সংকল্প রাখতে যাদের কষ্ট হয় তাঁদের জন্য চাই ছোট ছোট পরিবর্তনঃ
কিছু প্রতিশ্রুতি, কিছু
সংকল্প নিজে করুন। মেনে চলুন। সুস্থ, সরল, সজীব হয়ে বাঁচার পথ তো প্রশস্ত হবে। মানছেন
তো? তাহলে কয়েকটি নিয়ম পালন করুন। পারবেন অবশ্য। সংকল্প কেবল নয়, মানতে হবে কিছু।
খুব সহজ, করেই দেখুন। যাঁরা ধূমপান করছেন। ধূমপান ছাড়ুন। যাঁরা তামাক, জর্দা, গুল
চিবান তাঁরাও ছাড়ুন। ধূমহীন তামাকও কম খারাপ নয়। নিজের ক্ষতি করছেন, আবার পাশে যে
শিশু, স্বজন, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব থাকেন তাঁদেরও ক্ষতি করছেন। খুব অন্যায় কাজ। ভাবুন।
ছেড়ে দিন। দুম করে ছেড়ে দিন। প্রথমে ক’দিন একটু খারাপ লাগবে, এরপর দেখবেন সয়ে যাবে।
আপনি হয়ে উঠবেন সুস্থ, সবল, সুরভিত। সবার হবেন প্রিয়। এদিকে ক্যান্সারের মতো ভয়ংকর
রোগ পারবেন ঠেকাতে।
কম খাবেন, তবু থাকবেন সতেজ, সজীব, সবল। খাবার প্লেট হবে নয় ইঞ্চি ব্যাসের। তিনটি ভাগ থাকবে। এক অর্ধেকে থাকবে মৌসুমি শাকসবজি, রঙিন। এক-চতুর্থাংশে শর্করা, (ভাত, গমের রুটি) অপর চতুর্থাংশে আমিষ। মাছ, কচি মোরগ, ডিম। এক গ্লাস দুধ। একটি ফল। সামান্য তেল। প্রচুর পানি পান। দুধ, ফল খেতে পারেন স্ন্যাকসের সময়। খাবার প্লেট হবে ছোট এবং রঙিন। মনোযোগ দিয়ে খাবেন। সময় লাগিয়ে। ভালো করে চিবিয়ে। দেখবেন ভালো হজম হবে। প্রাতরাশ বা ব্রেকফাষ্ট হবে ভারী। দুপুরের খাবার এর চেয়ে কম। রাতের খাবার হালকা। সকালে খাবেন মহারাজের মতো। দুপুরে যুবরাজের মতো। রাতে কাঙালের মতো। তিনটি বেলা খাবার। দুটো নাশতা। নাশতা মানে একটি ফল। দুটো ক্র্যাকারস বা এক গ্লাস দুধ। খাবার হবে পরিমিত, সুষম। ‘চিনি কম খান, নুন কম খান, রেস্তোরাঁয় যাওয়া কমান, ঘরের রান্না করা খাবার হোক পছন্দ’ নতুন বছরের সংকল্প—ব্যায়াম করুন। যাঁরা শুরু করেননি, তাঁরাও শুরু করুন। সহজ ব্যায়াম হাঁটা। সপ্তাহের পাঁচটি দিন কেবল আধঘণ্টা জোরে হাঁটুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাঁটলে বন্ধন আরও মজবুত হবে। বন্ধুদের নিয়েও হাঁটতে পারেন। মজা পাবেন।
দৈনন্দিন কাজেও সক্রিয়তা যোগ করুন। সিঁড়ি বেয়ে হাঁটুন। হেঁটে বাজারে যান। গাড়ি পার্ক দূরে করে হেঁটে অফিসে যান। সাঁতার কাটুন। সাইকেল চালান। মেয়েদের জন্য ভালো ব্যায়াম দড়ি লাফ। এ ছাড়া একটু ভারোত্তোলন। বেশি ওজন নয়, এমন ভার তুলুন। আর দিনের যেকোনো সময় পাঁচবার সম্ভবত উঠবস। সকালে উঠে খালি পেটে দুই গ্লাস জল। লেবুজল খেলে আরও ভালো। এরপর শ্বাসক্রিয়ার ব্যায়াম। পেট ফুলিয়ে শ্বাস নিন আর ছাড়ুন। ১০বার, শরীর হবে সতেজ। “যোগ” চমতকার ব্যায়াম-“নামাজ”ও ভাল। নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। আট ঘণ্টা, সকাল সকাল শুতে যাবেন, সকাল সকাল উঠবেন। ঘুমের ঘর হবে শীতল, অন্ধকার, কেবলই শয্যা, হালকা সংগীত, সবচে ভাল হয়ে গভীর মনযোগ দিয়ে ধর্ম গ্রন্থের ২টো লাইন ভাল করে ভাল করে বুঝে পড়লে। কোনো টিভি নয়, কোন ট্যাবলেট নয়, কোন কম্পিউটার নয়, নয় কোন ফেসবুক।
প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করুন। স্বেচ্ছাসেবী যেকোনো কাজ। বন্ধুকে ফোন করুন। সপ্তাহে এক দিন আড্ডা। ছোটবেলার বন্ধুদের নিয়ে। একদিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া। এই তো মাত্র নিয়ম। খুব বেশি হলো? সংকল্প করেই দেখুন। সব ক’টি না হোক, দু-একটি? অন্তত মাসের শেষে বা বছর শেষে বলতে পারবেনতো, কেমন ভালো বোধ করছেন? কেমন আছেন? ভালো আছি। সত্যি করে বলতে পারা, কম কাজের হলো?
