আল্লাহর কাছে মানুষের সৃষ্টির ধারাবাহিক
ইতিহাস রয়েছেঃ
আমি মানুষকে
তৈরী করেছি মাটির উপাদান থেকে
তারপর তাকে
একটি সংরক্ষিত স্থানে টপ্কে পড়া ফোঁটায় পরিবর্তত করেছি,
এরপর সেই
ফোঁটাকে জমাট রক্তপিন্ডে পরিণত করেছি, তারপর সেই রক্তপিন্ডকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি,এরপর
মাংসপিন্ডে অস্থি-পঞ্জর স্থাপন করেছি, তারপর অস্থি-পঞ্জরকে ঢেকে দিয়েছি গোশত দিয়ে, তারপর
তাকে দাঁড় করেছি স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি রূপে৷ কাজেই আল্লাহ বড়ই বরকত সম্পন্ন, সকল
কারিগরের চাইতে উত্তম কারিগর তিনি৷
সূরা আল মু’মিনুন আয়াত
১২-১৪
Wa laqad khalaqnal
insaana min sulaalatim minteen
Summa ja'alnaahu
nutfatan fee qaraarim makeen
Summa khalaqnan
nutfata 'alaqatan fakhalaqnal 'alaqata mudghatan fakhalaq nal mudghata 'izaaman
fakasawnal 'izaama lahman summa anshaanaahu khalqan aakhar; fatabaarakal laahu
ahsanul khaaliqeen
তিনিই তো সে সত্তা যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন৷ তারপর শুত্রু থেকে৷ তারপর রক্তের পিণ্ড থেকে৷ অতপর তিনি তোমাদেরকে শিশুর আকৃতিতে বের করে আনেন৷ এরপর তিনি তোমাদেরকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করেন যাতে তোমরা নিজেদের পূর্ণ শক্তিতে উপনীত হতে পারো৷ তারপর আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করেন যাতে তোমরা বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হও৷ তোমাদের কাউকে আগেই ফিরিয়ে নেয়া হয়৷ এসব কাজ করা হয় এ জন্য যাতে তোমরা তোমাদের নির্ধারিত সময়ের সীমায় পৌঁছতে পারো এবং যাতে প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে পারো৷
সূরা আল মুমিন আয়াত ৬৭
Huwal lazee
khalaqakum min turaabin summa min nutfatin summa min 'alaqatin summa
yukhrijukum tiflan summa litablughooo ashuddakum summa litakoonoo shuyookhaa;
wa minkum mai yutawaffaa min qablu wa litablughooo ajalam musam manw-wa
la'allakum ta'qiloon
জীবনের এসব পর্যায়ের মধ্য দিয়ে মানুষদেরকে অতিক্রম করানোর কারণ এ নয় যে, তারা
পশুর মত জীবন যাপন করবে এবং পশুর মত মরবে৷ বরং এসব পর্যায় অতিক্রম করানো হয় এ জন্য
যে আল্লাহ মানুষদেরকে যে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছেন তা কাজে লাগাবে এবং সে নিয়ম নীতি ও ব্যবস্থাপনা
উপলব্ধি করবে যার অধীনে মানুষদের আপন সত্তার ওপর দিয়ে এসব আবার আবর্তন চলে৷ মাটির প্রাণহীন
উপাদানসমূহের মধ্যে জীবনের মত বিস্ময়কর ও অদ্ভুত জিনিসের উতপত্তি হওয়া, কেবল অনুবীক্ষণ
যন্ত্রে দৃষ্টিগোচর এমন অতি ক্ষুদ্র শুক্রকীট থেকে মানুষের মত বিস্ময়কর সৃষ্টির অস্তিত্ব
লাভ করা তারপর মাতৃগর্ভে স্থিতিকাল থেকে প্রসবকাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই এমনভাবে বেড়ে
ওঠা যে, তার লিংগ, তার আকার আকৃতি, তার দৈহিক কাঠামো, তার মানসিক বৈশিষ্টাবলী এবং তার
ক্ষমতা ও যোগ্যতা সবকিছুই সেখানে নির্ধারিত হয়ে যায় এবং তার সৃষ্টির ব্যাপারে দুনিয়ার
কোন শক্তিরই প্রভাব খাটাতে না পারা৷ তাছাড়া যার গর্ভপাত হয় তার গর্ভপাতের শিকার হওয়া,
যে শিশুকালে মরে যায়, যে যৌবনকালে বা বৃদ্ধাবস্থায় কোন নির্দিষ্ট বয়স সীমায় পৌঁছা,
তার এমন সব ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেও সে বয়সে উপনীত হওয়া যেসব পরিস্থিতিতে
নিশ্চিত মৃত্যু হওয়া উচিত এবং যাকে বয়সের কোন এক পর্যায়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে নিশ্চিত
মৃত্যু হওয়া উচিত এবং যাকে বয়সের কোন এক পর্যায়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে তার পৃথিবীর সর্বোত্তম
কোন হাসপাতালে সুদক্ষ ডাক্তারদের চিকিতসাধীন থেকেও মৃত্যুবরণ করা৷ এসব বিষয় কি এ সত্যটিই
তুলে ধরছে না যে, আমাদের জীবনও কোন এক সর্বশক্তিমান সত্তার হাতে? বাস্তব অবস্থা যখন
এই যে, এক সর্বশক্তিমান সত্তা আমাদের জীবন ও মৃত্যুর ব্যাপারে সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী
তখন কোন নবী, অলী, ফেরেশতা কিংবা তারকা বা গ্রহ উপগ্রহ আমাদের ইবাদাত পাওয়ার যোগ্য
হয় কিভাবে? তাছাড়া কোন মানব শক্তি এ পদমর্যাদা কিভাবে লাভ করলো যে, আমরা তা আইন কানুন,
তার আদেশ নিষেধ এবং তার নিজের নির্ধারিত হালাল হারাম বিনা বাক্যে মেনে নেব?
সূত্রঃ http://islam.net.bd/ এবং https://www.quran411.com/
No comments:
Post a Comment