আরব দেশে কায়েস নামক এক বেদুঈনের মুলকি ও দুলকি নামে দুটি তেজী ও সুন্দর ঘোড়া ছিল। ঐ অঞ্চলের কোন ঘোড়াই তাদের সাথে দৌড়ে পারতো না। মুলকি এক নম্বরে এবং দুলকি ছিল দুই নম্বরে।
অত্র অঞ্চলের বড় বড় শাসক ও ব্যবসায়ীরা এই বেদুঈনের কাছ থেকে ঘোড়া দুটি কেনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অর্থের প্রতি যাদের কোনো মোহ বা লোভ নেই তাদের কাছে বহু বহু টাকা অর্থহীন হয়ে পড়ে।
কোনো অবস্থাতেই ঘোড়া দুটির একটিও বিক্রি করতে রাজি ছিল না কায়েস।
এই ঘোড়া দুটি পেতে মরিয়া একজন এক দুর্ধর্ষ চোরকে পাঠায় সেই ঘোড়া দুটির একটি চুরি করতে। চোর যখন মুলকির পিঠে চড়ে রওনা হয়ে গেছে তখন ঘোড়ার খুঁরের শব্দে মালিকের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভেঙ্গে বিষয়টা বুঝতে পেরে কায়েস দুলকির পিঠে চড়ে চোরকে পিছু ধাওয়া করে।
কিন্তু মুলকিকে দ্রুত চালানোর কায়দা কায়েস ভিন্ন অন্য কারো জানা ছিলো না। তাই দুলকি মুলকিকে প্রায় ধরে ফেলার অবস্থা। কারণ মুলকি জানে তার পিঠে মালিক নয় সে অন্য কেউ।
এমন সময়ে হঠাত কায়াসের মনে চিন্তার উদ্রেক হল, আমার মুলকি আজ পর্যন্ত কোনো দৌড়ে হারে নাই। আজ দুলকি মুলকিকে ধরে ফেললে সেটা মুলকির পরাজয়। মুলকির এমন পরাজয় তার কাছে তাকে চিরতরে হারানোর চেয়েও বেদনাদায়ক।
তখন কায়েস পিছন থেকে চিতকার করে বলতে থাকে, ওহে হতভাগা! তুই মুলকির বাম কান ধরে মোচড় দে। চোর কথামত তাই করল। এতে মুলকির গতি বহুগুণ বেড়ে যায় এবং দেখতে দেখতে কায়েসের সামনে থেকে মুলকি অদৃশ্য হয়ে যায়। দুলকির তখন সাধ্য ছিলনা মুলকিকে ধরা।
মুলকিকে হারালেও কায়েসকে সেই প্রিয় ঘোড়ার পরাজয়টি দেখতে হল না। এটাই কায়েসের সান্ত্বনা। মনের গভীর দুঃখে বলতে লাগলো কায়েস, “না, আমার মুলকি হারেনি, মুলকি হারতে পারেনা, ওকে আমি হারতে শিখাইনি।”
-১৯৬৭র স্মৃতির পাতা থেকে লেখা
অত্র অঞ্চলের বড় বড় শাসক ও ব্যবসায়ীরা এই বেদুঈনের কাছ থেকে ঘোড়া দুটি কেনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অর্থের প্রতি যাদের কোনো মোহ বা লোভ নেই তাদের কাছে বহু বহু টাকা অর্থহীন হয়ে পড়ে।
কোনো অবস্থাতেই ঘোড়া দুটির একটিও বিক্রি করতে রাজি ছিল না কায়েস।
এই ঘোড়া দুটি পেতে মরিয়া একজন এক দুর্ধর্ষ চোরকে পাঠায় সেই ঘোড়া দুটির একটি চুরি করতে। চোর যখন মুলকির পিঠে চড়ে রওনা হয়ে গেছে তখন ঘোড়ার খুঁরের শব্দে মালিকের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভেঙ্গে বিষয়টা বুঝতে পেরে কায়েস দুলকির পিঠে চড়ে চোরকে পিছু ধাওয়া করে।
কিন্তু মুলকিকে দ্রুত চালানোর কায়দা কায়েস ভিন্ন অন্য কারো জানা ছিলো না। তাই দুলকি মুলকিকে প্রায় ধরে ফেলার অবস্থা। কারণ মুলকি জানে তার পিঠে মালিক নয় সে অন্য কেউ।
এমন সময়ে হঠাত কায়াসের মনে চিন্তার উদ্রেক হল, আমার মুলকি আজ পর্যন্ত কোনো দৌড়ে হারে নাই। আজ দুলকি মুলকিকে ধরে ফেললে সেটা মুলকির পরাজয়। মুলকির এমন পরাজয় তার কাছে তাকে চিরতরে হারানোর চেয়েও বেদনাদায়ক।
তখন কায়েস পিছন থেকে চিতকার করে বলতে থাকে, ওহে হতভাগা! তুই মুলকির বাম কান ধরে মোচড় দে। চোর কথামত তাই করল। এতে মুলকির গতি বহুগুণ বেড়ে যায় এবং দেখতে দেখতে কায়েসের সামনে থেকে মুলকি অদৃশ্য হয়ে যায়। দুলকির তখন সাধ্য ছিলনা মুলকিকে ধরা।
মুলকিকে হারালেও কায়েসকে সেই প্রিয় ঘোড়ার পরাজয়টি দেখতে হল না। এটাই কায়েসের সান্ত্বনা। মনের গভীর দুঃখে বলতে লাগলো কায়েস, “না, আমার মুলকি হারেনি, মুলকি হারতে পারেনা, ওকে আমি হারতে শিখাইনি।”
-১৯৬৭র স্মৃতির পাতা থেকে লেখা
No comments:
Post a Comment