অনেকেই দুধ দিয়ে ভাত খেতে ভালোবাসেন। কম সময় ও সহজে তৈরি করা যায়। আবার খাওয়ার পর তেষ্টা কম লাগে ও সহজে হজম হয় বলে খাবারটি বেশ ভালো।
দুধ দিয়ে ভাত খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। দুধে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, যা হাড়, দাঁত, পেশি ও স্নায়ু মজবুত করে। এ ছাড়া লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। আর ভাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা শক্তি জোগায়।
দুধ দিয়ে ভাত খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। দুধে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, যা হাড়, দাঁত, পেশি ও স্নায়ু মজবুত করে। এ ছাড়া লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। আর ভাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা শক্তি জোগায়।
দুধ–ভাত খেলে মিলবে এমন আরও অনেক উপকার।
১. পুষ্টি
ভাত ও দুধের মিশ্রণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটসমৃদ্ধ একটি সুষম খাবার সরবরাহ করে। ভাতের কার্বোহাইড্রেট শক্তির ভালো উৎস। অন্যদিকে দুধ থেকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
২. শক্তি বৃদ্ধি
এই মিশ্রণ দ্রুত শক্তি উৎপাদন করে, যেমন সাহ্রিতে দুধ–ভাত খেলে ভাতের কার্বোহাইড্রেট ও দুধের প্রোটিন সারা দিন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. হজমের সুবিধা
ভাত সহজে হজম হয়। দুধে যাঁদের কোনো সমস্যা নেই, তাঁদের জন্য দুধমাখা ভাত আরামদায়ক খাবার।
৪. তৃপ্তি
এই মিশ্রণ পেট ভরতে সাহায্য করে। অল্পতেই ক্ষুধা নিবারণ হয়। অতিরিক্ত খাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
যাঁদের জন্য দুধ–ভাত ক্ষতিকর
দুধ যাঁদের সহজে হজম হয় না, তাঁদের দুধ–ভাতেও সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া দুধ ও ভাত অনেক সময় অ্যাসিড উৎপন্ন করে।
ওজন বৃদ্ধি
এই মিশ্রণ ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার। তাই নিয়মিত দুধ–ভাত খেলে ওজন বেড়ে যায়।
আসলে দুধ–ভাত খেলে কোনো সমস্যা হবে কি না, তা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত সুস্থ ব্যক্তিরা দুধ দিয়ে ভাত খেতে পারেন। তবে হজমের সমস্যা, অম্বল ও ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকলে দুধ দিয়ে ভাত খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।
ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা যাঁদের বেশি থাকে, তাঁরা এই পুষ্টিকর খাবার একেবারে বন্ধ না করে মাঝেমধ্যে পরিমিত খেতে পারেন। আর দুধ–ভাত খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমানো যাবে না। তাহলে হজমে ব্যাঘাত ঘটবে।
Source: সাজিয়া মাহমুদ, পুষ্টিবিদ, প্যানকেয়ার হাসপাতাল
No comments:
Post a Comment