Thursday, May 1, 2025

ফিশ অডর সিনড্রোম

 Fish odor syndrome, also known as trimethylaminuria (TMAU), is a rare metabolic disorder that causes a strong, fishy odor in sweat, urine, and breath. This odor results from the body's inability to properly break down trimethylamine, a chemical produced by bacteria in the gut when digesting certain foods.

TMAU is caused by a genetic defect that affects the liver's ability to convert trimethylamine into an odorless form.
The odor can significantly impact a person's social life, relationships, and career.
Many individuals with TMAU experience depression and social isolation due to the odor.
মানুষের শরীর থেকে পচা মাছের গন্ধ আসার কথা জেনে আপনি অবাক হতে পারেন। অপরিচ্ছন্নতার জন্য নয়, বরং জিনগত কারণে হওয়া এক বিরল রোগে দেখা দেয় এমন বিব্রতকর সমস্যা। রোগের নামটি বেশ খটমটে—ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনিউরিয়া। সহজ একটা নামও অবশ্য আছে—ফিশ অডর সিনড্রোম। বিরল এই রোগ নারীদের মধ্যেই তুলনামূলক বেশি দেখা দেয়।
কেন হয় এই রোগ
আমাদের দেহে স্বাভাবিক নিয়মে বিপাকক্রিয়া চলে। বিপাকের একটি ধাপে তৈরি হয় ট্রাইমিথাইল অ্যামিন (টিএমএ) নামের একটি উপাদান, যার গন্ধটা ভালো নয়। একজন সুস্থ মানুষের লিভারে এই টিএমএ ভেঙে অন্য উপাদান তৈরি হয়ে যায়। ফলে এর গন্ধ পাওয়া যায় না। তবে অল্প কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এফএমও৩ নামের একটি জিনের ত্রুটি থাকায় টিএমএ ভাঙার এনজাইম পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না।
ফলে টিএমএ ভাঙে না। শরীরে টিএমএ জমে পচা গন্ধ হয়। জিনগত কারণে হওয়া এই বিপাকজনিত সমস্যাটিই ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনিউরিয়া। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে জিনগত সমস্যা ছাড়াও অন্য কিছু কারণে দেহে টিএমএর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় একই সমস্যা দেখা দেয়।
কিসে হয় গন্ধ
এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির নিশ্বাস, ঘাম, থুতু এবং প্রস্রাব থেকে পচা মাছের গন্ধ আসে। গন্ধ এতটাই তীব্র হয় যে একই বাস বা ট্রেনের কামরায় অন্যদের সঙ্গে যাত্রা করাও সম্ভব হয় না। তবে এই গন্ধ সব সময় না–ও হতে পারে। মানসিক চাপের সময়, নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়ার পর কিংবা মাসিকের সময় বেশ গন্ধ হয়ে থাকে।
গন্ধ ছাড়া আর কী হয়
এ রোগে দুর্গন্ধ ছাড়া শারীরিক আর কোনো সমস্যাই হয় না। কিন্তু সামাজিক কারণে ভুক্তভোগীরা হতাশা এবং অবসাদে ভোগেন। অনেকের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তাও আসে।
চিকিৎসা
এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে উপসর্গ কিছুটা কমানো যেতে পারে এভাবে—
কিছু কিছু খাবার শরীরে ট্রাইমিথাইল অ্যামিনের পরিমাণ বাড়ায়। সামুদ্রিক মাছ, ডিম, কলিজা, চিনাবাদাম, ব্রকলি, মটরশুঁটি, গরুর দুধ রয়েছে এই তালিকায়।
চাপমুক্ত জীবনযাপনের প্রয়াসও রোগীকে ভালো রাখে। প্রয়োজনে মনোবিদের সহায়তা নিন।
পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকাও প্রয়োজন। নিয়মিত গোসল করতে হবে ও পরিষ্কার কাপড় পরতে হবে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃদু অম্লীয় সাবান এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
Sources:
1. ডা. আফলাতুন আকতার জাহান, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা
May be an image of 1 person

No comments:

Post a Comment