Monday, April 5, 2021

উপহার ও হাদিয়া হতে হবে নিঃস্বার্থে

 উপহার, উপঢৌকন, হাদিয়া ও শুভেচ্ছা বিনিময় পরস্পর সম্পর্ক সুদৃঢ় করে। ইসলাম মানুষের বন্ধন সুদৃঢ় করতে চায়। তাই রাসুল (সা.) উপহার ও হাদিয়া আদান-প্রদানের তাগিদ দিয়েছেন।

এমনকি কেউ হাদিয়া দিলে তার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যাকে দান করা হয়েছে তার সামর্থ্য থাকলে সে যেন এর প্রতিদান দেয়। যার সামর্থ্য নেই, সে যেন প্রশংসা করে। কেননা যে প্রশংসা করল, সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। আর যে তা গোপন করে, সে তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮১৩)
কিন্তু এই উপহার ও হাদিয়া হতে হবে নিঃস্বার্থে। পার্থিব কোনো মতলব দিয়ে উপহার বা হাদিয়া দিলে তা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে। আবু হুমায়দ সাইদি (রা.) বলেন, নবী (সা.) আজদ গোত্রের ইবনুল লুত্বিয়্যাহ নামক এক ব্যক্তিকে জাকাত উসুলের উদ্দেশে কর্মচারী নিয়োগ করেন। সে যখন (জাকাতের উসুলকৃত) মালামাল নিয়ে এসে নবী (সা.)-এর নিকট অর্পণ করল, তখন বলল, এগুলো হচ্ছে আপনাদের, আর ওটা আমাকে উপঢৌকনস্বরূপ দেওয়া হয়েছে। তখন নবী (সা.) বলেন, তুমি তোমার মাতা-পিতার ঘরে বসে থেকে দেখলে না কেন, তোমার জন্য উপঢৌকন প্রেরিত হয় কি না? তারপর নবী (সা.) খুতবা দিতে দাঁড়ালেন। (মুসলিম, হাদিস : ৪৬৩৩)
তবে কিছু মানুষ এমন আছে, পদের অধিকারী হলেও যারা হাদিয়া গ্রহণ করতে পারবেন, তাঁরা হলেন :
(১) নিজের মাহরাম আত্মীয়দের থেকে।
(২) যারা তাকে এ পদ লাভ করার আগেও হাদিয়া দিত, এখনো সেই পরিমাণ দেয় তাদের থেকে হাদিয়া নেওয়া যাবে।
(৩) নিজের পদের চেয়ে ওপরের পদবিধারী থেকে হাদিয়া নেওয়া যাবে। শর্ত হলো, তার পদ দ্বারা তাদের উপকৃত হওয়ার উদ্দেশ্য থাকতে পারবে না। (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার : ৪/৩১১)
সূত্র: মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ/কালের কন্ঠ

No comments:

Post a Comment