Monday, March 31, 2025

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বার্ধক্যজনিত জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে

স্মৃতিশক্তি সকলের ক্ষেত্রে সমান নয়। স্মৃতিশক্তি কারও জোরালো, কারও বা দুর্বল। কারও ভুলে যাওয়ার সমস্যা সাময়িক, কারও আবার স্মৃতির পাতাই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। মস্তিষ্ক বড়ই জটিল, আর ততটাই জটিল তার কর্মক্ষমতা। তাই রাতারাতি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পন্থা বাতলে দেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, আধ চা চামচের মতো অলিভ অয়েল কেউ যদি রোজ খেতে পারেন, তা হলে তাঁর স্মতিশক্তি আরও উন্নত হবে।
বাঙালি সর্ষের তেল বা সাদা তেলে রান্না করতেই অভ্যস্ত। তবে স্বাস্থ্য সচেতনেরা ইদানীং কালে অলিভ অয়েল ব্যবহারও করছেন। বাঙালির হেঁশেলেও এখন প্রবেশ ঘটেছে অলিভ অয়েলের। কম আঁচে যে কোনও কিছু রান্নার জন্য এই তেল উপযোগী। হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অলিভ অয়েলে থাকে হাইড্রক্সিটাইরোসল যা স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি কমায়। এর পলিফেনল বার্ধক্যজনিত জটিল রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে। বিশেষ করে বয়সকালে স্মৃতি দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা অনেকটাই কমাতে পারে এই তেল— এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।
৯২ হাজারের বেশি মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকেরা দেখেছেন, যাঁরা নিয়মিত আধ চা চামচের মতো অলিভ তেল খেয়েছেন, তাঁদের স্মৃতিনাশের ঝুঁকি ২৮ শতাংশ কমে গিয়েছে। গবেষকদের দাবি, সবচেয়ে উচ্চ মানের অলিভ অয়েল হল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। স্যালাড ড্রেসিং হিসেবে এই অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। সব্জি সতে করার জন্যও এই অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। রোজকার ভারতীয় রান্না বা কন্টিনেন্টাল রান্না, যে কোনও রকম পদই তৈরি করতে পারেন এই তেলে। তবে পরিমাণ খেয়াল রাখতে হবে। আধ চামচের আশপাশে। যে কোনও তেলই বেশি খেয়ে ফেললে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরই হবে।
ফটোর কোনো বিবরণ নেই।
us

Thursday, March 27, 2025

দুধ–ভাত খেলে

 অনেকেই দুধ দিয়ে ভাত খেতে ভালোবাসেন। কম সময় ও সহজে তৈরি করা যায়। আবার খাওয়ার পর তেষ্টা কম লাগে ও সহজে হজম হয় বলে খাবারটি বেশ ভালো।

