Saturday, April 24, 2021

সুরা ফালাক্বের অনুবাদ ও প্রার্থনা

 বল, “চাই আশ্রয় ঊষার রবের,

অনিষ্ট থেকে সব সৃষ্ট জীবের,
যখন ঘনায় রাত সেই লগনের,
যত অপকার থেকে ঘোর আঁধারের।
আর যারা গ্রন্থিতে ফুঁতকার দেয়,
যাদুকরী নারী পাপাচারী অতিশয়।
পানাহ চাই হিংসুটের আত্মা থেকে,
যখন সে হিংসায় মত্ত থাকে।”
সুরা অবলম্বনে প্রার্থনা
বলো তুমি হে রসুল, হাবীব আমার,
শ্রেষ্ঠ মানব তুমি সারা দুনিয়ার,
বল, “তোমার আশ্রয় চাহি হে দয়াময়,
যখন পূর্বাচল আলোকিত হয়,
প্রভু তুমি ঊষাকাল, প্রভাত বেলার,
মার্জনা করো প্রভু, আমি গোনাহগার,
দূর কোরে দাও মোর চারিপাশ হোতে,
অনিষ্ট, ক্ষতি যত আছে জগতে।
নিশার তিমিরে ঢাকে দিনের বেলা,
ছুটে আসে আঁধারের তীক্ষ্ণ ফলা,
কদর্য কুতসিত পাপের ছায়া,
আলোহীন আত্মারা মিলায় কায়া,
তখন একটি শিখা অকূল পাথারে,
জ্বেলে রেখো দয়াময়, তুমি দয়া কোরে।
তোমার নিজের নূরে আলোকিত কোরে,
দেখাও সুপথ প্রভু এই অভাগারে।
তোমার পথের পরে কাঁটা ফেলে যারা,
ফুঁ দিয়ে নেভাতে চায় নূরের ফোয়ারা।
দিবানিশি কোরে যায় শুধু মন্ত্রণা,
সুপথের যাত্রীরে দেয় যন্ত্রণা,
সেই সব পাপীদের হোক অবসান,
তাদের ফেতনা হোতে করো পরিত্রাণ।
ব্যর্থ কোরতে চায় তোমার অভিপ্রায়,
তাদের দৃষ্টি হোতে দিও আশ্রয়।
আরো যত আছে বদ কলুষিত প্রাণ,
হিংসার দাবানলে জ্বলে দিনমান,
জিভের ডগায় বাস করে ইবলিস,
অকলুষ মনে ঢালে মিথ্যার বিষ,
তোমার হুকুমে তারা হোক বরবাদ,
ভেঙে যাক সব জালেমের বিষদাঁত।
হিংসার সুরাপানে তারা উন্মাদ,
শাররে হাসেদীন ইযা হাসাদ।

Wednesday, April 21, 2021

দামী দামী কথায় মনীষী প্লেটো

 বিশ্বাসের সাথে লড়লে অমরা হবো সব্যসাচী(On faith)

এক্সিলেন্স কোন গিফট নয় বরং এটা একটা দক্ষতা যা প্রাকটিসের ভেতর থেকে আসে। আমরা কাজ নিজেদের এক্সিলেন্ট মনে করি, তাই সঠিক কাজটি করি না। কিন্ত এটা জানা দরকার যে সঠিক কাজটি করলেই কেবল এক্সিলেন্ট হওয়া যায়!(On honing your skills)
যে সত্যি কথা বলে বোধ করি তার চেয়ে ঘৃনিত ব্যক্তি এ দুনিয়াতে আরে কেউ নয়।(On speaking the truth)
বাস্তবতা মনের অনন্য এক সৃষ্টি। তাই মনকে বদলে ফেললে বাস্তবতাকেও বদলানো যায়। (On Reality)
মানুষের ব্যবহার তিনটি প্রধান উতস থেকে প্রবাহিত: ১. আগ্রহ ২. আবেগ ৩. জ্ঞান( On the Sources of Civilization)
সব হৃদয়ই গান গায়। কিন্তু সেটা থাকে অপূর্ণ ততক্ষণ যতক্ষণ না আরেকটি হৃদয়ে সেই অনুরণন জাগে। তাই যারা গান গাইতে চাও, মানসম্পন্ন একটি গান/মন খোঁজো যার অনুরণন অপর হৃদয়ে জাগবে।(On Singing)
চিন্তা করা মানে নিজের মনের সাথেই নিবিড়ভাবে কথা কওয়া।(On the Definition of ‘thinking’)
দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য ভাল লোকদের আইন দরকার পড়ে না। কিন্ত খারাপ লোকেরা সব সময় এ ব্যাপারে আইনের ছুঁতো খোঁজে।(On the Law)
অল্পে তুষ্ট মনের চেয়ে আর কোন মন এত বড় হতেই পারে না।(On Wealth)
যখন তুমি কৃতজ্ঞ বোধ করবে তখন তুমি হবে বড় মনের অধিকারী আর তখন থেকেই তুমি সবচেয়ে সুন্দর কোন কিছুর দিকে আকৃষ্ট হবে।(On Gratitude)
শারীরিক উতকর্ষ ভাল মন আর উন্নত চরিত্র তৈরী করতে পারে না। অপরপক্ষে ভাল মন আর উন্নত চরিত্র এনে দিতে পারে শারীরিক উতকর্ষ(On Physical Fitness)
যে উন্নয়নের সিঁড়িতে পা রেখেছে এবং এগিয়ে চলছে সে যত ধীর গতির হোকনা কেন-তাকে বাধা দেবে ন।(On Progress)
ক্ষমতায় গেলে মানুষ যা যা করে সেটাই তার মূল্যায়ণের মাপকাঠি।(On Powerful People)
শিক্ষা হলো আমাদের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষণের আগ্রহ সৃষ্টি করা।( On Learning)
মানুষের তিনটি শ্রেণী: ১. প্রজ্ঞাপ্রেমী ২. সম্মানপ্রেমী ৩. ধনপ্রেমী (On Categorizing Society)
জনগণ হলো মাটির মতো। এরা হয় মানুষকে সহায়তা করে বড় হতে দেবে নয়তো তারা মানুষকে টেনে নীচে নামাবে প্রবৃদ্ধি স্থবির করে দেবে এবং হীন করে মেরেই ফেলবে।( On the Presence of People
কেবল মৃত মানুষেরাই যুদ্ধের শেষটা দেখতে পাবে।(On never-ending war)
জোর করে যে শিক্ষা দেয়া হয়ে তা মনের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না।(On Obtaining Knowledge)
চিকিতসকদের এটাই সবচেয়ে বড় ভুল যে তারা মনকে সঠিক না করে কেবল শারীরকে সুস্থ করতে চায়। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে শরীর আর মন তো একই মানুষের। তাই শরীর ও মনকে একই সাথে চিকিতসার আওতায় আনতে হয়।(On Medicine)
আমি জীবন দিয়ে পরীক্ষা করবো যে সমালোচকরা হলো মিথ্যেবাদী।(On Determination in the Face of Judgment)
২টি অবস্থায় মানুষের রাগ করতে নেইঃ ১. যখন সে সইতে পারবে ২ যখন সইতে পারবে না (On Rage)

