Monday, September 25, 2023

শেখার আছে। যদি নিতে পারি।

 নতুন প্রেসিডেন্ট ও মান হানিকর কথার জবাব

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ১ম দিন অফিস করছেন তিনি। আজ তার উদ্বোধনী ভাষন দেয়ার কথা রয়েছে। অল্প পরেই সঠিক সময়েই ভাষন শুরু হলো। তার ১ম ভাষনের মাঝেই আধুনিক পোশাক পরা কেতাদুরস্ত এক সিনেটর দাঁড়ালেন। নোতুন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করলেন। মি. প্রেসিডেন্ট, বোধ করি আপনি ভুলে যাননি যে আপনার বাবা একজন মুচি ছিল আর সে আমাদের পরিবারের পুরুষ নারী সবারই জুতো বানাতো। পুরো সিনেট অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। হাসি যেন আর থামেনা। সিনেটররা ধরেই নিলো যে এক নিরেট বোকাকে তাদের প্রেসিডেন্ট বানিয়েছে।
কিন্তু কিছু কিছু মানুষ্ এই দুনিয়াতেই রয়েছে যারা অসম্ভব দৃঢ় প্রত্যয়ী হন। প্রেসিডেন্ট প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে সরাসরি তাকালেন। তাকে বল্লেন, “জনাব, আমি জানি আমার বাবা আপনাদের পরিবারের পুরুষ নারী সবারই জুতো বানাতেন। এ রকম অরো মুচি এই শহরের ভেতরেই আছে। কিন্তু আমার বাবা অসম্ভব রকমের ভালো জুতো বানাতে পারতেন যা আর কারো পক্ষে সম্ভব ছিল না, বুঝেছেন।”
প্রেসিডেন্ট থামলেন না। বলেই চললেন। আমার বাবা ছিলেন একজন সৃষ্টিশীল মানুষ, একজন জিনিয়াস। তিনি শুধু জুতোই বানাতেন না। তিনি যা বানাতেন তাতে তার হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা থাকতো। আমি এটাই আপনাকে বলছি যে আমার বাবার তৈরী জুতো নিয়ে আপনার কি কোন অভিযোগ রয়েছে? থাকলে আমাকে বলুন। আর আমিও বাবার কাছ থেকে জুতো বানানো শিখেছি। আপনি চাইলো আরো কয়েক জোড়া জুতো আপনার জন্য তৈরী করে দেবো আমি নিজেই। আর আমি এখন অব্দি জানি যে এই তল্লাটের কেউই আমার বাবার তৈরী জুতো নিয়ে অভিযোগ তো দূরের কথা-একটা টু শব্দও করেনি। আমি আমার বাবাকে নিয়ে গর্বিত। আরো গর্বিত যে এমন এক বাবার সন্তান আমি।
হঠাত করেই যেনো গোটা সিনেটে পিনপতন নীরবতা নেমে এলো। সিনেটররা কেউই আঁচ করতে পারেনি প্রেসিডেন্টের জ্ঞানের গভীরতা আর ব্যাপকতা বিষয়ে। কারণ, তার বাবার কাজের খুঁত কেউই ধরতে পারেনি। তার বাবা ছিলেন একজন ধারালো মানুষ। কাজও ছিল সুচিন্তিত ও ধারালো। ছেলেটাও হয়েছে তেমনিই।
ফোকাসঃ আপনার অনুমতি ছাড়া কেউই আপনাকে মান হানিকর কোন কথা বলার ক্ষমতা রাখেনা। যা ঘটে যায় আমরা তা থেকে মানসিক আঘাত পাইনা। মানসিক আঘাতটা পাই মানুষের অভিব্যক্তি বা রেসপন্স থেকে।

No comments:

Post a Comment