দুধ দিয়ে ভাত খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। দুধে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, যা হাড়, দাঁত, পেশি ও স্নায়ু মজবুত করে। এ ছাড়া লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। আর ভাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা শক্তি জোগায়।
দুধ–ভাত খেলে মিলবে এমন আরও অনেক উপকার।
দুধ দিয়ে ভাত খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। দুধে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, যা হাড়, দাঁত, পেশি ও স্নায়ু মজবুত করে। এ ছাড়া লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। আর ভাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা শক্তি জোগায়।
দুধ–ভাত খেলে মিলবে এমন আরও অনেক উপকার।
১. পুষ্টি
ভাত ও দুধের মিশ্রণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটসমৃদ্ধ একটি সুষম খাবার সরবরাহ করে। ভাতের কার্বোহাইড্রেট শক্তির ভালো উৎস। অন্যদিকে দুধ থেকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
২. শক্তি বৃদ্ধি
এই মিশ্রণ দ্রুত শক্তি উৎপাদন করে, যেমন সাহ্‌রিতে দুধ–ভাত খেলে ভাতের কার্বোহাইড্রেট ও দুধের প্রোটিন সারা দিন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. হজমের সুবিধা
ভাত সহজে হজম হয়। দুধে যাঁদের কোনো সমস্যা নেই, তাঁদের জন্য দুধমাখা ভাত আরামদায়ক খাবার।
৪. তৃপ্তি
এই মিশ্রণ পেট ভরতে সাহায্য করে। অল্পতেই ক্ষুধা নিবারণ হয়। অতিরিক্ত খাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
যাঁদের জন্য দুধ–ভাত ক্ষতিকর
দুধ যাঁদের সহজে হজম হয় না, তাঁদের দুধ–ভাতেও সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া দুধ ও ভাত অনেক সময় অ্যাসিড উৎপন্ন করে।
ওজন বৃদ্ধি
এই মিশ্রণ ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার। তাই নিয়মিত দুধ–ভাত খেলে ওজন বেড়ে যায়।
আসলে দুধ–ভাত খেলে কোনো সমস্যা হবে কি না, তা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত সুস্থ ব্যক্তিরা দুধ দিয়ে ভাত খেতে পারেন। তবে হজমের সমস্যা, অম্বল ও ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকলে দুধ দিয়ে ভাত খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।
ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা যাঁদের বেশি থাকে, তাঁরা এই পুষ্টিকর খাবার একেবারে বন্ধ না করে মাঝেমধ্যে পরিমিত খেতে পারেন। আর দুধ–ভাত খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমানো যাবে না। তাহলে হজমে ব্যাঘাত ঘটবে।
Source: সাজিয়া মাহমুদ, পুষ্টিবিদ, প্যানকেয়ার হাসপাতাল
No photo description available.

পেট ভুটভাট করে যে সব খাবারে

 পেট ভুটভাট করে যে সব খাবারে।

All reactions:
Abdus Sabur Dhms

স্ট্রেসকে ম্যানেজ করা

 আপনার পূর্বপুরুষকে একটা বাঘ তাড়া করলে তিনি কি করতেন??

