রোজ সকালে এই ম্যাজিক ড্রিঙ্কেই সারবে হজমের সমস্যা
জিরা আর জোয়ান এই দুই উপকরণেই আছে বেশ কয়েকটি ঔষধি গুণ।
সারাবছর অল্প বিস্তর ডায়েট মেনে চললেও পুজোর ক’টা দিন ডায়েটকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জমিয়ে উপভোগ করেছেন খাওয়াদাওয়া। মধ্যরাত গড়িয়ে পার্টি, বেলা পর্যন্ত ঘুমনো, ব্রেকফাস্ট বাদ দিয়ে একেবারে লাঞ্চ, চুটিয়ে বাইরে খাওয়া, দিনভর শুয়ে-বসে থাকা আর ঘুরে বেড়ানো এভাবেই অনিয়মে কেটে যাচ্ছে দিনগুলো৷
শুনলে অবাক হবেন, আগে পরিশ্রম করে কোমরের মাপ যতটুকু যা কমিয়েছিলেন, ওই ক’দিনের অনিয়মে সে আবার ফিরে আসতে পারে স্বমহিমায়৷ এমনকি বেড়ে যেতে পারে ওজনও। শুধু তাই নয় গ্যাস-অম্বলের সমস্যাটাও বেশ ভালই জানান দিচ্ছে ওই ক’দিনের অনিয়মে। আর এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে মুড়ি মুড়কির মতো ওষুধ খাচ্ছেন। ভাবছেন এতেই হবে সব সমস্যার সমাধান। অনেকেই সারা বছর ধরে গ্যাস-অম্বলের রোগে ভোগেন। আর সারা বছরই টুকটাক ওষুধ খেয়ে ফেলেন চিকিতসকের পরামর্শ ছাড়াই। আপনার অজান্তেই শরীরে বড় কোনও ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো?
বাড়িতে বানানো টোটকাতেই টাটা বাইবাই করুন গ্যাস-অম্বলের সমস্যাকে! দুটি সহজলভ্য উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন এই ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’। এই পানীয় কেবল গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকেই নয় আপনাকে রেহাই দেবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও। জেনে নিন কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়।
সহজলভ্য উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন এই ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’।
উপকরণ:
জল:১/২ লিটার
জিরা: ২ টেবিলচামচ
জোয়ান: ১ টেবিলচামচ
জিরা আর জোয়ান একসঙ্গে মিশিয়ে জলে ভিজিয়ে রেখে দিন সারা রাত। ভাল করে ছেঁকে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলটি পান করুন। এ ছাড়াও সকালে চা এর বদলেও এই ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’ পান করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সারা রাত ভিজিয়ে রাখা মিশ্রণটি ভাল করে ছেঁকে গ্যাসে ফুটিয়ে নিন যতক্ষণ পর্যন্ত জল পরিমাণে অর্ধেক না হয়ে যায়। স্বাদ বাড়ানোর জন্য খানিকটা কুচোনো আদা, লেবু আর মধুও যোগ করতে পারেন। সকালে চায়ের বদলে এই ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’ পানের অভ্যাস আপনার পেটের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে দ্রুত।
কী ভাবে কাজ করে এই ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্ক’?
জিরা আর জোয়ান এই দুই উপকরণেই আছে বেশ কয়েকটি ঔষধি গুণ।
আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে এই উপকরণ দু’টির ব্যবহার চলে আসছে। জোয়ানের জল আপনার পাকস্থলী আর জরায়ু পরিষ্কার করতে বিশেষ উপযোগী। এই জল আপনার বিপাক হার বৃদ্ধি করে তারই সঙ্গে পেটের নানা সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়। শুধু কি তাই? জোয়ানের জল আপনার ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়াকেও তরান্বিত করতে সাহায্য করে। জিরেতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস্, যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জিরের জল আপনার খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে আর ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়। আপনার বিপাক হার বাড়াতেও সাহায্য করে। শরীরের টক্সিক উপকরণগুলি বার করতেও জিরের জল বিশেষ কার্যকরী।
তাই এখন খাবারের সঙ্গে নো কমপ্রোমাইজ! একটা পরিকল্পনা করে নিন কখন পেটপুরে খাবেন আর কখন নিজেকে একটু বেশি সংযত রাখবেন৷ নিয়মিত অভ্যাসে গ্রহণ করুন এই ম্যাজিক পানীয়। এখন আর ওষুধের ভরসায় নয় পেটের সমস্যা মোকাবিলা করুন ঘরোয়া টোটকাতেই।
-anandabazar
No comments:
Post a Comment