জিকির অর্থ আল্লাহর
স্মরণ। সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হচ্ছে কুরআন তিলাওয়াত। যিনি কুরআন বুঝে পড়ে আর সে মতো জীবনযাপন করার চেষ্টা করেন তিনিই সহিহ
জিকির করনেওয়ালা বলে বিবেচিত। জিকির সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “হে নবী!তোমার রবকে স্মারণ করো সকাল-সাঁঝে মনে
মনে কান্নাজড়িত স্বরে ও ভীতি বিহ্বল চিত্তে এবং অনুচ্চ কণ্ঠে৷ তুমি তাদের অন্তরভুক্ত
হয়ো না যারা গাফলতির মধ্যে ডুবে আছে৷”-সূরা আর ‘আরাফ- আয়াত ২০৫
‘(হে নবী), আমার কোনো
বান্দা যখন তোমাকে আমার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে (তুমি তাকে বলে দিয়ো) আমি (তার একান্ত)
কাছেই আছি; আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দিই যখন সে আমাকে ডাকে। (সূরা আল বাকারা: ১৮৬)
‘(হে নবী), চিতকার করে
নামাজ পড় না, আবার তা অতিশয় ক্ষণভাবেও নয়, বরং (নামাজ পড়ার সময়) ও দুয়ের মধ্যবর্তী
পন্থা অবলম্বন করো।’ (সূরা বনী ইসরাঈল: ১১০)
সহিহ বোখারি ও মুসলিম শরীফে আবু মূসা আশয়ারী রা: থেকে বর্ণিত, লোকেরা কোনো
এক সফরে সুউচ্চকণ্ঠে দোয়া করলে নবী সা: তাদেরকে বললেন- হে লোকেরা! তোমরা স্বাভাবিক
মৃদুকণ্ঠে তা করো! কেননা তোমরা কোনো বধির বা অনুপস্থিত সত্তাকে ডাকছো না। তোমরা যাঁকে
ডাকো তিনি নিকটতম শ্রোতা।
সুতরাং, যেখানে আল্লাহ পাক কুরআনে অনুচ্চ
স্বরের জিকিরের কথা বলেছেন, সেখানে উচ্চ স্বরে জিকির করার সুযোগ কোথায় থাকে সে
প্রশ্ন বর্তমান যুগের সচেতন মানুষের কাছে।
No comments:
Post a Comment