কম খাবেন, তবু থাকবেন সতেজ, সজীব, সবল। খাবার প্লেট হবে নয় ইঞ্চি ব্যাসের। তিনটি ভাগ থাকবে। এক অর্ধেকে থাকবে মৌসুমি শাকসবজি, রঙিন। এক-চতুর্থাংশে শর্করা, (ভাত, গমের রুটি) অপর চতুর্থাংশে আমিষ। মাছ, কচি মোরগ, ডিম। এক গ্লাস দুধ। একটি ফল। সামান্য তেল। প্রচুর পানি পান। দুধ, ফল খেতে পারেন স্ন্যাকসের সময়। খাবার প্লেট হবে ছোট এবং রঙিন। মনোযোগ দিয়ে খাবেন। সময় লাগিয়ে। ভালো করে চিবিয়ে। দেখবেন ভালো হজম হবে। প্রাতরাশ বা ব্রেকফাষ্ট হবে ভারী। দুপুরের খাবার এর চেয়ে কম। রাতের খাবার হালকা। সকালে খাবেন মহারাজের মতো। দুপুরে যুবরাজের মতো। রাতে কাঙালের মতো। তিনটি বেলা খাবার। দুটো নাশতা। নাশতা মানে একটি ফল। দুটো ক্র্যাকারস বা এক গ্লাস দুধ। খাবার হবে পরিমিত, সুষম। ‘চিনি কম খান, নুন কম খান, রেস্তোরাঁয় যাওয়া কমান, ঘরের রান্না করা খাবার হোক পছন্দ’ নতুন বছরের সংকল্প—ব্যায়াম করুন। যাঁরা শুরু করেননি, তাঁরাও শুরু করুন। সহজ ব্যায়াম হাঁটা। সপ্তাহের পাঁচটি দিন কেবল আধঘণ্টা জোরে হাঁটুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাঁটলে বন্ধন আরও মজবুত হবে। বন্ধুদের নিয়েও হাঁটতে পারেন। মজা পাবেন।
দৈনন্দিন কাজেও সক্রিয়তা যোগ করুন। সিঁড়ি বেয়ে হাঁটুন। হেঁটে বাজারে যান। গাড়ি পার্ক দূরে করে হেঁটে অফিসে যান। সাঁতার কাটুন। সাইকেল চালান। মেয়েদের জন্য ভালো ব্যায়াম দড়ি লাফ। এ ছাড়া একটু ভারোত্তোলন। বেশি ওজন নয়, এমন ভার তুলুন। আর দিনের যেকোনো সময় পাঁচবার সম্ভবত উঠবস। সকালে উঠে খালি পেটে দুই গ্লাস জল। লেবুজল খেলে আরও ভালো। এরপর শ্বাসক্রিয়ার ব্যায়াম। পেট ফুলিয়ে শ্বাস নিন আর ছাড়ুন। ১০বার, শরীর হবে সতেজ। “যোগ” চমতকার ব্যায়াম-“নামাজ”ও ভাল। নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। আট ঘণ্টা, সকাল সকাল শুতে যাবেন, সকাল সকাল উঠবেন। ঘুমের ঘর হবে শীতল, অন্ধকার, কেবলই শয্যা, হালকা সংগীত, সবচে ভাল হয়ে গভীর মনযোগ দিয়ে ধর্ম গ্রন্থের ২টো লাইন ভাল করে ভাল করে বুঝে পড়লে। কোনো টিভি নয়, কোন ট্যাবলেট নয়, কোন কম্পিউটার নয়, নয় কোন ফেসবুক।
প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করুন। স্বেচ্ছাসেবী যেকোনো কাজ। বন্ধুকে ফোন করুন। সপ্তাহে এক দিন আড্ডা। ছোটবেলার বন্ধুদের নিয়ে। একদিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া। এই তো মাত্র নিয়ম। খুব বেশি হলো? সংকল্প করেই দেখুন। সব ক’টি না হোক, দু-একটি? অন্তত মাসের শেষে বা বছর শেষে বলতে পারবেনতো, কেমন ভালো বোধ করছেন? কেমন আছেন? ভালো আছি। সত্যি করে বলতে পারা, কম কাজের হলো?
সূত্রঃ ডা.শুভাগত চৌধুরী
No comments:
Post a Comment