Sunday, April 18, 2021

সাত বৈশিষ্ট্যে 'ভালো মেয়ে' বলে বিবেচিত হয় নারীরা

 ১. সেবিকার মনোভাব : একজন পুরুষ সঙ্গিনী হিসেবে এমন একজন ভালো মেয়ে চান, যিনি কষ্টের সময় দুই হাত বাড়িয়ে দেবেন। রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে বাচ্চা কেঁদে উঠলে তাকে আগলে রাখবে। অর্থাৎ, যে মেয়েদের মনে আন্তরিক মমত্ববোধ রয়েছে এবং তার মাঝে সেবিকার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তারাই ভালো মেয়ে বলে বিবেচিত হয়।

২. বিশ্বাসযোগ্যতা : একজন পুরুষ যখন আপনাকে তার হৃদয়টা দিয়ে দেবেন, তখন তিনি চাইবেন তা যেন ভেঙে না যায়। পুরোপুরি বিশ্বাস যায়, এমন মেয়েই খোঁজেন পুরুষরা। বিশ্বাসযোগ্য বলে যাকে মনে হয়, তিনিই ভালো মেয়ে।
৩. সততা : এমন সঙ্গিনী চান পুরুষরা যাকে নিয়ে নির্দ্বিধায় যেকোনো জায়গায় যাওয়া যায়। যে কিনা সঙ্গীর সঙ্গে তার সম্পর্ককে কখনো ভুলে গিয়ে অন্য কিছু করে বসবেন না। নারীদের মাঝে প্রতারণা প্রবৃত্তি থাকলে তা উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন পুরুষরা। সততা যার মাঝে পরিষ্কার, তিনি স্বাভাবিকভাবেই ভালো মেয়ে হয়ে ওঠেন।
৪. নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব : পুরুষরা এমন নারীর স্বপ্ন দেখেন যিনি কিনা সঙ্গী ভেঙে পড়লে তাকে সর্বশক্তি দিয়ে তুলে আনার চেষ্টা করবেন। সঙ্গীর যেকোনো সমস্যার কথা তাকে জানানো যায় এবং ভালো পরামর্শ পাওয়া যায়। যিনি প্রয়োজনে হাল ধরার ইচ্ছাও রাখেন। এমন মেয়ে নিঃসন্দেহে ভালো একজন মেয়ে।
৫. নিরহংকার : অহংকারী নারীদের একেবারে পছন্দ করেন না পুরুষরা। কিন্তু তার ভেতরের গুণগুলোকে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখেন। আপনার মাঝে ভালো কোনো গুণ থাকলে তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখবেন পুরুষরা। কিন্তু এ নিয়ে অহংকারী মনোভাব মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। যার অহংকার নেই, তারই ভালো মেয়ের মন্তব্য জুটে যায়।
৬. বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন : আদালতের বিচারকের মতো জ্ঞান-বুদ্ধির দরকার নেই, কিন্তু সাধারণ বিচারবুদ্ধি নারীদের কাছে আশা করেন পুরুষরা। হতে পারে তা সঙ্গীর কালো অতীতকে কখনো তুলে না আনা অথবা পরিস্থিতি অনুধাবন করে এমন কিছু না করা যা পরিস্থিতি বদলে দেয়। কিন্তু ন্যুনতম বিচারবুদ্ধি থাকলেই তিনি ভালো মেয়ের দলের মানুষ।
৭. স্বচ্ছতা : নারীর মাঝে মিথ্যা থাকলে তা কোনো ছাড় দিতে চান না পুরুষরা। যে নারী বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে বলে ডেটিং করতে যান, তাকে নিশ্চয়ই ভালো মেয়ে বলবেন না কোনো পুরুষ। কিন্তু একজন মেয়ে যেমন তার পুরোটা স্বচ্ছ থাকলেই তিনি সবার চোখে ভালো মেয়ে হয়ে ওঠেন।
সূত্রঃ বিভিন্ন

Saturday, April 17, 2021

মুখের স্বাস্থ্যরক্ষায় ঘরোয়া মুষ্টিযোগ

 ১. ত্রিফলা মাউথওয়াশ: যাঁদের পায়েরিয়ার সমস্যা রয়েছে বা দাঁতের গোড়া হামেশাই ফুলে যাচ্ছে, রক্ত পড়ে, ত্রিফলার ক্বাথ দিয়ে নিয়মিত গণ্ডুষ করুন। হাতেনাতে ফল পারেন।

২. দাঁতের যন্ত্রণায় লবঙ্গ তেল
দাঁতে যন্ত্রণায় কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল তুলোয় নিয়ে ব্যথার স্থানে দিন।
৩. জ্বিহার ক্ষতে মধু ও হলুদ
মাঝেমাঝে জিভে ঘা হচ্ছে বা মুখের ভিতর গোল হয়ে লালচে ভাব দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মধু ও হলুদ মিশিয়ে দিনে তিনবার মতো প্রলেপ দিন। তবে ঘা পুরোনো হলে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া উচিত।
৪. গলাব্যথায় সৈন্ধব লবণ ও জলের গার্গেল
ঠান্ডা লেগে ঢোক গিলতে সমস্যা, গলা খুসখুস বা ব্যথাভাব দেখা দিলে গরম জলে সৈন্ধব লবণ গুলে দিন তিনেক গার্গেল করলে অভূতপূর্ব উপকার মেলে। এটি প্রাথমিক পর্যায়ের সংক্রমণ ও টনসিলের সমস্যাতে উপকারী।
৬. মুখের ক্ষত ও গলার ক্ষতে মেহেন্দি পাতা
মেহেন্দি পাতা সিদ্ধ জলের গণ্ডুষ ধারণ করলে মুখের প্রাথমিক পর্যায়ের ক্ষত, গলার ক্ষত এবং পায়েরিয়ায় উল্লেখযোগ্য ফল মেলে।
নিয়মিত দু-বার দাঁত মাজা, মিষ্টি দ্রব্য সেবনের পর কুলকুচি করুন।
-bartamanpatrika Ref.

