কিশোর ছেলে তার বাবার তদারকিতে বা শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে মনে মনে বলে যে, আমি যদি বাবার মতো হতে পারতাম তাহলে এরকম-এরকম করতাম এবং ঐরকম-ঐরকম করতাম না; যেমন কিনা গম্ভীর হয়ে চলতাম, ছেলেকে শাসন করতাম না, ইত্যাদি। বাবা তো অবশ্যই বয়সে প্রবীণ; নিজের ছেলেকে দেখে দুরন্তপনা করছে, মুক্ত হাওয়ায় মাঠে-প্রান্তরে দৌড়িয়ে বেড়াচ্ছে, স্কুল ফাঁকি দিয়ে বেড়াচ্ছে অথচ নিজে কিছুই করতে পারছে না। বাবার মনের ইচ্ছা, তিনি যদি ছেলের মতো হতে পারতেন, তাহলে কতই না মজা হতো। ‘ইচ্ছাদেবী’ ছেলে এবং বাবার মনের ইচ্ছা পূরণ করে দিলেন। একদিন সকালে ছেলে হয়ে গেল বাবার মতো এবং বাবা হয়ে গেল ছেলের মতো। গ্রামের লোকেরা দেখল পুঁচকি ছেলে মুরব্বিদের মতো চলছে, সবাই বলা শুরু করলে ইঁচড়ে পাকা। পাড়ার লোকেরা দেখলো প্রবীণ একটা লোক কিশোর বালকের মতো গাছে উঠছে, পুকুরে ঝাঁপ দিচ্ছে, সবাই বলা শুরু করল, লোকটার মাথায় ছিট হয়েছে। গল্পের উপসংহার, সব কাজ সব বয়সে পোষায় না, সব কাজ সব বয়সে মানায় না।
এই গল্পের সারমর্ম এটিই।
এই গল্পের সারমর্ম এটিই।
No comments:
Post a Comment