সহজ উত্তর হচ্ছে, একা থাকলে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করতেন, আর অস্ত্রপাতি সহ দলবল নিয়ে থাকলে রুখে দাড়াতেন।
যদি তিনি দৌড়ানো শুরু করতেন, তার ব্রেইন দ্রুত এড্রেনালিন আর কর্টিসোল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তার কিডনিকে নির্দেশ দিত। রক্তে ইনসুলিন লেভেল বেড়ে যেত, দ্রুত গ্লুকোজ পোড়ানো শুরু করতো শরীর, তখন শুরু হত গ্লুকাগন লেভেল বাড়া। গ্লুকাগনের কাজ ইনসুলিনের উলটা, এটা রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বাড়ায়। রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমে গেলে যেহেতু আপনার সেই পরদাদা জোরে ছুটতে পারবে না, ত্তাই গ্লুকাগন রক্তে গ্লুকোজের পরিমান যেন পড়ে না যায় সেজন্য চেষ্টা করতে থাকতো। প্রথমেই লিভারে থাকা গ্লাইকোজেনগুলি পুড়িয়ে ফেলতো শরীর, এরপর শুরু হত মাসলে জমানো গ্লাইকোজেন পোড়ানো।
এরপর, শরীরকে খুজতে হত শক্তির অন্য উৎস। এই উৎস হল শরীরে জমানো ফ্যাট।
ব্রেইন সহজে ফ্যাট পোড়াতে চায় না, তাই ব্রেইন খাবারের খোজে থাকে। ব্রেইন আপনার পূর্বপুরুষকে অবচেতনে বলতো, খাবার খাও।
আধুনিক দুনিয়ায় আমাদের কোন বাঘ তাড়া করে না। আমাদেরকে তাড়া করে প্রচন্ড কাজের চাপ, বসের বকা, সারাবছর মাথার ওপরে একের পর এক ডেডলাইন।
এই ক্রনিক স্ট্রেস আমাদের শরীরের স্বাভাবিক মেটাবলিজমকে শাট ডাউন করে আমাদেরকে একটা অলটাইম হিডেন ইমার্জেন্সিতে রাখে।
ইনসুলিন অল্প সময়ের জন্য শরীরে বেশি থাকলে সমস্যা নেই কিন্তু একটানা যখন বেশি থাকে দিনের পর দিন, তখন শরীরে তৈরি হয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স।
দীর্ঘমেয়াদে স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে কমতে থাকে ডোপামিন, বাড়তে থাকে প্রোল্যাক্টিন। শুরু হয় পুরুষদের মেয়েলি আচরন অথবা মেয়েদের অনুর্বরতা।
আমাদের এক্টিভ থাইরয়েড হরমোন টি থ্রি কনভার্ট হতে শুরু করে রিভার্স টি থ্রি তে, ফলে ব্যাখ্যার অযোগ্য ভাবে বাড়তে থাকে ভিসেরাল ফ্যাট এবং সাদা চর্বি।
আমাদের প্যারাথাইরয়েড হরমোন শুরু করে বোন মাস ব্রেকডাউন, মানে, আমাদের হাড়ক্ষয়ের হার বেড়ে যায়।
গাট ব্যাকটেরিয়ারা সেরোটোনিন উৎপাদন কমিয়ে বা থামিয়ে দিতে থাকে, ফলে আপনার সঙ্গী হয় বিষন্নতা, কমতে থাকে মগজের ধার, বাড়তে থাকে এইজিং।
এই যে হরমোনাল র্যাম্পেজ, এটাকে আপনি থামাতে পারবেন না যদি না আপনি ভাল স্ট্রেস হ্যান্ডলার না হন।
সত্যি বলতে, ইতিহাসের কোন সময়েই মানুষ আজকের মত স্ট্রেসে ছিল না। মানুষের ব্রেইনকে এত ইনফরমেশন প্রসেস করতে হয় নাই, এত ডিসিশান মেইক করতে হয় নাই এবং এত রকম ভয়ের সাথে মানায়ে নিতে হয় নাই।
এখন, স্ট্রেস নিয়েন না বললেই তো আপনার লাইফ থেকে স্ট্রেস চলে যাবে না। আর স্ট্রেস না নেয়ার যে মাইন্ডসেট, ঐটা হল বহু বছরের প্রিপারেশানের ফলাফল।
এখন স্ট্রেসকে ম্যানেজ করার জন্য আমাদের শরীর সাধারনত নয়টা নিউট্রিয়েন্টকে বেশি ব্যবহার করে।
১)ভিটামিন সি
২)ক্যালসিয়াম
৩)ম্যাগনেসিয়াম
৪)থাইমিন বা ভিটামিন বি-১
৫)ভিটামিন বি থ্রি বা নায়াসিন
৬)ভিটামিন বি-৫ বা প্যান্টোথেনিক এসিড