Difference between Intelligence and Wisdom

 1. Intelligence leads to arguments.

Wisdom leads to settlements.
2. Intelligence is power of will.
Wisdom is power over will.
3. Intelligence is heat, it burns.
Wisdom is warmth, it comforts.
4. Intelligence is pursuit of knowledge, it tires the seeker.
Wisdom is pursuit of truth, it inspires the seeker.
5. Intelligence is holding on.
Wisdom is letting go.
6. Intelligence leads you.
Wisdom guides you.
7. An intelligent man thinks he knows everything.
A wise man knows that there is still something to learn.
8. An intelligent man always tries to prove his point.
A wise man knows there really is no point.
9. An intelligent man freely gives unsolicited advice.
A wise man keeps his counsel until all options are considered.
10. An intelligent man understands what is being said.
A wise man understands what is left unsaid.
11. An intelligent man speaks when he has to say something.
A wise man speaks when he has something to say.
12. An intelligent man sees everything as relative.
A wise man sees everything as related.
13. An intelligent man tries to control the mass flow.
A wise man navigates the mass flow.
14. An intelligent man preaches. A wise man reaches.
Intelligence is good but
Wisdom achieves better results.

Thursday, April 8, 2021

বন্ধুত্বের আদ্যোপান্ত

 A TO Z OF FRIENDSHIP

পৃথিবীর বুকে একমাত্র সম্পূর্ণ সম্পর্ক হচ্ছে বন্ধুত্ব। অন্য সব সম্পর্কেই কিছু না কিছু আড়াল থাকে, কিন্তু বন্ধুত্বই একমাত্র সম্পর্ক যেখানে কোনো আড়াল থাকে না। বন্ধুত্বের আরও একটা লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এর গভীরতা বা ব্যাপকতা। একজন বন্ধু অন্য একজন বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করে না এমন কোনো বিষয়বস্তু এই দুনিয়াতে নেই। বন্ধুত্বের সবচেয়ে পছন্দনীয় দিক হচ্ছে, এটাকে কখনই বয়সের মাপ কাঠিতে বাঁধা বা মাপা যায় না। তাইতো বলা হয়- FRIENDSHIP KNOWS NO RACE, RELIGION AND STATUS OF LIFE.

A= ACCEPTS AS YOU ARE তুমি যা সেভাবেই তোমাকে নেয়

B= BELIEVES IN YOU তোমাকে বিশ্বাস করে

C= CELEBRATES YOUR SUCCESS তোমার সাফল্য সেলিব্রেট করে

D= DEFENDS YOU তোমাকে রক্ষা করে

E= ENCOURAGES YOU তোমাকে উতসাহিত করে

F= FORGIVES NO MATTER WHAT তুমি যা ই করো না কেন -তোমাকে ক্ষমা করে

G= GIVES WHAT YOU NEED যা চাও তা ই তোমাকে দেয়

H= HAS PATIENCE WITH YOU তোমার ব্যাপারে অধৈর্য হয় না

I= INSPIRES YOU তোমাকে অনুপ্রাণিত করে

J= JUDGES YOU RARELY BUT FAIRLY খুব কম তোমাকে বিচার করে কিন্ত বিচার করে সঠিকভাবে

K= KEEPS YOUR SECRETS তোমার গোপনগুলো গোপন রাখে

L= LOVES YOU FOR WHAT YOU ARE যে ভাবে রয়েছো সেভাবেই তোমাকে ভালবাসে

M= MAKES YOU FEEL BETTER তোমাকে ভাল থাকতে সাহায্য করে

N= NEVER ABANDONS YOU তোমাকে ছেড়ে যায় না

O= OPENS DOOR FOR YOU তোমার জন্য দুয়ার খুলে রাখে

P= PRODS/PUSHES YOU তোমাকে সামনের দিকে ঠেলে দেয় ওপরে উঠতে

Q= QUELLS/SUPPRESSES YOU কখনো কখনো তোমাকে দমিয়ে রাখে

R= RESTORES YOUR CONFIDENCE তোমার আস্থা ফিরিয়ে আনে

S= SHARES YOUR JOYS AND GRIEF তোমার আনন্দ বেদনা শেয়ার করে

T= TELLS YOU THE TRUTH তোমাকে সত্যিটাই বলে

U= UNERSTANDS YOU BEST তোমাকে সবচেয়ে ভাল বোঝে

V= VALUES YOU তোমার মূল্যায়ন করে

W= WANTS THE BEST FOR YOU তোমার জন্য সব থেকে ভালটাই চায়   

X= XPECTS (EXPECTS) THE BEST FROM YOU তোমার কাছ থেকে সবচেয়ে ভালটা আশা কর

Y= YANKS/PULLS YOU BACK TO REALITY তোমাকে সত্যের দিকে ফিরে আনে

Z= ZERO’S ON WHAT YOU WRONG তোমার ভুল হলেও তা মনে রাখে না।

-হোয়াটউইলম্যাটারডটকম

Monday, April 5, 2021

Let’s pray

 O Allah (SWT)

Forgive us for missing of Salah
Forgive us for Backbiting
Forgive us for abandoning Your Quran
Forgive us for sinning
Forgive us for zina of the eyes, ears and mind
Forgive for betraying Your trust
Forgive us for wasting time
Forgive us all our sins, big or small.
Ameen

A Prayer

 O Allah!

Enlighten what is dark in me
Strengthen what is weak in me
Mend what is broken in me
Bind what is bruised in me
Heal what is sick in me
Straighten what is crooked in me
Revive whatever peace and love died in me

দরকারী কথাগুলো

 EXAMPLE

IT IS VERY EASY TO CITE
AN EXAMPLE
BUT
IT VERY DIFFICULT TO BECOME
AN EXAMPLE.


DECISION
CORRECT DECISION CAN DOUBLE THE CONFIDENCE
AND A WRONG DECISION CAN DOUBLE THE EXPERIENCE.
SO NO NEED TO WORRY ABOUT BOTH SITUATIONS.
CONTINUE TO DO EFFORTS.


