Monday, April 5, 2021

মৌমাছি ও মধু

 কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ তাআলা ও রাসুলুল্লাহ (সা.) একাধিকবার মধু এবং মৌমাছির ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। এতে খুবই অবাক করার মতো তথ্য আছে।

মৌমাছির ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর আপনার পালনকর্তা মধু-মক্ষিকাকে আদেশ দিলেন, তোমরা পর্বত, বৃক্ষ ও উঁচু মাচা বা চালের মধ্যে গৃহ নির্মাণ করো। এরপর সব ধরনের ফল থেকে আহার গ্রহণ করো এবং আপন পালনকর্তার পথসমূহে চলো।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮)
কোরআনের অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তার (মক্ষিকা) পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রোগের প্রতিকার আছে। নিশ্চই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন আছে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৯)
হাদিসে এসেছে, জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের ওষুধের যেগুলোতে আরোগ্য আছে তা হলো, শিঙ্গা লাগানো, মধু পান করা...।’ (বুখারি ও মুসলিম, হাদিস : ৬১৭, ২০৩২)
অন্য এক হাদিসে আছে, আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলল, আমার ভাইয়ের ডায়রিয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, তাকে মধু পান করাও। সে গিয়ে তার ভাইকে মধু পান করাল। এভাবে দুইবার হলো। এবং প্রতিবারই সে রোগের অভিযোগ করল। তখন রাসুল (সা.) প্রতিবার তাকে মধু পান করাতে বলেন। লোকটি আবার এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তার পায়খানা তো আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন তিনি বলেন, আল্লাহ সত্যবাদী এবং তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যাবাদী। সে আবার গেল এবং তাকে মধু পান করাল। এবার সে পুরোপুরি আরোগ্য হয়।’ (বুখারি, ৫/২৯১, তিরমিজি, হাদিস : ২০২৩)
আরেক হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন মধু সেবন করবে সে বড় ধরনের কোনো রোগে আক্রান্ত হবে না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২/১১৪২)
রেফাঃ আল কুরআন, আল হাদীস

No comments:

Post a Comment