধনীরা দানশীল হএবং রাষ্ট্রীয় কার্যাবলি পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পাদিত হয়তখন তোমাদের জন্য জমিনের নিম্নভাগ থেকে জমিনের উপরিভাগ উত্তম। আর যখন তোমাদের মধ্যে ধনী লোকরা কৃপণ হয়কার্যাবলি মহিলাদের নির্দেশমতো চলেতখন তোমাদের জন্য জমিনের উপরিভাগ থেকে জমিনের নিম্নভাগ উত্তম।’ (তিরমিজিপৃষ্ঠা : ৪৫৯)
https://myjaalhaq.blogspot.com/2019/06/blog-post_28.html