৭)সোডিয়াম
৮)ফসফরাস
৯)কোলেস্টেরল
১০)গ্লুকোজ
খেয়াল করবেন, কয়েক ধরনের খাবার স্ট্রেসের সময় আমাদেরকে বেশি টানে।
১)কফি
২)সুগার
৩)নিকোটিন
৪)স্যাচুরেটেড ফ্যাট
কেন বেশি টানে??
কারন ওপরের ১০টা নিউট্রিয়েন্টকে আপনার বডি তখন ওভার ইউজ করে। দ্রুত নিজের স্টোরেজ ডিপ্লেশনকে ঠেকাইতে চায় বডি, যেকোন মূল্যে, এমনকি একটা হার্টের রোগীকে ওভারইটিং করায়ে হইলেও বডি এইটা করায়ে নেয়।
তাইলে স্ট্রেস থেকে হওয়া ড্যামেজ থেকে বাচার উপায় কি??
উত্তর হচ্ছে, মাইন্ডকে ট্রেইন করা। স্ট্রেস নেয়ার জন্য নিজের মানসিক শক্তি বাড়ানো। যে জিনিসগুলাকে ভয় পান, টেকনিক্যালি কিভাবে সেগুলা মোকাবিলা করতে পারেন তা নিয়ে বেশি বেশি রেশনাল চিন্তা করা।
ব্যাপারটা সোজা না, বহুদিনের চেষ্টার ফল।
আর অবশ্যই যারা বেশিরভাগ সময় স্ট্রেসে থাকেন, নিয়মিত ভিটামিন সি খাবেন দিনে ৫-৬ বার ৫০০ এমজি করে। স্ট্রেস এডাপটেশন ভাল হবে।
কমপ্লিট বি ভিটামিন ক্যাপসুল নিতে চেষ্টা করবেন দিনে ২-৩ বার।
লাইফ এক্সটেনশান, ডক্টর্স বেস্ট, নাউ অথবা ওসাভি, এই ব্র্যান্ডগুলা রেকমেন্ডেড।
মাসে অন্তত ৩-৪ দিন একটা করে প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল খাবেন।
হাতে এনাফ টাকা পয়সা থাকলে লাইফ এক্সটেনশান ম্যাগনেসিয়াম আর নাউয়ের বি-৫ সাপ্লিমেন্ট খাবেন।
প্রচুর শাক খাবেন, ক্যামোমাইল, মাচা বা ল্যাভেন্ডার টি খাবেন।
সুযোগ পেলেই মুরগী বা খাসীর গোশত খাবেন, এগুলা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য বেশ ভাল। আরেকটা ভাল জিনিস হচ্ছে দুধ, মধু, হলুদ ও কালোজিরার কম্বিনেশান।
চিনি বা তামাক বা এলকোহল খেয়ে স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করবেন না, তাহলে কোনদিনই স্ট্রেস থেকে রক্ষা পাবেন না।
আরো কয়েকটা ফ্রি উপায় আছে, সবার হয়তো ভাল লাগবে না।
১)সকালের সোনালী রোদ এবং নীল আকাশ দেখা
২)কোল্ড ওয়াটার থেরাপি-এন্ড্রিউ হিউবারম্যানকে ফলো করতে পারেন
৩)ওয়েট ট্রেইনিং করা
৪)স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ-ধ্যান-সিজদাহ
সিজদাহ মানুষের জানা একটা অতি প্রাচীন পদ্ধতি, কমপ্লিট সাবমিশনের একটা পরীক্ষিত উপায়। আমাকে আপনি রিলিজিয়াসলি ডগম্যাটিক বলবেন, সে উপায় আমি রাখবো না। গভীর সিজদাহ স্ট্রেস রিলিজ করে বলেই এটা হাজার হাজার বছর ধরে এতগুলো ধর্মে এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন এমন মানুষেরা সিজদাহকে সবসময়ই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের চুড়ান্ত উপায় হিসেবে নিয়েছেন এবং মোটের ওপর এটাকে সফলই বলা যায়।
মাঝে মাঝে, সমস্ত নিউট্রিয়েন্টের চেয়েও এটাই বেশি কাজ করে। কয়েক মুহুর্তের একটা সিজদাহ আচমকা আপনার সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে শাট ডাউন করে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে(এটা স্ট্রেস রিলিজ করে) সচল করে।
আপনি যখন মাইন্ডফুলনেসের সাথে সিজদাহ করেন, আপনি তখন নিজেকে কনভিন্স করেন, কেউ একজন আছে যার আপনাকে রক্ষা করার ক্ষমতা আছে এবং তিনি আপনাকে রক্ষা করতে আসবেন।