SUSPENSE OF LIFE
THE BIGGEST SUSPENSE OF LIFE IS THAT…
YOU DON’T KNOW WHO IS “PRAYING” FOR YOU AND WHO IS “PLAYING” WITH YOU.


CLOCK AND RELATIONSHIPS
GOOD RELATIONS ARE LIKE NEEDLES OF CLOCK.
THEY ONLY MEET FOR SOMETIME BUT ALWAYS STAY CONNECTED.


IMPROVEMENT
IMPROVEMENT AT ANYTHING
IS BASED ON
THOUSANDS OF TINY FAILURES.







ফিল্টার করা কথাগুলো

 SMILE, it will make you look better.

PRAY, it will keep you strong.
LOVE, it will help you enjoy life more.

সফল মানুষদের সপ্তাহান্তের কাজ

 ১. তারা বই পড়ে

২. তারা পরিবারকে সময় দেয়
৩. তারা শরীর চর্চা করে
৪. তারা তাদের ভালো লাগার জিনিসের পেছনে সময় দেয়
৫. তারা সুন্দর করে খায় (সবার সাথে)
৬. তারা রাতে আগেই বিছানায় যায়, দিনে নেয় ক্যাট স্লিপ
৭. তারা নতুন কিছু করার জন্য ভাবে
৮. তারা প্রকৃতির কাছাকাছি যায়
৯. তার সব কিছু বাদ রেখে একাকী অনেকটা সময় থাকে

বান্দার হক ক্ষমার যোগ্য না আল্লাহর দরবারে

 ইসলামী গল্প

এক ব্যক্তি এক বুজুর্গের কাছে বলল যে শুনেছি বুজুর্গদের বিভিন্ন রঙ হয়, তা আমি দেখতে চাই।
কিন্তু বুজুর্গ বললেন, নিজের কাজ করো এসব কথায় ব্যস্ত হতে হবে না। ব্যক্তিটি নাছোড়বান্দা, তা দেখেই ছাড়বে।
বুজুর্গ বললেন, এক মসজিদের সামনে তিন বুজুুর্গ আল্লাহর জিকিরে মশগুল আছেন। সবাইকে একটি করে ঘুষি মারবে। পরে তাদের প্রতিক্রিয়া কি তা এসে আমাকে জানাবে।
যেই কথা সেই কাজ, পরিশেষে দেখা গেল একজন বুজুর্গ এক এক রকম আচরণ করলেন। তিনজনের তরিকাই জায়েজ ছিল।
প্রথমটা জায়েজ ছিল এ কারণে যে, তিনি ঘুষির পরিবর্তে ঘুষি দেন। এতে সমপর্যায়ের বদলা নেয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মন্দের প্রতিশোধ অনুরূপ মন্দ’ (শূরা :৪০)। বুজুর্গ ভাবলেন তার ওপর সমপর্যায়ের বদলা নিয়ে তার কল্যাণকামী হতে, কারণ এর জন্য যেন সেই ব্যক্তিকে হাশরের দিন পাকড়াও করা না হয়।
দ্বিতীয় বুজুর্গ ব্যক্তিটিকে ক্ষমা করে দেন এবং কোনো রকম বাড়াবাড়ি করতে চাননি। এটাও জায়েজ। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্য যে সবর করে ও ক্ষমা করে দেয়, তা তো দৃঢ় সঙ্কল্পেরই কাজ’ (শূরা : ৪৩)। বস্তুত ক্ষমা করাই রাসূল সা:-এর সুন্নত। আর সময়ের মূল্য দিতে গিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলেন।
আর তৃতীয় বুজুর্গটি সম্পূর্ণ ভিন্ন রঙের। তিনি নিজের ব্যথার কথা ভুলে বরং সেই ব্যক্তিটির ব্যথার কথা ভাবছিলেন। তাই উঠে সেই ব্যক্তির হাত টিপে দিচ্ছিলেন। আসলেই বান্দার হক ক্ষমার যোগ্য না আল্লাহর দরবারে।
-সূত্রঃ ‘আরোয়াহে ছালাছা’ হজরত থানভী রহ:

পিতা-মাতার হক সম্পর্কে ছয় উপদেশ

 এক. পিতা-মাতার সাথে সদা সদ্ব্যবহার করো (সূরা বনি ইসরাইল)

দুই. তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না (সূরা বনি ইসরাইল)।
তিন. তাদেরকে ধমক দিও না (সূরা বনি ইসরাইল)!
চার. এবং বলো তাদেরকে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা (সূরা বানি ইসরাইল)।
পাঁচ. তাদের সামনে ভালোবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও (সূরা বানি ইসরাইল)!
ছয়. বলো, হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম করো, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন (সূরা বনি ইসরাইল)।
-সূত্র: নয়া দিগন্ত

উপহার ও হাদিয়া হতে হবে নিঃস্বার্থে

 উপহার, উপঢৌকন, হাদিয়া ও শুভেচ্ছা বিনিময় পরস্পর সম্পর্ক সুদৃঢ় করে। ইসলাম মানুষের বন্ধন সুদৃঢ় করতে চায়। তাই রাসুল (সা.) উপহার ও হাদিয়া আদান-প্রদানের তাগিদ দিয়েছেন।

এমনকি কেউ হাদিয়া দিলে তার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যাকে দান করা হয়েছে তার সামর্থ্য থাকলে সে যেন এর প্রতিদান দেয়। যার সামর্থ্য নেই, সে যেন প্রশংসা করে। কেননা যে প্রশংসা করল, সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। আর যে তা গোপন করে, সে তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮১৩)
কিন্তু এই উপহার ও হাদিয়া হতে হবে নিঃস্বার্থে। পার্থিব কোনো মতলব দিয়ে উপহার বা হাদিয়া দিলে তা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে। আবু হুমায়দ সাইদি (রা.) বলেন, নবী (সা.) আজদ গোত্রের ইবনুল লুত্বিয়্যাহ নামক এক ব্যক্তিকে জাকাত উসুলের উদ্দেশে কর্মচারী নিয়োগ করেন। সে যখন (জাকাতের উসুলকৃত) মালামাল নিয়ে এসে নবী (সা.)-এর নিকট অর্পণ করল, তখন বলল, এগুলো হচ্ছে আপনাদের, আর ওটা আমাকে উপঢৌকনস্বরূপ দেওয়া হয়েছে। তখন নবী (সা.) বলেন, তুমি তোমার মাতা-পিতার ঘরে বসে থেকে দেখলে না কেন, তোমার জন্য উপঢৌকন প্রেরিত হয় কি না? তারপর নবী (সা.) খুতবা দিতে দাঁড়ালেন। (মুসলিম, হাদিস : ৪৬৩৩)
তবে কিছু মানুষ এমন আছে, পদের অধিকারী হলেও যারা হাদিয়া গ্রহণ করতে পারবেন, তাঁরা হলেন :
(১) নিজের মাহরাম আত্মীয়দের থেকে।
(২) যারা তাকে এ পদ লাভ করার আগেও হাদিয়া দিত, এখনো সেই পরিমাণ দেয় তাদের থেকে হাদিয়া নেওয়া যাবে।
(৩) নিজের পদের চেয়ে ওপরের পদবিধারী থেকে হাদিয়া নেওয়া যাবে। শর্ত হলো, তার পদ দ্বারা তাদের উপকৃত হওয়ার উদ্দেশ্য থাকতে পারবে না। (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার : ৪/৩১১)
সূত্র: মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ/কালের কন্ঠ

