ক্রমাগত দু‘আ তাকদীরকে উত্তম কিছু দ্বারা পরিবির্তন করে দিতে পারেঃ
মূসা আলাইহিসসালাম ছিলেন কালিমুল্লাহ। তিনি আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলতে পারতেন।
মহিলাটি বিবাহের পর অনেকদিন হয়ে গিয়েছিল, মনেপ্রাণে তিনি মা হতে চাচ্ছিলেন। মূসা আলাইহিসসালাম আল্লাহর কাছে চাইলেন। আল্লাহ জবাব দিলেন- সেই মহিলা বন্ধ্যা, সে সন্তান জন্মদানে অক্ষম। মূসা আলাইহিসসালাম মহিলাকে এ কথা জানালে সে চলে গেলো।
আমি বা আপনি যদি আল্লাহর কাছ থেকে এব্যাপারে জানতে পারতাম, আমরা হয়তো থেমেই যেতাম। আমরা অনেকে তো কিছুদিন দু'আ করেই হতাশ হয়ে যাই আর নালিশ জানাই। অনুযোগ করে বলে ফেলি- আল্লাহ কখনোই আমার দু'আ শুনেন না। কিন্তু ওই মহিলা ক্রমাগত আল্লাহর কাছে দু'আ করে যাচ্ছিলো। সে অকাতরে, বিনীত ও বিনম্রভাবে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকলো। কখনো দু'আ করা বাদ দিলোনা।
এরপর একদিন তিনি দ্বিতীয়বার মূসা আলাইহিসসালাম এর কাছে গিয়ে বললেন, "আপনার প্রভুকে বলুন, হে মূসা!"
মূসা আলাইহিসসালাম জানালেন- আল্লাহ একই জবাব দিয়েছেন, আপনি বন্ধ্যা।
এভাবে তিনি তিনবার মূসা আলাইহিসসালাম এর কাছে অনুরোধ জানিয়ে প্রত্যাখ্যান হলেন। প্রতিবারই একই উত্তর পেলেন- তিনি বন্ধ্যা, সন্তান জন্মদানে অক্ষম।
তিনি চতুর্থবার মূসা আলাইহিসসালাম এর সাথে দেখা করলেন। কিন্তু, এবার তার কোলে একটি ফুটফুটে শিশু ছিলো। তার হাত ধরে নারছিলো আরেকটি শিশু। তিনি বললেন, "দেখুন মূসা! আল্লাহ আমাকে দুটো সন্তান দান করেছেন।"
মূসা আলাইহিসসালাম বিব্রতবোধ করলেন। আল্লাহকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, "হে আল্লাহ! আপনি তিনবার আমাকে জানালেন যে, সে বন্ধ্যা, তার সন্তান হবেনা। কিন্তু তারপর আপনি তাকে সন্তান দান করলেন!"
আল্লাহ জবাব দিলেন, "প্রত্যেকবার যখন আমি লিখে রাখি যে সে বন্ধ্যা, তখনই সে দু'আ করছিলো আর বলছিলো: 'হে দয়াময়! হে দয়াময়!"
আল্লাহ বলেন- হে মূসা, তখন আমার দয়া তার জন্য নির্ধারিত তাক্বদীরকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।
সূত্র: শাইখ মূসা জিবরীল
No comments:
Post a Comment