উকিলের বুদ্ধি

 সবাইকে সুকুমার রায়ের এই গল্পটি পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।

------------------------------
গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে পঁচিশ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তাই এখন পাঁচশো টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে একশো টাকা যোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, “পাঁচশো টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পার তো জেলে যাও।” সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।
এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তোখোড়-বুদ্ধি উকিল এসে বলল, “ঐ একশো টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।” চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, “আমায় বাঁচিয়ে দিন।” উকিল বলল, “তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথা-টথা কয়ো না। যে যা খুসি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জাবাবটি দেবে না— খালি পাঁঠার মতো ‘ব্যা—’ করবে। তা যদি করতে পার, তা হ’লে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।” চাষা বলল, “আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজী।”
আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি সাত বছর আগে পঁচিশ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?” চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, “ব্যা—”। উকিল বলল, “খবরদার!— বল, নিয়েছিলি কি না।” চাষা বলল, “ব্যা—”। উকিল বলল, “হুজুর! আসামীর বেয়াদবি দেখুন।” হাকিম রেগে বললেন, “ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমিই ফাটক দেব।” চাষা অত্যন্ত ভয়ে পেয়ে কাঁদ কাঁদ হ’য়ে বলল, “ব্যা— ব্যা—”। হাকিম বললেন, “লোকটা কি পাগল নাকি?”
তখন চাষার উকিল উঠে বলল, “হুজুর, ও কি আজকের পাগল— ও বহুকালের পাগল, জন্মে অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকই? আর পাগলের খত লিখলেই বা কি? দেখুন দেখই, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে ক’রে জেনে শুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেবার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, ‘এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে’— পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!”
দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল। হাকিম খানিক শুনে-টুনে বললেন, “মোকদ্দমা ডিস্‌মিস্‌।” মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বলল, “আচ্ছা, না হয় তোর চারশো টাকা ছেড়েই দিলাম — ঐ একশো টাকাই দে।” চাষা বলল, “ব্যা—!” মহাজন যতই বলে, যতই বোঝায়, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগে-মেগে ব’লে গেল, “দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন ক’রে হজম করিস।”
চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, “যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। একশো টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।” চাষা অবাক হ’য়ে তার মুখের দিলে তাকিয়ে বলল, “ব্যা—।” উকিল বলল, “বাপু হে, ও-সব চালাকি খাটবে না— টাকাটি এখন বের কর।” চাষা বোকার মতো মুখ ক’রে আবার বলল, “ব্যা—।” উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, “হতভাগা গোমুখ্যু পাড়াগেঁয়ে ভূত—তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হ’লে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।” বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হল না।
উইকিপিডিয়া
World Vision (বিশ্ব দর্শন)
(Hanif Collection)

তরমুজের বীজ

 তরমুজের বীজে পাবেন বেশ কিছু খনিজ পদার্থ। এর মধ্যে একটি হলো ম্যাগনেশিয়াম। ৪ গ্রামের বীজে ২১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যাবে। শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের দৈনিক যে চাহিদা, সেটার ৫ শতাংশ পূরণ করে দেবে এই বীজ। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএইচ) প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৪২০ মিলিগ্রাম খনিজ পদার্থ গ্রহণের পরামর্শ দেয়। শরীরের অনেক বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপের জন্য ম্যাগনেশিয়াম অপরিহার্য। স্নায়ু এবং পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, হৃৎপিণ্ড এবং হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এটি প্রয়োজন।

May be an image of watermelon
and 3 others

Plant nutrients

 Plant nutrients

May be an image of text that says "Unlocking the Power of Nutrients Catechins Green tea Matcha Dark chocolate Green apples + Vitamin c •Lemonjuice Lemon juice ·a •Goji berries Brussels sprouts Calcium Parmesan Sesame seeds Organic tofu Collard greens + Vitamin D •Egg yolks •Fortified yogurt •Mushrooms •Wild salmon Vitamin A Sweet potatoes Carrots Pumpkin puree Kale Healthy Fats Olive oil •Guacamole Nuts + seeds Grass-fed butter Plant Iron Cooked lentils Tahini Hummus Black beans Vitamin c Lemon juice •Broccoli •Bell peppers •Tomatoes +"
All reactions:
Abdus Sabur Dhms

Banana

 Bananas are good for teeth. Not only does it stimulate saliva production, but it also helps clean away leftover food particles on your teeth after a meal. Bananas are a source of vitamin B6, which the body needs to produce antibodies. These antibodies help prevent gum disease.

Eating the white part (bracts, florets, and inner core) of banana flowers is generally considered safe and can be beneficial for your health, offering nutrients and potential health advantages. Banana flowers are a good source of nutrients, including fiber, potassium, calcium, copper, phosphorus, iron, magnesium, and vitamin E.
May be an image of flower and text that says "RACHIS (FLOWER (FLOWERSTEM) STEM) A "FINGER" (INDIVIDUAL (INDIVIDUALBANANA BANANA) A"HAND*(CLUSTER)OF A A "HAND" (CLUSTER) OF BANANA FRUITS OVARY (BANANA (BANANAFRUIT) FRUIT) FEMALE FLOWERS FLOWER FLOWERBU BUD"
Ahmed