ঝিঙের গুণ

 নজরুলের ঝিঙে ফুল কবিতা মনে আছে তো?

ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল।
সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল –
ঝিঙে ফুল।
গুল্মে পর্ণে
লতিকার কর্ণে
ঢলঢল স্বর্ণে
ঝলমল দোলো দুল –
ঝিঙে ফুল॥
আমার মা ঝিঙেকে বলতেন “তরী”। ভর্তা বানাতেন তরী দিয়ে। আমার আর কিছু লাগতো না ভাতের সাথে।
পাখীর মধ্যে খয়েরী হাঁড়ীচাঁচা -Dendrocitta vagabunda হলো ঝিঙের ১নং শত্রু। ঝিঙে বড় হলেই ওরা হাজির। খেয়ে দেয়ে কর্কশ স্বর তুলে বিদায়।
১. খাবারে অরুচি হলে কচি ঝিঙে ও শিং মাছের ঝোল খান।
২. ঝিঙে রক্তকে দূষণ থেকে রক্ষা করে। লিভারের জন্যও উপকারি। ঝিঙের রস খেলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। বিশেষ করে লিভারে অ্যালকোহলের ক্ষতিকর প্রভাব দূর করে। জন্ডিসের আদর্শ পথ্যও ঝিঙে।
৩. ঝিঙে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। শরীরের বিষাক্ত উপাদান বা টক্সিন বের করে দেয়। নিয়মিত ঝিঙে খেলে ত্বক ভাল থাকে। বিভিন্ন রোগজীবাণু, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৪. ঝিঙেতে রয়েছে পেপটাইড এনজাইম যা সুগার কমায়, রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবিটিক রোগিদের জন্য ঝিঙে মহৌষধ!
৫. ঝিঙে ফাইবারে ভরপুর! কাজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। অ্যাসিডিটি ও আলসার সারায়। পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে খাবার হজমে সাহায্য করে। পাইলস-এও খুব উপকারি!
-নিউজ১৮ ও জেনারেল জুওলজি

মানব শরীরের মৌসুমী হালচাল, রোগ বালাই এবং ব্যবস্থাপত্রঃ আয়ুর্বেদের নিরিখে

 কি করবেন ইম্যুনিটি বাড়াতে?

বায়ু-পিত্ত-কফ। আয়ুর্বেদ মতে এই তিন দোষ সাম্যাবস্থায় মানেই শরীর নীরোগ রয়েছে। আর বৈষম্য হলেই হয় রোগের উদ্ভব। বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য ছয় ঋতুর বিভিন্ন সময়ে ওই তিন দোষের মধ্যে বৈষম্য ডেকে আনে। ফলে বিশেষ ঋতুতে বিশেষ সমস্যা এবং ঋতু পরিবর্তনকালীন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তবে আল্লাহর অশেষ করুণায় প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মেই মানবদেহের তিন দোষকে সাম্যাবস্থায় রাখতে প্রতিটি ঋতুতে বিশেষ শাকসব্জি ও ফলমূল দান করে। সব মরশুমি শাকসব্জি এবং ফলে প্রচুর পরিমাণে ‘ভিটামিন সি’, ‘ভিটামিন ই’ এবং ‘ভিটামিন এ’-র পূর্বসূরি ‘বিটা ক্যারোটিন’ থাকে। সঙ্গে থাকে অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ এবং ‘অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট’। এই উপাদানগুলি শরীরের মধ্যে উৎপন্ন হওয়া ক্ষতিকর কিছু রাসায়নিক দ্রব্য থেকে বিভিন্ন অঙ্গকে রক্ষা করে। গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
১. গরমেঃ দিনের পর দিন বাড়ছে তাপমাত্রা। তবে খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই মরশুমেও আপনি পেতে পারেন স্বস্তি। গ্রীষ্মে মানবদেহ বায়ু দোষ সঞ্চয়প্রাপ্ত হয়। অন্যদিকে প্রশমিত হয় কফ দোষ। আসে জলহানি জাতীয় দৌর্বল্য। প্রচণ্ড আর্দ্রতার কারণে এখন আমাদের প্রচুর ঘাম হচ্ছে। ফলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তাই গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য জামরুল, শসা, ফুটি(বাঙ্গি), আম, তরমুজ, আঙুর এবং লিচুর মতো ফল খুবই উপকারী। সব্জির মধ্যে উচ্ছে, ঝিঙে, পটল, করলা, ঢ্যাঁড়স, কুমড়ো, কলমি শাক, পুঁই শাক, সজনে শাক পিত্ত দোষ উপশম করে জলহানি কমায় এবং তিন দোষের মধ্যে সাম্য আনে।
২. বর্ষায় বায়ুর প্রকোপ বাড়ে। তাই অস্থিরতা, নিদ্রাহীনতা, অতিসার বা ডায়ারিয়ার মতো রোগে মানুষ প্রায়ই ভোগেন। এই সময় মরশুমি ফল পেয়ারা, কলা এবং সব্জির মধ্যে ঝিঙে, পটল, চালকুমড়ো, ক্যাপসিকাম, বেগুন, আমড়া, হিঞ্চে ও গিমে শাক শরীরের পক্ষে হিতকর। সঙ্গে রান্নায় শুকনো আদা, জিরে, ধনে, গোলমরিচ ইত্যাদি মশলা পরিমিত মাত্রায় খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত। এগুলি পিত্তবল বাড়ায়।
৩. শরতে পিত্তের প্রকোপ দেখা যায়। এই সময় ওল, কচু, মানকচু, লাল শাক, পটল ইত্যাদি সব্জি এবং ফল হিসেবে সবেদা, বাতাবিলেবু, আনারস, পানিফল, তাল, আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এই সব ফল ও শাকসব্জি পিত্তকে প্রশমন করে এবং ত্রিদোষকে সাম্যাবস্থায় আনে।
৪. হেমন্তে পিত্ত দোষ প্রশমিত করতে খান মুসম্বি, শরতের মরশুমি ফল এবং শাকসব্জি।
৫. শীতকালে কফ দোষ সঞ্চিত হয়। এটি সব্জির সময়। বিট, গাজর, বিনস, মটরশুঁটি, টম্যাটো, সিম, পেঁপে, মেথি শাক শরীরের পক্ষে হিতকর। তবে বেশি পরিমাণে ফুলকপি ও বাঁধাকপি খাওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। ফলের মধ্যে কমলালেবু এবং বেদানা স্বাস্থ্যকর।
৬. বসন্তে কফের প্রকোপ হয়। কচি নিমপাতা, সজনে ডাঁটা, করলা, উচ্ছে, পটল, বেগুন, লাউ, কুমড়োর মতো সব্জি এবং ফলের মধ্যে আমলকী, পাকা বেল, বেদানা, কুল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
তুলনায় দুর্বল এবং রুগ্নদের জন্য সারাবছর পরিমিত কলা, খেজুর, কাজু, চিনাবাদাম, আখরোট, আমন্ড ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর উপাদান খাওয়া যেতে পারে।
প্রকৃতির নিয়মে উৎপন্ন হওয়া শাকসব্জি, ফলমূল খাওয়াই ওই তিন দোষ বৈষম্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোত্তম উপায়।
আয়ুর্বেদবেত্তারা সেই বিধানই দিয়েছেন।
-বর্তমান পত্রিকা

