নজরুলের ঝিঙে ফুল কবিতা মনে আছে তো?
ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল।
সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল –
ঝিঙে ফুল।
গুল্মে পর্ণে
লতিকার কর্ণে
ঢলঢল স্বর্ণে
ঝলমল দোলো দুল –
ঝিঙে ফুল॥
আমার মা ঝিঙেকে বলতেন “তরী”। ভর্তা বানাতেন তরী দিয়ে। আমার আর কিছু লাগতো না ভাতের সাথে।
পাখীর মধ্যে খয়েরী হাঁড়ীচাঁচা -Dendrocitta vagabunda হলো ঝিঙের ১নং শত্রু। ঝিঙে বড় হলেই ওরা হাজির। খেয়ে দেয়ে কর্কশ স্বর তুলে বিদায়।
১. খাবারে অরুচি হলে কচি ঝিঙে ও শিং মাছের ঝোল খান।
২. ঝিঙে রক্তকে দূষণ থেকে রক্ষা করে। লিভারের জন্যও উপকারি। ঝিঙের রস খেলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। বিশেষ করে লিভারে অ্যালকোহলের ক্ষতিকর প্রভাব দূর করে। জন্ডিসের আদর্শ পথ্যও ঝিঙে।
৩. ঝিঙে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। শরীরের বিষাক্ত উপাদান বা টক্সিন বের করে দেয়। নিয়মিত ঝিঙে খেলে ত্বক ভাল থাকে। বিভিন্ন রোগজীবাণু, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৪. ঝিঙেতে রয়েছে পেপটাইড এনজাইম যা সুগার কমায়, রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবিটিক রোগিদের জন্য ঝিঙে মহৌষধ!
৫. ঝিঙে ফাইবারে ভরপুর! কাজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। অ্যাসিডিটি ও আলসার সারায়। পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে খাবার হজমে সাহায্য করে। পাইলস-এও খুব উপকারি!
-নিউজ১৮ ও জেনারেল জুওলজি
No comments:
Post a Comment