মৌমাছি ও মধু

 কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তাআলা ও রাসুলুল্লাহ (সা.) একাধিকবার মধু এবং মৌমাছির ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। এতে খুবই অবাক করার মতো তথ্য আছে।

মৌমাছির ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর আপনার পালনকর্তা মধু-মক্ষিকাকে আদেশ দিলেন, তোমরা পর্বত, বৃক্ষ ও উঁচু মাচা বা চালের মধ্যে গৃহ নির্মাণ করো। এরপর সব ধরনের ফল থেকে আহার গ্রহণ করো এবং আপন পালনকর্তার পথসমূহে চলো।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮)
কোরআনের অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তার (মক্ষিকা) পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রোগের প্রতিকার আছে। নিশ্চই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন আছে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৯)
হাদিসে এসেছে, জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের ওষুধের যেগুলোতে আরোগ্য আছে তা হলো, শিঙ্গা লাগানো, মধু পান করা...।’ (বুখারি ও মুসলিম, হাদিস : ৬১৭, ২০৩২)
অন্য এক হাদিসে আছে, আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলল, আমার ভাইয়ের ডায়রিয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, তাকে মধু পান করাও। সে গিয়ে তার ভাইকে মধু পান করাল। এভাবে দুইবার হলো। এবং প্রতিবারই সে রোগের অভিযোগ করল। তখন রাসুল (সা.) প্রতিবার তাকে মধু পান করাতে বলেন। লোকটি আবার এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তার পায়খানা তো আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন তিনি বলেন, আল্লাহ সত্যবাদী এবং তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যাবাদী। সে আবার গেল এবং তাকে মধু পান করাল। এবার সে পুরোপুরি আরোগ্য হয়।’ (বুখারি, ৫/২৯১, তিরমিজি, হাদিস : ২০২৩)
আরেক হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন মধু সেবন করবে সে বড় ধরনের কোনো রোগে আক্রান্ত হবে না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২/১১৪২)
রেফাঃ আল কুরআন, আল হাদীস

শাক সব্জি খেয়ে সুস্থ থাকা যায়

 মার্চের শুরুতেই সূর্যের চোখরাঙানি শুরু। খাতায় কলমে যে বসন্ত, কে বলবে! দিনের বেলায় বাইরে বেরলেই ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা। এই সবে শুরু, আগামীদিনে আরও প্রখর রোদ্দুর অপেক্ষা করে বসে আছে। তাই এই তীব্র তাপদাহের মধ্যে শরীরকে ঠিক রাখতে খাবার সম্পর্কে একটু বিশেষ সচেতনতা দরকার বৈ কি। তবে জানলে অবাক হবেন, এই কঠিন সময়টাকে নির্ঝঞ্ঝাটে কাটিয়ে দেওয়ার সমস্ত খাদ্য প্রকৃতি আমাদের সামনেই সাজিয়ে রেখেছে। এবার এমনই কিছু সব্জি এবং শাকের সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক যা আপনার শরীরকে গ্রীষ্মের নানা সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে—

ঝিঙেঃ ঘামের সঙ্গেই শরীর থেকে বেরিয়ে যায় সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরিনের মতো দরকারি ইলেকট্রোলাইটস। এই ঘাটতি পূরণের কাজে ঝিঙে হতে পারে আপনার হাতের কাছের অন্যতম বিকল্প। কারণ ঝিঙের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম, পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজের সমাহার রয়েছে। এছাড়া ঝিঙে হজমেও বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি দুর্বলতা কাটাতেও এই সব্জির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। নানান অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ এই খাদ্য রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে জোরালো করতেও সাহায্য করে। গোটা গ্রীষ্মকাল জুড়েই এই সব্জি পাওয়া যায়।
ঢেঁড়শঃ নামে যাবেন না, গুণের দিক থেকে এই সব্জির জবাব নেই! গরমেই এই সব্জির ফলন বাড়ে। ঢেঁড়শ নানাভাবে শরীরকে সুস্থসবল রাখতে সাহায্য করে। আর সব থেকে বড় কথা, ঢেঁড়শ হল শীতল প্রকৃতির সব্জি। তীব্র গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এই খাদ্য। তাই ঢেঁড়শ খেলে অনেকের ঠান্ডাও লাগে। পাশাপাশি পেটের নানা সমস্যাতেও দারুণ কাজ করে এই সব্জি। এই সব্জিতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, আয়রনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই শরীরের সার্বিক পুষ্টি রক্ষাতেও ঢেঁড়শের বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
পটলঃ মোটামুটি প্রতিটি বাঙালি পরিবারেই পটল খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এই বিশেষ খাদ্যবস্তুটি আয়রন, সোডিয়াম সমৃদ্ধ। ফলে শরীরে খনিজের ঘাটতি পূরণেও এই খাদ্যের গুরুত্ব আছে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি যা শরীরের পুষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ। আবার এই সহজপাচ্য খাদ্যটি গরমের নানাবিধ পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যা দূরে রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
সজনে ডাঁটাঃ এই বিশেষ খাদ্যটি নানান গুণে সমৃদ্ধ। এই ডাঁটার মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ। এছাড়া সজনে ডাঁটা নিয়মিত খেলে চিকেন পক্স সহ এই সময়ে নানাবিধ ভাইরাসগঠিত রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি তৈরি করে। পাশাপাশি হজমশক্তির উন্নতিতেও এই সব্জির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আবার রক্তচাপের সমস্যা এবং ঘুমের বিভিন্ন অসুখে এই সব্জি খেলে উপকার মেলে।
গিমা শাকঃ গ্রাম-বাংলার এই বিশেষ রসদ আজ অবহেলিত। যদিও গুণাগুণের নিরিখে এই শাককে টেক্কা দেওয়া বেশ কঠিন। গরমেই এই শাক বেশি পাওয়া যায়। স্বাদে তিতো। এই শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, সি। আছে নানান খনিজ। ফলে শরীরে ভিটামিন ও খনিজর ঘাটতিও মেটে। গরমকালে খিদে বাড়াতে সাহায্য করে এই শাক। শরীরকে সার্বিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কচি নিম পাতাঃ নিমের গুণাগুণ নিয়ে যত বলা যায়, ততই কম। নানাবিধভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে নিম পাতা। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই খাদ্য। তাই গরমের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ দূরে রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া নিম হজমের সমস্যা কমায়। হার্ট ভালো রাখে। গরমে বেড়ে ওঠা মূত্রনালীর নানা অসুখকে প্রতিহত করে। আর সকলেই নিশ্চয়ই জানেন, ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগকে প্রতিহত করতেও নিম পাতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই শুধু গ্রীষ্ম নয়, গোটা বছরই পাতে থাকুক কচি নিম পাতা।
হিনচে শাকঃ ‌আরও একটি অবহেলিত খাদ্য। এই শাকটিও নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। রয়েছে ভিটামিন এবং খনিজ। এছাড়া নিয়মিত এই শাকটি খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে। পাশাপাশি গরমের বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি দূরে রাখতেও সাহায্য করে। অরুচি দূর করতেও হিমচে শাক যথেষ্ট কার্যকরী।
অন্যান্য
পেঁপে, কুমড়ো, কাঁচকলা, গাজর, পুঁইশাক, পালংশাক, লালশাকসহ বাজারজাত প্রায় প্রতিটি শাকসব্জিই গুণে সমৃদ্ধ। তাই সব শাকসব্জিই খান।
কতটা খাবেন?
রোজই দিনে দু’বেলা অন্তত একবাটি শাকসব্জি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তবেই পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
কীভাবে রান্না?
শাকসব্জি রান্নার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। ময়লা যেন না থাকে। তেল, মশলা কম ব্যবহার করে রান্না করুন।
-বর্তমান পত্রিকা সূত্র
Kaniz Hasneen Mumoo, Atowar Khan and 2 others

অতিমাীরর সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অজু

 বৈশ্বিক মহামারি করোনা শুরুর পর দেশে দেশে হাত ধোয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী, চিকিতসক ও সমাজকর্মীরা সোচ্চার হয়েছেন। হাত যেন পরিষ্কার থাকে, হাত থেকে হাতে বা হাত থেকে নাকে-মুখে যেন ভাইরাস না ছড়ায় সেটিই ছিল এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য। হাত ধোয়ার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস নামে একটি দিবসও পালন করা হয়। দুটি চেষ্টাই ঐচ্ছিক। ব্যক্তি চাইলে করতে পারে, না-ও পারে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা ইসলামী শরিয়তের মাধ্যমে মানবজাতিকে এমন ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেছেন, যাতে একজন মুসলিম প্রতিদিন ১৫ বার করে শুধু হাতই নয়; বরং নাক-মুখসহ দেহের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গ ধুতে হয় এবং সেটি আবশ্যিকভাবে। যার নাম অজু।

একজন মুসলিম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচবার অজু করে থাকেন। এই অজুগুলোতে সে ১৫ বার কনুই পর্যন্ত হাত ধোয়, ১৫ বার কুলি করে, ১৫ বার নাক পরিষ্কার করে, ১৫ বার সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল ধোয়, ১৫ বার পা ধোয়, পাঁচবার মাথা ও ঘাড় মাসেহ করে (ভেজা হাত বোলানো)। অজুতে কাজগুলো বিশেষ যত্নসহ করা হয়। পরিষ্কার যেন ঠিকভাবে হয় বা অণুমাত্র অংশও যেন শুকনো থেকে না যায়, সে ব্যাপারে তারা যথেষ্ট সচেষ্ট থাকে। এভাবে প্রতিদিন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ১৫ বার করে ধোয়ার ফলে শরীর যেমন পরিচ্ছন্ন থাকে, তেমনি তাতে কোনো ধরনের রোগ-জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বহুলাংশে কমে যায়। তাই অজু হতে পারে স্বাস্থ্য সুরক্ষার অন্যতম মাধ্যম, সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরক্ষা।
মানুষের শরীরের যেসব অঙ্গ খোলা থাকে যেমন হাত, মুখ, নাক, চোখ, পা ইত্যাদি অজুর মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫ বার ধোয়া হয়। এতে অঙ্গগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়। সব সময় খোলা থাকার কারণে বিভিন্ন কাজ করার সময় এগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ধুলা-ময়লা জমে এবং দুর্গন্ধ তৈরি হয়। অজুর মাধ্যমে তা দূর হয়। দিনের অজু ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে, ফজরের অজু সারা রাতের ঘুমের পর ব্যক্তিকে সতেজ করে তোলে। এতে মানুষের মনে-মগজে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায়। চিকিতসাবিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অজুর অনেকগুলো উপকারের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন মানবদেহের বাহ্যিক সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য দেহে Lymphatic Sistem সঠিক পদ্ধতিতে সক্রিয় হওয়া আবশ্যক। অজু এ কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মানবদেহের অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে নাসারন্ধ্র্রের মধ্যে থাকা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিচ্ছন্নতা ও সুরক্ষা আবশ্যক। শুধু অজুর মাধ্যমেই নাসারন্ধ্রের এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধোয়া হয়ে থাকে। অজুর মাধ্যমে ঘাড়ের দুই পাশে কম্পন সৃষ্টি করা যায়। এতে Lymphatic Sistem আরো সক্রিয় হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমের জন্য বিছানায় যাওয়ার আগে নিয়মিত অজু করতেন। বারা ইবনে আজিব (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেছেন, তুমি যখন বিছানায় যাওয়ার ইচ্ছা করো, তখন অজু কোরো, যেভাবে তুমি সালাতের জন্য অজু করো। (সহিহ বুখারি)
চিকিতসাবিজ্ঞানীরা ঘুমের আগে অজু করার যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছেন। দিনভর মাটি, ময়লা, ধুলা ও জীবাণুগুলো দেহের ছিদ্রে জমা হয়ে চামড়াকে দূষিত করে থাকে। মুখের ত্বকে ও চোখে ক্ষতিকর ধুলাবালি জন্মে। অজুর মাধ্যমে শরীরের খোলা অঙ্গগুলো এবং চোখকে রাতের দীর্ঘ সময়ে এসব ময়লার ক্ষতি থেকে রক্ষায় ঘুমুতে যাওয়ার আগের অজু অত্যন্ত কার্যকর।
রাসুল (সা.) বলেছেন, মুমিন যখন অজুতে হাত ধুয়ে ফেলে তখন হাতের গুনাহ পড়ে যেতে থাকে। এমনকি নখের নিচ দিয়েও পড়তে থাকে। (সুনান নাসায়ি)
মানুষ প্রাত্যহিক কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে হাত। হাতে ময়লা জমে, নানাবিধ রোগের জীবাণু জমা হয়, বিভিন্ন কেমিক্যাল পুঞ্জীভূত হয়ে হাতকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। কেননা শরীরের সব অঙ্গে হাতের স্পর্শ লেগে থাকে। এর মাধ্যমে নাক-মুখ ও অন্যান্য ত্বক সহজেই জীবাণু সংক্রমণের আওতায় চলে আসে। অজুতে প্রতিদিন ১৫ বার হাত ধোয়ার ফলে এ ঝুঁকি কমে যায়। মহানবী (সা.) গুনাহ ঝরে পড়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে নখের নিচ থেকেও গুনাহ ঝরে পড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নির্দেশনা যে নখের নিচে আরো বেশি জীবাণু জন্মে। তাই নখ পরিষ্কারে বেশি যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
মহানবী (সা.) বলেছেন, যখন মুমিন অজু করার সময় কুলি করে, তখন তার মুখের সব গুনাহ ঝরে যায়। (সুনান নাসায়ি)
অজুতে প্রতিদিন ১৫ বার কুলি করা হয়। এর দ্বারা দাঁতের ভেতরের খাদ্যকণা, মুখগহ্বরের ক্ষতিকর ময়লা ও জীবাণু বের হয়ে আসে। কুলি মুখকে পরিষ্কার করে। এটি দাঁতের রোগ থেকে রক্ষা করে। চোয়াল মজবুত করে। দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে। এর ফলে যেমন জীবিকা বৃদ্ধি পায় তেমনি ব্যক্তি টনসিলের প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত থাকে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, মুমিন যখন অজু করার সময় নাকে পানি দেয় তখন নাকের সব গুনাহ ঝরে যায়। (সুনানে নাসায়ি)
প্রতিটি মানুষ প্রতিদিন প্রায় শত ঘনফুট বায়ু নাকের মাধ্যমে গ্রহণ করে। এ সময় বায়ুর পাশাপাশি বহু রোগ-জীবাণুও নাক দিয়ে দেহে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে যায়। অজু নাককে বাইরের ধুলা-ময়লা থেকে দেহকে সুরক্ষিত রাখায় ভূমিকা রাখে।
নবীজি (সা.) বলেছেন, মুমিন অজুতে যখন নিজের চেহারা ধুয়ে ফেলে তখন তার চেহারার গুনাহগুলো ঝরে পরে এমনকি চোখের পালকের পাপড়ি থেকেও গুনাহ বের হয়ে আসে। (সুনানে নাসায়ি)
অজুতে মুখমণ্ডল ধোয়ার কারণে চেহারায় নম্রতা ও কমনীয়তা সৃষ্টি হয়। ধুলা-ময়লার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপ খুলে যায়। এতে মুখমণ্ডলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বেড়ে যায়। চেহারা ঔজ্জ্বল্য, পূর্ণ ও আকর্ষণীয় হয়। চোখের সাদা অংশ ও মণির উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়। অজুতে দাড়ি খিলাল করতেন। চিকিতসাবিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন, এর দ্বারা বহু রকমের জীবাণু দূর হয়ে যায়। দাড়ির চুলে জমে থাকা পানি গলায় শক্তি জোগায়। এটি থাইরয়েড ও গলার রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, অজুকারী যখন মাথা মাসেহ করে, তখন তার মাথা থেকে গুনাহগুলো ঝরতে থাকে। এমনকি তার দুই কানের নিচ থেকেও। (সুনানে নাসায়ি)
অজুতে কান মাসেহ করা হয়। কানের ভেতরের দিকে ভেজা তর্জনী দ্বারা এবং বাইরের দিক আঙুল দ্বারা মাসেহ করার মাধ্যমে কানের ময়লা দূর হয়। কান নানাবিধ সংক্রামক ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকে। এর দ্বারা শ্রবণশক্তির ওপর অন্তরঙ্গ প্রভাব পড়ে। মানবদেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে ময়লা, কাদা, ধুলা, জীবাণু, আবর্জনা ইত্যাদি পায়ে লাগার আশঙ্কাই সবচেয়ে বেশি থাকে। নানা কারণে পায়ের সুরক্ষা আবশ্যক। প্রতিদিন পাঁচ অজুতে ভালোভাবে পা ধোয়ার কারণে পায়ের সংরক্ষণ সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে পারে।
সূত্রঃ ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।